হারিয়ে ফেরার মাঝেও একটা আলাদা সুখানুভুতি থাকে, আর সেটা যদি আপনজনেদের মাঝে হয়
তাহলে তার মাধুর্য বর্ননা লিখি তার সাধ্যি কি। আমি জানি আমি আছি, কিন্তু আমার প্রিয়জনেরা আমার জন্য
দুশ্চিন্তাগ্রস্থ, এতটুকু বিচ্ছেদ তাদের
মনে শুন্যতার সৃষ্টি করেছে। অধিকাংশ জনে জানেইনা যে ছিলামনা, তবে যারা জানেন, তাঁরা কেও নিজেকে দোষারোপ করতে
ব্যাস্ত। কেও আনন্দিত, কেও সফলতা উদযাপন করছেন, গোপনে সফল খুনের আনন্দে। আমি
কিন্তু দেখছি, সবই দেখছি, বলতে পারছিনা। কারন আমার পরিচিতি
সবটাই এই দেহ দ্বারা, বাকিটা
দেহটা থেকেও যেন অস্তিত্বহীন।
একটা সম্পূর্ন অন্যরকম অনুভূতি।
আত্মা নাকি অবিনিশ্বর। আমরা ঘুমিয়ে যে সকল স্বপ্ন দেখি, তার সুখ দুঃখ সহ নানা অনুভুতিগুলো
আমাদের নশ্বর শরীরে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনা সাধারনত, সকলটাই আমাদের অবচেতন মনের ফসল, ও যাবতীয় ক্রিয়া বিক্রিয়া আত্মার
উপরে ফলিত হয়। ভয় পেলে চমকে, বা আনন্দের বহিঃপ্রকাশ
মাত্রাতিরিক্ত হলে তবেই হঠাৎ করে জেগে উঠি।
আচ্ছা মৃত্যুর পরেও কি আমাদের আত্মা এমনটাই সবকিছু দেখতে
পাবে? আমাদের দ্বারা কৃতকর্মের
জন্য প্রলাপ- বিলাপ- সুনাম- বদনাম -সমালোচনা- আলোচনা ইত্যাদি সকল কিছুই। কিন্তু
আমাদের যাদের মৃত্যু ঘটল, তারা শুধু দেখতেই পাবো, যেহেতু সেই দেহটা নেই যেটা দিয়ে
আমার আমি কে মানুষ চিনত, তাই আমি যে রুপেই থাকিনা
কেন, কেও দেখতেই পাবেনা আমাকে।
তখন যে কি কষ্টটাই হবে সেটা খানিক টের পেলাম। কারন এখানে হারিয়ে ফিরতে পারলেও, ওখান থেকে তো ফেরা যায়না।
কি জানি কেমন হবে সেই দিনটা, সবটাই
তো ধারনা মাত্র। মৃত্যুর ওপারের জীবনকে আর কে দেখেছে!!
No comments:
Post a Comment