অকপট মানে সীমাকে টপকানো, শালিনতাকে নয়। স্বাধীনতার মুক্ত প্রাঙ্গনে নিজে ও পারিপার্শ্বিক বাকি সকলকে উন্মুক্ত করা, সেচ্ছাচার নয়। কুক্ষিগত ক্ষমতার যোগ্যতা অনুযায়ি বিন্যাস, গাজোয়ারি নয়।
দায় বোধ সকলের থাকেনা, দায়িত্ববান লোকেরও দায় বোধ অনেক সময় লোপ পায়। বিশেষ করে মোহগ্রস্থ মানুষ তার বাহ্যিক হিতাহিতের জ্ঞান ভুলে বসে। আসলে সুস্থ মানুষ তো তিনিই, যার মান এবং হুঁশের বোধটা কোথাও শেষ হতে হতে গিয়ে, অন্তত তলানিটুকু আছে। আর সেটুকু না থাকলে তিনি অবশ্যই মানসিক বিকারগ্রস্থ, সুচিকিৎসা প্রয়োজন।
আমরা তো দায়িত্ববান, এবং সামাজিক জন্তু। অন্তত অনেকের তুলনায় কিছুটা বেশি, তাই আমাদেরই ওই অসুস্থ মানুষগুলোর পাশে থাকতে হবে। কামরাবে আঁচড়াবে, সহ্যের সীমা না অতিক্রম করা পর্যন্ত, থাকতেই হবে। ভাবলে দেখা যাবে, আমরা ছাড়া তার সত্যিকারের কোন সুহৃদ এই মুহুর্তে নেই। যারা আছে তারা মৌ-লোভী মকরন্দ, বা উমেদার- তোষামোদকারী। সেটা তিনি না জানুক আমরাবা আমি তো জানি। তাই নীলকন্ঠ হই বা আকন্ঠ... সমাজের চোখে ভিলেন, নিকটাত্বীয় গনের নিকটে কাপুরুষ। হোক না। এনারা কখনই আমায় মহাপুরুষ কি বানিয়েছিল? তাহলে কাপুরুষ বললে কষ্ট পাবো কেন!
প্রত্যেকের বিচার ক্ষমতা সীমিত, এবং সবাই নিজের স্থান থেকে বিচার করে। তারা কখনও যদি বলিপ্রাপ্ত প্রতারিতের স্থান থেকে দেখত, তাহলে বুঝতো, ঠিক কতটা হিম্মত লাগে নীলকন্ঠ হতে।
অকপট হতে পারা সহজ, কিন্তু সেটা টিকিয়ে রাখার ধারাবাহিকতা অত্যন্ত অত্যন্ত কঠিন।