একে ছাল ক্যেলানো গরম। সকাল থেকেই মনে হচ্ছে, যে মোমো প্যানের ভিতর
গ্যোঁত হয়ে বসে আছি। আমার সিল মাছের ব্লাডারের গুঁতো, চর্বিতে চর্বিতে টের
পাচ্ছি।
তার উপর সক্কাল সক্কাল ধামাধরা দলের কেষ্টু বিষ্টু দের
আনাগোনা। শ্লাদের সারা বচ্ছরই তো মোচ্ছোব। আর আমার মত পাবলিকদের কাছে তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার, তবে চাওয়াটা জুতসই হলেও পাওয়াটা তাদের সন্তোষজনক হলো না।একটু অসম্মানেই
বিদেয় হলো। তার মধ্যে একটা ছিনাল ও ছিলো। ইচ্ছা তো হচ্ছিলো ওটাকেই একটা
কিছু দিই। কি উৎকট পোষাক রে বাওয়া। ওনার জীবনের পথে, যৌবনের টায়ারের দাগ টা ও মিলিয়ে যাবার
পথে। অনন্ত একটা ডিও দেবার ইচ্ছা শেষমেশ হয়েছিলো। যা বোটকা ঘামের গন্ধ।
আমারই বা কম কি!!! সাইটে একবার রাউন্ড দেবো কি, আধা পথে যেতেই পায়ের জুতো ভিজে সপসপ। অনেকেই লক্ষ্য করেছে ঠিকিই, সাহষ করে বলতে পারছে না..
ভাবছে প্যান্টে মুতেছি।
ওরে পাগলা, ওটা ঘামের গঙ্গা জমুনা। মাথার গোমুখ থেকে খরস্রোতা ঘামনদী, বুক বেয়ে বাকি শরীর থেকে কালেকসন করতে করতে ধারা নিচের
দিকে নেমেছে। যার জন্য অস্বস্তি ঠিকিই আছে, কিন্তু সে রকম কষ্ট নেই। তবে
চাঁদি ফাটছে রোদ্রে। আর মাথার চুল ও শ্লা হালকা হয়ে গেলো, জাষ্ট ঘেমে ঘেমে।মাথার চুলের সুললিত বাগিচা লবনজলের প্রভাবে আজ ধু ধু মরুভুমি। এদিকে লিটার লিটার জল গিলছি।
এক্কেবারে নরকগুলজার। একে তো গাড়িতে গাড়িতে জীবন
জেরবার। তার ওপর ফোন!! কেন যে এটা আবিষ্কার হয়েছিল কে জানে, মুষ্ঠিযন্ত্র
কম, মিথ্যা যন্ত্র বেশি... জ্বলে গেলো জীবনটা।
তার ওপর আমার
চিরাচরিত অভ্যাস, দেশলাই আমার হারাবেই। শ্লা দরকারের সময় আর খুঁজে পাবো না।
যে পকেটেই হাত দিই সিগারেট ১-২ প্যাকেট ঠিকিই বেড়োবেই। কিন্তু দেশলাই বা
লাইটার!!!! কোন মতেই না। কোথায় যে ফেলি, না কি যে হয় কিছুই জানি না। ওদিকে
নেশা মাথায় চড়ে নেত্ত করছে, অপিসে এলেই লোকে খিস্তি খাচ্ছে......
সারমর্ম:- দেশলাই না হারানোর কৌশল জানা আছে কারো??
please help me, এবার মনে হচ্ছে খ্যাপা ই হয়ে যাবো।
No comments:
Post a Comment