আচ্ছা শরীর সুস্থ থাকলে কি এই সকল তুচ্ছ বিষয় কি আমার গোচরে আসত?? তাহলে কি সাময়িক অসুস্থতা আমাদের সংকীর্ণ মনন কে প্রসারিত করে??
এই সকল ভাবনা ভাবতে ভাবতেই, ভাবলাম, এই পৃথিবী কি শুধুই আমার জন্য তৈরি? তা তো মোটেই নয়? তাহলে আমি শঙ্কিত কেন?
আমরা তো সাম্যের কথা বলি, তাহলে তো এই পৃথিবীরর সমস্ত রং রুপ গন্ধ, আলো
বাতাসে কীটেরও সমান অধিকার, তাহলে কেন এই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য?
হতেই
পারে কোন কোন কীটের উজ্জ্বল রং রুপের ছলনাময় অকর্ষনে আমি তাৎক্ষণিক
মোতান্বিত হয়েছি, এবং ছুঁয়ে বিষাক্ত রসে জ্বল্বছি, তাতে ঈ ওই কীটের কি
দোষ?? লালসার বশবর্তী আমি হয়েছিলাম। কীট শুধু তার লীলা প্রদর্শন করে ছিল
মাত্র।
হৃদয়ের ব্যাকুলতা আরো কিছুটা প্রশম হল, যখন ভাবলাম,
প্রকৃতিগত কারনেই এ এক বিচিত্র নিয়ম, কীট পতঙ্গের মস্তিষ্ক নেই, সুতরাং
বুদ্ধিও নেই। তাদের নিজস্ব ভাবনা চিন্তাও কিছু নেই। জৈবিক দৈনন্দিন
ক্রীড়াকলাপ ব্যাতিরেকে।
তাদের জীবনীশক্তি কালের নিরিখে অত্যন্ত
সীমিত। তাই কালক্ষেপ না করে দ্রুত নিরাপত্তার আস্তিন, শয়নকক্ষের দিকে
ধাবিত হইলাম। এই কীটেরা আমাদের বৃহত্তর পৃথিবীর আনাচেকানাচে ছরিয়ে ছিটিয়ে
আছে বলেই আমাদের শয়নকক্ষ এতটা নিরাপদ! হয়ত শুম্ভনিশুম্ভের বিবাদ থাকতো
না।হয়ত ভাল এতটা ভালো হত না।
প্রতক্ষ বিপদের হাত থেকে হয় তো বাঁচলাম, কিন্তু সত্যিই বাঁচলাম কি?? 😩 এমনিতেই সাহস কম আমাদের, কলহ প্রীয় নিন্দাচর্চায় পারদর্শী জাতি আমরা, কঙ্কালসার প্রায় অন্ত:সারশুন্যের দিকে ধাবমান।
বাতানুকূল যন্ত্রের শীতল বাতাস, একটা নতুন ভাবনা জন্ম দিল,
আচ্ছা আমাদের বর্তমান সমাজটা ও কি আমার পরন্ত বিকালের বাগিচার ন্যায় নয় কি??