Saturday, 27 October 2012

উন্মাদ ণামা ~ ০৪

না পাওয়ার কষ্ট সহ্য করা যায়, কারন সান্তনা নামক শব্দ টি সেখানে উপস্থিত থাকে। 
মনকে ভুলিয়ে রাখা যায়।

আর পেয়ে হারানোর জ্বালা অসহ্য। সে যন্ত্রনা জাষ্ট নেওয়া যায় না।আর সেটা যখন আপনি বুঝতে পারছেন যে, এই সুখ প্রাপ্তি শুধু মাত্র ক্ষনিকের। তখন শরীর টা সম্পূর্ন কোমা তে চলে যায়।

সেটাই বড্ড কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে।


শান্তি চাই। মনেও সমাজেও।

Thursday, 4 October 2012

উন্মাদ নামা ~ ০৩

অসুস্থ ভারাক্রান্ত শরীরটাকে নিয়ে পরন্ত বৈকালের আলো অন্ধকারের আবছায়াতে, অনিচ্ছার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে, কোন ক্রমে হামাগুড়ির ন্যায় হিঁচরে পায়চারি করছি।


হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমার সুন্দর সুবাসিত বাগিচায় এ কি? ডানা ওয়ালা নির্বিষ থেকে বিষাক্ত সব কীট পতঙ্গের দল। চর্তুদিক থেকে তারা দলে দলে তারা বেড়িয়ে আসছে। হঠাৎ ঈ কেন না জানি, অতিরিক্ত মাত্রায় শঙ্কিত হয়ে পরলাম।


আচ্ছা শরীর সুস্থ থাকলে কি এই সকল তুচ্ছ বিষয় কি আমার গোচরে আসত?? তাহলে কি সাময়িক অসুস্থতা আমাদের সংকীর্ণ মনন কে প্রসারিত করে??


এই সকল ভাবনা ভাবতে ভাবতেই, ভাবলাম, এই পৃথিবী কি শুধুই আমার জন্য তৈরি? তা তো মোটেই নয়? তাহলে আমি শঙ্কিত কেন?



আমরা তো সাম্যের কথা বলি, তাহলে তো এই পৃথিবীরর সমস্ত রং রুপ গন্ধ, আলো বাতাসে কীটেরও সমান অধিকার, তাহলে কেন এই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য?



হতেই পারে কোন কোন কীটের উজ্জ্বল রং রুপের ছলনাময় অকর্ষনে আমি তাৎক্ষণিক মোতান্বিত হয়েছি, এবং ছুঁয়ে বিষাক্ত রসে জ্বল্বছি, তাতে ঈ ওই কীটের কি দোষ?? লালসার বশবর্তী আমি হয়েছিলাম। কীট শুধু তার লীলা প্রদর্শন করে ছিল মাত্র।



হৃদয়ের ব্যাকুলতা আরো কিছুটা প্রশম হল, যখন ভাবলাম, প্রকৃতিগত কারনেই এ এক বিচিত্র নিয়ম, কীট পতঙ্গের মস্তিষ্ক নেই, সুতরাং বুদ্ধিও নেই। তাদের নিজস্ব ভাবনা চিন্তাও কিছু নেই। জৈবিক দৈনন্দিন ক্রীড়াকলাপ ব্যাতিরেকে।



তাদের জীবনীশক্তি কালের নিরিখে অত্যন্ত সীমিত। তাই কালক্ষেপ না করে দ্রুত নিরাপত্তার আস্তিন, শয়নকক্ষের দিকে ধাবিত হইলাম। এই কীটেরা আমাদের বৃহত্তর পৃথিবীর আনাচেকানাচে ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বলেই আমাদের শয়নকক্ষ এতটা নিরাপদ! হয়ত শুম্ভনিশুম্ভের বিবাদ থাকতো না।হয়ত ভাল এতটা ভালো হত না।



প্রতক্ষ বিপদের হাত থেকে হয় তো বাঁচলাম, কিন্তু সত্যিই বাঁচলাম কি?? 😩 এমনিতেই সাহস কম আমাদের, কলহ প্রীয় নিন্দাচর্চায় পারদর্শী জাতি আমরা, কঙ্কালসার প্রায় অন্ত:সারশুন্যের দিকে ধাবমান।



বাতানুকূল যন্ত্রের শীতল বাতাস, একটা নতুন ভাবনা জন্ম দিল,



আচ্ছা আমাদের বর্তমান সমাজটা ও কি আমার পরন্ত বিকালের বাগিচার ন্যায় নয় কি??