Thursday, 29 November 2012

উন্মাদ নামা ~ ০৬

জীবনটা এক অদ্ভুত অন্ধকারের সমাহার। সারাক্ষন সেই আলোর খোঁজেই ছুটে চলা। আশ্চর্য সব সম্পর্কের জটিল সমীকরণ। কে যে কাকে চাই, আর কিভাবে চাই বোঝা বড্ড মুসকিল। অন্যকে বোঝার চেষ্টা করবো কি, নিজেকেই নিজে চিনতে পারিনা মাঝে মাঝে, কে আমি?? কি আমার উদ্দেশ্য??


তাই অন্যকে জানার বৃথা চেষ্টাও করিনা। কিন্তু যখন দেখি যে একটাই ভয়, আর তার প্রতিক্রিয়া টাও একই। তখন অনুভুতি গুলো ও হরতাল ডেকে বসে। কেমন যেন স্থবির হয়ে যায়। কাঁদতে গিয়েও হেঁসে ফেলি।



আচ্ছা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পিছু হটতে হয়, সেটা যুদ্ধের ই অঙ্গ, পলায়ন টা অবশ্যই নয়। জীবন টা ও যুদ্ধ ই। বা তার থেকেও বেশি। সেখানে আত্মহত্যা করাটা ই সব থেকে গৌরবের কি!! তাতে যত দু:খ ই পাই না কেন!! বা উচ্চারন করা টা ও অন্যায়, খুব খুব অন্যায়।


আর পলায়ন কারি কে এক কথায় ঘৃনা করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা এটা সবটাই আমার আভ্যন্তরীণ। একটা ফুসফুস, সে বলছে আমি আর নিশ্বাস নেবো না, আরে হৃদয় তাহলে বাঁচে কি করে??


সব স্বার্থপর। আসলে কিছুতেই নিয়িন্ত্রন নেই। সব যে ভালোবাসার ক্লোরোফর্মে অবশ।



সেই একই কথার পূনরাবৃত্তি, নিজেকে রেকগনাইসড করা মুসকিল হয়ে যাচ্ছে।



একটু বাতাস পাওয়া যাবে??? ধার.......



একটু শ্বাস নিতাম..... গলা বুজে আসছে। অভিমানেরা অবরোধ করেছে। রক্তও চাক্কা জ্যামের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। পাকস্থলি VRS নেবে বলে বায়না ধরেছে। কিন্তু চোখ সেই শিবরাত্রির সলতের মত স্বপ্নের জাল বুনে চলেছে।



যার জন্য, এই বাতাসের খোঁজ.... একটা দমকা বাতাস। যা কিছু খারাপ সব উড়ে পালাবে।এক পলকে। পারলে সাথে আমাকেও। কোন অনির্দিষ্ট ঠিকানায়। তার শান্তির ক্রোড়ে।



সুদুরে.........


উন্মাদ হার্মাদ 

Thursday, 8 November 2012

উন্মাদ নামা ~ ৫

গত কয়েকদিন ধরেই মান ও সম্মান নিয়ে বেশ কয়েকটা লেখা পরেচে। আমাদের এক বিশেষ ঠেকে।


যদিও আমার ওটা সাবজেক্ট নাই বলে, তেমন উৎসাহিত হইনি।



আমার তো শালা, সম্মান ই নেই, যে অসম্মানিত হবো। আমার তো...


বাপ বললে মোদির ভাই (এক্ষেত্রে আপনি মনে মনে যা খুশি বসাতেই পারেন), আনন্দের আর সীমা নাই।


লোকে জন্মাবার পর ছ্যাবলা হয়, আমি মায়ের পেট থেকেই ত্যাদোঁড়।আমার লেখা বা মন্তব্যে কারোর খারাপ কিছু লাগলে এক টাই কাজ করবেন, খুবই সহজ আর রেডিমেড, ২ মিনিটস নুডলসের মতো:-



একটা গ্লাস নিন, একটু ঠান্ডা জল ঢালুন, হালকা ইসব গুলের ভুষি বা কায়মচূর্ন মিসিয়ে নিন। এবার মানসিক ভাবে নিজেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করুন। মনে রাখবেন বাঙালীর যুদ্ধ, আধাঘন্টার বেশী সময় লাগার কথা না।



মিনিট পনেরো পর কমোড ওয়ালা প্যানে গিয়ে টাইম নিয়ে বসুন, সঙ্গে করে পকেটে ২ টো মাড়ি বিস্কুট  আর এক বোতোল ফ্রিজের জল। অবশ্যই ইজের খুলে বসবেন। ব্যাটা ছেলে হলে, আগে বিড়ি টা শেষ করুন। মেয়েরা শ্বাশুরী বা ননদের নাম বারবার  নিলেই ও কাজ টা ত্বরান্বিত হবে।



এবার নেট অন করে ফেসবুক অন করুন। আর তার আগে উইকিপিডিয়া তে গিয়ে একবার নিজের খিস্তির স্টক টা ঝালিয়ে নিন। আর তার সাথে হিমেসের নিজের গাওয়া গান চালিয়ে দিন। উপায়ান্তরে হানি সিং ও চলবে।



কারন বলছি।



হিমেসের গান শুনলেই, মুখে অটোমেটিক বিকৃতি শুরু হয়ে যাবে, যেটা আপনাকে কোঁথ পারতে সাহায্য করবে। এবার নিম্নচাপের টুপটাপ বর্ষন শুরু হয়ে গেলেই, ওই বিকৃতি মুখের যাবতীয় এক্সপ্রেশন এক্সটেন্ডেড করুন। আমার লেখায় বা মন্তব্যের প্রত্তুত্তর গুলো যাবতীয় কাঁচা গালাগালি সহ পরিবেশন করুন সমস্ত রেভুলিউসন সহ।। কারন ততক্ষন আপনার উদরলঘুতার কারনে মনেও হালকা প্রাশান্তি ভাব বিরাজমান।



এবার বিস্কুট দুটো খেয়ে নিন, একটু ঠান্ডা জলো গলায় ঢালুন। আবার বেগ টা ফিরে পাবেন।



আবার এক প্রস্থ মন কে সুখ দিয়ে নিন, আমায় গাল দিয়ে, অন্য অনেকের প্রতি যত্তো  ও যাবতীয় ক্ষোভ, সব আমার উপর ঢেলে দিন। সাথে সাথে যত্তো রাগবেন, পেট টা ও রিলাক্স ফিল করবে।



এবার একটু হালকা ঘাম মুছে নিন। ছেলারা লুঙ্গি দিয়ে, মেয়েরা নাইটির অতিরিক্ত অংশ দিয়ে। যদিও আমার আবার ওই সুবিধা নেই। আমি বাথরুমে জন্মাবস্থার সময়কালেই বিশ্বাসী। জীবনে নাগা হবার যে সুপ্ত বাসনা টা ছিলো,  সেটা ওখানেই মেটায়।



সে যাই হোক। পেটের এবং মনের যাবতীয় স্খলন পরিপূর্ন করে, টয়লেট পেপার দিয়ে মুছে নিন, আপনার হলুদ পাখীদের। তার সাথে আমার নাম, ২১ বার অত্যন্ত ঘৃনামিশ্রিত স্বরে উচ্চারিত করুন। এবং কমোডে ফেলার আগে জয় অকপট জয় আপনজন বলে, অরিজিত সিং এর একটা রোমান্টিক গান চালিয়ে, হাত ধুয়ে(ডেটল সাবান দিয়ে) একটা সরি পোষ্ট করে দিন ফেসবুকে।



ব্যাস....
সাপ-লাঠি দুই ঈ অক্ষত।


(ক্যালাবেন না প্লিজ)