জীবনটা এক অদ্ভুত অন্ধকারের সমাহার। সারাক্ষন সেই আলোর খোঁজেই ছুটে চলা।
আশ্চর্য সব সম্পর্কের জটিল সমীকরণ। কে যে কাকে চাই, আর কিভাবে চাই বোঝা বড্ড
মুসকিল। অন্যকে বোঝার চেষ্টা করবো কি, নিজেকেই নিজে চিনতে পারিনা মাঝে
মাঝে, কে আমি?? কি আমার উদ্দেশ্য??
তাই অন্যকে জানার বৃথা চেষ্টাও
করিনা। কিন্তু যখন দেখি যে একটাই ভয়, আর তার প্রতিক্রিয়া টাও একই। তখন
অনুভুতি গুলো ও হরতাল ডেকে বসে। কেমন যেন স্থবির হয়ে যায়। কাঁদতে গিয়েও
হেঁসে ফেলি।
আচ্ছা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পিছু হটতে হয়, সেটা যুদ্ধের ই অঙ্গ,
পলায়ন টা অবশ্যই নয়। জীবন টা ও যুদ্ধ ই। বা তার থেকেও বেশি। সেখানে
আত্মহত্যা করাটা ই সব থেকে গৌরবের কি!! তাতে যত দু:খ ই পাই না কেন!! বা
উচ্চারন করা টা ও অন্যায়, খুব খুব অন্যায়।
আর পলায়ন কারি কে এক কথায় ঘৃনা করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা এটা সবটাই
আমার আভ্যন্তরীণ। একটা ফুসফুস, সে বলছে আমি আর নিশ্বাস নেবো না, আরে হৃদয়
তাহলে বাঁচে কি করে??
সব স্বার্থপর। আসলে কিছুতেই নিয়িন্ত্রন নেই। সব যে ভালোবাসার ক্লোরোফর্মে অবশ।
সেই একই কথার পূনরাবৃত্তি, নিজেকে রেকগনাইসড করা মুসকিল হয়ে যাচ্ছে।
একটু বাতাস পাওয়া যাবে??? ধার.......
একটু শ্বাস নিতাম..... গলা বুজে আসছে। অভিমানেরা অবরোধ করেছে। রক্তও
চাক্কা জ্যামের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। পাকস্থলি VRS নেবে বলে বায়না ধরেছে।
কিন্তু চোখ সেই শিবরাত্রির সলতের মত স্বপ্নের জাল বুনে চলেছে।
যার জন্য, এই বাতাসের খোঁজ.... একটা দমকা বাতাস। যা কিছু খারাপ সব উড়ে পালাবে।এক পলকে। পারলে সাথে আমাকেও। কোন অনির্দিষ্ট ঠিকানায়। তার শান্তির ক্রোড়ে।
সুদুরে.........
উন্মাদ হার্মাদ