আমি গর্বিত, আমি ভারতীয়
বি: দ্র:- কুত্তা আর ভিখারি দের প্রবেশ নিষেধ।
****************************************
আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর মতামত দিয়ে সুত্রপাত করি।
****************************************
আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর মতামত দিয়ে সুত্রপাত করি।
তার মতে, বর্তমান বাংলাদেশের ভিতর নানা ভাবে দুটো করে বাংলাদেশ আছে। (হয়ত সব দেশেই আছে, তবে এখানে আলোচ্য দেশ নিয়েই বলেছেন)
১. বয়স্ক ভদ্র বাঙ্গালি / নবীনতর প্রজন্ম (এদের মগজধোলাই কৃত হয়ে গেছে। নিজের বুদ্ধি নয়, শেখানো আর শোনা বুলি আওড়ায়)
২. ধার্মিক বাঙ্গালি / ধর্মান্ধ বাঙ্গালি (এনাদের সংখ্যা বাড়ছে)
৩. বিশ্বজনীন বাঙ্গালি / ভারতবিরোধী বাঙ্গালি (ছিদ্রান্বেষী)
৪. আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাঙ্গালি / ফ্রাস্ট্রেটেড বাঙ্গালি (সব দিক দিয়ে ব্যর্থ)
৫. রুচিবোধ সম্পন্ন বাঙ্গালি / যুক্তির অভাবে খিস্তি সম্বল বাঙ্গালি
২. ধার্মিক বাঙ্গালি / ধর্মান্ধ বাঙ্গালি (এনাদের সংখ্যা বাড়ছে)
৩. বিশ্বজনীন বাঙ্গালি / ভারতবিরোধী বাঙ্গালি (ছিদ্রান্বেষী)
৪. আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাঙ্গালি / ফ্রাস্ট্রেটেড বাঙ্গালি (সব দিক দিয়ে ব্যর্থ)
৫. রুচিবোধ সম্পন্ন বাঙ্গালি / যুক্তির অভাবে খিস্তি সম্বল বাঙ্গালি
এবার আসি আমার কথায়। গতকাল থেকেই আমার পেট ফেঁপে আছে। বাংলাদেশি যুব ভাইদের ভ্যারাইটিস খিস্তীর কল্যানে।
আমরা ভারতীয় রা ১৩০ কোটি, কেউ তামিল, কেউ পাঞ্জাবী, কেউ মারাঠি কেউবা বাঙালী। আমাদের পরিচয় কিন্তু সেই একই ভারতীয়।
যেখানে মোহাম্মদ সামী উইকেট নিলে, বারানসির কোন সাধুরামকৃপাল জী, আনন্দের বহি:প্রকাশে মিষ্টি বিলি করেন। তো কোথাও বিরাট কোহলীর বড় রানের প্রার্থনায়, লক্ষৌএর হাজী রফিক সাহেব, দু রাকাত শুকরিয়া নামাজ পড়েন আল্লাহ এর উদ্দেশ্যে।
কারন টা পরিষ্কার, এরা সবাই ভারতীয়।
আর লড়াই?? সে তো ভাই ঈ ভাই এই বেশি হয়।
আমাদের ২২ টা স্বিকৃত ভাষা। যে কোন ভারতীয় মুদ্রার নোটে এটা দ্রষ্টব্য। এটা আমাদের গর্ব। বিবিধের মাঝের মিলন।
আর ধর্ষন??
ভারত কেন, আজকের পৃথিবীতে, প্রতি মুহুর্তে ঘটে চলা নারী নির্যাতন একটা জলন্ত সমস্যা।
যাদের জনসংখ্যা কম, তাদের সমাজে অপরাধমূলক ঘটনা ও কম। কিন্তু যাদের বেশি, মানে ভারতের মত ১৩০ কোটি+, তাদের অপরাধমূলক কর্ম শতাংশের বিচারে কম হলেও, গুনতি তে ব্যাপার টা বড্ড দৃষ্টিকটু।
তার উপর, আমরা গনতন্ত্রে বাস করছি। হতে পারে শত ত্রুটি পূর্ণ। এখানে আমি আমার কথা, আমার বাসনা, রাগ, বিরক্তি আমি চিৎকার করে জানাতে পারি। তবে হ্যাঁ, ব্যাতিক্রম ও নিশ্চয় আছে। তবে সেটা ব্যাতিক্রম ঈ।
আজকের ভারত স্বয়ং প্রচেষ্টায় পরমাণু শক্তিধর, ভারতের ইঞ্জিনিয়ার রত্ন রা, বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম মূলস্তম্ভ।
৭০% লোকের টয়লেট না থেকেও যদি তারা একক দেশিয় প্রযুক্তি ও প্রচেষ্টায় "মঙ্গলে" পৌছাতে পারে, তাহলে সেটা নিশ্চই গর্বের।
বাংলাদেশ সেই সকল হতভাগা রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম, যাদের নিজশ্ব কোন উন্নত স্যাটেলাইট সিষ্টেম নাই। যারা খাদ্যে নিজেদের উপর নির্ভরশীল নয়, বন্যা ও খরা যাদের নিয়ন্ত্রনে নাই। যাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থা বলতে, এদিকে কলকাতা বা হংকং বা অন্য কোন দেশ।
তাদের মুখে অন্তত অন্যের সমালোচনা মানায় না। যাদের জীবন টায় পরজীরির মত অন্য কে আঁকরে ধরে বেঁচে থাকা। তারা তো।মুখে বাঘ মারবেই। আর তারই নাম আজকের যুব বাংলাদেশ।
লজ্জা, অবশিষ্ট বিশ্বের কাছে। যে আমাদের ও মাতৃভাষা বাংলা। অন্তত এই পর্বে এসে।
যেকোন জাতীর ভবিষ্যত তাদের যুব সমাজ। কিন্তু যাদের ঘুন পোকা মজ্জাতে ধরে গেছে, তারা সমাজের মধ্যে, কর্কট রোগের জীবানু। যা শেষ পর্যন্ত নিজের শরীর কে ঈ শেষ করবেই। কিছু বাংলা দেশি, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ও ইউরোপ আমেরিকার রাস্তায়, ভিক্ষাবৃত্তি কে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এরা খিস্তি মারবে না তো কে মারবে??
এরা আবেগের চোটে ভুলে যায়, শুক্তোর মশালা দিয়ে, মোগলাই বিরিয়ানি বানানো অসম্ভব।
আর, জীবনে কিছু না করতে পারা, ব্যার্থ প্রেমিক, বাউন্ডুলে উন্মাদ, ছিঁচকেচোর, পকেটমার, ইত্যাদির দল, আগে চায়ের দোকানে, বা ক্লাবের রকে তাসের জুয়া খেলতো।
এখন তারা ফেসবুকে বিপ্লব করে।
সুতরাং এরা যে সমাজ কে দুষিত করবে, সেটা তো কাঙ্খিত।
আর মানুষের পায়ে কুকুর কামরালে, কুকুরের পায়ে তো আর কামরে প্রতিশোধ নেওয়া যায় না।ঔষধ নিতে হয়। এখানেও তাই। সঠিক সময় ওষুধ দিয়ে দাও। ধৈর্য ধারন কর, ওরাই সু্যোগ করে দেবে, দেবেই।
আসলে এদের দুটো হাত, দুই স্থানে, একটা গলায়, তো দ্বিতীয় টা পায়ে, দরকার মত ধরে আর ছারে। তাই প্ররোচিত হবার ও কিছু নেই, আমার হর্ষ উল্লাশিত হবার ও কিছু নেই।
আমাদের মাথার চুল বা দাড়ি বা গোঁফ। স্বস্থানে অবস্থান কালীন আমরা ওগুলো কে কতই না যত্ন করি। কিন্ত তা যখন খুলে আসে, বা বেশি বাড়ের দরুন কেটে ফেলতে বাধ্য হই, তাদের স্থান হয় আস্তাকূঁড়ের অতলে।
ভাই, সবশেষে ভারতের লোকের টয়লেট নেই, তাতে কি আশেপাশে বাংলাদেশ আর পাকিস্থান তো আছে। ওগুলো তো......