***********
নারী মন নাকি কেউ বুঝতে পারে না।
এমনকি দেবতারাও নয়। আর এই ধরনের একটি চালু কথাকে কাজে লাগিয়ে সবসময়,
সর্বকালে পত্র-পত্রিকাগুলো কিছু জনপ্রিয় তথা চটকদার আর্টিকেল ছাপিয়ে থাকে।
অনলাইনেও রয়েছে এ রকম ভুঁড়ি ভুঁড়ি নিদর্শন। সেখান থেকে বাছাই করে কয়েকটি
পয়েন্ট তুলে দিলাম।
উদ্দেশ্যঃ- আপনজনের অকপট মতামত জানা। আসল সুরুসুরি টা এক নিকট বন্ধুই ধরিয়ে দিয়েছেন, তার একটা স্যোসাল মিডিয়ার সুত্রাংশুতে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না নারীর মন জটিল। তালিকাটা দেখলে আপনারাও
স্বীকার করবেন। আসলে ওরা কত গুলি সরল প্রশ্নমালার সমষ্টি। কেমন?? তো দেখে
নিন বিভিন্ন প্রেম ভালবাসা সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীরা আসলে কি
চায়-.........
নারী ও পুরুষের প্রেম চিরন্তন সত্য। কেউ প্রেমে পড়ে
বিয়ের আগে। কেউ পরে। কেউ আবার দুইকালেই। তবে সে যাই হোক, প্রেমিকাদের
চাওয়াগুলো কেমন তার উপর একবার দৃষ্টিপাত করা যাক।
“আমার সঙ্গে কথা
বলো। আমি যখন বলব তখন আমার কথা শোনো। যেকোন ওছিলায়, আমার দিকে তাকাও। তোমার
সকল গোপন কথা আমার কাছে উজার করো। কেন এত গরম, তার কৈফিয়ত দাও। ঠাণ্ডায়
তোমার জ্যাকেটটা আমায় মুড়িয়ে দাও। আমার সঙ্গে সব সময় হেসে কথা বলো। আমাকে
কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাও। নিমন্ত্রন বাড়িতে আমায় সাথে করে নিয়ে চলো। কারনে
অকারনে আমার হাতটা ধরো। আমি কি কি পরেছি সেটা ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে দেখো, আর যে
কোন পরস্থিতে আমার গুনকীর্তন করো। সেগুলো দীর্ঘদিন মনে রাখো।
তোমার
বন্ধুদের কাছে অকাতরে আমার প্রশংসা করো। চুলের কোন পরিবর্তন দেখলে সেটা
বলো। কিংবা নেলপলিশ দিয়েছি কি দেইনি সেটা সতর্কভাবে নজরে রেখো। বারে বারে
বলো, তোমায় কিন্তু ব্যাপক লাগছে। আমার যাবতীয় ভালো লাগা ও মন্দ লাগাগুলো
বোঝার চেষ্টা করো। আমি কি পছন্দ করি সেটা জানো ও সেমতে চলার চেষ্টা করো আর
সেগুলো মনে রাখার জন্য , প্রয়োজনে বাকি পৃথিবী কে ভুলে যাও। আমাকে যদি কোন
গিফট দিতে চাও, তবে সেটা ছোট হোক কিংবা বড় কিছু। কম দামী কিংবা বেশি দামী।
সেটা যেন সব সময় আমার পছন্দের কিছু হয়।
সবসময় আমার কথা ভাবো। তাই বলে
কাজকর্ম বাদ দিয়ে নয়। আমায় খেয়াল রাখার পর বাকি অবশিষ্ট সময়ে, ইনকাম টার
ব্যাপার টা সকল সময় খেয়াল রাখো। আমি যখন বলব আমি তোমাকে বেশি ভালোবাসি তখন
সেটা সুরসুর করে মেনে নাও। সবসময় জেনে রাখবে যে, আমিই বেশি ভালোবাসি।
বিদায়ের সময় আলিঙ্গন করতে পারো, তবে ভদ্রতার সঙ্গে। বিয়ের আগে কিন্ত আমি
ওসব একদম পছন্দ করিনা, আর রাস্তাঘাটে যদি অন্য কোন মেয়ের দিকে নজর দিতে
দেখেছি, জাষ্ট চোখ গেলে নেবো। কোন বাবা এসে বাঁচাতে পারবে না”
ইত্যাদি
ইত্যাদি.....................................................................
স্ত্রীর চাওয়াগুলো অনেকটা প্রেমিকার চাওয়ার মতোই শুধু কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে।
যেমন,
“আমার সঙ্গে কথা বলো তবে কাজের সময় ঝামেলা করো না। আমি যখন বলব তখন আমার
কথা শোনো। ব্যস্ততা তো তোমার শুধু একার নয়। সৃষ্টি সংসার টা আমায় ই চালাতে
হয়। ঘরে এসে নাক মুখ গুজে নিজের কাজে ব্যস্ত থেকো না। জেনে রেখো, বাড়িতে
আমিও থাকি। আমাকেও দেখা অভ্যেস করো ।সারাদিন কোথায় ছিলে সেটা বলো তবে খুব
সংক্ষেপে। হেসে কথা বলতেই হবে তা নয়, তবে মুখ গোমড়া করে থেকো না। আমাকে তো
আর কোথাও নিয়ে যাবে না, কমপক্ষে আমার সাথে বাপের বড়ি টুকু তো সাথে চলো।
বছরে একদিন ও কি বাইরে কোথাও খেতে নিয়ে যেতে মন যাই না?? মাঝে মধ্যে তো
হাতটা ধরতেও পারো। শেষ কবে আমার দিকে তাকিয়েছো, মনে আছে!! রাস্তার চলায় সময়
তো কোনো মেয়ে তো তোমার নজর থেকে রেহায় পায় না বোধহয়, কিপটেমি শুধু আমার
বেলায়। এই আমায় কেমন লাগছে বলো না। আমার ভালো লাগা ও মন্দ লাগাগুলো তো আজ
পর্যন্ত বুঝলে না, বাচ্চারা বড় হচ্ছে, এবার অন্তত আমায় বোঝার চেষ্টা করো।
আমি কি পছন্দ করি সেটা জানো ও সেমতে চলার চেষ্টা করো। বিবাহ বার্ষিকী ছারাও
পৃথিবী তে , অন্য দিন গুলোতেও কিন্তু লোকে গিফট দেয়। আমার পছন্দের না ই বা
আনলে, আমার পছন্দ ভুলে যাও, নিজের পছন্দের তো কিছূ আনো।
সংসারের প্রতি
দায়িত্বশীল হও। মাঝে মাঝে তো দুয়েকটা ছবি তুলতে পারো। হঠাৎ একটা দুটো চুমু
দিলে কি এমন সুনামি-ভুমিকম্প হয়! সারা জীবন মায়ের ভ্যেরুয়া হয়েই থেকে যাও।
আমি যে সুন্দর সেটা সকলের সামনে যদি বলতে এতোই লজ্জা, তাহলে সেদিন সং সেজে
আমায় আনতে গেছিলে কেনো??? ভাবছো আমি চলে যাবো?? বিদায়ের কোন প্রশ্ন নেই।
তোমার হাড় খাবো, মাস খাবো, চামড়া নিয়ে ডুগডুগি বাজাবো। কারো সাথে যেন বেশী
গুজুর গুজর ফুসুর ফুসুর না দেখি। বিশেষ করে কোন ছুঁড়ির সাথে।
সব আমার ভাই এ
দের বলে দেবো, দেখবে মজা। তোমায় পিঁপড়ের মত চটকে দেবে। আচ্ছা আমি ক জাইগার
তোমার নমিনি আছি? ফেসবুকের পাসওয়ার্ড টা আমাকে বলো, দেখি কোথায় রাসলিলা
করছো। তবে নির্লজ্জের মত যখন তখন চান্স মারার কথা ভুলেও ভেবো না, আর
তাছারা কোন মানে হয় না। আজ আমার মাথাটা খুব ধরেছে। কি ব্যাপার আজ এতো খোশ
মেজাজ?? তেল মারছো যে বড়, আজ কিন্তু ওসব কিচ্ছু হবে না, বলে দিলাম। এই তো
সাড়া মাসে ৬-৭ টা দিন মাত্র , এ টুকু তর ও সয় না??
আমি বলে শুধু টিকে গেলাম
তোমার সাথে। সেই তো ভাবি কেন যে মরণ ওতো ভালোভালো সব সম্বন্ধ গুলোর মধ্যে
তোমাকেই বাছলাম, ভগবান আমায় যে কি পাপের সাজা দিচ্ছে। তুমিও বেঁচে গেলে,
অন্য কেও হলে জেলের ঘানি টাণাতো। যত কিপটেমি শুধু আমার বেলায়। দেখো আমার
বিয়ের আগের ছবি গুলো, কি ছিলাম আর তুমি আমায় কি বানিয়েছো আমার যত সব শিল্প
কলা সব তোমার পাল্লায় পরে জলাঞ্জলি গেছে। ”।
ইত্যাদি
ইত্যাদি..................
বন্ধু গন, তবে যাই হোক প্রেমে কিন্ত
পরো। যদিও, না বেড়াতে গিয়ে সুখ পাবে না রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে। মাঝে মাঝে
কিছু গিফট টিফট কেনাকাটা করো। প্রেম করলে পুরুষের মোটামুটি ভাবে এই
যন্ত্রনা গুলো মাষ্ট। আমরা পুরুষরা যতই গোপন রাখি না কেন, যাবতীয় গোপন
স্ত্রী বা প্রেমিকাদের বান্ধবীরা চট করে জেনে যায়, আসলে পুরুষরাও এমনই চাই।
একটু লক্ষ্য করে দেখুন নারী মোটেই জটিল কোন চরিত্র নয়। অন্তত পুরুষরা
যেভাবে বলে থাকে।
এছাড়াও আমাদের চারপাশে আরো নারী চরিত্র আছে। যেমন, মা,
বোন, ঠাকুমা, বৌদি, মাসি ইত্যাদি। যারা নারীদের জটিল বলে তারা আসলে নিজেরাই
জটিল। কিংবা বলতে পারেন এটা হলো জটিল পুরুষদের আবিষ্কার!
অন্তত আমার মত
উন্মাদ নয়।