Wednesday, 24 August 2016

আমি ও অকপট



শুরুটা সেদিন একটু অন্যভাবে। গত বছর এই সময়ের কিছুমাস আগে যাবৎ একটা ব্যক্তিগত সমস্যায় সম্পূর্ন জর্জরিত ছিলাম, অন্য একটা বিশা…ল গ্রুপের সেবা করার কিছু সুযোগও পেয়েছিলাম, সেখানে বেশ কয়েকজনের আমিত্বের ভীড়ে হাঁসফাঁস করা অবস্থায় কিছু লিবারাল দশকর্মা ভান্ডার টাইপের গ্রুপেই সাধারনত নিয়মিত থাকতাম। সেখানেও অতিরিক্ত ধর্মীয় কচকচানি আর একটা কাঁচা খিস্তির কর্মশালাতে চরম হতাশ হয়ে বন্ধু সন্দীপের দ্বারস্থ হই। চলোনা আমরাও একটা গ্রুপ খুলি। পুঁজি ছিল শুধু উন্মাদীয় ভাবনার রসদ।
আমরা জানতাম আমরা বাঁদর, বেদে নই। নাচতে পারি নাচাতে নয়। গ্রুপ চালাতে যে নীতি (অল্প হলেও লাগে বৈকি) ধৈর্য অধ্যাবসায় ও ফেসবুকীয় জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তার কিছুই আমাদের নেই। তবে অনেক সফল গ্রুপেরই, বন্ধু সৌমেনদার ভাষায় “অ্যাডমিন প্যালাদার” চাকুরি করেছি। বেশ কিছু জনপ্রিয় পেজের অন্যতম দায়িত্বেও থাকার অভিজ্ঞতা ছিল। আর প্রথমে অর্কুট পরে দীর্ঘ আট বছর এই ফেসবুকের সাথে সাথে সোস্যাল মিডিয়া পরিক্রমা।
সুতরাং শুরুটা এভাবেই। প্রথমে নাম দেওয়া হয়েছিল যুক্তি-তক্কো। বন্ধু সন্দীপের পরামর্শেই আমি অকপট নামটা নির্দিষ্ট করি। প্রথমে গোটা দশেক মেম্বার, তার মধ্যে ৮ জনই এডমিন। প্রসেনজিৎ গুহ, প্রশান্ত ঘোষ, রজত মালিক, সন্দীপ দাস, শেহনাজ আলম, সুদীপ্তা নাথ, সুধা মজুমদার, তন্ময় হক আর আমি। সঙ্গে ছিল অন্যতম মেম্বার রুমি হক ম্যাম আর শিল্পী গুহ দিদির শুভকামনা। এই পথ চলার শুরু। এর পরে প্রসেনজিৎ দা , প্রশান্ত আর রজত দিন ৩-৪ এর মধ্যেই ব্যক্তিগত কারনে অ্যাডমিন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। প্রথম বাইরের মেম্বার মৃদুল কান্তি ঘোষ। প্রথম পোষ্ট আমার, আজকের বিচারে সেটি অবশ্যই অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত।
এর পর যেমনটি হয়, সকলে মিলে নিজ নিজ বন্ধুদের অ্যাড করার পালা। এক সপ্তায় সংখ্যাটা দাঁড়ায় দেড়শোর কাছাকাছি। কেউই প্রায় আসতেন না তখন। জয়দা আমার পরের পর করে চলা পোষ্টে দুয়েকটা লাইক কমেন্ট করেন মাত্র। আর বাকি অ্যাডমিনদের গুটিকয়েক সাবধানি পোষ্ট। এর পর নিজেরাও কেমন উৎসাহ হারিয়ে ফেলার দশায় উপস্থিত হই। তবুও আমরা হাল ছাড়িনি, ধিকিধিকি করে হলেও জ্বলছিলাম। ঠিক কদিন পর জানিনা, দেবেশ সিংহ নামের এক অতি উৎসাহী সদস্য গ্রুপে প্রায় সর্বক্ষণের জন্যই উপস্থিত থাকতে শুরু করল। সে নিজেও তার কয়েকজন বন্ধুদের গ্রুপে অ্যাড করে, এভাবেই একটু একটু করে চলতে চলতে, তনিমা, দেবাশীষ দা আমাদের সাথে যুক্ত হন। এরপর গ্রুপের শ্রীবৃদ্ধি ঘটান অ্যাডমিনে এসে, দেবেশ নিজে, হৈমন্তী, আরো বেশ কয়েকজন। যাদের ছাড়া আজকের যেটুকুই “অকপট” বর্তমান, তার অন্যতম কৃতিত্বের দাবিদার এনারা সকলেই।
দুর্ভাগ্যজনক ভাবেই আমরা সন্দীপ আর সুদীপ্তা কে আমাদের অকপট এর কার্যনির্বাহ বৃত্ত থেকে হারিয়ে ফেলি। সে দুঃখ আজও যাবার নয়। আজ অকপট একবছরের গ্রুপ হিসাবে তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য কিছু করেছে বলে দাবি করতে পারিনা। তবে আমাদের ভবিষ্যত লক্ষ্য এই অকপটকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ প্রদান করা। যেখানে থাকবে আর্ত পীড়িতদের জন্য নিঃশুল্ক সেবার ব্যবস্থা, থাকবে দুঃস্থ মেধাবীদের জন্য শিক্ষা সরঞ্জাম, অনাথ, পথশিশু আর বৃদ্ধাশ্রমের জন্য সাহায্যমূলক সামাজিক ভাবনা। আমাদের পরিচয় হবে নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থা, যাদের মূল উদ্দেশ্য নতুন ও উঠতি সাহিত্য প্রতিভাদের জন্য প্রাথমিক মঞ্চ প্রদান, ইত্যাদি। আর এই সকল কিছুর জন্য প্রয়োজন একটি দলগঠনের। আর অকপট সেই লক্ষ্যের পথে একটি পদক্ষেপ মাত্র।
আমি শুরুটা করি আরো সমসাময়িক পাঁচ জনের আগেই, কিন্তু আমার ধারাবাহিককরণে বেশ সমস্যা। এটা আমার একটা স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য । ঠিক সেই রকম ভাবেই আমার বন্ধুরা যখন নেট বা ফেসবুকের নামই শোনেননি তার আগেই এই দুনিয়ায় আমার হাতেখড়ি হয়ে গেছে। তারপর সেই খারা-বরি-থোর । বছর দু-তিন প্রায় গায়েব। মাঝ মাঝে আসতাম বটে কিন্তু কোন এক এক্টিভিটিই ছিলনা। ২০০৯ থেকে একটু একটু করে নিয়মিত ফেসবুকে আসা শুরু করেছি। তবে এখনকার মত মোটেই নয়, এখন তো জৈবিক প্রয়োজন ব্যতিত ফেসবুকেই থাকি।
তখন গ্রুপ কি জিনিস তেমন জানিই না। তবে বিভিন্ন পেজের বিজ্ঞাপন টাইমলাইনেই আসত। তবে এখনকার মত এত সমৃদ্ধ টাইমলাইন কারোরই ছিলনা বোধহয়। এর পর একটু একটু করে একটা একটা করে ফেবু বিজ্ঞাপিত গ্রুপে নিজেকে সেঁধিয়ে দিই আর ভাল লাগলে টিকি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিতাড়িত, কারন এই অন্তর্জালে সকলেই প্রশংশা শুনতেই পছন্দ করেন। অন্যথায় তোমার পিছলে লাথ। আমি পুরুষ, মহাপুরুষ নই, তাই আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা শত শতাংশই সঠিক ও প্রযোজ্য। আমার মতে এই গ্রুপ বাজির রমরমাটা ২০১২ সালের শেষের দিক থেকেই হবে বোধহয়।
মোটামুটি তো সবই বলে দিলাম সংক্ষেপে । আমার লেখার রোগ অতি পুরাতন, ক্লাস সেভেন কিম্বা এইট থেকেই কালিতে আরশোলা মাখিয়ে সাদা রুলটানা ডায়েরির খাতায় ছাড়ার অভ্যেস ছিল। ল্যাপটপ এসে তাতে নতুন মাত্রা জুড়ল। ভুল সংশোধনের সুযোগ ও রক্ষা করার হরেক পন্থা। আর এই ফেসবুক একটা বিচিত্র জগত খুলে দিল সামনে। তখন জানতাম না এই সীমা কোথায়, আর আজ তো পুরোটাই ঘেঁটে গেছে। শুধু জানি আমিই সত্য, বাকিরা সংখ্যা। অবশ্য নদীর অপর প্রান্তেও এই ধারনারই ভীড়। তবে মুখের থেকে এই পাড়ায় যেহেতু মুখোশ বেশি, তাই নিজেকে মানিয়ে নিতে অসুবিধা মোটেই হয়নি।
এরপর ডাস্টবিনের পচা ছানার মত একটা আধটা ছেঁড়া পোষ্ট করতে লাগলাম। এক দুজন বন্ধুরা কষ্ট করে পড়তেও লাগলেন। বুভুক্ষুর রাজ্যে এই কি কম পাওনা! আমিও আশাবাদী হয়ে উঠলাম । এর পরেই শুরু হল নিয়মিত লেখালেখি। আমি কবিতা তেমন লিখতে পারিনা, বা যেগুলো দু একটা লিখেছি সেগুলোকে আর যাই হোক কবিতা বলা চলেনা। কোন সন্দেহ নেই , সেই জন্যেই গদ্য আকারের ছোট কলেবরে বিষয় ভিত্তিক লেখা লিখে গুটিকয়েক অনেক পাঠকের নজরে পড়তে শুরু করি। তবে আমি মনোযোগী পাঠক মাত্র, আর ওই ভাল ভাল লেখা পড়েই নিজের লেখার সাধ। তখন শেয়ার ব্যাপারটা ভাল বুঝতাম না। অন্যের ভাল লেখা পেলেই নিজের টাইমলাইনে দিয়ে দিতাম, পরে একজনের অপমান খেয়ে তার নাম কৃতজ্ঞতায় দিয়ে শুরু করি।আজও যার ব্যতিক্রম হয়না। তারও অনেক পরে বাংলা হরফ এভেলেভেল হলে বাংলায় লেখা চালু করি।
তখনও আমার কাছে গ্রুপ কনসেপ্টটা পরিষ্কার নয়, কয়েকজন বন্ধু নিয়মিত আমার ওই ছেঁড়া কাথার মত লেখা নিয়মিত পোষ্ট করতেন, মূলত তাঁরাই লেখার উৎসাহটা যোগাতেন। প্রথমে ভাবতাম এই লাইকই বোধহয় কতজন পাঠক পড়লেন তার একমাত্র মাপকাঠি, আর কমেন্ট সমালোচনার। অনেক পরে বুঝেছি, এগুলো কোনোটাই নয়। লাইক জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হতে পারে, কিন্তু আমার ভাবনাগুলো লিখিত আকারে প্রকাশের পর সেগুলো মানুষ পড়েন কি পড়েন না সেটা বুঝলাম একটা সিক্রেট গ্রুপে এড হবার পর। সেখানে লেখা থাকে যে কত জন পোষ্টটি পড়েছেন। আমরা বা আমাদের মত পাবলিক প্রথমত ফেসবুক করেন মূলত সময় কাটানোর মাধ্যম হিসাবে। কিন্তু এই সময়ে আমদের বর্হিঃবিশ্বের সাথে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম বোধহয় এই ফেসবুক।
একটাসময় ছিল যখন কেবলমাত্র মজা করার উদ্দেশ্যে অনলাইনে আসতাম, এখন তো সময় খুঁজি কখন একবার গ্রুপে বা টাইমলাইনে ঢুঁ মারব। হাজার একঘেঁয়ে জোকস উতপটাং কবিতার ভীড়েও কিছু মানুষের লেখা নিয়ম করে পড়ি। অনেক লেখার সাথে নিজেকে মেলাতে পারি। বেশ কয়েকজন বন্ধু আমার লেখাও পড়েন হয়ত কষ্ট করেই, তাদের মতামতও জানান, বেশ লাগে ব্যাপারটা। সকলেই মানবেন গঠন মূলক সমালোচনা ভীষণ মূল্যবান বস্তু। তবে সকলের কথাতেই খুব গুরুত্ব দিইনা কেননা এ জগতে সকলেই নিজেকে জ্ঞানদা ভাণ্ডারের কর্তা ভাবেন নিজেকে। নিজের যোগ্যোতা না মেপে, শ্রীজাতর কবিতাতে সমালোচনা করেন, বা তসলিমার বিরোধিতা করেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে হুজুগে মাতালের দলের বাড়বাড়ন্তকে টপকে নিশ্চুপ একজন পাঠকের দাম আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান।
ফেসবুকে আমার সবচেয়ে পছন্দের হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট ইমোজিগুলো । কি সুন্দর একটা ছোট্ট ইমোজি দিয়ে অনেক কিছু বা সমগ্র পরিস্থিতিটাকে বর্ণনা করা যায়। একঘেয়ে জীবনে যাঁতাকলে, এই ফেসবুকে নিজের পুরাতন আপলোড করা পোষ্টগুলো দেখে বা বন্ধুদের রঙিন মুহুর্তের ছবিগুলো দেখে মন ভাল না হয়ে উপায় নেই। এটা রোজজীবনের একটা চটজলদি রিফ্রেশমেন্ট। ফেসবুকের মত এতো বৈচিত্রের পাশাপাশি সহাবস্থান খুব কমই বাস্তব সমাজে প্রতিফলিত হয়। অসভ্যের মত উত্তেজনা ও তার পরিণতি হিসাবে কাঁচা খিস্তির ফোয়ারাকে ড্রিবল করে এগিয়ে যেতে পারলে তার থেকে মজা আর কিচ্ছুটিতে নেই বলেই আমার ধারণা।

অনেকেই আজ কত নতুন নতুন জিনিষ শুরু করছেন। খুবই ভাল বিষয় সেটা, তবে এটা আমি মাথায় রাখি যার কাছ থেকে শিখেছি, তিনি যেন গুরুর মর্যাদাটুকু পান, তাতে ভার্চুয়ালই হোক বা বাস্তবে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, যিনি শুরু করেছেন, এগিয়ে নিয়ে যাবার গুরুদায়িত্বও তারই কাঁধে থাকে। অনেকেই এটা বোঝেননা, যার জন্য তাকে ফেলে রেখেই বাকিরা এগিয়ে যায়।
আজ যখন ফিরে দেখি একটা বছর, তখন পাওনার চেয়ে হতাশা বেশি। প্রাপ্তির ঝুলি অনেক, কিন্তু আমরা ব্যর্থ আমাদের অনেক পুরাতন বন্ধুদের এই অকপটের বৃত্তে ধরে রাখতে। তাদের ভুলের থেকেও আমি নিজেকে আরো আরো বেশি বেশি করে দোষী করতে চাই। যাতে এমন ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আমরা একটা বিষয় ভুলে যাই, যে আর পাঁচজনকে শোধরানোর চেয়ে নিজেকে বদলে ফেলা অনেক সহজ। আর আমার মতটাই সেরা ও অন্তিম নয়। এই জায়গা থেকে আমাদের আরো সহনশীল হতে হবে। বিরুদ্ধমতের ক্ষেত্রেও আমাদের উদ্ধত্বতা প্রকাশ পেয়েছে বারেবারে। তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আগামীর ভবিষ্যৎ যে নিদারুণ কষ্টের হবে সেটা বলাই বাহুল্য। আসলে আমরা তো চরিত্রগত ভাবেই ত্যাগ করতে শিখিনি। সকলের আগে ইগো , অহমিকা আর আমিত্ব কে যতটা সম্ভব হত্যা করতে হবে। তাহলেই হয়ত অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।
এই ভার্চুয়াল গ্রুপগুলোর অধিকাংশেরই বাস্তব কোন ভিত্তি নেই। আমরা সেই ছক থেকে আগামীতে বেরিয়ে এসে সমাজের জন্য কিছু করার প্রয়াস করতে পারব বলেই বিশ্বাস রাখি। আমরা বিশ্বাস করি যে গাছ দ্রুত বেড়ে উঠে , তার কাঠ দিয়ে জ্বালানি ছাড়া আর কিছুই ভাল করা সম্ভব নয়। এবং হালকা ঝড়েই তার অস্তিত্ব টালমাটাল করে। বট বৃক্ষ হতে পারি বা না পারি চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?

অন্তত একটা ছাতিম বা কদম হতে পারলেই আমরা সার্থক বলে ধরে নেব। আর তার জন্য প্রয়োজন সময়। কারন দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক কখনই সময়ের আঁচে অগ্নিপরীক্ষা না দিয়ে কুলিন হতে পারেনা। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য স্থির, তার কোন তারাহুড়ো নেই আমাদের। শত শত হাজার হাজার সদস্যদের ভিতর থেকে আগামী তিনবছরে উদ্যমী রুচিশীল ধর্মীয় কূটকাচালির উর্ধ্বে থাকা কিছু হৃদয়বান মানুষের খোঁজ অবশ্যই পাবো, এই বিশ্বাস আছে। দরকার তো ১৯ টি জেলার জন্য কমপক্ষে ৩৮ জনের। যিনি লাভের আশা না করেই কিছু সৎ সামাজিক কর্মের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পছন্দ করবেন। অনেকেই ইতিমধ্যেই কাজ নিঃশব্দে করে চলেছেন, তাদের খোঁজ করে আমাদের দলে আনার চেষ্টা চালাবো আমরা, কারণ আমরা শিখতে চাই তাদের থেকে।
তাই অকপটকে শুধু মাত্র এক একটা সময় কাটানোর ঠেক হিসাবে আমরা ভাবিনা। এখানেই আমাদের সাথে সুব্রত দা, সোমনাথ দা, প্রবাল দা, মতিভাই, দেবাশিষ দা, সহ গোপালদা, আশরাফুল, সুব্রত সহ অনেকে মানুষই আছেন, যাদের নিয়ে হয়ত আজ থেকে শুরু করলেই কোন সেবামূলক কাজ শুরু করাই যায়, কিছু দিতে পারুক বা না পারুক, উৎসাহ আর খানিকটা সময় দেবেন বলেই আমার বিশ্বাস। কিন্তু আমরা আরো দেখে শুনে আরেকটু দলে ভারি হয়ে , নূন্যতম তৈরি হয়েই বাস্তবের মাটিতে নামতে চাই। কারন নাচতে নেমে ঘোমটা টেনে হাসির খোরাক হওয়ার থেকে দু-টো দিন অপেক্ষা ভাল।

অকপটের সকল বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যদের জানাই গ্রুপের ও আমার পক্ষ থেকে অকপট ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
অকপট এগিয়ে চলুক নিজের গতিতে।
উন্মাদ হার্মাদ
চব্বিশে আগষ্ট,২০১৬

No comments:

Post a Comment