গোরক্ষপুর নামটা আমি প্রথম শুনি শ্রীমদ্ভাগত গীতা নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার সময়, তখন নিতান্তই শিশু বয়স। গোরক্ষপুরের একটা প্রেসে অনেক বই ছাপানো হয়, যেগুলো বড় বড় বইএর দোকানে নজরে পড়ত। এভাবেই নামটা হৃদয়ে গাঁথা।
এখন অবশ্য গোরক্ষপুর অন্য নামে শিরোনামে।
টাকা বাকি, অক্সিজেনের সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়ে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া গেছে। ৩০টি কচি প্রাণের কি আর কোনো মুল্য আছে?
থাকতো, যদি ওদের ভোটাধিকার থাকত। কুকুরের মত নেতানেত্রীদের কামড়াকামড়ি শুরু করে দিত লাশগুলো নিয়ে। বাছুর হলে অবশ্য তাদের জন্য বাহিনী রয়েছে।
নাহ, কেউ প্রশ্ন তোলেনি শিশুগুলোর জাত নিয়ে। সম্ভবত তারা এখনও গরু বা শুয়োর কি জানতনা তাই।
অবশ্য গোরক্ষপুরের MLA তথা প্রদেশের মূর্খমন্ত্রী কম ব্যস্ত নয়। মাদ্রাসাতে পতাকা তোলাটা অনেক বেশি জরুরী, হয়ত এটাই দেশের একমাত্র প্রায়োরিটি। ক্ষমতাতে টিকে থাকতে পুরকি প্রয়োজন। শিশুমৃত্যুতে নজর দেবার সময় কোথায়, দেশপ্রেমের মামড়িতে ঢেকে যাবে সব ক্ষত। বাপের বিয়ের বরযাত্রীতে খাঁকি হাফপ্যান্ট আর সিল্কের চেক লুঙ্গির সমযোজী বন্ধন।
বলি বেঁচেই যদি না থাকে ভবিষ্যত প্রজন্ম, দেশপ্রেম কি পোঁদে গুঁজবে?
কে জানে কাল আবার না সরকারি ফতোয়া জারি করে বলে বসে, বাচ্চাদের মাকে পাঠিয়ে দাও- "বসে *দো" প্রতিযোগিতা করে বলবে; নাও বাচ্চা বানিয়ে দিচ্ছি সম্পূর্ণ স্বদেশী বীর্য দিয়ে। মজার বিষয় হল কিছুজন এতেই এমন আপ্লুত হয়ে যাবে যে নিজেও পাছা উদোম করে দেবে পায়ুসঙ্গম করার জন্য। বিশ্বাস মিলায় বস্ত, অতএব তেজশ্বী পবিত্র বীর্য (কা) পুরুষদের গর্ভবতী বানিয়ে তুলবেনা তাতে অবিশ্বাসের কি আছে! সাধে কি আর বদল বা ষাঁড়দের জন্য আলাদাকরে কেউ ভাবেনা, তাদের অবস্থা না ঘরকা না ঘাটকা।
গরু, জ্যোতিষ, গোমাংস, দলিত, কাশ্মীর, JNU, মাদ্রাস, নোটবন্দী, মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে, আচ্ছেদিন, হিন্দুত্ব, আরেকজনের নাম নিজগুনে বুঝে নিন। ব্যাস ঘড়িতে এই ভাবেই কাঁটা ঘুড়ে চলেছে মহান ভারতবর্ষের।
রাজ্যে শিক্ষিত বেকারদের মৃত্যু মিছিলে সবে নাম লিখিয়েছে দুজন, অফিসিয়ালি। মৃত্যুর পরে নিজেকে অমর করে তুলতে অনেকেই চাইবে। পিসির নেকনজরে এদের বাবা দাদা মায়েদের কেউ কেউ না আবার ভোটে দাঁড়িয়ে পরে। উত্তরবঙ্গ ভাষছে, সব্জিতে আগুন, DA নিষিদ্ধ শব্দ, বাটপারের দল দাঁত কেলিয়ে কেপমারির কথা কবুল করছে, দক্ষিন বঙ্গে ত্রান অপ্রতুল।
তিনি ব্যস্ত দিল্লি আর ভাইপো নিয়ে। ওদিকে মুকুল হেল মাড়ছে, জ্বালা কি কম!
বাম নিশ্চিন্তযাপনে সুরক্ষিত সোস্যালমিডিয়াতে, বাকিটা পলিটিবুর্যোতে। কিছু ভাষন আর লোক দেখানো শাসন ব্যাস.... লক্ষ্যহীনের বৃত্ত সম্পূর্ন। পরবর্তী ঐতিহাসিক ভুলের জন্য গভীর প্রস্তুতিতে মগ্ন।
আমি আপনিও আছি, পোষ্ট লিখছি কালেক্ষণে ঠিকিই। কিন্তু টেস্টনি, সারহা তে কি ছিলামনা? নাকি অরিন্দমে নেই? বিল্পব হচ্ছেতো।
সারাটিক্ষন সোনাপোনা আর স্বাদফেরাতে সোনাগাছি-
.........বেঁচে আছি বস, বেঁচে আছি।
ওয়াক থু: রে দেশের রাজনীতি
No comments:
Post a Comment