Sunday, 22 March 2015

উন্মাদ নামা ~ ১৯

আমি গর্বিত, আমি ভারতীয়

বি: দ্র:- কুত্তা আর ভিখারি দের প্রবেশ নিষেধ।
****************************************
আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর মতামত দিয়ে সুত্রপাত করি।
তার মতে, বর্তমান বাংলাদেশের ভিতর নানা ভাবে দুটো করে বাংলাদেশ আছে। (হয়ত সব দেশেই আছে, তবে এখানে আলোচ্য দেশ নিয়েই বলেছেন)
১. বয়স্ক ভদ্র বাঙ্গালি / নবীনতর প্রজন্ম (এদের মগজধোলাই কৃত হয়ে গেছে। নিজের বুদ্ধি নয়, শেখানো আর শোনা বুলি আওড়ায়)
২. ধার্মিক বাঙ্গালি / ধর্মান্ধ বাঙ্গালি (এনাদের সংখ্যা বাড়ছে)
৩. বিশ্বজনীন বাঙ্গালি / ভারতবিরোধী বাঙ্গালি (ছিদ্রান্বেষী)
৪. আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাঙ্গালি / ফ্রাস্ট্রেটেড বাঙ্গালি (সব দিক দিয়ে ব্যর্থ)
৫. রুচিবোধ সম্পন্ন বাঙ্গালি / যুক্তির অভাবে খিস্তি সম্বল বাঙ্গালি
এবার আসি আমার কথায়। গতকাল থেকেই আমার পেট ফেঁপে আছে। বাংলাদেশি যুব ভাইদের ভ্যারাইটিস খিস্তীর কল্যানে।
আমরা ভারতীয় রা ১৩০ কোটি, কেউ তামিল, কেউ পাঞ্জাবী, কেউ মারাঠি কেউবা বাঙালী। আমাদের পরিচয় কিন্তু সেই একই ভারতীয়।
যেখানে মোহাম্মদ সামী উইকেট নিলে, বারানসির কোন সাধুরামকৃপাল জী, আনন্দের বহি:প্রকাশে মিষ্টি বিলি করেন। তো কোথাও বিরাট কোহলীর বড় রানের প্রার্থনায়, লক্ষৌএর হাজী রফিক সাহেব, দু রাকাত শুকরিয়া নামাজ পড়েন আল্লাহ এর উদ্দেশ্যে।
কারন টা পরিষ্কার, এরা সবাই ভারতীয়।
আর লড়াই?? সে তো ভাই ঈ ভাই এই বেশি হয়।
আমাদের ২২ টা স্বিকৃত ভাষা। যে কোন ভারতীয় মুদ্রার নোটে এটা দ্রষ্টব্য। এটা আমাদের গর্ব। বিবিধের মাঝের মিলন।
আর ধর্ষন??
ভারত কেন, আজকের পৃথিবীতে, প্রতি মুহুর্তে ঘটে চলা নারী নির্যাতন একটা জলন্ত সমস্যা।
যাদের জনসংখ্যা কম, তাদের সমাজে অপরাধমূলক ঘটনা ও কম। কিন্তু যাদের বেশি, মানে ভারতের মত ১৩০ কোটি+, তাদের অপরাধমূলক কর্ম শতাংশের বিচারে কম হলেও, গুনতি তে ব্যাপার টা বড্ড দৃষ্টিকটু।
তার উপর, আমরা গনতন্ত্রে বাস করছি। হতে পারে শত ত্রুটি পূর্ণ। এখানে আমি আমার কথা, আমার বাসনা, রাগ, বিরক্তি আমি চিৎকার করে জানাতে পারি। তবে হ্যাঁ, ব্যাতিক্রম ও নিশ্চয় আছে। তবে সেটা ব্যাতিক্রম ঈ।
আজকের ভারত স্বয়ং প্রচেষ্টায় পরমাণু শক্তিধর, ভারতের ইঞ্জিনিয়ার রত্ন রা, বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম মূলস্তম্ভ।
৭০% লোকের টয়লেট না থেকেও যদি তারা একক দেশিয় প্রযুক্তি ও প্রচেষ্টায় "মঙ্গলে" পৌছাতে পারে, তাহলে সেটা নিশ্চই গর্বের।
বাংলাদেশ সেই সকল হতভাগা রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম, যাদের নিজশ্ব কোন উন্নত স্যাটেলাইট সিষ্টেম নাই। যারা খাদ্যে নিজেদের উপর নির্ভরশীল নয়, বন্যা ও খরা যাদের নিয়ন্ত্রনে নাই। যাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থা বলতে, এদিকে কলকাতা বা হংকং বা অন্য কোন দেশ।
তাদের মুখে অন্তত অন্যের সমালোচনা মানায় না। যাদের জীবন টায় পরজীরির মত অন্য কে আঁকরে ধরে বেঁচে থাকা। তারা তো।মুখে বাঘ মারবেই। আর তারই নাম আজকের যুব বাংলাদেশ।
লজ্জা, অবশিষ্ট বিশ্বের কাছে। যে আমাদের ও মাতৃভাষা বাংলা। অন্তত এই পর্বে এসে।
যেকোন জাতীর ভবিষ্যত তাদের যুব সমাজ। কিন্তু যাদের ঘুন পোকা মজ্জাতে ধরে গেছে, তারা সমাজের মধ্যে, কর্কট রোগের জীবানু। যা শেষ পর্যন্ত নিজের শরীর কে ঈ শেষ করবেই। কিছু বাংলা দেশি, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ও ইউরোপ আমেরিকার রাস্তায়, ভিক্ষাবৃত্তি কে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এরা খিস্তি মারবে না তো কে মারবে??
এরা আবেগের চোটে ভুলে যায়, শুক্তোর মশালা দিয়ে, মোগলাই বিরিয়ানি বানানো অসম্ভব।
আর, জীবনে কিছু না করতে পারা, ব্যার্থ প্রেমিক, বাউন্ডুলে উন্মাদ, ছিঁচকেচোর, পকেটমার, ইত্যাদির দল, আগে চায়ের দোকানে, বা ক্লাবের রকে তাসের জুয়া খেলতো।
এখন তারা ফেসবুকে বিপ্লব করে।
সুতরাং এরা যে সমাজ কে দুষিত করবে, সেটা তো কাঙ্খিত।
আর মানুষের পায়ে কুকুর কামরালে, কুকুরের পায়ে তো আর কামরে প্রতিশোধ নেওয়া যায় না।ঔষধ নিতে হয়। এখানেও তাই। সঠিক সময় ওষুধ দিয়ে দাও। ধৈর্য ধারন কর, ওরাই সু্যোগ করে দেবে, দেবেই।
আসলে এদের দুটো হাত, দুই স্থানে, একটা গলায়, তো দ্বিতীয় টা পায়ে, দরকার মত ধরে আর ছারে। তাই প্ররোচিত হবার ও কিছু নেই, আমার হর্ষ উল্লাশিত হবার ও কিছু নেই।
আমাদের মাথার চুল বা দাড়ি বা গোঁফ। স্বস্থানে অবস্থান কালীন আমরা ওগুলো কে কতই না যত্ন করি। কিন্ত তা যখন খুলে আসে, বা বেশি বাড়ের দরুন কেটে ফেলতে বাধ্য হই, তাদের স্থান হয় আস্তাকূঁড়ের অতলে।
ভাই, সবশেষে ভারতের লোকের টয়লেট নেই, তাতে কি আশেপাশে বাংলাদেশ আর পাকিস্থান তো আছে। ওগুলো তো...... 

Thursday, 19 March 2015

একটি ক্রিকেট ম্যাচ বনাম একটি অভদ্র জাতি


ছবি ঃ ইন্টারনেট 
যা দেখি-যা শুনি
*****************

সকাল সক্কাল অকাল রবীন্দ্রজয়ন্তীরর আমেজ নিয়ে এতটাই আচ্ছন্ন ছিলাম যে, বেলা ১০ টা পর্যন্ত বেশ নেশাচ্ছন্ন ছিলাম। দুটো দেশ। আর আমার মননের রবি।

তাল কাটলো, একটু বেলা গড়াতেই।

ভেবেছিলাম বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ নিয়ে কিছু লিখব না,কারণ এই দু দেশই আমার অতি আপনার। জাতীয়তা সূত্রে আমি ভারতীয় কিন্তু একজন বাঙালী হিসেবে বাংলাদেশকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি । কিন্তু সেই লিখতেই হোলো..........

বাংলাদেশের ক্রিকেট ফ্যান ও তাদের সোশাল মিডিয়া, নিউজ ও প্রিন্ট মিডিয়া, ধর্মগুরু, থেকে নিতান্তই ভবঘুরে পর্যন্ত, বিগত ৫-৬ দিন ধরে ক্রমাগতভাবে প্রতিটি ভারতীয় খেলোয়ার দের ব্যাক্তিগত ভাবে অবিরাম ভাবে হ্যাটা করে চলেছিলো। আর তার সাথে বিনা প্ররোচনায় আমাদের মতো আকন্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটের মদে আচ্ছন্ন মাতালদেরও সমানে উত্তেজিত করে চলেছিলো। যেন সত্যিই কোন প্রকাশ্য যুদ্ধ হচ্ছে।

আমি জানি ওগুলোর মত ক-একটা, ওপার বাংলার গুটিকয় রামপাঁঠার মত বা চুনোপুটির কথায়, ভারতীয় ক্রিকেটের কিছু আসে যায় না। কিন্তু কি করব বলুন, আমরা সবাই ই সাধারণ বাঙালী। আমাদের ও নিজেদের দেশ নিয়ে যথেষ্ট আবেগ আছে। আর খেলা টা যখন ক্রিকেট, তখন তো কথাই নেই। সাধারণ বাঙালীদের নিয়ে একটি প্রবাদ আছে,এরা যতই উপরে উঠুক না কেন শকুনের মত এদের চোখ একটু হলেও ভাগারের দিকেই থাকে।

বাংলাদেশিরা দেখিয়ে দিয়েছে তাদের নজর কতোটা নিচেয়। তবে আমি ওদের মত অতো নিচে যেতে পারব না কারণ ওরা মানসিক ভাবে, পঙ্গুত্বে আক্রান্ত পরিবারের সদস্য হলেও, আমি অন্তত সামাজিকতায় শিক্ষিত এবং ভারতীয় উদার ও সেকুলারিজম এ বিশ্বাসী । তাই আমি এই তথাকথিত জঙ্গি বাংলাদেশি সমর্থকদের থেকে একটু অনন্য সাধারণ। তাই আমার দেশ মাতৃকার সম্মান রক্ষার্থে একটু কষ্ট হলেও, ওই সকল বাংলাভাষী জানোয়ারদের অভদ্রতার জবাব আমি তথ্যসহ ভদ্র ভাষায় দিচ্ছি।

আপনারা এতোবছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন। এই সেই কবেকার আইসিসি ট্রফি বাদে কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি কি জিততে পেরেছেন?? পারেন নি। শ্রীলংকা টেস্ট স্টেটাস পাওয়ার তেরো বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ জিতেছিল.। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করার একুশ বছরের মাথায় আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। আর এতোদিন ধরে বাংলাদেশ কি করেছে?? বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা শুরু করেছিলেন আজ থেকে মোটামুটিভাবে চব্বিশ বছর আগে। কি এমন ঘোড়ার ডিম বানিয়েছেন এতোদিনে?? কিছু একটা হলেই বাংলাদেশিরা বলেন আমরা দুহাজার সাত ও বারোতে ইন্ডিয়াকে হারিয়েছি। হার জিত তো খেলার ঈ অঙ্গ। ভারত ও বহুবার বহুদেশ কে নির্লজ্জ ভাবে হারিয়েছে, অষ্ট্রেলিয়াও তাই, দক্ষিন আফ্রিকা, শ্রীলংকা, পাকিস্থান.... কার এই গরিমা নেই?? কিন্তু ওরা বোধহয় এতোটা বেহায়া নয়। আরে বাবা ২০০৭ এর পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। আমরা মঙ্গল পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছি। আজ পর্যন্ত যাদের নিজস্ব কোন স্যাটেলাইট নেই। পরিকল্পনা প্রস্তাব নেই। কাজের মাসির মত অন্যের দেশে কাজ করে খায়, মানে অবশিষ্ট পৃথিবীর, লেবার আর ভিখারি সাপ্লায়ার। সিধুর কথাটাই ঠিক, নিজের পাড়ায় কুত্তাও বাঘ।

এবার আসি একাত্তরের কথায়। কথাটাতো সত্যি বাংলাদেশিদের স্বাধীনতা ভারতের দান। কারণ পাকিস্তান যদি পশ্চিম ফ্রন্ট আক্রমন না করতো আর ভারত যদি যুদ্ধে অংশ না নিতো তাহলে সপ্তম নৌবহরের মাত্র একটা বোমাই লাগত বাংলাদেশকে মরুভূমি করতে। ইয়াহিয়ার পশ্চিমে আক্রমনের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। তবে বাংলাদেশিরা আমাদের খেয়ে,আমাদের পড়ে, আমাদের সাথে যেমন অকৃতজ্ঞের মত বিহ্যাভ করছেন তাতে আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি, ইন্দিরাজী সেদিন দুধ কলা দিয়ে বাংলাদেশ নামের একটা কালসাপ পুষেছিলেন, বা জন্ম দিয়েছিলেন।আসলে আজকের বাংলাদেশের যুবসমাজ টাই মনে হচ্ছে নপূংসক, কুলাঙ্গার। মুখে মারিতং জগৎ।

কি দরকার ছিলো, বাংলাদেশের যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার?? আমাদের পশ্চিমে থর মরুভূমি রয়েছে পূর্বে না হয় বাংলা মরুভূমিই থাকত। কিন্তু যখন সেই হস্তক্ষেপ করাই হোলো তখন কোনো দরকার ছিল কি, পূর্বে আমাদের দখল করা জায়গা গুলো স্বাধীন করার?? যে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের "মানুষ" কে প্রশ্নটা করতে ইচ্ছা হয়, আপনি কি এমন কোনো যুদ্ধের কথা শুনেছেন যেখানে জয়ী পক্ষ তাদের বিজিত অঞ্চল গুলোকে স্বাধীন করে দিয়ে এসেছে?? ভারত দিয়েছে। 

আমি গর্বিত, আমি ভারতীয়। 

একাত্তরের পাক ভারত যুদ্ধ বাদে কোথাও এমন ঘটনা নেই। আমরা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান দখল করার পরেও সেটাকে স্বাধীন বাংলাদেশ করে দিয়ে এসেছিলাম। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত আপনাদের সকালের কোলগেট টুথপেস্ট থেকে রাতের স্টার জলসা সবইতো আমাদের দান। চাষের জল থেকে বিশ্বব্যাঙ্কের লোন, ভারতের এক বিন্দু সাহায্য ছারা যারা অচল, পঙ্গু, স্থবির, তাদের এতো কপচানি আসে কঅথা থেকে?? একটাই উত্তর- হিংসা, আর অপুর্ণ লালসা। কথায় আছে না, হাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি। একাত্তর সালে স্বাধীনতা নামক শব্দটি বাংলাদেশীদের দান করেছিলাম। 

একটা হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখাটা শেষ করতে চাইছি, বাংলাদেশিরা বলেছেন আপনাদের বাবার খড়মটা বাংলাদেশি নাগরিক সমাজ নাকি আমাদের জন্য তুলে রেখেছেন। আমি বাংলাদেশি কাপুরুষ দের উদ্দেশ্যে বলছি, আমার স্বর্গতঃ দাদুর একজোড়া ব্রিটিশ আমলের নাগরা জুতো আছে আমি সেটা আপনাদের জন্য তুলে রাখলাম..........

ধন্যবাদন্তে,এক আম ভারতীয়।

y ক্রোমোসোম= ক্রিমিনাল ক্রোমোসোম'

লিমেরিক
*******
প্রেমোন্মাদ অমনিবাস
প্রথম কিস্তি


ইচ্ছা ছিলো বড় হয়ে
অনেক বড় হবো,
কিন্তু আমি কি যে হলাম,
সেই কথাটাই কবো।


হসপিটালে পয়দা হয়েই
পাইলো যে মোর তেষ্টা,
মা’র তখনো জ্ঞান ফেরেনি,
নার্স বাঁচালো শেষটা।


পর নারী তে সেই যে আমি,
হলাম আসক্ত,
সেই ট্র্যাডিশন আজও সমান,
(তবে) অনেক টা পোক্ত।


ইসকুলেতে ভর্তি হলাম
প্রথম দিনের ক্লাস,
অচেনা সব গিজগিজিয়ে,
কিন্তু নারী বিলাস।


দ্বিতীয় গেলো, তৃতীয় গেলো,
চতুর্থ তে এসে,
শিপ্রা ম্যাডাম, অঙ্ক করান
মন যে গেলো ফেঁসে।


ফাঁসার আরো ছিলো বাকি,
কেলাসে যখন ছয়,
পড়শি-রানু’র রঙ ধরছে
আমার কি তর সয়।


স্বপ্ন কুমার এলো রানুর
মোটর বাইক চড়ে,
এই পর্ব বিদায় হলো,
দুইটি বছর ঘরে।


হাফপ্যান্টেই কো-এড স্কুলে
নবম শ্রেনি শুরু,
বিজ্ঞানের’ই দীপা ম্যাডাম
পেলাক করা ভুরু।


অগোছালো নীলপাড়েতে
ফার্ষ্ট বেঞ্চের সৃজা, 
একতরফা ডবল প্রেমের
কি নিদারুণ মজা।


মাধ্যমিকের কড়া শাসন 
বসলো প্রণয় চাকা,
ইলেভেনেতে টের’টি পেলাম
গজিয়েছে মোর পাখা।।

.........ক্রমশ

Sunday, 15 March 2015

রক্ষিতা


উন্মাদীয় রবিবাসর
**************

রক্ষিতা
It's all about the sex robot “Roxxxy”




যৌনতা চিরন্তন, প্রানী জগতে সৃষ্টির একান্ত উৎস। এই যৌনতাই, যুগে যুগে আদি রস সৃষ্টি করিয়া আসিয়াছে। মনু, বাৎস্যায়ন থেকে কালিদাস হয়ে বঙ্কিমচন্দ্র, কালে কালে যৌনতা সাহিত্যে বর্নিত হইয়াছে। কারন, ইহা নিজস্ব, একান্ত ব্যক্তিগত, এবং চুরান্ত গোপনীয়তাতে ভরপুর।


বয়ঃসন্ধির কাল হইতেই জীবকুলে যৌনতার বিকাশ ঘটিয়া থাকে। মানবে তাহা বাবা আদমের জামানা হইতেই বহমান। যৌনতার সাথে মত্ততা  অঙ্গাগীভাবে জরিত। মনুবংশীয়দের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি থেকে পৃথিবীর সুদীর্ঘ ইতিহাসে দৃষ্টিপাত করিলে দেখা যাইবে যে, এই যৌনতার কারনেই বহু রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধের জন্ম হইয়াছে। বহু হানাহানির নাভিস্থলই হইল যৌনতা। জীব জগতেও যৌনতার জন্য খুনখুনি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার। সেই খুনের বিচার আদালতে হয় না বলিয়া আমাদের কাছে হয়তো তাহার ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়নি।



জানোয়ার কীটপতঙ্গ বা অমানবিক(!) নাকি যাহারা, তাহাদের অবশ্য লজ্জিত হইবার দায় নাই, তাহারা প্রকাশ্য যৌনতা তে বিশ্বাসী। কারন তাহাদের পুর্বরাগ শুধু মাত্র সঙ্গী নির্ধারনের জন্য, এবং তাহারা বহুগামী। এবং এই যৌনতা সম্বৎসর কাল ধরিয়া বিরাজমান থাকে না, নির্দিষ্ট ঋতুতে কামোদ্দীপনার আগমন ঘটিয়া থাকে। প্রেমাস্পদ কামাতুর শরীরের উপর এই যৌনতা সীমাবদ্ধ, মাদকাসক্ত মাধুরীমা হৃদয়ের উপস্থিতি খুবই নগন্য, যাহা বীর্যের স্খলনেই পরিসমাপ্তি ঘটে।



মানব যৌনতার শুরুও,  ওই পাশবিক ধারাতেই শুরু হইয়া ছিল বলেই বিশ্বাস, কিন্তু একটি স্থানে আসিয়াই যৌনতার অন্য প্রতিরুপ আমরা লক্ষ করিয়া থাকি। কারন টি সম্পূর্ন মানবীয়। মানবের ভাবনার পরিসর যৌনতাটা কেও অনেক বৃহৎ মঞ্চ রূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। মানবের যৌনতা শুধু মাত্র বিশেষ ঋতু ভিত্তিক নয়। কামোত্তেজনার ভাব জাগ্রত হইবার জন্য শুধু মাত্র মননে বা ভাবনায় অনুরাগের অঙ্কুরণ হইলেই, সঙ্গী বা সঙ্গীনির সহিত আদিম রিপুর ক্রীড়া তে লিপ্ত হইতে পারে। কখনো কখনো মানব সত্তা নিয়ন্ত্রন হারাইয়া যায়, পাশবিক স্বত্তারা সেই স্থান অতিদ্রুত পরিব্যাপ্ত করিয়া নেয়। যৌন পীড়ন বা ধর্ষন নামক সামাজিক ব্যাধিটি সেই ক্ষনেই জন্ম নেয়। সমাজবদ্ধ জীবের সন্নিকটে ইহা একটি ঘৃন্য সামাজিক ব্যাধি হিসাবেই পরিগনিত হইয়া থাকে, এই যৌন নিপীড়ন।



কিন্তু এই পীড়ন ব্যাতিক্রম। মানবের মধ্যে যৌনতা প্রেম , ভালবাসা , পছন্দ, প্রণয়, অনুরাগ, লিপ্সা, স্নেহ, প্রীতি ইত্যাদি নানা ধরনের শর্তের উপর নির্ভরশীল। শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদাই মুখ্য নয়। মানসিক চাহিদা টা এ ক্ষেত্রে মুখ্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানব গোষ্ঠির নিকট। এই একটি কারন স্বরূপই, বিভিন্ন মানবীয় অনুভুতি বা চেতনা, অন্যান্য জীব দিগের সহিত মানব কে আলাদা করিয়াছে।



হৃদ মাঝারের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অনুভূতি যেমন, গভীর অনুভূতি, গোপন অনুভুতি, প্রকাশিত অনুভূতি, অপ্রকাশিত প্রকাশ, আঘাতপ্রাপ্ত অনুভূতি, মিশ্র অনুভূতি, কঠিন অনুভূতি, সরল অনুভূতি, সত্য অনুভূতি, মিথ্যা জেনেও আপন করে নেওয়া অনুভুত বোধ ইত্যাদি নানা ধরনের অনুভুতির সমাহারে সমৃদ্ধ মানবের যৌনতা।



পাশবিব যৌনতার ন্যায়, মানব ও শুধু মাত্র শারিরিক ক্ষুন্নিবৃত্তির তাড়নাতে অনেকেই পতিতালয়ে গমন করিয়া থকেন সত্য। সত্যিই কি ইহাতে কি বারবনিতারা  যৌনজীবনকে পরিপূর্ণ সুখময়, আনন্দময়, তৃপ্তিকর ও তাৎপর্যময় করে তুলতে সক্ষম! এমন ও বহু ঘটনার বিবরন আমরা পেয়ে থাকি, যে পতিতালয়ের কোনো গনিকা কে লইলা কোন ভদ্র(!) সন্তান পলায়ন করিয়াছে, ইহা কি শুধু যৌনতার জন্য? না কি যৌনতা কে ছাপাইয়া মননের অনুভুতি গুলো অধিক কর্মন্য হইবার জন্য ই এই ঘটনার দৃষ্টতা। দর্শনে কি যৌনতা নেই!! বিষ্ফোরিত চক্ষুতে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি ধর্ষন অনুষ্ঠিত হইয়া চলিতেছে। তাই মানবীয় যৌনতা শুধু মাত্র শারীরিক সীমাতে আবদ্ধ নহে। বরং অনেক বেশী মানসিক।



আজিকে বহুলচর্চিত খবর, আমেরিকাস্থিত নিউ জার্সির কোন এক এ.ভি.এন নামক কোম্পানি প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন উত্পন্ন দ্রব্যাদির আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে “রক্সি” নামক এক যন্ত্র মানবীর উদ্ভাবন ও উপস্থাপন করিয়াছেন। যিনি যৌনতার লীলাখেলায় পারদর্শী। যথেষ্ট চমকপ্রদ। ইহাতে বিস্ময় কম কিন্তু প্রশ্ন অনেক। যৌনতা কি শুধুই বিনোদন?? তাহলে তো প্রেম নামক প্রতিষ্ঠানটির অস্বিত্ব যে সঙ্কটাপন্ন। আদপেই কি তাই?



আমরা কি আমাদের আশেপাশে এই রকম অজস্র রক্ত মাংসের রক্সি কে দেখিতে পাই না! যাহারা মদ্যপ স্বামী/শয্যা সঙ্গীর বা মত্ত পুরুষ সঙ্গীটির সাথে রতিক্রিয়া, একটি মিনিট পনেরোর বিনোদন ব্যতীত আর কিছু না। যাহারা বিভিন্ন কার্যালয়ে, দপ্তরে, এমন কি পততালয়েও চরম অনিচ্ছা স্বত্তেও মহিলারা অনিচ্ছার ঘৃন্য যৌনাচারে লিপ্ত হইতেছেন। কেউ ক্ষুধার তারনায়, কেউ আবার নিরুপায় উপার্জনের জন্য , কারন তাহার রোজগার দ্বারাই হয়তো অনেকর ক্ষুন্নিবৃতির নির্বাহন হয়।



অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের ক্ষেত্রেও ইহা সমভাবে প্রযোজ্য। অনেক দম্পতিই রহিয়াছে যাহাদিকের নিকট যৌনতা ও এক প্রকার দৈনন্দিন কার্যসম্পাদন ব্যাতিরেকে অন্য কিছু নহে। তাহাতে ভজনা, সেবা, অনুবর্তন, অনুবর্তিতা, সেবন, পরিচর্যা , উদারতা, কৃপা, দয়া, দয়াশীলতা, অত্যান্ত সুচারু ভাবে উপস্থিত রহে । অনুপস্থিত শুধু, স্বামী বা স্ত্রী এর সুক্ষ সুক্ষ অনুভুতি গুলো আপন করিবার ক্ষমতা। তাহাদের মনন অন্য কোন সক্ষম অনুভুতির কাছে বাঁধা পরিয়াছে, হয়তো সেখানে শরীর নামক বস্তটি ই উপস্থিত নেই। সবটাই মনন। এই সমস্ত যুগল হয়তো দম্পতী রুপেই সমগ্র জীবন অতিবাহন করিয়া থাকেন, কখনই মিথুন হইতে পারেন না। তাহলে ইনারাও কি রক্সি নহে!!



মস্তিষ্কে অবস্থিত যৌনাধারেই মানবের কামদ্দিপনার উৎপত্তি। সেটা দর্শনের মাধম্যে শুরু হইলেও, অনুভুতির মাধম্যে ই পরিপূর্ন সুখ তৃপ্তি ও আনন্দ লভিত হয়। যৌনতা তো আসলে একটা নির্দিষ্ট সময় বিশিষ্ট নির্ঘন্ট।



মানসিক ভাবে পরিপক্ক ও সমকক্ষ দুইটি হৃদয়ের মিশেল না ঘটিলে আসলে তো সকলেই আমরা রক্সি হইয়া পড়িব। যেমন অনুসন্ধিৎসু দোদুল্যমান মন প্রকৃত অপ্রার্থিব সুখকর যৌনতা প্রসব করিতে পারে না। তেমনই কেবল মাত্র মদমত্তময় যৌনতাও মনজগত কে আসমানী চাঁদোয়াতে নিয়ে যাইতে অক্ষম। ইহা সাময়িক উত্তেজনার কারন হইতেই পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি চরমানন্দের প্রকাশ কখনই নয়।



রক্সি আসলে কিছু ধর্ষকাম ব্যাবসায়ি মানসিকতার নির্লজ্জ ফসল। সামাজিকভাবে পদস্থ, আর্থিকবভাবে শক্তিশালী কিছু সুশীল(!) ব্যাক্তিবর্গের ক্রিড়া সরঞ্জাম এই রক্সি।



আমাদের তৃতীয় বিশ্বের প্রতিটি কোনে প্রত্যহ হাজার হাজার রক্সি জন্ম নিয়ে চলেছে। যন্ত্রচালিত যৌনাধার নয় রক্তচলিত যৌনাধার।


(উন্মাদীয় বানানবিধী সহ প্রাপ্তমনষ্ক দের জন্য)