Friday, 2 January 2015

অথঃ সারমেয় কথা



"অথ: সারমেয় কথা"


আমার সম্ভুদার একটা ফেসবুকীয় পোষ্টে দেখলাম নীল জল বৃত্তান্ত। টালা থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত নীল জল ঝোলানোর বিষয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেছেন। আমি বলবো ওটা টাইগার হিল থেকে মন্দারমনি পর্যন্ত বিস্তৃত।


নীল হল যৌবনের প্রতীক। সেটা নীলা হলে দুষ্প্রাপ্য রত্ন। হিরক খন্ডের নীলাভ দ্যুতি ?সে এক অপরুপ সৌন্দর্য, দৃষ্টি সুখ। মিশরের নীল নদ- সে তো নিজেই এক জলজ্যান্ত বহমান ইতিহাস। একসময় এই পোড়ার বঙ্গে নীল বিদ্রোহ কতই না তাজা প্রান কেরে নিয়েছিল, নিজেদের অধিকার রক্ষার্তে। তবে নীল চোখের সুন্দুরীর চোখে আডাল করা যায়! বা নিলাঞ্জনের প্রলেপে ঢাকা চোখের ঈষদুষ্ণ নীলাভ ইশারা!

ইশ্বরের সাধনায় মোক্ষলাভ হলেও সেই নীলাচলের দিকেই যাত্রা করতে হয় মহাপ্রভুর মত। নীল আকাশে হারিয়ে যাবার ইচ্ছা কার না থাকে। দেবাদিদেব নিজেও ধরাধাম রক্ষার্তে গরল পান করে নীলকন্ঠ হয়েছিলেন।অনীল সুনীল পেরিয়ে এখন যদিও এটা রুদ্রনীলদের জামানা। নিলোৎপলেরা গঠনতন্ত্রের পঙ্কিল অংশে নিমজ্জিত। নীলপরীরা মঞ্চ আলোকিত করেয়াছেন সর্বত্র। সমাজে নীল্ বর্ণ শৃগালদের দাপাদাপি। রাজকীয় ফে-নীল ভাষনে আকাশ বাতাস দুষিত। সাগরের অথৈ নীল জলে ... সাদা ফেনার মুকুট... ইচ্ছে করেনা, হারিয়ে যেতে নিজের সাথ? শেষে নিরিহ কেরোসিনও আজকাল নীল। জানিনা এটা কার অনুরাগে।

ছবিতে আজকাল নীল এর ভাগ মাত্রা কম হলে সেটি বাজারে মুখ থুবরে পড়বেই। যদিও বর্তমানে গনতন্ত্র এদেশে নীলকন্ঠ পাখীর মতই নিরুদ্দেশ। প্রশাসন নামক বস্তুটি নীলগাইয়ের মতই গুটিকয়েক অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ। আইন শৃঙ্খলা লাল সালুতে বেঁধে তাকে ওঠানো আছে। কিন্তু তোমার বা আমার পানটি থেকে চুন খসলেই পেয়াদা সমনের নীলকন্ঠ হার নিয়ে হাজির হবে, পরানোর জন্য।

তবে নীল সাদা দেখে আজকাল সবাই ভয় পাচ্ছে, মানুষ ভয়ে বলতে পারেনা। পুলিশ ও ক্যাডার পিছনে পরে যাবেই। সমকের তো আর মা এর জোর নেই। পিসি বা কাকা বা বাবাও নেই। তাই সবাই ভয়েই মাটিতে নুইয়ে। কিন্তু কুকুরের জন্য পুলিশ নেই, ক্যাডারও নেই। জেল নেই। আমলা নেই, কিন্তু ওদের ও তো ভয় আছে।

কুকুর বলে কি মানুষ নয়?
তাই বোধহয় সাদা বোতলে নীল জল রেখে " নীলসাদা" কম্বিনেশন করে রেখে দিচ্ছে।
একটা প্রায় অর্ধশতাব্দী রাজত্ব করা দল যদি নীল সন্ত্রাসে শামুক হয়ে যায়। কুকুরের আর কি দোষ।
ভয় না পেয়ে উপায় কি?


No comments:

Post a Comment