Saturday, 17 December 2016

।। উন্মাদনামা ~ ২৬ ।।

চুরান্ত শৈতপ্রকোপে জনজীবন শ্লথগতিপ্রাপ্ত হইয়াছে। এতিক্ষনে অংশুমালী তাহার অনলতাপপ্রবাহ বিচ্ছুরনাকার্যাদি সম্পাদনে, রূধিত কুহেলিকা দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হইতেছে। ইহারই সহিত জুটিয়াছে উত্তরী পবনঝঞ্ঝা, তদহেতু প্রাতঃকাল স্বনিয়মে হইলেও, বঙ্গজীবনে গড় প্রত্যুষকাল সাড়ে আটঘটিকায় অবতরন করিয়াছে। নিশীথকালিন পরিস্থিতিও সূচনা ভানুরশ্মির ম্রিয়মাণ উপস্থিতিতেই সংঘঠিত হইতেছে মহাসারম্বরে। অনুষ্ণজাড় তাহার জয়ধ্বজ্জার ডঙ্কা তারস্বরে বাজাইতেছে নিরবিচ্ছিন্ন অনুচ্চার্য প্রশান্তির অভ্যন্তরে। অতিদ্রুতার সহিত বালাপোষন্নিধান প্রণালিতে স্ববোধানকে চালান করিলে, তবেই হিমপিড়নাশক্তি হইতে তাৎক্ষনিক মুক্তি, তদভিন্ন উপায়ান্তর নাই।পয়ঃ সংক্রান্ত বিবিধ খর্জুরাচারে ব্যবহৃত নীরপরিমান যথাকিঞ্চিৎসম্ভব হ্রস্বত্বর করিবার মধ্যেই উদ্যোগপতিসম মহিমান্তিত বোধজাগ্রত হওয়াই স্বাভাবিক।

এমতাবস্থাতে বাষ্পাকুললোচনে গাঢ় আলিঙ্গন বড়ই সুখানুভরদায়ী এক প্রকারের নর্মতৃপ্তি। তথাপিও রসিককুলধিপতি গলাবন্ধ দস্তানা ও উষ্ণতাভূষনদ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়া হৃদয়ে সেই রেশ পৌছাইয়া দিতেছে।

এক্ষনে একটি নিরীহ প্রশ্নঃ "কামত্তেজনা সৃষ্টিকারি আদিরসাত্বক চলচ্চিত্রের খন্ডিতাংশ" গুলি নিবিষ্টচিত্তে অবলোকন করিয়া রমনসুখের পাশাপাশি আমত্তনিষ্কাশন সম্ভব?
বিদ্বজ্জনের টিকাসম্বলিত ভাষ্যের প্রত্যাশায় রহিলাম।

বিনীত-
উন্মাদ হার্মাদ

No comments:

Post a Comment