Thursday, 10 September 2015

নায়ক বনাম অভিনেতা



নায়ক বনাম অভিনেতা



তেরোর গেঁড়ো, অনেকের অশুভ হলেও অনেকের পৌষমাস। কি আশ্চর্য আজ নাকি মানবাধিকার দিবস। কি ন্ত কে মানব? যে ফুটপাতে গাড়িচাপা পরে মারা গেছে, নাকি যারা পঙ্গু হয়েছেন? নাকি সাক্ষী রবীন্দ্র পাতিল? নাকি ভাইজান মানে সুলতান।

প্রথম প্রশ্নঃ ফুটপাতে মানুষ শোবে কেন?
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ গাড়ি কে চালাচ্ছিল?
তৃতীয় প্রশ্নঃ সালমান খান মদ্যপ ছিলেন কি না!!
উত্তরঃঃ সালমান খান বেকসুর খালাস।
অর্থনৈতিক বৈষম্য দ্বন্দ্ব কারী দুই ব্যাক্তির মধ্যে আসমান জমিনের ফারাক হলে, অনেক প্রশ্ন করতে নেই, যেমন মৃত্য বা অঙ্গহানির প্রশ্নই এখানে মোটেই বিবেচ্য নয়। আরে বাবা পায়সা তো দিয়ে দিয়েছে। ভাইজান। বজরঙ্গী ভাইজান।
পুলিস গ্রহনযোগ্য তথ্যপ্রমান দিতে পারেনি। সেটাই কি স্বাভাবিক নয় কি? ভারতবর্ষের আইন কচ্ছপের গতিতে এগোয়, কিন্তু মানুষ তো আর কচ্ছপের আয়ু বিশিষ্ট নয়। তাই আইন আইনের পথেই চলে। মাঝখানে ভাইজানের দেহরক্ষী রবীন্দ্র পাতিল সাক্ষ্য দেওয়ার দরুন চাকরি যায়, না মানে চাকরি যাবার জন্য অবশ্য অন্য অজুহাত ছিল।
এর পর কোন এক অজানা ক্ষয়রোগে রবীন্দ্র আক্রান্ত হয়, পুলিস উল্টে রবীন্দ্রর নামে হুলিয়া জারি করে। এরপর ২০০৭ সালে সঠাত মুম্বই এর রাস্তায় সেই রবীন্দ পাতিলকে দেখা যায়। এর পর সব শেষ। শেষ দিন পর্যন্ত সে নিজে অবশ্য তাঁর বয়ানে অটুট ছিল। যদিও পুলিস সেটা মানেনি।
সাক্ষীর অভাবে সালমান খান মুক্ত। নিশ্চই আইনের প্রতি ভরসা বাড়বে। অন্তত যারা প্রভাবশালী, ও বিপুল অর্থ আছে খরচ করার মত। অন্ধ আইনকে সময়ের আবর্তে ফেলে সময়মত বেড়িয়ে আসতে পারবে। আইন আইনের পথে চিরকালই চলে।
সব কিছু একটু থিতিয়ে গেলেই বেকসুর খালাস। আর সাক্ষী? রাখেন আপনার সাক্ষী। সব হাপিস হয়ে যাবে।
আইন কখনোই যে প্রশ্ন টি দেখবে না (কারন আইনের চোখ বাধা): ফুটপাত বাসী ওই মৃত মানুষ টি মৃত হল কিভাবে? নাকি ওই লোকটি মাতৃগর্ভ থেকেই গাড়িচাপা পড়ে মৃত বড় হয়ে ছিল।
"বিয়িং হিউম্যান"
নাহ রবীন্দ্র পাতিল বা তাঁর পরিবার কখনো এই নাম শুনেছেন বলে জানা যায় নি। বিয়িং হিউম্যান ও কখনো রবীন্দ্র পাতিল নামের কারোর নাম শোনেনি।
সালমান খান দুরন্ত সফল অভিনেতা নিঃসন্দেহে, "নায়ক" নন।
~উপরের ছবিটি ইন্টারনেট থেকে নিয়ে এডিট করা, রবীন্দ্র পাতিলের, সুস্থাবস্থার ও ক্ষয় রোগগ্রস্থ অবস্থার। 

উন্মাদ হার্মাদ

No comments:

Post a Comment