২) মূলধনী ট্যাক্স বা ক্যাপিট্যাল গ্যেইন ট্যাক্স
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১৯৬১ সালের আয়কর আইন অনুযায়ী, স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ থেকে অর্জিত যে কোনো প্রকার আয় ‘মূলধনী থেকে আয়'
হিসাবে
বিবেচিত হয়। আর সেই আয়ের উপরে ধার্য হওয়া করকেই মূলধনী কর বলে। আরো সহজভাবে বললে, কোন মূলধনী সম্পত্তিথেকে তখনই আয় পাওয়া সম্ভব যখন সেটা
বিক্রি বা ট্রান্সফার বা লিজ দেওয়া হয়। আর তা থেকে প্রাপ্ত অর্থরাশির উপরেই কর
লাগু হয়।
ক্যাপিটাল
গেইন ট্যাক্স, স্বল্পমেয়াদী লাভ এবং দীর্ঘমেয়াদী
লাভ- এই দুই ধরনের ভাগে বিভক্ত। যেমন কোন কোম্পানীর শেয়ার , বা সরকারি বা বেসরকারি বন্ড ইত্যাদি।
অবশ্য
ব্যালেন্স সিট বা বাৎসরিক জমা খরচের খাতায় যদি উপরোক্ত লেনদেনকে মূলধনী সম্পদের
আওতাতে দেখানো হয় , কেবলমাত্র তখনি এই কর ব্যাবস্থা
লাগু হয়। অনেক সময় স্ক্রুটিনির সময় কর দপ্তরের অফিসারেরা হিসাবে অসঙ্গতি খুঁজে
পেলে, রোজগারকৃত অতিরিক্ত অর্থ কে
ক্যাপিট্যাল গ্যেইন হিসাবে দেখিয়ে দেয়।
৩)সম্পদকর বা ওয়েলথ ট্যাক্স
~~~~~~~~~~~~~~~
কোন ব্যাক্তির বা পরিবারের নিট সম্পদের পরিমান ছাড়িয়ে গেলে, সম্পদের তুল্যমুল্য ভ্যালুয়েসন করে তার উপরে ১% হারে কর
ধার্য হয়। এটাই সম্পদ কর। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল, বা
ট্রাষ্টি, কো-অপারেটিভ সোসাইটি ইত্যাদি
সংস্থারা যত খুশি সম্পত্তি নিজেদের নামে রাখতে পারে, এরা
সম্পদকরের আওতার বাইরে। যদিও এস্যাসেমেন্ট বছর 2016-2017 সাল থেকে কারোর ক্ষেত্রেই এই সম্পদকর আর প্রযোজ্য হবে না।
৪) সিকিউরিটিজ লেনদেন কর: -
অনেক মানুষ তাদের শেয়ার বা বন্ড কেনাবেচা সংক্রান্ত লেনদেন
আয়কর দপ্তরের কাছে ঘোষনা করেনা ট্যাক্স ফাঁকি দেবার জন্য। এই পরিস্থিতিতে সরকার
শুধু মাত্র এই মানুষগুলোর জন্য এক বিশেষ ধরনের করব্যাবস্থা চালু করেছে, যার নাম সিকিউরিটি ট্রানজাংসন ট্যাক্স (STT)। স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিটি লেনদেনের
উপরে লাগু হয় এই খুব নুন্যতম কর, যেমন শেয়ার কেনাবেচা, ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের ডিভিডেন্ট ইত্যাদি লেনদেনের উপরে
০.০১৭% থেকে ০.১২৫% পর্যন্ত সর্বোচ্চ হয়ে থাকে।
৫) কর্পোরেট ট্যাক্স
~~~~~~~~~~
প্রতিটি
নথিভুক্ত ব্যাবসায়িক সংস্থা সারা বছরের মুনাফার উপরে একটি নির্দিষ্ট কর দিতে বাধ্য
থাকে। এটাই কর্পোরেট ট্যাক্স। মোট রোজগার থেকে,
উৎপাদন
জাত খরচা, ডেপ্রিসিয়েসন, দৈনন্দিন অফিসিয়াল খরচা ইত্যাদি বাদে নিট আয়ের উপরে কর
ধার্য হয়। এই করের হার দেশীয় আর বিদেশী কোম্পানীগুলোর জন্য আলাদা আলাদা।
কোম্পানী- বাৎসরিক মুনাফা এক কোটির
নিচে- বাৎসরিক মুনাফা এক কোটির উপরে-
দেশীয়
কোম্পানী- ৩০% হারে + শিক্ষা সেস- ৩০% হারে + শিক্ষা সেস+ সারচার্য
বিদেশী
কোম্পানী- ৪০% হারে + শিক্ষা সেস - ৪০% হারে + শিক্ষা সেস + সারচার্য
ফ্রিঞ্চ বেনিফিট ট্যাক্স ট্যাক্স আর ডিভিডেন্ট
ডিস্ট্রিবিউসন ট্যাক্স নামের দুটি প্রতক্ষ কর রয়েছে, যেগুলি
এই কর্পোরেট ট্যাক্সের অধীনেই তথা সম্পর্ক যুক্ত।

তৃতীয় কিস্তি
~~~~~~~~~
পরোক্ষ কর বা ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স
----------------------
যে কর কোন ব্যাক্তি বা কোম্পানির আয়ের
সাথে প্রতক্ষ্য সংযোগ থাকেনা সেই ধরনের করই হল পরোক্ষ কর। যেমন বিভিন্ন ধরনের
দ্রব্য বা পরিষেবার উপরে লাগু হওয়া রাষ্ট্র নির্ধারিত রাশি, সেই দ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের উপরে বা পরিসেবার মানের
উপরে ধার্য হয়।
১) এক্সাইজ ডিউটি বা আবগারি কর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
দেশে উৎপাদিত পন্যের উপর লাগু হওয়া
একধরনের করকে আবগারি কর বা অন্তঃশুল্ক বলা হয়। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ এক্সাইজ আন্ড
কাস্টমস (CBEC) নামক সংস্থার অধীনে রাষ্ট্র এই কর আদায় করে থাকে।
এই করের অপর নাম CANVAT । ২০১৬ সালের বাজেট অনুযায়ী একমাত্র রুপোর গহনা
ছাড়া যেকোন ধরনের গহনা হিরে জহরতে ইনিপুট ট্যাক্স ক্রেডিট ছাড়া ১% আর ইনপুট
ট্যাক্স ক্রেডিট সহ ১২.৫০% কেন্দ্রকে দিতে হয়। একমাত্র মদ, স্পিরিট জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্যাদি, চেতনানাশক এলকোহোলিক দ্রব্যে লাগু এক্সাইজ ডিউটি
রাজ্য সরকার সংগ্রহ করে তাই একে ‘স্টেট এক্সাইজ ডিউটি’ বলা হয়ে থাকে। বাকি সকলই কেন্দ্রীয় এক্সাইজ
ডিউটির অধীনস্ত। যেমন- ১৬ই অক্টোবর ২০১৬ তারিখে ১ লিটার পেট্রোলের উপরে এক্সাইজ
ডিউটির পরিমাণ ছিল ২১ টাকা ৪৮ পয়সা।
২) আমদানি শুল্ক বা কাস্টমস ডিউটি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পন্যের উপরে লাগু
হওয়া করকে আমদানি শুল্ক বা কাস্টমস ডিউটি বলা হয়। যেমন- ১৬ই অক্টোবর ২০১৬ তারিখে ১
লিটার পেট্রোলের উপরে কাস্টমস ডিউটির পরিমাণ ছিল ০৩ টাকা ৯২ পয়সা।
৩) সার্ভিস ট্যাক্স বা পরিষেবা কর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
দেশের মধ্যে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কোন
ব্যাক্তি, অপর
কোন ব্যাক্তি বা সংস্থা দ্বারা পরিষেবা গ্রহন করলে সরকারকে একটা কর প্রদান করতে হয়
, যার
নাম সার্ভিস ট্যাক্স বা পরিষেবা কর। টেলিফোন, ট্যুর অপারেটর, আর্কিটেক্ট, গৃহসজ্জা, বিজ্ঞাপন, বিউটি পার্লার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাংকিং ও যেকোন আর্থিক সেবা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, রেস্টুরেন্ট, রক্ষণাবেক্ষণ সেবা, পরামর্শ সেবা ইত্যাদি এই পরিষেবা করের আওয়ার
অন্তর্ভুক্ত। এর সবচেয়ে চালু অঙ্কটি হল ১৪.৫০%, যেটা আমরা অনেকেই দিয়ে থাকি।
৪) বিক্রয় কর বা সেলস ট্যাক্স
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কয়েকটি বিশেষ পন্য ব্যাতিরেকে দেশের
যেকোন স্থানে কোন অস্থাবর পন্য তথা দ্রব্য বা পরিষেবা বিক্রয় করতে হলে সরকারকে
নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা কর দিয়ে তবেই সেটা ক্রেতাকে হস্তান্তর করতে পারেন। সেলস
ট্যাক্সের- রাজ্য ও কেন্দ্র বন্টন রয়েছে। কিছু কর আন্তঃরাজ্য বিক্রয়কর হিসাবে
রাজ্য সরকার গুলো ভিন্ন ভিন্ন হারে আদায় করে থাকে। রাজ্যগুলিতে একে VAT বলে উল্লেখিত বর্তমানে, আর কেন্দ্রেরটা CST নামে পরিচিত। এর জন্য প্রতিটি বিক্রেতাকে VAT বা CST রেজিস্ট্রেসন করিয়ে নির্দিষ্ট নাম্বার নিতে হয়
এবং সেই খাতে কর প্রদান করতে হয়। কারন এই কর অন্তিম বিক্রেতা দ্বারা পয়েন্ট অফ সেল
থেকে বিক্রেতার থেকে ডাইরেক্ট কালেক্ট করা হয় পন্য বা পরিসেবার মূল দরের সাথে
জুড়ে। এবং সেই অন্তিম বিক্রেতার দ্বারাই সরাসরি সরকারের কোষাগারে জমা হয়।
যেমন- ১৬ই অক্টোবর ২০১৬ তারিখে , রাজ্যগুলিকৃত ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ছিল, ১ লিটার পেট্রোলের উপরে সেলস ট্যাক্সের ২৭% এবং
ডিজেলের উপর ১৬.৭৫%। এর উপরে অতিরিক্ত ২৫ পয়সা পলিউসন সেস।
৫) মার্কেটিং কমিশন বা চুঙ্গী কর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আন্তঃজেলা পরিবহনের নিমিত্ত জেলা
মার্কেটিং কমিসনের তত্বাবধানে এবং রাজ্য কৃষিবিপনন মন্ত্রকের অধীনে সকল প্রকার
কৃষিজাত পন্য বিপননের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পন্যের উপরে ভিন্নভিন্ন শতাংসের হারে কর
প্রদান করতে হয়। একেই মার্কেটিং ট্যাক্স বলা হয়। বিভিন্ন জেলার সীমান্তবর্তী
এলাকার মূল রাস্তার পাশে বাঁশের চুঙ্গী টাঙ্গিয়ে এই ধরনের কর পণ্যবাহী ট্রাকগুলো
থেকে আদায় করা হয়, তাই একে চুঙ্গী করও বলা হয়।

বিবিধ কর
***********
১)
প্রফেশনাল ট্যাক্স বা পেশাগত কর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
উপার্যনক্ষম
প্রতিটি স্বতন্ত্র ব্যাক্তিকে একটি নির্দিষ্ট হারে কর প্রদান করতে হয় রাজ্য
সরকারকে। যেমন, উকিল, ডাক্তার, চাটার্ড
একাউন্টটেন্ট, কোম্পানির চাকুরে ইত্যাদি
ব্যাক্তিরা এই করের আওতায় পরেন। অনেক রাজ্যে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেসন দ্বারাও এই কর
সংগ্রীহিত হয়ে থাকে, তবে এর হার রাজ্য ভেদে আলাদা
আলাদা হয়।
২)
উপহার কর
~~~~~~~~~
একজন
জীবিত ব্যাক্তি অপর কোন জীবীত ব্যাক্তি বা করের আওয়ায় থাকা প্রতিষ্ঠানকে কোন
সম্পত্তি বা অর্থ দান করলে গ্রহীতা ব্যাক্তির উপরেও কর লাগু হয়, যদিনা সেই অর্থের উপরে আয়কর বা সম্পত্তির উপরে
সম্পত্তিকর প্রদান করা হয়ে থাকে। ১৯৫৮ সাল থেকেই এই কর ব্যাবস্থা সারা দেশে বলবৎ
রয়েছে , জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ছাড়া।
৩)
স্বচ্ছভারত ট্যাক্স
~~~~~~~~~~~~
কেন্দ্রীয়
সরকারের স্বচ্ছ ভারত মিশনকে সফল করতে ও তার জন্য তহবিল গঠন করতে ১৫ই নভেম্বর ২০১৫
থেকে যেকোন প্রকার করযোগ্য পরিমানের উপর ০.৫% হারে এই স্বচ্ছভারত ট্যাক্স আদায় করে
ভারত সরকার। শৌচালয়, ওয়েষ্টবিন, থেকে শুরু করে পাবলিক প্লেস পরিচ্ছন রাখা কর্মীবন্ধুদের
বেতন সহ আধুনা অমিতাভ বচ্চনের বিজ্ঞাপনের খরচও এই তহবিল থেকে খরচ করা হয়ে থাকে।
৪)
কৃষি কল্যান কর
~~~~~~~~~~~~
নাম
দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দেশের কৃষিক্ষেত্রে গবেষনা ও
বিবিধ ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য তহবিলের স্বার্থে, পয়লা
জুন ২০১৬ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার সকল করযোগ্য পরিমানের উপর ০.৫% হারে অতিরিক্ত
কর আদায় করে থাকে।
৫)
প্রমোদকর বা এন্টারটেনমেন্ট ট্যাক্স
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যেকোন
প্রকার সিনেমার মুক্তিতে কেন্দ্রসরকার এই কর আরোপ করে থাকে। তাছারা সিনেমার টিকিট, বেসরকারি উৎসব, মেলে-খেলা, জলসা, বানিজ্যিক বিনোদন, প্রমোদভ্রমন ইত্যাদির উপর থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এই
কর আদায় করে থাকে।
৬)
স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশন ফি, মিউটেশন কনভার্সন ফি, ও
ট্র্যান্সফার ফি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ভারত
রাষ্ট্রের আইন মোতাবেক, যেকোন সম্পত্তির আইনানুগ দলিল
বানানোর উপরে আরোপিত ট্যাক্সকেই স্ট্যাম্প ডিউটি হলা হয়। এরপর এই দলিলটিকে ১২০
দিনের মধ্যে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে আইনানুগ নথিবদ্ধ করতে দলিল বানানোর
যে কর দিতে হয় , তাকেই রেজিস্ট্রেশন ফি হলা হয়।
জমি, বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি প্রতি ক্ষেত্রেই এই রেজিস্ট্রেশন ফি
আবশ্যক। পরবর্তীতে উক্ত দলিলটির রেজিস্ট্রেশন হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তন হলে
সেক্ষেত্রে সরকারকে ট্র্যান্সফার ফি প্রদান করেই নতুন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাওয়া
সম্ভব। জমির ক্ষেত্রে তার মান (কৃষি থেকে বাস্তু বা ইন্ড্রাট্রিয়াল) বা নাম
(পরচাতে) পরিবর্তনের জন্য ভুস্বামীকে যে কর দিতে হয় তাদের যথাক্রমে মিউটেশন ও
কনভার্সন ফি বলা।
৭)
প্রবেশ কর
~~~~~~~~
আন্তঃরাজ্য
পরিবহনের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ একরাজ্যের পন্য অন্য
রাজ্যে প্রবেশ করার জন্য, কয়েকটি বিশেষ পন্য ব্যাতিরেকে সকল
প্রকার পন্যের জন্য, একটি নির্দিষ্ট হারে গন্তব্য
রাজ্য সরকারকে কর প্রদান করতে হয়। ভারতের অনেক শহরেও প্রবেশ করতে হলে, সেই শহরের নাগরিক ছাড়া অন্য নাগরিকদের ট্যাক্স দিতে হয়
সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে, এটাও এক ধরনের প্রবেশ কর।
৮)
শিক্ষা কর
~~~~~~~~~
ভারতবর্ষের
বিভিন্ন অবৈতনিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়
গুলির পরিকাঠামো, শিক্ষা সরঞ্জাম ইত্যাদির
উন্নতিকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার কতৃক এই কর সাধারনত আয়করের সাথেই আদায় করা হয়ে থাকে।
৯)
পুরকর
~~~~~~~
দেশের
প্রতিটি পুরসভাতে বসবাসকারি প্রতিটি নাগরিক সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে পুর পরিসেবার জন্য
পুরকর দিতে বাধ্য।
১০)
রোড ট্যাক্স, পলিউসন ট্যাক্স, টোল ট্যাক্স
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ইঞ্জিনচালিত
সকল প্রকার যানবাহনকে রাজ্যের অধীনে চলার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে কর প্রদান
করতে হয়, একে রোড ট্যাক্স কবে। দুষন
পরিষদের ছারপত্রের জন্য প্রদেয় করকে পলিউসন ট্যাক্স বলে। কিছু কিছু রাস্তায় চলাচলের
জন্য ইঞ্জিনচালিত গাড়িকে নির্দিষ্ট দুরত্বের ভিত্তিতে প্রদেয় করকে টোল ট্যাক্স
বলে।
১১)
পরিকাঠামো বা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ট্যাক্স
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
দেশে
উৎপাদিত সকল প্রকার জ্বালানি চালিত যানবাহনের উপর এই কর আদায় করে থাকে। পেট্রোল, CNG বা LPG
চালিত
গাড়ির ক্ষেত্রে ১% হারে, ছোট ডিজেল গাড়ির ক্ষেত্রে ২.৫%
হারে, SUV বা তদুর্ধ গাড়ির ক্ষেত্রে ৪ %
হারে কর নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত চলতি আর্থিক বছরে যার লক্ষ্যমাত্রা ৩০০০ কোটি টাকা।
১২)
ভুমি রাজস্ব কর
~~~~~~~~~~~~
জমি, পুকুর, বাগান, বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান, কারখানা, সহ সকল প্রকার ভুমি সম্পর্কিত সম্পত্তির উপরে আরোপিত
করকে ভুমি রাজস্ব কর বলা হয়। রাজ্য সরকারের অধীনে ভূমি ও রাজস্ব দপ্তর এই কর আদায়
করে থাকে।
বর্তমানে
পরোক্ষ সকল করগুলিকে একত্রিভুত করে কেন্দ্রীয় সরকার ‘পন্য ও পরিষেবা কর’ নামক
একটি কর সারা দেশ ব্যাপী লাগু করতে সংসদে বিল এনেছে। যদিও এই বিলটি পূর্বতন
কেন্দ্রীয় সরকারই প্রবর্তন করতে চেয়েছিল, রাজনৈতিক
জটিলটার কারনে যেটি এখনও ঝুলে রয়েছে। এই বিলটি পাস হয়ে গেলে কর ব্যাবস্থাতে
অনেকটাই পরিবর্তন হবে, বিশেষ করে পরোক্ষ কর ব্যাবস্থাতে।
বর্তমানে সবটাই প্রস্তাবিত ও আলোচোনার টেবিলে রয়ছে। সেটার বাস্তবায়ন হলে আরেকটা
আলোচনা সকলের জন্যা তোলা রইল।
সমাপ্ত
উন্মাদ হার্মাদ
(উন্মাদীয়
বানানবিধি অনুসৃত)
বিভিন্ন সরকারি পোর্টাল ঠেকে তথ্য সংগৃহীত