Sunday, 23 August 2015

অসামাজিক - শেষ পর্ব


উম্মাদীয় রবিবাসর
********************
অসামাজিক (শেষ পর্ব)
~~~~~~~~~~~~~~~

একটা সময় কাল ছিলো, যখনকার সামাজিকতাতে সম্মান টা লজ্জাকে নিয়ন্ত্রের উপর নির্ভর করতো, এখন বিশ্বায়নের সমাজ, কত ভাবে লজ্জাকে লজ্জিত করা যায়, তার উপর সামাজিকতা নির্ভর করে। হ্যাঁ লজ্জাও আজকাল লজ্জিত হয়, কিন্তু মানুষের তাতে দায় নেয়, কারন সময়ের নিরিখে একজন মানুষের আয়ু কতটুকু?? নদীর পারে বালীর মত। আর সমাজে এই ধরনের মানুষের ভীর ই বেশী।  

সংগ্রামে ভরপূর সমাজে, সকলে সমাজপতি হতে পারেন না, সকলের সেই ইচ্ছাও থাকে না, কিছু জনের ই থাকে, এদের মধ্যেও কিছু জনই কাঙ্খিত সাফল্য লাভ করেন, বাকিরা... এখানে সমাজের অনেক দিক খুলে যায়। যারা সাফল্য পেলেন, সেই সাফল্য কে ধরে রাখতে, অধিকাংশ জন নিজের প্রানপাত ছারা, বাকি সবকিছুই করতে পারেন। এখান থেকে ক্রোধ, ঘৃনা, হানাহানি, রক্তারক্তি যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়। তার মানে কি অসফল ব্যাক্তিরা এ সব করে না?? না, তারাও করেন, কিন্তু তাদের ক্ষমতা এতো টাই সীমিত থাকে যে ক্ষতিটা তাঁকে ছারিয়ে খুব বেশী দূর ছরায় না। কারন অর্থবল ও লোকবল, বলার মত তার কাছে কিছুই থাকে না। যেখানে সমাজপতিদের স্বার্থ কে গোটা সমাজের স্বার্থ হিসাবে দেখাটাই রেওয়াজ। কারন তাদের কাছে থাকে রাষ্ট্রযন্ত্র।

যারা সাফল্য পান নি, তাদের হারাবার ও কিছু থাকে না। তাই তাদের নিয়ে সমাজের বিশেষ ভয়ের কিছু থাকে না। তাদের কাছে অবশিষ্ট বলতে থাকে সামান্য জীবনিশক্তি, যেটা আবার পঙ্গু। 

কখনো কোন পাগলাগারদে গেলে মনে হয়, সত্যিই তো... কারা সামাজিক?? পাগলগুলো?? না ডাক্তার বা স্বাস্থকর্মী রা। তারাও তো এই ভরা সমাজের মধ্যে কাওকে ভীষনরকম ভালোবেসে, মানসিক স্থিরতা খুইয়ে পাগল হয়েছে। অসামাজিক শব্দ টা এই সকল স্থাকে বড্ড মেকি মনে হয়।  

সমাজ তো একটা আয়না স্বরূপ। একটু উপর থেকে ফেলে দিন এই আয়না টা কে, দেখবেন কত রূপে কত ভাবে কত এঙ্গেল থেকে নিজেকে দেখা যাবে। একটা সমাজ কে টিকে থাকতে গেলে পারস্পারিক বিশ্বাস টা থাকা একদম প্রাথমক শর্ত। সেখানে কম বেশী হতেই পারে। আর বিশ্বাসের জন্য চাই ভালোবাসা। যেটার অভাবে আজকের সমাজে একান্নবর্তী পরিবার প্রায় নেই বললেই চলে। যার জন্য এক সমাজের মধ্যেও হাজার টুকরো সমাজের বাস। 

বৈষম্য। যা সমাজের এক চির প্রতিষ্ঠিত ব্যাধি। সামাজিক ও অসামাজিকের দ্বন্দ্বের মাত্রাটা এটা দ্বারাই পরিমাপ করা হয়ে থাকে। সমাজ মানে তো সহোযোগিতা, সহচর্য, ও সহভাগিতার একটি সম্মতিসুচক সহাবস্থান। সুতরাং বৈষম্য এলে সমাজ অসামাজিক ব্যাক্তিতে ভরে উঠবেই। সমবায় ও অনুসঙ্গ, এই দুই ছারা অসামাজিকতা কে রোধ করা অসম্ভব। তাতে সেটা কে আপনি যে ছাচেই উচ্চারন করুন না কেন।    

শিল্পকর্ম চলমান সমাজের প্রতিচ্ছবি। যুগে যুগে সমাজপতিদের এ এক বিচিত্র যোগাযোগ যে, সেই সময়কার সকল কিছু শিল্পকর্মই যেন তাদের বন্দনা গাথার এক রুপকথা হয়। মানলে রাজমন্ড , অন্যথায় অসামাজিকতার দায়ে রাজদন্ড। বৃহত্তর সমাজ সকল সময় ক্ষমতাবান দের অনুসরন করে, কিছুক্ষেত্রে অন্ধ ভাবে। রেশ টুকু রয়ে যায় শুধু। সেকালের রামমোহন থেকে রবীন্দ্রনাথ, দীর্ঘ মুসলমান শাসনকালের রেশের দরুন পোষাক পরিচ্ছদ তাদের মতই পরতেন, যেমন টি আমরা ব্রিটিশ দের অনুকরন করে থাকি। এককালে অবিভাবকরা সন্তানদের নাম দেবদেবী দের নাম ও উপনাম অনুযায়ী রাখতেন, সেটাই ছিলো সামাজিকতা, এখনো দক্ষিন ভারতে যেটা চরম ভাবে চালু, কিন্তু অবশিষ্ট ভারতে বিচিত্র তথা প্রথমবার ব্যাবহৃত কোন আবিধানিক শব্দ বা ধরেমুড়ো সন্ধি করে কোন শব্দ কে নাম বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর এটাই আধুনিক সামাজিকতা বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সমাজ বিবর্তিত হয়ে চলেছে অবিরত, তার সাথে পাল্লা দিয়ে সামাজিকতার সংজ্ঞাও বদলে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু জিনিস ধ্রুবক হিসাবেই থেকে যায়, যেমন উত্তরে রামের ভজনা তো দক্ষিনে রাবনের। ধর্মের নামে নিরীহ মানুষের বলি। জান্নাতের লোভ দেখিয়ে মগজ ধোলাই করে, সাধরানের কল্পনার অতীত অপকর্ম কে সামাজিকতার মর্যাদা দিয়ে, গোটা সমাজকে সন্ত্রস্ত করে রাখা। অস্ত্র ব্যাবসায়িরা মুনাফার লোভে উৎকোচ প্রথাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে “ভয় দীর্ঘজীবি হোক” মন্ত্রে সমাজ কে দিক্ষিত করা। এগুলোর কোন পরিবর্তন হয় নি। 

আজকের বিজ্ঞাপন সর্বস্ব সমাজে, সামাজিকতাও বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা পন্য হিসাবে বিক্রি করে, যেমন “সোস্যাল পার্টি” “গেট টোগেদার” “কিটি পার্টি” ইত্যাদি ইত্যাদি। যেখানে আপনাকে অনেক জরুরি পন্যের সাথে, এক্সট্রা ডটেড ফ্লেভারড কন্ডোমের গুনাবলী থেকে কোন কোন সুগন্ধিতে একই লগ্নে বহু ললনা রা আকৃষ্ট হবেন, বা সাতদিনে ভাঙবে না, এমন খাটের প্রদর্শনী। এগুলো একজন মাকে তার অষ্টাদশী কন্যার সাথে অত্যন্ত সাবলীল ভাবে দেখতে হবে, নাহলে ওখানে অসামাজিক হবার ভয় থাকবে।

সীমান্তের এপার, ওপারের মা বোন সহ গোটা সমাজকে তীব্র ভাষায় আক্রমন করবে এবং ওপার ও একই ভাষায় প্রত্যুত্তর দিয়ে সামাজিকতার দায় রক্ষা করবেন। আজকের সমাজে ধর্ষন থেকে পিতার খুন, অর্থের বিনিময়ে ক্ষতপূরণ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি পূরন নয়, ক্ষতপূরন। এটাই আধুনিক সামাজিকতা। 

সামাজ কে থাকতে গেলে তার বংশবৃদ্ধি প্রয়োজন, তার জন্য বিগত সকল সমাজেই বিবাহকে সামাজিকতার অন্যতম স্তম্ভ রুপে মর্যাদা দিয়েছিলো, বর্তমানে পুরুষে-পুরুষে বা নারীতে নারীতে বিবাহ স্বীকৃত, এটাই সামাজিকতা। এনাদের ভবিষ্যতের দায় নেই, কারন বর্তমান সমান নিজের জন্য বাঁচে। একটা সময় প্রকৃতিকে সমাজ পূজা করতো সমবেত ভাবে, এর পরের পর্বে সমাজ প্রকৃতিকে গনধর্ষন করেছে, প্রকৃতি এখন শোধ নিচ্ছে, তার রুদ্র রোষের মাধ্যমে। এটাও সামাজিকতা। 

ভারতের কোন স্থানে অগ্নেয়াস্ত্র সহ চলাফেরা করা যতটা অসামাজিক, পশ্চিম আফ্রিকা সহ মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশেই এ অত্যন্ত সামাজিক। এক সময় কোনো ব্যাক্তির একটি মোটর সাইকেল আর ঘরে রঙ্গিন টেলিভিসন থাকা মানে, শুধু ওই বস্তু গুলির জন্যই তিনি সমাজের উচ্চকোটি তে অবস্থান করতেন। এখন একটি হ্যাচব্যাক চারচাকা মোটর থাকলেও তিনি তেমন সম্মান লাভ করেন না। পুরুরঘাট বা কলপাড়ের গপ্প বা আটচালা বা বেড়ার ক্লাব ঘরের নিখাদ আড্ডা আজ সকলই তালুবন্দি। মুঠোফোন খুললেই আপনি ইচ্ছামত স্থানে পৌছেযাবেন, শুধু গন্তব্যের ঠিকানাটা জানা চাই। এটাই আধুনিক সামাজিকতা, আপনি মানাতে না পারলেই বাতিলের দলে নাম লেখাবেন, অসামাজিক হয়ে যাবেন। 

ধর্ম গুরু থেকে শিল্প জগত, আধুনিক কালে সমাজের শীর্ষ স্থানীয় যারা, সমাজের উন্নতি সাধনের জন্য প্রত্যেকেই রাজনীতির আশ্রয় নেন, কারন রাজনীতিতে একটা তৈরি সংগঠন পাওয়া যায়, তাই অপর পক্ষে রাজনীতির কারবারিরাও এই জগতের লোকেদের খোঁজে, তাৎক্ষনিক জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু সামাজিকতার সাথে মুনাফা শব্দ টা যে যায় না। তখন ই ভোল বদলের প্রয়োজন হয়। সমাজের সকল স্তরের প্রতনিধিত্বমূলক অংশগ্রহন তথা কেন্দ্রীভূত পরিকল্পনায় সকল স্তরের মতামত কে গুরুত্ব দেওয়া গেলে অসামাজিকতা কে দূর করা সম্ভম। 

প্রথমে প্রানী সমাজ। তারপর মনুষ্য সমাজ, সাদা কালো সমাজ, হিন্দু সমাজ মুসলমান সমাজ, আদিবাসী সমাজ, খ্রিষ্টীয় সমাজ  শিখ সমাজ, ইত্যাদি ধারায় বিভক্ত ছিলো।  বর্তমানে সুশীল সমাজ সংবাদ শিরোনামে, বুদ্দিজীবি সমাজ ও একটা স্থান দখল করেছে। এ সবটাই পুঁজিবাদী সমাজের শোষণ কৌশল, অবশিষ্ট গাড়ল সমাজ কে ক্রীতদাস সমাজে পরিনত করা। সামাজিকতাকে মান্যতা দিতে হলে সমাজতন্ত্র কে প্রতিষ্ঠা করতে হবে সর্ব প্রথমে। 

সমাজতন্ত্র কে একটা গঠন মূলক রুপ দিতে, রাজা মান্ধাত্বা থেকে শুরু করে রাজা ভরত, শ্রীকৃষ্ণ হয়ে খ্রীষ্ট ও মুহাম্মদের সারনী বেয়ে, শ্রী চৈতন্য, মার্কস, এঙ্গেল ও হাল আমলের রাজা রামমোহন, প্রভুপাদ বা আন্না হাজারে। জনগন দেকেছে, ইতিহাস সাক্ষী। সকলেই বিগরে যাওয়া সমাজ কে শোধরানোর পন্থা নিজের নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাতলে গেছেন বা যাচ্ছেন। বর্তমানে ও আছে , কোথাও আইসিস বা লস্কর, তো কোথাও বজরঙ্গ সেনা। কারন তারা শক্তিশালী। আর জনগন?? তারা চার দেওয়ালের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে, কেও কেও এই সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিপ্লব ও হচ্ছে, ইথারে, মিলিয়েও যাচ্ছে, ইথারেই। সমাজবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ আর জাতীয়তাবাদ এখন সমান্তরাল সরলরেখায় অবস্থান করছে, সেখানে অসামাজিক শব্দ টা অবসর নিয়েছে।
এখন তো রাজনীতিতে সমাজবাদী কথা টাই বেশী জনপ্রিয়। সমাজতন্ত্র কে বাদ দিয়ে গনতন্ত্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। হলেও সেটা হয় ক্ষনস্থায়ী হয় বা কালক্রমে রুপান্তরিত রাজতন্ত্রে পরিনত হয়।  ভাষাভেদ থাকতে পারে, কিন্তু দেশে দেশে এটাই শেষ্ঠ খুড়োর কল কিন্তু সেই “সমাজবাদী” শব্দ টি, কারন ইহাই ব্রম্ভ।  সেখানে মুলায়ম সিং বাবুরা পরিস্থিতির লাভ উঠিয়েছেন মাত্র। কারন এই লিষ্ট (https://en.wikipedia.org/wiki/Socialist_Party ) টা থেকেই দেখা যায়, পৃথিবীর সর্বত্র এই নামের রাজত্ব। 
শ্রেনি হীন সমাজ , সোনার পাথর বাটি। অলীক স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া করলে বাস্তব আছার মেরে ফেলে দেবেই। তখন সমাজের দোষ দেওয়া ছারা হা-হুতাস করার কিছু থাকে না। তাহলে প্রশ্ন, জনগন এদের ই কেন নির্বাচিত করছে না?? কারন আদর্শগত ফারাক, সমাজের সকল স্তরের সাথে এবং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ও সমন্বয়ের অভাব। এবং পুঁজিপতি দের ক্রমবাড়বারন্ত। এনাদের সকলের ই যদি, ভালো করার ক্ষমতা থাকতো তাহলে দক্ষিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ সহ চীন বা উত্তর কোরিয়া তে বা আমাদের এই পোড়া বাংলাতে সমাজবাদে ঝান্ডা ধরা সমাজপতিরা কিছু করতে না পারুক সকলের সুষ্ঠ রোজগারের পথটা অন্তত বাতলাতে পারতেন। পারেন নি কারন ব্যাক্তি স্বার্থ এক সময় সমাজ থেকে ব্যাক্তিদের পৃথক করে দেয়। তাই সমাজের অহর্নিশ ঘটে চলা পরিবর্তনে নিজেকে প্রস্তুত করতে না পেরে, দমনের রাস্তা বেছে নেয়, ফলশ্রুতি হিসাবে বিপ্লবের জন্ম হয়। নতুন সমাজ সৃষ্টি হয়। আসে পরিবর্তন।   

এখন চাই উন্নতশীল সমাজ। দ্রুত উন্নয়ন। দ্রুত উন্নতি মানেই, সমানে পরিবর্তন কে স্থান করে দেওয়া। কিন্তু শাষকের পছন্দ অচলায়তন। তাই সেটা কে অগ্রাহ্য করে সমাজ কিভাবে সামাজিক হয়ে উঠে, সেই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইতিহাস। আর আমরা!! আমাদের লক্ষ্য থাকুক দৈনিকের পাতায় বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বা এই ... সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর বেশী আর আমরা কি ই বা করতে পারি।

সেবাই হল সমাজিকতার শ্রেষ্ঠ কর্ম। সেটা নিঃস্বার্থ না হয়ে স্বার্থসম্মিলিত হলেও তা সমাজের জন্য মঙ্গলদায়ক ই হয়। কারন বাস্তবতা কে স্বিকার করে নেওয়াটাও উন্নতশ্রেনির সামাজিকতা। চলমান সামাজিকতাতে উদ্দিপনা কম, কিন্তু পরিসর অনেক বেশী, জনহিত করার। মুক্তবাজারের বিশ্বে সহজলভ্য ঋণের হাতছানি, ক্ষনকালিক ব্যাক্তিকে অহঙ্কারি করে তুলছে, সুনিশ্চিত রোজগার না থাকার দরুন, দেওলিয়া হতে বেশী সময় লাগছে না, দড়ি টানাটানির খেলা শুরু হয়ে যাচ্ছে ব্যাক্তি আর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, যেখানে সমাজপপতির দল প্রতষ্ঠানের পক্ষে, সেখানে অসামাজিকতার বীজ ছরিয়ে পরছে কর্কট রোগের ন্যায়গোটা সমাজের বুকে।

সমাজপতিরা সহ গোটা সমাজের দায়বদ্ধ থাকা উচিৎ অসামাজিক দের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে, সুস্থ বাঁচার পরিবেশ প্রদান করতে। সমাজ চাই তার নিরাপত্তা, সমাজপতিদের কাছে রাষ্ট্রের কাছে। স্বাধীন চিন্তাভাবনাদের প্রসব কে সুরক্ষিত করতে হবে সমাজ পতিদেরই। সেটা যতই ব্যাক্তিস্বার্থের পরিপন্থী হোক না কেন। তবেই অসামাজিকতার করাল গ্রাস থেকে সমাজ সুরক্ষিত থাকতে পারবে।  

পরিশেষে অসামাজিক বলে আর কিছুদিন পর হয়তো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না , কারন সেটাই তখন উন্নতশীল সামাজিক প্রবনতা বলে গ্রাহ্য হবে। এ নিতান্তই উন্মাদীয় ভাবনা। সুতরাং নির্ভয়ে উন্নীত হবার বাসনা নিয়ে সমাজের ভিতরে ঝাপিয়ে পরুন। 

জয় হিন্দ
(উন্মাদীয় বানানবিধি অনুসৃত)

উন্মাদ হার্মাদ​


No comments:

Post a Comment