Saturday, 15 November 2014

চন্দ্রাহতের মন্ত্রনা

বুদ্ধিজীবি চেনার ঘরোয়া উপায়



আপনি নিশ্চই একজন আম পাবলিক। সকালে বাচ্চার জন্য দুধ আনা থেকে, অফিস ফিরতির সময় সস্তায় সব্জি খরিদের ধান্দায় থাকা মা-মাটি-মানুষ। সর্দির পোঁটা প্যান্টেই পোঁছেন। শ্বশুর বাড়িতে শালীর কাছে মর্যাদা নেই, মিষ্টির প্যাকেট ছারা উৎকোচে কিচ্ছু পান নি। সিগারেটের প্যাকেটে একআধটা সিগারেট ছারা বাকিটা বিড়ি দিয়ে ঠাসা থাকে। রঙ্গীন জাঙ্গিয়া পরেন। আর আজও বউকে লুকিয়ে নীল ছবি দেখেন।

তাহলে আমারই স্বগোত্রীয়। কিলিয়ে পাকানো ইঁচড় সদৃশ আম। তাহলে আপনার দুরদৃষ্টি নেই, বিশ্বাস না হলে মনে করুন, কতবারই তো মনিকা বৌদির দিকে এক্স-রে দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন, অবিন্যস্ত শ্রীফলের বিভাজিকা ছারা আর কি ই বা দেখেছেন। তাহলে বুদ্ধিজীবি কভাবে চিনবেন!! না হতাশ হবেন না। সামান্য কিছু টোটকা, দেখুন এপ্লাই করতে পারেনন কি না......

প্রথমে গ্যাদারিং থেকে, হনু ও জ্ঞানী টাইপের ব্যাক্তি গুলোকে শর্টলিষ্ট করুন। বেশি না জনা দশেক।তার জন্য সেধো পিরিত জমানোর চেষ্টা করুন। তবে সাবধানে, ওই দলে সত্যিকারের বুদ্ধিজীবি থেকে থাকলে, আপনি নিজেকে ঋতুবতী হিসাবে আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন। সে যাই হোক....

এর পর তাদের আপনার বাড়িতে নিমন্ত্রন করুন। এবং চা জলখাবারের সাথে বিগবসের রাধে মা ও বুর্জ খলিফার প্রসঙ্গ উত্থাপন করুন। সরি ওটা মিয়া খলিফা, যদিও বুর্জ বলা চলে, তবে ওটা উনি লেহন ও ধারন করেন। এতে হনু ও জ্ঞানীরা চরম খুশি হবেন। কারন ওনারা ফ্রি খাবার ও মৌন যৌনতা চরম এনজয় করেন। আপনি সমাজসেবী হিসাবে আখ্যায়িত হবেন।

এবার আপনার পালা। একে একে ওই জ্ঞানীহনু ব্যাক্তিদের কাছে যান, এক বা একাধিক কম্পাউন্ডার এর সহযোগিতায় উনাদের দুই পায়ের সঙ্গম স্থলে সম্মুখ প্রান্তে, সজোরে আঘাত করুন। অবশ্যই সকল ইন্দ্রিয় দু কাঠি এক্সট্রা সজাগ রেখে। এবার নিরিক্ষনের পালা, নোট করুন।

যিনি আঘাত খেয়ে, উররে স্লা... বোক্কা*দা, হাদা হাদা.... ওটা হাদা হবে। বলে আপনাকে মাঘের বর্ষার মত খিস্তিবানে বিশ্রি ভাবে জবজবে করে ভিজিয়ে দেবেন,.....

নাহ উনি আমসত্ব পাবলিক। মানে অনেক আম মানুষের অভিজ্ঞতাতে পুষ্ট। বুদ্ধিজীবি নন। অনেকটা উকিল আর মোক্তারের ফারাকের মত। কারন ওনার অন্ডকোষ আছে।আর ওখানে লাগলে ব্যাথা লাগে, ওনার ও লেগেছে। উনি কখনই বুদ্ধিজীবি নন।

এবার যদি কেও ওই আঘাত খেয়ে মুখটা ফ্রিজেরাখা ন্যাতানো পিৎজার মত করে জ্যোতি বসু টাইপের হাঁসি দিয়ে বলবেন...


" কৃপয়া প্রতিক্সা কি জিয়ে, আপ পঙতিমে হ্যায়" এর পর ৩০-৪০ সেকেন্ড পর, পুরো ঘর টা মনমোহক খুশবুতে ভরে উঠবে, খানিক পর আপনি ওই আঘাত ক্ষেত্রের অকুস্থল থেকে একটা তাজা ওমলেট আবিষ্কার করবেন।

এখনো ধরতে পারলেন না তো!!! হে হে হে... উনিই বুদ্ধিজীবি। ওনাদের আন্ডাকোষ থাকে। ঐশ্বরিক দান।বিজ্ঞানের নিয়মে আঘাতের ফলে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছিল। আর উত্তাপে আন্ডা ভাজা হয়ে গেছে। যদিও হিংসুটেরা বলবেন ওটা বয়েল আন্ডা হলো না কেন! ইত্যাদি ইত্যাদি। কান দেবেন না। যাক আপনি এবার বীর দর্পে এগিয়ে বাংলার অন্যতম প্রতীক হিসাবে গনিত হবেন।

এখন ভাগ্য সুপ্রশন্ন থাকলে তবেই এই দৃশ্য অবলোকন করতে সমর্থ হবেন। নতুবা খিস্তিই খাবেন।

বিধিসম্মত সতর্কীকরণ: বাচ্চা বা বিরোধীদলের লোকেরা এটার প্রচেষ্টা করবেন না। বঙ্গশ্রী তো মিলবেই না উপরন্তু কুণালধাম অনিবার্য। আর শাষক দলের হলে, নিদেনপক্ষে ইশকুল পরিচালন কমিটির সেক্রেটারি পদ বাঁধা। সাজা হলেও বড়জোর মদনধাম। আর যারা গবেষনামূলক ভাবে এটা করবেন, তাঁরা যেন অবশ্যই প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের হন।

###উন্মাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। গুজবে কান দেবেন না। কারন এটা শাষকদলের এথিক্সের মতন, বাস্তবে যাহার উপস্থিতি নেই। শুধুই অভিজ্ঞানমূলক, ফলিতবিদ্যায় প্রমানিত নয়।

১৫-১১-২০১৪

No comments:

Post a Comment