Saturday, 10 September 2016

উন্মাদনামা ~ ২২

অকপট মানে সীমাকে টপকানো, শালিনতাকে নয়। স্বাধীনতার মুক্ত প্রাঙ্গনে নিজে ও পারিপার্শ্বিক বাকি সকলকে উন্মুক্ত করা, সেচ্ছাচার নয়। কুক্ষিগত ক্ষমতার যোগ্যতা অনুযায়ি বিন্যাস, গাজোয়ারি নয়। 
দায় বোধ সকলের থাকেনা, দায়িত্ববান লোকেরও দায় বোধ অনেক সময় লোপ পায়। বিশেষ করে মোহগ্রস্থ মানুষ তার বাহ্যিক হিতাহিতের জ্ঞান ভুলে বসে। আসলে সুস্থ মানুষ তো তিনিই, যার মান এবং হুঁশের বোধটা কোথাও শেষ হতে হতে গিয়ে, অন্তত তলানিটুকু আছে। আর সেটুকু না থাকলে তিনি অবশ্যই মানসিক বিকারগ্রস্থ, সুচিকিৎসা প্রয়োজন।
আমরা তো দায়িত্ববান, এবং সামাজিক জন্তু। অন্তত অনেকের তুলনায় কিছুটা বেশি, তাই আমাদেরই ওই অসুস্থ মানুষগুলোর পাশে থাকতে হবে। কামরাবে আঁচড়াবে, সহ্যের সীমা না অতিক্রম করা পর্যন্ত, থাকতেই হবে। ভাবলে দেখা যাবে, আমরা ছাড়া তার সত্যিকারের কোন সুহৃদ এই মুহুর্তে নেই। যারা আছে তারা মৌ-লোভী মকরন্দ, বা উমেদার- তোষামোদকারী। সেটা তিনি না জানুক আমরাবা আমি তো জানি। তাই নীলকন্ঠ হই বা আকন্ঠ... সমাজের চোখে ভিলেন, নিকটাত্বীয় গনের নিকটে কাপুরুষ। হোক না। এনারা কখনই আমায় মহাপুরুষ কি বানিয়েছিল? তাহলে কাপুরুষ বললে কষ্ট পাবো কেন!
প্রত্যেকের বিচার ক্ষমতা সীমিত, এবং সবাই নিজের স্থান থেকে বিচার করে। তারা কখনও যদি বলিপ্রাপ্ত প্রতারিতের স্থান থেকে দেখত, তাহলে বুঝতো, ঠিক কতটা হিম্মত লাগে নীলকন্ঠ হতে।
অকপট হতে পারা সহজ, কিন্তু সেটা টিকিয়ে রাখার ধারাবাহিকতা অত্যন্ত অত্যন্ত কঠিন।

Friday, 9 September 2016

উন্মাদনামা - ২১

কবিগুরুর মহান উক্তি, 

পৃথিবীতে ভয়কে যদি কেহ সম্পূর্ণ অতিক্রম করিতে পারে, বিপদকে তুচ্ছ করিতে পারে তবে তাহা প্রেম।



- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

ভয়কে জয় করা যায়, কিন্তু দায় আর দায়িত্ব কে বিসর্জন দিয়ে প্রেমকে প্রতিষ্ঠা করা কি বড় বিশ্বাসঘাতকতা নয়? তাই গুরুদেবের পায়ে প্রণতি রেখেই বলছি, সবটা বোধহয় ঠিক নয়, দায়িত্ব অনেক সময় মানুষকে বিপন্ন করে তোলে , একদিকে তার নিজস্ব চাওয়া পাওয়ার অনুভূতি আকাঙ্ক্ষা দিয়ে সাজানো পৃথিবী, যার নাম প্রেম, অন্যদিকে কতগুলো নিরপরাধ নিঃসহায় মুখ......... 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রেমকে যুপকাষ্ঠে তুলে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এক্ষেত্রে ত্যাগটা বোধহয় সবচেয়ে কঠিন, আর পবিত্র ত্যাগ। ভালবাসা হয়ত লৌকিক পূর্নতা পেলনা ঠিকিই, কিন্তু তাবলে প্রেম কি মিথ্যা হয়ে যায়??

উন্মাদনামা ~ ২০

আমার পদবি পুরাণ
******************* 

এই পদবীর ইতিহাস কিন্তু ইতিহাস ঘেঁটে পাওয়া দুষ্কর।

চোদ্দশো থেকে ষোলশো শতকের মাঝা মাঝি ব্রিটিস রয়াল নেভির বিকল্প হিসাবে স্পেনের রাজা, স্প্যানিশ আর্মাডা নামে সমুদ্র সেনাবাহিনী পত্তন করেন, অথবা পূর্বেই পত্তনকৃত বাহিনীর নামকরন করেন ওই নামে। এবং এই সেনার শক্তি বৃদ্ধি ঘটান। 

তাতে করে পর্তুগীজ জলসীমান্তের জলদস্যুদের দস্যুবৃত্তিতে খুবই অসুবিধা হতে লাগত। আগে তারা, জলপথে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ভাবে চুরি ডাকাতি করত। স্প্যানিশ আর্মাডার দাপট, ওই পর্তুগীজ ও স্প্যানীয় জলদস্যুদের অনেক ছোট ছোট দলগুলোকে এক যোগ হতে বাধ্য করল। 

তারাও নিজেরা বাহিনি গড়ল। স্প্যানিশ আর্মাডা আর রয়াল নেভির সাথে লড়ার জন্য।


স্প্যানিশ বাহিনির নামের সাথে সাযুস্য রেখে আতালান্তিক মহাসাগর আর প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে জন্ম নিল এক কুখ্যাত বাহিনি, যারা নিজেদের হার্মাদ বলে পরিচয় দিত। পরবর্তী কালে জলদস্যু বা পাইরেটস আর হার্মাদ প্রায় সমার্থক হয়ে যায়। সকল জলদস্যুদেরই হার্মাদ বলা হত।


বিখ্যাত সিনেমা সিরিজ "দ্যা পাইরেটস অফ ক্যারাবিয়ান" এ অনেক সময় হার্মাদ শব্দটি শোনা গেছে।

এবার আমি।

আমি সেই কুখ্যাত বংশের স্থলজ বা মতান্তরে ভার্চুয়াল এসেন্স। অনলি ফ্লেভার। কনেন্ট টোটাল প্রিজারভেটিভ।

মন চুরি ছারা দ্বিতীয় কোন অপরাধ মূলক অভিযোগ নেই। জল নিয়ে রীতিমত জলাতঙ্ক, কারন মূল নাম। উন্মাদ। 

অনেকেই ভাবতেই পারেন, এ নাম তাঁর অনুপ্রেরণা কৃত নাম। যার অনুপ্রেরনা বিনে এ রাজ্যে কিচ্ছুটি হবার জো নেই কিন্তু সেটা সবটা সঠিক নয়।

এই হল আমার পদবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

Sunday, 4 September 2016

উন্মাদীয় বিজ্ঞাপন


ছবিঃ ইন্টারনেট 

ফুলশয্যার খাট সাজাতেও কাওকে দরকার? যদি সময়মত সুযোগ হয় তো এই কন্ট্রাক্টটা পুরাতন প্রেমিককে দেওয়াটাই নতুনত্বকে প্রাধান্য দেওয়া কারন এটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। 

অবশ্যই নিচের লাইনগুলো পড়ে শরীরের রোম খাঁড়া হয়ে যেতেই পারে, তাহলে ওই অসভ্য রোম গুলোকে ভিট দিয়ে ক্লিন করে সুদ্ধ হয়ে পড়ুন। তৃপ্তি পাবেন।

একা সুন্দরী ললনা ঘরে, বাড়িতে কেও কোত্থাও নেই। নিষিদ্ধ নিষুতির হাতছানি। সেই উগ্র ঘামের গন্ধ, চুলের গুমোট, অসফুট ওষ্ঠ, থরথর দেহপট, লজ্জায় শক্ত করে কষে বন্ধ করে রাখা চোখ, পায়ের শিরা টানটান, আঙুল গুলো পা থেকে খুলে পড়তে চাইছে, চিবুকের নিচে বিন্দু বিন্দু ঘাম, শরীরে বিদ্যুৎ বয়ে যাচ্ছে মুহুর্মুহু, বুকের ধুকপুকানি শতগুন, আর এক শরীর রাক্ষুসে খিদে।

হ্যাঁ এটাই তো আমরা ভেবে থাকি। হবেও বা।

জিভ হাহাকার করছে, প্রানপনে লেহন চলেছে প্রেমিকের ওষ্ঠদ্বয়, উপর উষ্ঠ- নিন্মাষ্ঠ- বা শুধুমাত্র লালামিশ্রিত জিহ্বা লেহন। ললাটে বিন্দু বিন্দু কামনার ঘাম, ধেবরে যাওয়া চোখের কাজল, লিপস্টিক কবেই তো সঙ্গীর উদরস্থ, ক্রমাগত লেহনে বাকি সমস্ত প্রসাধন ও সেই পথাভিমুখে ,শুধু অষ্ফুট কিছু গোঁঙানির আওয়াজ। তীব্র যন্ত্রনার এক অপার্থিব পরিতৃপ্তি। শরীরের প্রতিটি রোমকে আলাদা করা যায়। বুকের শ্রীফল যেন জমাট বাঁধা বরফ, প্রেমের উষ্ণ গরলে আজ যে গলে যেতে চাই। প্রায়বন্ধ শ্বাসপ্রশ্বাস। তলপেটে নাভির চারপাসটা হালকা উঠানামা করে চলেছে, প্রানের অবশিষ্টাংশ বোধহয় ওখানেই আস্তানা গেঁড়েছে। আরেকটু দুরের জীবন্ত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ। শত সহস্র লিটার জলন্ত লাভার স্রোত, চোরা সরসত্বীর মত ক্রমপ্রবাহমান। বাঁধ চাই একটা শক্ত বন্ধন। একটা শক্ত বাহুডোর ভেঙেদিক সকল পিঞ্জরাস্থি। প্রণয়ের আকুতি কবেই বা লোকলাজের ভয় করেছে! পরিণয় না হোক, আমিও তো পরী নই। অবৈধ্য? সে তো সমাজের সৃষ্ট একটা শব্দ, যে সমাজ আজও আমায় ধর্ষন করছে কুমারি সাজিয়ে রেখে। গলে যেতে চাই আমি, কামরে খাঁমচে সারা শরীরে বাহ্যিক ক্ষত তৈরি হোক। গভীর ক্ষত। সোহাগের ঘা তে ভরে উঠুক আমার সারা অঙ্গ।

মনের জ্বালা তো মিটুক।

সুরভিত এন্ট্যিসেপটিক ক্রিম বোরোলিন।  সকল প্রকার বাহ্যিক ঘা এর মারনাস্ত্র।

*************** এটা আন অফিসিয়াল বোরোলিনের বিজ্ঞাপন মাত্র****************

টিং টিং টি টিং
@উন্মাদ হার্মাদ