Tuesday, 25 December 2012

ধর্ম দর্শন



ধর্ম-দর্শন


গোঁড়া ধার্মিকদের নিয়ে কোন কালেই সমস্যাটা ছিল না। তারা ধর্ম সাধনাতেই নিমজ্জিত থাকে। প্রতিটা ধর্মেরই নিজস্ব আচার বিচার ব্যাপ্তি ও গরিমা এতোটাই বিশাল যে, প্রকৃত ধার্মিকের অন্য গৃহে উঁকি দেবার সময় বার করা প্রায় অসম্ভব।
সমস্যা অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী দের নিয়ে। বক ধার্মিকদের নিয়ে। অপব্যাখ্যাদ্বারা জারিত ধার্মিকদের নিয়ে। যারা যুক্তির থেকে আবেগকে প্রাধান্য দেয় বেশী। যে সমাজে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেশী, পাতি কথায় বেকার, সেই সমাজে ধর্মাচার নিয়ে মাতামাতি অত্যন্ত বেশী। কারন তাদের হাতে খরচ করবার মত সময় অগাধ। উল্টোটাও সত্য, যাদের হাতে অগাধ ধনসম্পত্তি রয়েছে, তারাও ধর্মের মত মুচমুচে বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করে। জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলা আম জনগনের পেটের চিন্তায় রাতে যেখানে ঘুম হয়না, সেখানে ধর্ম নিয়ে আদিখ্যেতা করার সময় কোথায়?
একটা উদাহরন, বেসরকারী ব্যাঙ্কে বা বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কোন কর্মচারিকে কখনো কোথাও ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করতে দেখেছেন? দেখবেন না। কাজের চাপের চোটে তাদের চিড়েচ্যাপ্টা জীবনে এমনিতেই ত্রাহি ত্রাহি রব। ক্যাচালি করার সময় কোথায়?
ধর্ম মানে যাহাকে ধারন করা যায়। যারা ধর্মকে অস্বিকার করে, তাঁরা আসলে নিজের বর্তমানকে নিয়ে অস্তিত্বসঙ্কটে ভুগছেন, নতুবা অযোগ্যোতার দরুন অকৃতকার্য হতে হতে, একমাত্র বিক্ষোভের ব্যাক্তি(!) ঈশ্বরের প্রতি ক্ষোভের হেতু ধর্মের বিরুদ্ধাচারন শুরু করেছেন। এরা দীশাহিন জীবনযাপনের হেতু, নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ধর্মকে অস্বিকার করা, আসলে হাঁটুতে বুদ্ধি রেখে বিজ্ঞানচর্চার সামিল। জ্ঞান না থাকলে বিজ্ঞান হয়না। তেমনই ধারন ক্ষমতা না থাকলে ধর্ম হয় না। ধর্ম কখনই বিজ্ঞানকে অস্বিকার করেনি। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের কোন বিরোধ নেই। ভন্ডরা বিভেদ সৃষ্টি করেছে আর করেছে ধর্ম ব্যাবসায়িরা। ধর্ম কে বাদ দিয়ে বিজ্ঞানের অস্তিত্ব নেই। ধর্ম বিনা রাষ্ট্রব্যাবস্থা টিকতে পারে না। সকল হানাহানিই ভোগের জন্য। ধর্ম ত্যাগ শেখায়, তাই প্রকৃত ধার্মিক কখনই হানাহানি করবে না। যারা করেন, তারা আর যাই হোক ধার্মিক হতে পারেন না।
ব্যাক্তি স্বাধীন অনেক ব্যাক্তিই নিজেকে নাস্তিক বলে থাকেন। অথচ ধর্মের সাথে জড়িত যাবতীয় আমোদের মজা নেন তারিয়ে তারিয়ে। এ এক অদ্ভুত মানসিক বিকার। যাকে আমি স্বিকার করিনা, যা আমার বিশ্বাসের পরিপন্থী, যে ঘটনা পরম্পরা আমার জীবনধারর সাতে খাপ খায় না।, সেখানে আমার যেকোন ধরনের উপস্থিতিই স্ববিরোধিতার সামিল। আর এটাও এক ধরনের স্বাধিকার ভঙ্গ। এই প্রজাতির মানুষবর্গ দেখতে আপাত নিরিহবাদী হলেও, এদের মানসিক স্থিরতা খুবই ভঙ্গুর, যে কোন মুহুর্তে যে কোন দিকে বাঁক নিতে পারে। কারন নীতিহিততা হয়ে জীবনধারন মৃত্যুরই সামিল। ধর্মীয় মৌলবাদীদের থেকে এনাদের ফারাক খুবই কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাস্তিকের দল উৎসেচকের ভুমিকা পালক করে, খুচিয়ে ঘা করে এনারা মজা লোটেন।
ধর্মের উৎপত্তি মানব সভ্যতার বিকাশের জন্য। মানব সংহতিকে একটি গঠনমূলক রুপ দিতে। ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতার, ভিন্ন চরিত্রের মানুষদের মানুষদের এক সুত্রে বাঁধিতে ধর্মের উৎপত্তি। ধ্রুবক জীবনধারাকে সর্বত্র সমান ভাবে ছরিয়ে দিতে ধর্মের উৎপত্তি। ভালো আর মন্দের ফারকটা বোঝানোর পন্থাকে সার্বজনীন রুপ দিতে ধর্মের উৎপত্তি।
অনেকের মতে সংগঠিত ধর্ম ব্যাবস্থা মানব সভ্যতার বিচারে এক্কেবারে আধুনিক ঘটনা, মাত্র ৩ হাজার বছরের পুরাতন। তাহলে তার আগের মানুষেরা কিভাবে বিনা ধর্মে জীবনিপাত করতেন?
আসলে এটা একটা গোড়ায় গলদ প্রশ্ন। প্রথম পালটা প্রশ্ন, আপনি কবে এই প্রশ্নটা তুলছেন? ২০১৬ সালে দাঁড়িয়ে। ৩০০০ বছর আছে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ধারনাটা কেমন ছিল? সেই আমলে লড়াই টা ছিল মূলত মানবদের সাথে পশুদের। কারন একএকটি ছোট জনগোষ্ঠী জঙ্গলে থাকতো জংলী জানোয়ারদের সাথে। খাদ্য বলতে গাছপালা বা কাঁচা মাংস, আর থাকার স্থান বড় গাছ বা তার কোটোর বা গুহা। যেগুলো পশুরাও ব্যাবহার করতো। তাই তখনকার মূল যুদ্ধটা ছিল খাদ্য আর বাসস্থানের, আর বাসস্থানের। সেই পরিসরটা ছিল বিশাল, আর মানুষের সংখ্যা টা ছিল অত্যান্ত মুষ্টিমেয়।
আজকের পৃথিবীতে এই জনবিষ্ফোরনে মানুষের সবথেকে বড় শত্রু মানুষই। সেখানে অনুশাষনের জন্য ধর্ম ভিন্ন কোন উপাই নেই। আজকের যুগে মানুষ দু ধরনের রোজগার করে, এক গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য, দ্বিতীয় বাহুল্য বিলাশিতার জন্য। দ্বিতীয় শ্রেণী তাদের মনরঞ্জনের জন্য নিরন্তর রোজগারের সাপ্লাই লাইনটা চালু রাখতে যে কোন কিছু পন্থা অবলম্বন করতে পারে। মানুষকে পন্য বানিয়ে মানুষের কাছেই বিক্রি করে তারা। তাই এদের প্রলভোন থেকে ও হানাহানি থেকে রক্ষা করতে ও মানুষজাতিকে একতার সুত্রে বাঁধতে ধর্ম নামক পৃথক পৃথক সমাজের উতপত্তি হয়েছিল বোধহয়।
ধর্ম আর ধর্মান্ধতাকে একই ছাঁচে ফেললে হবে না। যুদ্ধ বাজেরা ধর্মের দোহায় দিয়ে কাজ হাসিল করে। কারন ধর্ম বিষয়টা সকল সময় শান্তির কথা বলে ও আদর্শ জীবনযাত্রার কথা বলে। তাতেই সাধারণ মানুষ তাতে আকৃষ্ট হয়।বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার মধ্যে কতজন ধার্মিক সেটা প্রশ্ন যোগ্য নিশ্চই। আর এই আকৃষ্টতার সুযোগটা ব্যাবসাদারেরা নেয়। কারো বিশেষ অপছন্দতার বিষয়গুলো প্রকট করে , বার বার তাতে সুরুসুরি দিয়ে বিরুদ্ধমতকে খুচিয়ে জাগিয়ে, গনমাধ্যমে সেই ঘটনার বারংবার সম্প্রচারের মাধ্যমে, অপপ্রচারকে সত্যির মোড়কে বাজারজাত করে, ফায়দা লোটে অধিকাংশ রাষ্ট্রনেতারা। সাথে থাকে স্বার্থান্বেশি কিছু চামচা শ্রেনির ভেকধারী ধর্মগুরুর দল।
প্রায় সমস্ত ধর্মের গ্রন্থ গুলো সহস্র বছর প্রাচীন ভাষায় মুদ্রিত, তাই কোন নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বী, বেশিরভাগ মানুষের কাছে ধর্মের মূল প্রতিপাদ্য গুলো অধরা থেকে যায়। ব্যাবসারেরা মেকি ধর্গুরুদের দ্বারা নিজেদের স্বার্থের অনুকুলে মিথ্যা বিশ্লেষণ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের কাম্য বিভেদ সৃষ্টি করে। অর্থের শক্তির কাছে দূর্বৃত্তের কখনো অভাব হয় না। দুর্বৃত্তের সাথে আসল ধার্মিকেরা কখনই পেরে ওঠে না, কারন ধার্মিক কখনই ছল চাতুরি মিথ্যার আশ্রই নেবেন না, নিতান্ত জীবন সংশয় ব্যাতিরেকে। ধর্মের আড়ম্বর দীর্ঘায়িত হয় ধর্মের মূল মন্ত্র থেকে। এখন ধর্মকে যারা মানেন না, বিশেষত নাস্তিকেরা। তারা অবুঝ, তাতে ধর্মের কি দোষ?
গুহামানবের বুদ্ধির থেকে আজকের মানুষের বুদ্ধি মেধা একতা চাহিদা লক্ষ্যগুন বেশী, তাই প্রতিযোগিইতাও বেশী। ধর্মের আস্তরন উঠে গেলে মানুষ পশুর থেকে বেশী ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ধর্ম তো একটা পোষাক স্বরূপ।
তাই প্রকৃত ধার্মিকের প্রকটতা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর দরকার কিছু যোগ্য নেতার। যিনি ব্যাক্তি স্বার্থের উর্ধে গিয়ে মানব ধর্মের প্রচার করবেন, হানাহানি বন্ধ করতে পারবেন। সেটা যে আঙ্গিকেই হোক না কেন!

Friday, 14 December 2012

উন্মাদ নামা ~ ০৭

স্মৃতি সততই সুখের হয় না। কখনো কখনো তা চরম দু:খের ও হয়। এখন যার ভাগ্য যেমন। দু:খ সর্বস্ব যার জীবন, তাকে দু:খের মাঝেই সুখের ঠিকানা খুজতে হয়।


যে জিনিস একবার হারায়, শত চেষ্টা তেও তা খুঁজে পাওয়া যায় না। এটাই বাস্তব সত্য। কেউ বেঁচে থেকে প্রায়শ্চিত্ত করে, কেও মড়ে গিয়ে শান্তি তে বাঁচে।



চরম ভালোবাসা না থাকলে সত্যিই কি ঘৃনা করা যায়?? অন্তত মন থেকে??

সুখ..........


পেলে পূর্নতা.... না পেলে কাব্য। তা এক অন্য সুখময় পুর্ণতা। গরলবানী ইচ্ছাধীন হয় না। কষ্ট দেখতে পাওয়া আর কষ্ট অনুভব করার মধ্যে আকাশ ও জমীনের ফারাক।



এতো বড় নরক কারা ভর্তী করবে!! যদি দেশে পাপাচার না হয়?? তবে সেটাই একমাত্র স্বর্গের বিকল্প নয়, এই সুন্দর মুহুর্ত গুলো.... আমরা যাদের কেনা গোলাম। অন্যতম বিকল্প।



কান্না হাসি.... হা হা হা হা.... ও ও ও ও.... একটু সুসংবদ্ধ করে নিলেই যা ইচ্ছা তা ই করা যায়। কেউ শোকে কাঁদে, কেউ সেটাও পারে না। সে পাথর হয়ে গেছে যে। কোন যাদুদন্ডই তাকে আর জাগানোর ক্ষমতা রাখে না। শুধু পর্বত হতে চাই। অনেকে বাসা বাধুক, মাথায় হিমবাহ জমুক, নিচে ঘিরে ধরা মেঘের রাশি। নদী প্রবাহিত হোক। অগুন্তি।



একদিন কালের নিয়মে ক্ষয় হবে। ওই নদী গুলোই তো কান্না। মেঘ গুলো জমে থাকা দলা পাকানো অভিমান, ক্ষোভ, নিজের উপর অত্যাচারের ফসল।


বন্যা সাময়িক সব কেরে নেয়, দাবানল সব ছারখার করে দেয়, খরা দূর্ভিক্ষ কে নিমন্ত্রন করে। কিন্তু নিজে জ্বলে একটা সুন্দর ভবিষ্যত আগামীকে দান করে যায়।


ক্ষমা না করতে পারলে প্রেমে সফল হবো কি করে!! অস্ফুটবাক...... জনান্তিক জানে। সে সব আলেয়ার ঘুনসি তে বাধা। আলোর রানার ছুয়ে চলেছে। সময় মামরি ফেলবে। নতুন সবুজেরা উল্লাস করবে। ক্ষত শুকিয়ে যাবে। আবার ফুল ফুটবে, রঙীন ফুল। রসালো ফল। আবার প্রান ছুটবে দুর্বার গতিতে।



মনের বয়য় বাড়ছে... এটা যখন বাড়ে দুম করেই বাড়ে। ভারে নুজ্ব হয়ে গেছি। ক্লান্ত......



আমি সফল। দাড়িপাল্লা নিখুঁত। কমবেশি হবার জো মোটেই ছিলো না। রত্নহার সজ্জিত, বর্ম পরিহিত। অস্ত্র ত্যাগ করেছি। হনহনিয়ে বনবন করে উড়ার সময় আগত, দ্বারপ্রান্তে.....



এটাই স্বার্থকতা।


উন্মাদ হার্মাদ

Thursday, 29 November 2012

উন্মাদ নামা ~ ০৬

জীবনটা এক অদ্ভুত অন্ধকারের সমাহার। সারাক্ষন সেই আলোর খোঁজেই ছুটে চলা। আশ্চর্য সব সম্পর্কের জটিল সমীকরণ। কে যে কাকে চাই, আর কিভাবে চাই বোঝা বড্ড মুসকিল। অন্যকে বোঝার চেষ্টা করবো কি, নিজেকেই নিজে চিনতে পারিনা মাঝে মাঝে, কে আমি?? কি আমার উদ্দেশ্য??


তাই অন্যকে জানার বৃথা চেষ্টাও করিনা। কিন্তু যখন দেখি যে একটাই ভয়, আর তার প্রতিক্রিয়া টাও একই। তখন অনুভুতি গুলো ও হরতাল ডেকে বসে। কেমন যেন স্থবির হয়ে যায়। কাঁদতে গিয়েও হেঁসে ফেলি।



আচ্ছা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পিছু হটতে হয়, সেটা যুদ্ধের ই অঙ্গ, পলায়ন টা অবশ্যই নয়। জীবন টা ও যুদ্ধ ই। বা তার থেকেও বেশি। সেখানে আত্মহত্যা করাটা ই সব থেকে গৌরবের কি!! তাতে যত দু:খ ই পাই না কেন!! বা উচ্চারন করা টা ও অন্যায়, খুব খুব অন্যায়।


আর পলায়ন কারি কে এক কথায় ঘৃনা করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা এটা সবটাই আমার আভ্যন্তরীণ। একটা ফুসফুস, সে বলছে আমি আর নিশ্বাস নেবো না, আরে হৃদয় তাহলে বাঁচে কি করে??


সব স্বার্থপর। আসলে কিছুতেই নিয়িন্ত্রন নেই। সব যে ভালোবাসার ক্লোরোফর্মে অবশ।



সেই একই কথার পূনরাবৃত্তি, নিজেকে রেকগনাইসড করা মুসকিল হয়ে যাচ্ছে।



একটু বাতাস পাওয়া যাবে??? ধার.......



একটু শ্বাস নিতাম..... গলা বুজে আসছে। অভিমানেরা অবরোধ করেছে। রক্তও চাক্কা জ্যামের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। পাকস্থলি VRS নেবে বলে বায়না ধরেছে। কিন্তু চোখ সেই শিবরাত্রির সলতের মত স্বপ্নের জাল বুনে চলেছে।



যার জন্য, এই বাতাসের খোঁজ.... একটা দমকা বাতাস। যা কিছু খারাপ সব উড়ে পালাবে।এক পলকে। পারলে সাথে আমাকেও। কোন অনির্দিষ্ট ঠিকানায়। তার শান্তির ক্রোড়ে।



সুদুরে.........


উন্মাদ হার্মাদ 

Thursday, 8 November 2012

উন্মাদ নামা ~ ৫

গত কয়েকদিন ধরেই মান ও সম্মান নিয়ে বেশ কয়েকটা লেখা পরেচে। আমাদের এক বিশেষ ঠেকে।


যদিও আমার ওটা সাবজেক্ট নাই বলে, তেমন উৎসাহিত হইনি।



আমার তো শালা, সম্মান ই নেই, যে অসম্মানিত হবো। আমার তো...


বাপ বললে মোদির ভাই (এক্ষেত্রে আপনি মনে মনে যা খুশি বসাতেই পারেন), আনন্দের আর সীমা নাই।


লোকে জন্মাবার পর ছ্যাবলা হয়, আমি মায়ের পেট থেকেই ত্যাদোঁড়।আমার লেখা বা মন্তব্যে কারোর খারাপ কিছু লাগলে এক টাই কাজ করবেন, খুবই সহজ আর রেডিমেড, ২ মিনিটস নুডলসের মতো:-



একটা গ্লাস নিন, একটু ঠান্ডা জল ঢালুন, হালকা ইসব গুলের ভুষি বা কায়মচূর্ন মিসিয়ে নিন। এবার মানসিক ভাবে নিজেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করুন। মনে রাখবেন বাঙালীর যুদ্ধ, আধাঘন্টার বেশী সময় লাগার কথা না।



মিনিট পনেরো পর কমোড ওয়ালা প্যানে গিয়ে টাইম নিয়ে বসুন, সঙ্গে করে পকেটে ২ টো মাড়ি বিস্কুট  আর এক বোতোল ফ্রিজের জল। অবশ্যই ইজের খুলে বসবেন। ব্যাটা ছেলে হলে, আগে বিড়ি টা শেষ করুন। মেয়েরা শ্বাশুরী বা ননদের নাম বারবার  নিলেই ও কাজ টা ত্বরান্বিত হবে।



এবার নেট অন করে ফেসবুক অন করুন। আর তার আগে উইকিপিডিয়া তে গিয়ে একবার নিজের খিস্তির স্টক টা ঝালিয়ে নিন। আর তার সাথে হিমেসের নিজের গাওয়া গান চালিয়ে দিন। উপায়ান্তরে হানি সিং ও চলবে।



কারন বলছি।



হিমেসের গান শুনলেই, মুখে অটোমেটিক বিকৃতি শুরু হয়ে যাবে, যেটা আপনাকে কোঁথ পারতে সাহায্য করবে। এবার নিম্নচাপের টুপটাপ বর্ষন শুরু হয়ে গেলেই, ওই বিকৃতি মুখের যাবতীয় এক্সপ্রেশন এক্সটেন্ডেড করুন। আমার লেখায় বা মন্তব্যের প্রত্তুত্তর গুলো যাবতীয় কাঁচা গালাগালি সহ পরিবেশন করুন সমস্ত রেভুলিউসন সহ।। কারন ততক্ষন আপনার উদরলঘুতার কারনে মনেও হালকা প্রাশান্তি ভাব বিরাজমান।



এবার বিস্কুট দুটো খেয়ে নিন, একটু ঠান্ডা জলো গলায় ঢালুন। আবার বেগ টা ফিরে পাবেন।



আবার এক প্রস্থ মন কে সুখ দিয়ে নিন, আমায় গাল দিয়ে, অন্য অনেকের প্রতি যত্তো  ও যাবতীয় ক্ষোভ, সব আমার উপর ঢেলে দিন। সাথে সাথে যত্তো রাগবেন, পেট টা ও রিলাক্স ফিল করবে।



এবার একটু হালকা ঘাম মুছে নিন। ছেলারা লুঙ্গি দিয়ে, মেয়েরা নাইটির অতিরিক্ত অংশ দিয়ে। যদিও আমার আবার ওই সুবিধা নেই। আমি বাথরুমে জন্মাবস্থার সময়কালেই বিশ্বাসী। জীবনে নাগা হবার যে সুপ্ত বাসনা টা ছিলো,  সেটা ওখানেই মেটায়।



সে যাই হোক। পেটের এবং মনের যাবতীয় স্খলন পরিপূর্ন করে, টয়লেট পেপার দিয়ে মুছে নিন, আপনার হলুদ পাখীদের। তার সাথে আমার নাম, ২১ বার অত্যন্ত ঘৃনামিশ্রিত স্বরে উচ্চারিত করুন। এবং কমোডে ফেলার আগে জয় অকপট জয় আপনজন বলে, অরিজিত সিং এর একটা রোমান্টিক গান চালিয়ে, হাত ধুয়ে(ডেটল সাবান দিয়ে) একটা সরি পোষ্ট করে দিন ফেসবুকে।



ব্যাস....
সাপ-লাঠি দুই ঈ অক্ষত।


(ক্যালাবেন না প্লিজ)

Saturday, 27 October 2012

উন্মাদ ণামা ~ ০৪

না পাওয়ার কষ্ট সহ্য করা যায়, কারন সান্তনা নামক শব্দ টি সেখানে উপস্থিত থাকে। 
মনকে ভুলিয়ে রাখা যায়।

আর পেয়ে হারানোর জ্বালা অসহ্য। সে যন্ত্রনা জাষ্ট নেওয়া যায় না।আর সেটা যখন আপনি বুঝতে পারছেন যে, এই সুখ প্রাপ্তি শুধু মাত্র ক্ষনিকের। তখন শরীর টা সম্পূর্ন কোমা তে চলে যায়।

সেটাই বড্ড কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে।


শান্তি চাই। মনেও সমাজেও।

Thursday, 4 October 2012

উন্মাদ নামা ~ ০৩

অসুস্থ ভারাক্রান্ত শরীরটাকে নিয়ে পরন্ত বৈকালের আলো অন্ধকারের আবছায়াতে, অনিচ্ছার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে, কোন ক্রমে হামাগুড়ির ন্যায় হিঁচরে পায়চারি করছি।


হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমার সুন্দর সুবাসিত বাগিচায় এ কি? ডানা ওয়ালা নির্বিষ থেকে বিষাক্ত সব কীট পতঙ্গের দল। চর্তুদিক থেকে তারা দলে দলে তারা বেড়িয়ে আসছে। হঠাৎ ঈ কেন না জানি, অতিরিক্ত মাত্রায় শঙ্কিত হয়ে পরলাম।


আচ্ছা শরীর সুস্থ থাকলে কি এই সকল তুচ্ছ বিষয় কি আমার গোচরে আসত?? তাহলে কি সাময়িক অসুস্থতা আমাদের সংকীর্ণ মনন কে প্রসারিত করে??


এই সকল ভাবনা ভাবতে ভাবতেই, ভাবলাম, এই পৃথিবী কি শুধুই আমার জন্য তৈরি? তা তো মোটেই নয়? তাহলে আমি শঙ্কিত কেন?



আমরা তো সাম্যের কথা বলি, তাহলে তো এই পৃথিবীরর সমস্ত রং রুপ গন্ধ, আলো বাতাসে কীটেরও সমান অধিকার, তাহলে কেন এই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য?



হতেই পারে কোন কোন কীটের উজ্জ্বল রং রুপের ছলনাময় অকর্ষনে আমি তাৎক্ষণিক মোতান্বিত হয়েছি, এবং ছুঁয়ে বিষাক্ত রসে জ্বল্বছি, তাতে ঈ ওই কীটের কি দোষ?? লালসার বশবর্তী আমি হয়েছিলাম। কীট শুধু তার লীলা প্রদর্শন করে ছিল মাত্র।



হৃদয়ের ব্যাকুলতা আরো কিছুটা প্রশম হল, যখন ভাবলাম, প্রকৃতিগত কারনেই এ এক বিচিত্র নিয়ম, কীট পতঙ্গের মস্তিষ্ক নেই, সুতরাং বুদ্ধিও নেই। তাদের নিজস্ব ভাবনা চিন্তাও কিছু নেই। জৈবিক দৈনন্দিন ক্রীড়াকলাপ ব্যাতিরেকে।



তাদের জীবনীশক্তি কালের নিরিখে অত্যন্ত সীমিত। তাই কালক্ষেপ না করে দ্রুত নিরাপত্তার আস্তিন, শয়নকক্ষের দিকে ধাবিত হইলাম। এই কীটেরা আমাদের বৃহত্তর পৃথিবীর আনাচেকানাচে ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বলেই আমাদের শয়নকক্ষ এতটা নিরাপদ! হয়ত শুম্ভনিশুম্ভের বিবাদ থাকতো না।হয়ত ভাল এতটা ভালো হত না।



প্রতক্ষ বিপদের হাত থেকে হয় তো বাঁচলাম, কিন্তু সত্যিই বাঁচলাম কি?? 😩 এমনিতেই সাহস কম আমাদের, কলহ প্রীয় নিন্দাচর্চায় পারদর্শী জাতি আমরা, কঙ্কালসার প্রায় অন্ত:সারশুন্যের দিকে ধাবমান।



বাতানুকূল যন্ত্রের শীতল বাতাস, একটা নতুন ভাবনা জন্ম দিল,



আচ্ছা আমাদের বর্তমান সমাজটা ও কি আমার পরন্ত বিকালের বাগিচার ন্যায় নয় কি??



Saturday, 22 September 2012

উন্মাদনামা ~ ২

প্রলাপ


আমি তোমাকে বৃষ্টির মত চাইনা, যে ভালবাসার স্পর্শে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে চলে যাবে।



চাই তোমাকে বাতাসের মত, যে সারাটিখন আমার পাশে থাকবে।


আমি তোমাকে জোছনার মত চাইনা, যে হটাৎ করে আসবে আবার হারিয়ে যাবে।



চাই তোমাকে তাঁরার মত, যে তুমি সারাটিরাত আমার বুকে ভালবাসার জলন্ত ফুল হয়ে চুপটি করে ঘুমিয়ে থাকবে।


আমি তোমাকে চাঁদের মত চাইনা যে সবসময় চুপটি করে থাকবে,



চাই তোমাকে সূর্যের মত, যে তুমি প্রভাত হলে মিষ্টি হেসে আমার ঘুম ভাঙাবে, 


আবার কখনো দুপুরের রাগি সূর্যের মত কারণে অকারণে রাগ করে লাল হয়ে যাবে, 

আবার কখনো বিকেলের ক্লান্ত সূর্যের মত আমার ভালবাসার আকাশকে রাঙিয়ে অস্ত যাবে।

আমি তোমাকে রংধনুর মত চাইনা, যে কিছুক্ষন আনন্দ দিয়ে মুছে যাবে।



চাই তোমাকে নীল আকাশের মত, যে তুমি আমার হাসি-কান্নায়, রাগে-অভিমানে, সর্বত্র বিরজমান থাকবে।



Thursday, 13 September 2012

উন্মাদ নামা ~ ১

একে ছাল ক্যেলানো গরম। সকাল থেকেই মনে হচ্ছে, যে মোমো প্যানের ভিতর গ্যোঁত হয়ে বসে আছি। আমার সিল মাছের ব্লাডারের গুঁতো, চর্বিতে চর্বিতে টের পাচ্ছি।


তার উপর সক্কাল সক্কাল ধামাধরা দলের কেষ্টু বিষ্টু দের আনাগোনা। শ্লাদের সারা বচ্ছরই তো মোচ্ছোব। আর আমার মত পাবলিকদের কাছে তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার, তবে চাওয়াটা জুতসই হলেও পাওয়াটা তাদের সন্তোষজনক হলো না।একটু অসম্মানেই বিদেয় হলো। তার মধ্যে একটা ছিনাল ও ছিলো। ইচ্ছা তো হচ্ছিলো ওটাকেই একটা কিছু দিই। কি উৎকট পোষাক রে বাওয়া। ওনার জীবনের পথে, যৌবনের টায়ারের দাগ টা ও মিলিয়ে যাবার পথে। অনন্ত একটা ডিও দেবার  ইচ্ছা শেষমেশ হয়েছিলো। যা বোটকা ঘামের গন্ধ।



আমারই বা কম কি!!! সাইটে একবার রাউন্ড দেবো কি, আধা পথে যেতেই পায়ের জুতো ভিজে সপসপ। অনেকেই লক্ষ্য করেছে ঠিকিই, সাহষ করে বলতে পারছে না.. 

ভাবছে প্যান্টে মুতেছি।


ওরে পাগলা, ওটা ঘামের গঙ্গা জমুনা। মাথার গোমুখ থেকে খরস্রোতা ঘামনদী,  বুক বেয়ে বাকি শরীর থেকে কালেকসন করতে করতে ধারা নিচের দিকে নেমেছে। যার জন্য অস্বস্তি ঠিকিই আছে, কিন্তু সে রকম কষ্ট নেই। তবে চাঁদি ফাটছে রোদ্রে। আর মাথার চুল ও শ্লা হালকা হয়ে গেলো, জাষ্ট ঘেমে ঘেমে।মাথার চুলের সুললিত বাগিচা লবনজলের প্রভাবে আজ ধু ধু মরুভুমি। এদিকে লিটার লিটার জল গিলছি। 

এক্কেবারে নরকগুলজার। একে তো গাড়িতে গাড়িতে জীবন জেরবার। তার ওপর ফোন!! কেন যে এটা আবিষ্কার হয়েছিল কে জানে, মুষ্ঠিযন্ত্র কম, মিথ্যা যন্ত্র বেশি... জ্বলে গেলো জীবনটা।

তার ওপর আমার চিরাচরিত অভ্যাস, দেশলাই আমার হারাবেই। শ্লা দরকারের সময় আর খুঁজে পাবো না। যে পকেটেই হাত দিই সিগারেট ১-২ প্যাকেট ঠিকিই বেড়োবেই। কিন্তু দেশলাই বা লাইটার!!!! কোন মতেই না। কোথায় যে ফেলি, না কি যে হয় কিছুই জানি না। ওদিকে নেশা মাথায় চড়ে নেত্ত করছে, অপিসে এলেই লোকে খিস্তি খাচ্ছে......


সারমর্ম:- দেশলাই না হারানোর কৌশল জানা আছে কারো??

please help me, এবার মনে হচ্ছে খ্যাপা ই হয়ে যাবো।