*****উন্মাদীয় রবিবাসর*****
রাজকন্যা
কি কম পরিয়াছে!
নাহ, শুন্ডি বা হাল্লারাজের রাজত্বে
রাজকন্যা কম পরেনাই, নির্বিঘ্নেই শুভকর্ম
সম্পন্ন হইয়াছিল।
অবশ্য
আচ্ছেদিনের রাজত্বে বিগ্রহ কম পড়িয়াছে। অবশ্য পরারই কথা। কলঙ্কময় ইতিহাসের আর
যাহাই হউক পূজা করা চলেনা। নাট্যকার বেট্রোল্ট ব্রেশটের অমোঘ বানী আমাদিগের জন্য
যথাযত “এদেশ দুর্ভাগা, কারন আজও তাহাদের প্রতিনিয়ত নায়ক
খুঁজিতে হয়”। অতএব পূবে তাকাও
নীতির পাকা ফসলে ধর্মীয় মোড়ক মিশাইয়া ভক্তি সহযোগে বাজারজাতকরন। বাঙালীর বিবেককে
রাষ্ট্রের নব ইশ্বর রূপে প্রচার,
ফলাফল
হাতেনাতে। যদিও তাহাতে পরিতৃপ্তি মিলে নাই, মেক
ইন ইন্ডিয়া যে আদপে একটি ধক্কানিনাদসর্বশ্ব বিজ্ঞাপনই, তাহার প্রমানে দেশের লৌহপুরুষকে
চৈনিক ছাঁচে ঢালিতে হয়, নাহ সন্তুষ্টি ইহাতেও
অনুপস্থিত। মূল সন্তুষ্টি আসলে বৈভবে ও বিভাজনে। মহান ভারতবর্ষের মহান ঐতিহ্য, সেই দেশ ডিজিটাল হইতেছে , ৪৫০ কোটি মুল্যব্যায়ে মঙ্গলে যান
পাঠাইয়াছি, বিশ্বের দরবারে
বিজ্ঞানের মুখ উজ্জ্বল করিয়া। পাশাপাশি বিগ্রহ খুঁজি বর্গিতে। অতএব ইহা আরো বৃহৎ
উন্নয়ন, অন্তত দেশপ্রেমিক
প্রমানের হেতু। হউক না করের টাকা ধ্বংস, মাত্র
৩৬০০ কোটিই বই বেশি তো নয়। মঙ্গলে যান কি মঙ্গলকার্য সম্পাদন করিতেছে, মঙ্গলে পৌছাইয়া কে দেখিয়াছে
মিডিয়া নামক প্রানীটিরও তাহাতে আপাত কোন উৎসাহ নাই ? কিন্তু
বঙ্গীয় বর্গিকে মহারাজ বানানোর আতিসায্যে বঙ্গীয় ভক্তকুলের উল্লাসের সীমা নাই।
সত্যমিথ্যা শিকেই তুলিয়া রাখিয়া দিন, কোনটি
তাহা হইলে ইতিহাস?
নতুন
জানালাতে নতুন মিলন, সংযুক্তি মুল্য ২৬০০
কোটি ডলার। না চক্ষু তালগাছে তুলিবার আবশক্যতা নেই, মিলনটাও
দুই হস্তির মধ্যে- মাইক্রোসফট আর লিঙ্কডইন, মাভৈঃ
মাভৈঃ। গান্ধীবাবা সংসদে ভুমিকম্প আনিতে ব্যার্থ হইলে কি হইবে, ৭ই ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়াতে ভয়াবহ
ভুমিকম্পে দেশ তছনছ হইল। পরদিনে আধারকার্ড বাধ্যতামুলক করিয়া বয়স্ক নাগরিকদের
রেলযাত্রা ভাড়া ছারের উপরে ভুকম্পন আনিয়া দিতে, রেলমন্ত্রক
যে সক্ষম হইয়াছে তাহাতে দ্বিমত নাই। সর্বজনের আধার কার্ডের আঁধার অবস্থাটা
সুধীজনের নিকট অজ্ঞাত কিছু রহিয়াছে কি!
বিচক্ষন
ব্যাক্তিজনে নিজ কৃতকর্মকে ভুলিয়া যাননা। অপকর্মের সামান্য ছিটাও একতাল সাফল্যের
দুগ্ধে পুতিগন্ধময় চোনা ফেলিয়া দেয়। অবশ্য আজিকাল দুগ্ধ অপেক্ষা চোনাই উত্তম, বিজ্ঞান মঞ্চেও খাঁকি মস্তিষ্কের
(অ)বিজ্ঞানীদ্বয়ের তেমনটাই দাবি। সৌরভ , দ্রাবিড়, যুবরাজ, শেহবাগ, গম্ভীর, হরভজন অনেক এমন বরেণ্য খেলোয়ারগন
যাহার কোপে পরিয়া আজ লাশকাটা ঘরে তাদের ক্রিকেটিয় সরঞ্জাম পৌছাইয়া দিয়েছেন, সেই ধোনী হঠকারি সিদ্ধান যে
নেবেননা, তাহাতে আশ্চর্যের কিছু
ছিলনা। আশ্চর্য হইল , ক্ষমতার চুরান্তে
পৌছাইলে, সেই ক্ষমতার
রক্ষাকর্তাকে সম্ভবত ভুলিয়া যায় অনেকেই। ফলাফল ঠাকুরে-ঠাকুরে সংঘাত, আম্পায়ার লোধা। অতঃপর দড়িতে টান
পরিতেই, ছোট ঠাকুর বির্সর্জিত
হইল মুম্বইয়ের আরব সাগরের নীলজলে। বড় ঠাকুর সংবিধানের রক্ষাকর্তার মসনদটি খেহরের
নিকট অর্পন করিবার পূর্ব মুহুর্তে , ভোট
মাধুকরীতে দাড়ি- টিকির প্রত্যক্ষ অস্তিত্বটুকুর আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘটাইলেন, তৎসহিত দালান বা প্রাসাদভাড়া হইতে
প্রাপ্ত রোজগারকে করমুক্তও ঘোষনা করিয়া গিয়াছেন ।
গাধার
কীর্তি কিম্বা দীপ জেলে যায়,
বাসি
খবর। তপ্ত বাক্যাবানে বাঙালির প্রতিটি সন্ধ্যাকে অশ্রুসজল যাত্রাপালাতে বুঁদ করিয়া
রাখিয়াছে সন্দেহ নাই। সকল পক্ষেই বন্দি বন্দি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অন্তর্জালের
গিটে গিটে তোতাপাখির বুলি হাতিয়ার, পক্ষে
ও বিপক্ষে। ঝ্বঞ্ঝানগড়ী দ্রাবিড়ভূমীও সদ্য মাতৃহারা, অশ্রুর
কল্লোলিনী সেখানেও কম কিছু প্রবাহিত হইতেছে না। যদিও জুবিলি পালাগানটি চলিতেছে
নবাবের শহরে রমরমিয়ে। শিওরে ভোটরঙ্গ অতএব মাদারির খেলাতে সাইকেলের চড়কি আজও
জনপ্রিয়।
কাঁদুনে
একটা শিল্পের নাম। নাহ, বিদায়ী মঞ্চে ওবামা
সাহেবের কোটের কলার ভেজানো কান্না অনেকেই দেখিয়াছেন, কিন্তু
আমাদিগের দেশে কাঁদুনে গাইওকি একটি পেশাও বটে, নাম
রুদালি। গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে এঁদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়, যেখান হইতে আমাদের দেশের বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী। সেই সুত্রে তিনি কাঁদুনে শিল্পে বেশ পারঙ্গম তাহা আজ দেশবাসী অবগত।
অবশ্য বাংলা সকলসময়েই পথ দেখাইয়াথাকে, নাহইলে
সন্ধ্যা রায় কিভাবে সাংসদ নির্বাচিত হন! ওইদিকে মেরিলস্ট্রিপ সোনালী বলের
অনুষ্ঠানে বলিয়া বসিলেন, সেরা অভিনেতা নাকি
তাহাদের দেশজ সেই সবচেয়ে ঘৃনিত মানুষটা যিনি ওমাবার মানবিক উত্তরসূরি। তিনি তাহার
সীমাবদ্ধ জ্ঞানের মধ্যে বলিয়াছেন,
উনি
যাহা জানেননা তাহা হইল- অভিনয় বিদ্যাতে আর গলার স্বরক্ষেপনে তারতম্য ঘটিইয়া
দিল্লির মসনদে “আবকি বার, ____ সরকারের রাজ প্রতিষ্ঠিত, তাৎক্ষণিক অভিনয় দাগ কাটিতে সক্ষম
নয়, অতএব নিরবিচ্ছিন্ন ধারা
এখনও বর্তমান, পালা সুপারহিট। হায় রে
মেরিল স্ট্রিপ... এই সাপখোপ,
গরম
, ধুলো, মশা মাছির দেশটা বিশ্বকে অভিনয়টাও
শেখাইয়াছিল যে। ইহাকে নাকি অবজ্ঞা করে ডোনাল্ড!! ডাক না হইলেও তুমি ডাক হইলে।
বাজাও বিগিউল ট্রাম্পেট দেশজ খঞ্জনীর সহিত।
ভাবনার
অভিমুখ বারবার ঘোরাইবার আশু প্রয়োজন তখনই ঘটে যখন সার্বিক ব্যার্থতা গ্রাস করিতে
উদ্যত হয়, আর তখনই নানান ফন্দি
ফিকির খুজতে হয় পিঠ বাঁচাইবার তরে। ভরের নিত্যতা সুত্র মানিলে শুধু স্থান কাল আর
পাত্র বদলিয়া যায়। জালিকাট্টু- ভাঙ্গর- বা নোটবন্দি সত্যিই তো এগুলোর পিছনে সত্যিই
কি কোন গূঢ় কারন রহিয়াছে? একটাই কারন অক্ষমের
ক্ষমতা প্রদর্শন। “ আমাদিগের দেশের শতকরা
নব্বই জনই অশিক্ষিত,অথচ কে তাহাদের বিষয়
চিন্তা করে? এইসকল বাবুর দল কিংবা
তথাকথিত দেশহিতৈষীর দল কি? ” এই বানীটিকে পুঁজি
করিয়া, "আমাদের জাতের কোনও ভরসা
নাই। কোনও একটা স্বাধীন চিন্তা কাহারও মাথায় আসে না - সেই ছেঁড়া কাঁথা, সকলে পড়ে টানাটানি" এই
বানীটিকে ধ্রুবক মানিয়া, "জোর ক'রে সংস্কারের চেষ্টার ফল এই যে, তাতে সংস্কার বা উন্নতির গতিরোধ
হয়। কাউকে ব'লো না-'তুমি মন্দ', বরং তাকে বলো-'তুমি' ভালই আছ, আরও ভাল হও" এই বিবেকবানীটি
সযত্নে ভুলিয়াছেন।
আমরা
শান্তির জন্য কি কি না করিতেছি,
অস্ত্র
খরিদ করিতেছি সৈন পালিতেছি, ঠান্ডাঘরে বৈঠক করিয়া
ক্লান্তও হইতেছি। শান্তির ঠিকাদার হিসাবে আমেরিকাকে আদর্শও মানিতেছি। আবার সেই
শান্তির বৈঠকের পরের বৈঠকটিই অস্ত্রের বিকিবিকির আসর হিসাবে প্রকটিত হইতেছে, গোপনে নাজানি আরো কত কি যে হয়। হয়
তো বটেই , নাহলে জঙ্গিবাদের পালে
এতো হাওয়া লাগায় কাহারা! বিশ্বব্যাঙ্ক নাকি পাকিস্থানে ৭০০ কোটি টাকা লোনদান রদ
করিয়াছে, ইহা প্রকাশিত। কিন্তু
অতীতে কত দিইয়াছিল আর ভবিষ্যতে কত দিইবে সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু অন্তরালে অধরাই
রহিয়া যায়।
সংস্কার
বলিয়া আসলে কিছু হয়না, খানিক ধাপ্পা মাত্র।
নাহইলে ৯ই ডিসেম্বর কেরলের পদ্মনাভন মন্দিরে পুনরায় কেন “ড্রেস কোড” চালু হইবে! আসলে আমরা ততটাই
বিল্পবী যতটা আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করিতে প্রয়োজন, ব্যাক্তিও হইতে পারে বা বৃহত্তর।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চকেও ঘটা করে প্রচার করিতে হয়- ইংরাজিই বিশ্বের ক্ষমতাধর ভাষা।
আসলে ওইটি পড়িতে হইবে ক্ষমতাধরের ভাষা, হউক
বা না হউক । মূল যন্ত্রনা হইল মার্কিন পাড়াতে, চৈনিক
অভ্যুথানের পালটা হিসাবে ‘সততার প্রতীক’ টাইপের কিছু একটি।
ডিসেম্বর
১০ নাকি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। রাজ্য দেশ ইত্যাদি ছাড়িয়াই দিন। আন্তর্জাতিক যখন, তখন একটু সিরিয়া একটু বাংলাদেশের
হিন্দু, একটু রহিঙ্গাদের, নাইজিরিও ইহুদী, বা দেশে দেশে সংখ্যালঘুদের কথা
ভাবা যাউক। অবশ্য তাহাদের মানুষ ভাবলে তবেই না মানবাধিকার। না ভাবলে একটা ভাল
ফিল্ম বা ‘যাক আজ একটা অন্তত
পেপারে খবর আছে’ হয়েই মনে প্রশান্তি
প্রদান করিয়া স্থিত হইবে। আমি ভাবি ওইগুলো জানোয়ার হইলেও WWE পক্ষ থেকে কোন না সংরক্ষনের
ব্যাবস্থা করা হইত। কেন যে তোরা মানুষ হইলিনা থুক্কুরি জানোয়ার হইলিনা।
না
কাহাকেও কিছু করিতে বলা হইতেছেনা,
কিই
বা পারি আমরা। নারীমুক্তির কথা বলি ঠিকিই। আসলে কিন্তু সকল নারীই মুক্ত, বশ্যতাটা স্বিকার করিয়া নিলে।
তাহা স্বাধীনতার হউক বা পরাধীনতা। সকলে বলিবে সুখ শান্তির নিমিত্ত এতটুকু তো মাত্র
আত্মত্যাগ। তাই তাঁহারা শুধু আত্মত্যাগই করেন, বাকি
সকলকিছুই ব্যাতিক্রম। যাহা কিছু কর্মসম্পাদন সকলটাই পুরুষ আর তাহাদের পুরুষাকার।
তাহা হইলে পুরুষ কি করে? ক্রোধিত হইলে সেই নারীর
উপরেই শরীরের ঝাল প্রশমন করে প্রহার করিয়া, আমোদিত
হইলে বিনা কন্ডোমে একরাতে তিনবার। পাঁচ বৎসরে চারটি কোলেকাঁখে, পরিপূর্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার
রূপায়ন। নারী কি চাহিল তাহার পরিজ্ঞাত কি খুব প্রয়োজন? ‘নে ছেলেপুলে মানুষ করনা বাওয়া, আমি কি তোকে আর ডিস্টাব করেচি’? নারীকে তাহার নিজস্ব পরিসর দিতেই
না আরো অনেকগুলি সখী জুটাইয়া রাসপুঞ্জের নৃপতিসাজ। অমর বাণী- ‘আমারও কিচু চাহিদা আচে নাকি’। নাহ প্রতিবাদ বর্জনীয়, করলেই কিন্তু শান্তিভঙ্গের দায়ে
অভিযুক্ত। আমরা পুরুষ।
সাধু
কি জোর করিয়া বানানো যায়, অবশ্য রাষ্ট্র চাহিলে
হইতে হয়, অন্তত খানিকটা জোর তো
খাটানোই যায়। ষড়রিপুর অন্যতম মদ। আপনি বলিতেই পারেন ‘আরে বাবা এ মদ সে মদ নয়’। সে আপনি যতই বলিতে থাকুন, আমি কিন্তু এমদই মানিব, যে মদ বিহারের পদাংক অনুসরণ করিয়া
উত্তরাখন্ডের তিন জেলাতে নিষিদ্ধ হইল। সম্মানের বলপূর্বক আদায় অক্ষম, ইহাই ডাকপুরুষের বানী।
উচ্চন্যায়ালয় সম্ভবত ভুলিয়াছেন,
চোখে
গেরুয়া সুরমা পরিয়া অবসরোত্তর জীবনে কতৃপক্ষের নেকনজরে রহিবার অভিপ্রায় হইলে
এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। ধর্মতলার মোড়ের রিগ্যাল সিনেমা হলে, শহুরেপল্লির ফুটোমস্তান পাচু ‘লেহেঙ্গা মে চিউটা’ নামক ভোজপুরী চলচ্চিত্র দেখিয়া
অন্য কিছু খাড়া করিবার নিমিত্তে প্রস্তুতি চুরান্ত, সহষা
সমস্বরে রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত... সকল মৌতাত ফেলিয়া গোটা শরীরটাকেই উতুঙ্গ করিবার ফরমান
পালন, নিন্মাঙ্গাভরনীর
মুত্রাধারন্মোচক বিঘৎ শৃঙ্খলে কি হইবে তাহা সুপ্রীম কোর্ট কোথাও বিবৃত করেননি।
যেমন নিঃশব্দে কেন্দ্র সরকার গৃহসজ্জাতে ব্যাবহৃত রং এ মারাত্বক ক্ষতিকারক সীসার
ব্যাবহার পুনঃকার্যকর করিল কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ব্যাতীত। চিন পারিলেও আমরা
পারিনা, অবশ্য চীন তিব্বত আর
নেপালে কার্গো পাঠাইবার বন্দোবস্ত করিয়া ফেলিয়াছে। ভারতও ভিয়েতনামের সাথে অসামরিক
পরমানু যুক্তি সারিয়া ফেলিয়াছে ১৪ তম দেশ হিসাবে। ক্যাসলেসের ঘটনা সকলেই অবগত, সেই সংক্রান্ত নানান তরজা, মোবাইল অ্যাপসের গল্পও
সর্বজনবিদিত। যাহা অনেকেই জানেননা, তাহা
হইল কেন্দ্র দুইটি TV চ্যানেলও খুলিয়াছে এই
উপলক্ষে, ডিসেম্বরের ১১ তারিখে।
চ্যানেল দুইটির নাম ‘ডিজিশলা আর ডিজি ধন
অভিযান’। সানি মামনির ল্যায়লা
মে ল্যাহলা হজম হইলে এই চ্যানেলও নিশ্চিত আপনাকে মোনরঞ্জিত করিবেই।
খুব
স্বল্প সময়ই এমন উপনীত হয় যখন আপনি যাহাই করেন তাহাই ঠিক। আর সেই মুহুর্তে যাহা
কিছু হয় তাহাও আপনার জন্যই আপনাকে সাহায্য করার হেতু। উদাহরন চান? বিরাট কোহলী। এই ফাঁকে বলিয়া রাখি, T-20 স্পেশালিষ্ট ব্রেন্ডন
ম্যাকুলামের দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হইলেন বিল ইংলিশ। পাওলো রোসির দেশেও একই বদল, নতুন প্রধানমন্ত্রী হইলেন পাওলো
জেন্তিলোনি। বিগত কয়েকমাসে ম্যাকুলাম বা তাহার ক্রিকেট প্রাসঙ্গিক থাকুক বা না
থাকুক, ভারতীয় প্রট্রোলিয়াম
মন্ত্রক অবশ্য T-20 ঢঙে, মুল্যবৃদ্ধির স্কোর বৃদ্ধি করিয়াই
চলিতেছে। জনগন অবশ্য মুলায়ম,
CBI, জাল্লিকাট্টু
আর জায়রা ওয়াসিম কে নিয়েই শশব্যাস্ত। ভূস্বর্গের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নামিলে
কি হইবে, লেপের নিচে পারদ অবশ্য
চড়িয়াই রহিয়াছে, সৌজন্যে সোশ্যালমিডিয়া।
এই জাতিটাই নাকি স্বাধীনতার দাবীতে আন্দোলন করিতেছে।
ঘটা
করিয়া গঙ্গা সাফাই অভিযান ঘোষনা হইয়াছিল, একটা
মন্ত্রীও নাকি রহিয়াছেন কেন্দ্রের, এই
শিরোনামে। কি লাভ হইয়াছে কতটা হইয়াছে সে প্রশ্ন উত্থাপন করিয়া দেশদ্রোহী হইবার শখ
কাহারো থাকিতে পারেনা! কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বরাদ্দ হইয়াছে আর তাহার পূনঃপূনঃ
গঙ্গাপ্রাপ্তি হইয়াছে। আচ্ছা মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে নর্মদা সেবা প্রকল্পের সূচনা
হইয়াছে তাহারও কি এমনই নর্দমা প্রাপ্তিই হইবে? মধ্যপ্রদেশে
গঙ্গা নেই। আসলে এই একটি স্থানে আসিয়া গঙ্গা আর নর্মদা মিলিয়া গেল। মেলাইলেন
তাঁহারা মেলাইলেন।
১২
ডিসেম্বর টাটা সাম্রাজ্যে মিস্ত্রির অপসারন ঘটিল, কাকতালীয়
ভাবে সেই দিনেই বিশ্বের বৃহত্তম সুরুঙ্গপথ গথাম টানেলও জনগনের জন্য উন্মুক্ত হইয়া
গেল। সুরুঙ্গের অন্তরালে কৃত্রিম আলোকে উদ্ভাষিত গোপন ন্যাক্কর ইতিহাস। আজি অবশ্য
পুর্বোক্ত সাম্রাজ্যে নটরাজের প্রতিষ্ঠা হইয়েছে, যিনি
প্রতিভা নিষ্ঠা আর পরিশ্রমের সাহায্যে সামান্য MCA ডিগ্রিধারী হইয়াও আজ পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যাবসায়িক
পরিবারের কর্তা। ইতিমধ্যে অবশ্য রাষ্ট্রসঙ্ঘ নামের প্রতিষ্ঠানেও অষ্টম কর্তার বদল
ঘটিয়াছে, বান কি মুনের
স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন এন্তোনিও গুত্তেরেস নামের প্রাক্তন পর্তুগালীয়
প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা। ফিল্মি কাশীবাঈ ইউনিসেফ লীলার দূত নির্বাচিত কেজানে কোন
প্রয়োজনের বিজ্ঞাপনহেতু।
খাদির
চরকা নব্যরূপে একহস্তে যিনিই চালনা করেন করুক, পাঞ্জাব
সরকার জলে ও স্থলের উপযোগী উভচর যান চালু করিয়া ফেলীয়াছে। গোমুত্র-গোবরের পর নব
বোধিবৃক্ষটি হইল গোমাতা স্বয়ং,
বিজ্ঞান
কি বলীল তাহাতে কি! ভক্তির আগুনে কি অক্সিজেনের ঘাটতি কমিয়াছে! পুলকিত হইবার মত
ঘটনা এগুলোর কোনটিই নহে, পুরাকালে ত্রিবেদী পদবী
প্রাপ্ত করিতে তিনটি বেদে পারদর্শিতা অর্জন করিবা আবশ্যক ছিল। অবশ্য এই
সোস্যালমিডিয়া শিল্পের ভারতীয় প্রধান হইয়া পুলকিত ত্রিবেদী প্রমান করিলেন, পারদর্শিতাই সব, তাহা বেদ হউক বা ফেসবুক।
............ক্রমশ
*************************************
একটি
সম্পূর্ন উন্মাদীয় ভাবনার ফসল
_________________________________________________
(নিজ
দায়িত্বে পাঠ করিয়া মর্ম্নদ্ধার করিবেন, কারন
ইহার বানানবিধি উন্মাদীয়)