উপরের ছবিটা অনশনে বসা মাদ্রাসা কমিশনের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীদের।
যথারীতি এনাদের চাকরিও উন্নয়নে আত্মসাৎ করেছে। স্বভাবতই এনারা পথে বসেছেন।
তৃণমূল দল যদি আপনি করেন তাহিলে চুরির রাষ্ট্রীয় অধিকার আপনার রয়েছে। বাড়ি গাড়ি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ফরেন ট্রিপ সহ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সব পাবেন। কালীঘাটে ভাগা পৌছে দিলে। এটাই একমাত্র পেশা এই বাংলাতে, বিশ্ববাংলা স্বিকৃত। বাংলার যাবতীয় কুচো থেকে বড় চীর ডাকাতগুলোকে এখানে এক ছাতার তলাতে পেয়ে যাবেন, যাদের পাবেননা তারা প্রাক্তন তৃণমূল মুকুলের আস্তানাতে পাবেন।
নতুন করে বসা মাদ্রাসা কমিশনের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সাধারন মানুষ খুব বেশি উদ্বেলিত হবেনা বলেই আমার বিশ্বাস।
কারন-
এরা কারা?
এরা তারা যারা এর আগে ও এর পরে কখনও কারো জন্য প্রতিবাদ করেছে বা করবে কিনা কেউ জানেনা। এসেছে শুধু মাত্র নিজের চাকরি টুকু হাসিল করতে। চাকরি পেয়ে গেলেই আজকের শিক্ষক পেশার সাথে যুক্ত যে চাকুরীজিবি গুলো রয়েছেন এরাও তাদেরই দলভুক্ত হয়ে যাবে।
এরা ফেসবুক করবে, কবিতা লিখবে, ভ্রমণের ছবি দেবে, পরিবার পরিজন নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত হয়ে পরবে যে আর কেউ এদের মত অনাচারের শিকার হল কিনা জানার ফুরসৎই পাবেনা। এরা মানুষ থেকে উইপোকা বা মৌমাছি হয়ে যাবে।
তাই আমি বা আপনি যারা রোজ দিন আনি দিন খাই কেন যাব?
এই প্রশ্নের পরও আমরা যাব, কারন আমরা যদি পাশে না যায় তাহলে ওদের সাথে আমাদের ফারাকটুকু থাকবেনা। নতুবা কবীর সুমনের মত শুয়োরের বাচ্চাদের মত বলতে হবে- শিক্ষক পেশা রাষ্ট্রের কাছে বোঝা।
আমরা ভাগ্যবান আমরা অধিকাংশ জনই আজকের দিনে শিক্ষক নই, কবীর সুমনও। আমরা অনেকেই যারা শিক্ষক নই তথা বিবেক বেঁচে আছে তারা নিজের লাভের কথা না ভেবে অন্যের সাহায্যে হাত বাড়াই।
কারন আমরাও বিপদে অন্যের বা সহ নাগরিকের সহযোগিতা আশা করি। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজেই এমন অনেক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্যই বেঁচে বর্তে আছি।
এদের হয়ে কিছু বলা বা করার জন্য মন চাইনা। সামান্য ফোঁপা প্রতিশ্রুতিতে এরা ভুলে যাবে। ঠিক যখন সমবেত আবেগ ও ক্ষোভ- জিঘাংসা হয়ে শাসকের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরব পরব, ঠিক তখনই রাষ্ট্র ভুক্ত সারমেয়র সামনে হাড়ের টুকরো ফেলে দিলে - পড়ুন ৩-৪ জন সেট হয়ে গিয়ে বাকিদের সহ সহযোগী সহনাগরিকের যাবতীয় সকল কিছু তাচ্ছিল্য করে কেন্নোর মত গুটিয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী চাঁদ সওদাগরের মত বাঁহাতে নৈবদ্য দিয়ে, বুকে তৃণমুলের ব্যাচ লাগিয়ে এসে, অনশনকারীদের তীব্র উপেক্ষা করে সাংবাদিক সম্মেলন ক্যামেরাতে ছবি তুলে চলে গেলে ওটাই পরম পাওয়া।, অন্য রাজনৈতিক দল গেলেই নিষিদ্ধ কিছু এসে গেছে ভাব করবে।
আপনারা একা ওনাকে আনতে পারেননি বন্ধুরা, সমাজের বৃহত্তর একটা অংশ নিয়মিত ওনার মাতৃময়ী সততার মুর্তিতে ঘৃণার কালিমা লেপন করছিল নিয়মিত। আপনারা ভাবলেন আপনারাই দেব- পথ, রথ, মুর্তী সবাই তাই ভাবল। অন্তর্জামী কি ভাবল সেই খবর রাখলেননা-
২৯ দিনের রণক্লান্ত সৈনিকেরা আবার টিউশনির পুরাতন অভ্যাসে ফিরে যাবেন, অনশনের গল্প মুখে মুখে ফিরবে। কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ হয়েছিল।
শুধু যেটা বলবেনা- এই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই যাবতীয় শুণ্যপদ হাপিস হয়েছে। নতুন করে আপডেট হয়না ওনারই কল্যানে। ওনার অনুপ্রেরণাতেই দলবদলু পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকুরিতে জয়েন করে। প্রতি বছর ১০ হাজার জনের চাকরির নামে কয়েক হাজার কোটির ব্যাবসাও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই হয় বা হচ্ছে। আর এই বেতনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে- ক্লাবে ক্লাবে ফুর্তির জন্য অনুদান যায়। উৎসবের নামে বিলিবন্টন হয় যাতে ক্যাডাররা পুষ্ট থাকে, যারা ভোটের জন্য খাটবে।
সবটাই জানি আমরা, তারপরেও আমরা ওনার আগমনের কারনে আপ্লুত হয়ে ধেইধেই করে নেচে সব ভুলে যায়।
এ হল ভাবের ঘরে চুরি।
আমরা বরং ভোট রঙ্গ আর IPL এ তেই মজে থাকি।
নিজের লড়াই নিজেই করুন সুধী।
ঘরে ঘরের ব্যাপার।
তিনি এলেই মিটে যাবে।
আমরা বলার কে?
তবে-
বাম সহ বিরোধীরা (বিজেপি বাদে) যদি এটাকে প্রচার করতে পারে ঠিকমত- মুসলমান ভোটে ধস শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বামেরা ব্যাস্ত APB কি বলল সেই নিয়ে, যেন ওরাই সুপ্রিম কোর্টের বঙ্গ বেঞ্চ। টাইমলাইন জুড়ে ওদেরই সমীক্ষা খন্ডন। বিরোধিতাও গঠনমূলক ও নির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজনীয়তা বোধহয় এনাদের নেই।
সবটাই সময়ের উপরে ছাড়া থাক।
আপনি যদি চোর হন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আপনার জন্য সর্বতোভাবে সাথে আছেন। ধর্ণাতেও বসবেন। কিন্তু যদি আপনি মেধার অধিকারের জন্য লড়েন? আপনার জন্য থাকবে গণপিটুনি।
উনি...
চোরেদের জন্য
চোরেদের তরে
চোরেদের দ্বারা নির্বাচিত
হোয়াইট কলার চোর।
No comments:
Post a Comment