যখন কোনো
কারন ছাড়াই বন্ধুত্বটা এক লহমাতে হয়ে যেত, তখন বুঝতামনা বন্ধুদিবস কাকে বলে, বা
কোনোদিন বোঝার দরকারও পরেনি। মনে আছে, নার্সারিতে দ্বিতীয় বেঞ্চের কর্ণারে বসে খুব
কেঁদেছিলাম প্রথমদিন। একটা ছেলে আমার পাশেই বসা, সেও আমারই সাথে তারস্বরে কেঁদে চলছিল;
কিন্তু এরই ফাঁকে আমাকে তার টিফিন থেকে একটা ক্রিম বিস্কুট এগিয়ে দিতেই আমরা বন্ধু
হয়ে গেছিলাম অজান্তেই। তার নাম শুভেন্দু, পরবর্তীতে আজ ৩০ বছরেরও বেশি সময়
অতিক্রান্ত হয়েছে, সময় আমাদের অদৃষ্টের লিখন অনুযায়ী ভিন্নমুখী গন্তব্যে নিয়ে
চলেছে। নিয়মিত দেখাসাক্ষাৎ তো দূরস্থান, নিয়মিত ফোনটুকু পর্যন্ত হয়ে উঠেনা। কিন্তু
দেখা মাত্রই- “বুকে আয় ভাই” বলে শুরু, তার পর নিজেদের কোড ল্যাঙ্গুয়েজ চালু হয়ে
যায়। তাই বন্ধুর কথা মনে এলে সবার প্রথমেই যে নামটা মগজে ভেসে উঠে, সে নাম
শুভেন্দু’ই।
তখন
বন্ধুত্বটা একটা লজেন্স (চকোলেট নয়) দু’ভাগ করে খেতেখেতেই হয়ে যেত, বা স্যারের
পানিশমেন্টে রোদে নিলডাউনের সাথী হয়ে। আর সেই চুক্তিপত্রটা থাকত ডানহাতের বুড়ো
আঙুলের ছোঁয়াতে। কড়ে আঙুলের ডগে আড়িটা থাকলেও, সেটা ভুলে যাবার জন্য আলাদা কোনো
কারন লাগতনা। শিশু বয়সে আমরা সর্বজ্ঞ থাকিনা, তাই অহং বোধটাও জন্মায়না, যেটা
বন্ধুত্বের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা। সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে রাত টুকুর বিরাম, পরদিন
আবার সেই বন্ধুদের সাথে হৈহৈ চৈচৈ।
এর পর যখন
স্ট্যান্ডার্ড ফোরে পড়ি, ততদিনে বিড়িখোর হিসাবে প্রাতিষ্ঠানিক স্বিকৃতি না পেলেও
যেকোন প্রতিযোগিতাতে নাম দিলে নিশ্চিত পদক জিতব এমন ধারার নেশাড়ু হয়ে উঠেছি। এ সময়
বন্ধু বলতে আমাদের ফার্টিলাইজার দোকানের অন্যতম কর্মচারী রসিদ। আমার থেকে বছর
পাঁচেকের বড় ছিল, অভাবের সংসারে পেটের দায়ে দোকানে ফাইফরমাইস খাটত। এর ছিল তখন
হিন্দি সিনেমার গল্পের প্রচুর স্টক, আর আমার বাড়িতে টিভি রান্নাঘরে পৌঁছেছে মায়ের
কল্যাণে, রবিবার ছাড়া ছোঁয়া পাপ। সুতরাং বিড়ির আগুনের যোগান আর সিনেমার গল্পের
সন্ধানে রসিদ ভাই ‘বন্ধু’ হয়ে উঠতে দেরি হয়নি।
ক্লাস ফাইভ;
আমি তখন ভীষণ বেঁটে ও রোগা সাধারণ বাচ্চাদের তুলনাতে। বাবা নতুন কয়লার ব্যবসা শুরু
করার দরুন সপ্তাহে ৩-৪ দিন পর পর বাড়ি ফিরতেন। অগত্যা স্কুলের পড়ার সময়টুকু বাদে,
ঐ বয়সের খাজাঞ্চি/মুন্সি বিনয় দাদুর সাথে দোকানে টাটে বসতে শুরু করলাম। তখনই কোনো
একসময় ভেবেছিলাম পড়াশোনা করে আসলে লাভটা কি হয়? মিছিমিছি খরচ বাড়ানো, সেই তো এই
দোকানেই বসব, যেমন ভাবা তেমন কাজ। মনে মনে ‘আমিই মালিক’ ভাবটা জন্মানোর সাথে সাথেই
বাহ্যিকভাবে তার প্রদর্শনও শুরু হল। বাড়িতে খবরটা পৌছাতে মায়ের মুষড়ে পরার পাশাপাশি
দাদু তো আনন্দে আত্মহারা, বুঝেছিলাম নতুন একটা বন্ধু জন্মালো।
আমাদের
দোকানের ঠিক গায়ে একটা চায়ের দোকান ছিল, মানে আজও আছে। প্রোডাকশন ব্যবসাতে চলে
আসার দরুন আমাদের দোকান ব্যবসা কাকার হস্তগত হলেও, চায়ের দোকানটা আজও বিদ্যমান। তো
ওই ক্লাস ফাইভের মাঝামাঝি কোনো এক শীতের দুপুরে দোকানের বারান্দাতে লাট্টূ ঘোরাচ্ছি,
দেখি চায়ের দোকানেও আমারই বয়সি একটি ছেলে উনুন থেকে পোড়া কয়লার ছাই বেড় করছে।
পরদিন আলাপ হল, জানলাম তার নাম পোসোন। ভালনাম প্রশেনজিৎ কর্মকার। এফ পি স্কুলের
পাঠ সমাপ্ত, তার বাবা আর দাদার সাথে দোকানের চায়ের এঁটো কাঁচের গ্লাস ধোয়ার ডিউটিতে
সদ্য বহাল হয়েছে। সে ও ছিল বিড়িখোর, সুতরাং বন্ধু হওয়াটা ছিল শুধু সময়ের
প্রতীক্ষা। জীবনের অনেকটা সময় জুড়ে পোসোনের অবস্থান রয়েছে। বন্ধু পোসোন।
মাধ্যমিকের
পর আমি সায়েন্সে যেতেই অধিকাংশ বন্ধু বিচ্ছেদ হয়ে গেল সময়ের অভাবে। তবে নতুন বন্ধুও
এসেছিল, যদিও সেটা সংখ্যাতে খুবই কম। বরং তদ্দিনে বন্ধুর চেয়ে বান্ধবী পেতে বেশি
মন হাঁকুপাঁকু করত। দু-ক্লাস উঁচু বুড়োদার সাথে বন্ধুত্বও করেছিলাম শুধু মাত্র এই
কারনে যে, ও যাকে লাইন মারত সে আমার সাথেই পড়ত- নাম শ্রেয়সী। আমিও তাকে হেব্বি ইয়ে
করতাম। বুড়োদাও ব্যাপারটা জানত, তারও পরে আমার থেকে এটা-সেটা খাওয়ার লোভে ওকে
দেখার পার্মিশন দিত। তবে সেসব এক দিন ছিল। এর পরে অভিশ্রীর জন্য তো অনেক বন্ধু
বিচ্ছেদও হয়েছিল, সে আলাদা কাহিনী। খেলার মাঠেও কি কম বন্ধু হয়েছিল! জয়দেব, গোপাল,
ভোঁদা, পচা, তারক, যতীন, রফিক, সঞ্জয়, আসিফ, রিন্টু সহ কত নাম নেব! এক্ষেত্রে
বয়সের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম ছিলনা অন্য ক্ষেত্রগুলোর মত।
এভাবেই,
প্রদীপ, সন্তু, ছট্টু, গৌরাঙ্গদের মোটাতাজা স্মৃতি নিয়ে বান্ধবীহীন হয়ে একদিন
কোলকাতায় এসে পৌছালাম কলেজে ভর্তি হবার দরুন। যাদবপুরের মেসে যেতেই নিলুদা,
সতীনাথদার সাথে পার্থ বারুই ও প্রদীপ নন্দী এমন ভাবে মিশে গেল, যেন আমার বন্ধু হবে
বলেই অপেক্ষায় ছিল। সময় কিছুদিন যাবার সাথেই জীবনের একটা বড় ট্রাজিক অংশ ওই সময়ে আমার
জীবনের সাথে জুড়ে গেল। একটি মেয়ে, ধরুন তার নাম ‘পাখি’। আমার জীবনের একমাত্র চরম
বন্ধু বলে যদি কেউ থাকে তাহলে সেটি সে। আমার কাছে তার বন্ধুত্বের মূল্য এতটাই যে,
তার নামটা পর্যন্ত আমি নিতে অপারগ। উল্টোদিকে বন্ধুত্বের খাতিরে আজ সেও সব ছেড়েছুঁড়ে
নতুন একাকী জীবন বেছে নিয়েছে ভিনদেশে।
যাই হোক,
কোলকাতার পাঠ শেষ করে ওই যে বেড় হলাম মুক্ত পৃথিবীতে, তার পর থেকে দীর্ঘদিন আর
নতুন বন্ধু জোটেনি আমার। মাস্টার্স করতে হায়দ্রাবাদ গেলাম, চেনাজানা হল অনেকের
সাথেই, কিন্তু বন্ধু? নাহ হলনা। এরপর পারিবারিক ব্যবসাতে ঢুকলাম, সেখানেও অনেক
নতুন নতুন নামের সম্পর্ক তৈরি হল বা আজও হয় রোজই, কিন্তু বন্ধু! নৈব নৈব চ!
এরই মাঝে
রেডিফ বোল, MSN মেসেঞ্জার, অর্কুট পর্ব পেরিয়ে এসেছি।
২০১১ থেকে ফেসবুক যুগের সুত্রপাত হল আমার জীবনে। অবশ্য সেই ২০০৮ এর শেষের সময়েই এই
প্ল্যাটফর্মে এসে গেছিলাম। তখন কেউই ফেসবুককে সিরিয়াসলি নেয়নি আজকের দিনের অনেকের
মত।
এখানে যেটা
বুঝলাম, বস্তুজীবনে আগে চেনা হয় জানা হয়। মানুষটাকে খেয়াল করে তার সম্বন্ধে একটা
স্পষ্ট ধারণা তৈরি হওয়ার মধ্যে দিয়ে বন্ধু নামের সম্পর্কটা অজান্তেই গড়ে উঠে। এই
ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিয়মটা অনেকটাই অন্যরকম। এখানে বন্ধুতালিকা নামে একটা খাঁচা করা
রয়েছে। আগে সেই খাঁচাতে একে অন্যকে স্থান দিলে বা স্থান পেলে তবে সময়সারনী বেয়ে
জানা ও চেনার সুযোগ ঘটে। তার পর অনেকটা দিন যাবার পর ঠিক হয় এরা বাস্তবের মাটিতে
বন্ধু হবে কিনা। নতুবা ভার্চুয়াল স্তাবক বা চুলকানিবাজ বা কমল হাসানের পুষ্পক হয়ে
রয়ে যায়।
বস্তুজীবনের
শত্রুরাও ভীষণ চেনাজানা হয়। ভার্চুয়ালি অচেনা মানুষের সাথে অযথা তর্কাতর্কি হয়ে না
থাকা সম্পর্কটি শত্রুতাতে পরিণত হয়। বস্তু জীবনে যাদের সাথে কখনই নুন্যতম আলাপ
আলোচনা হতনা সামাজিক, অর্থনৈতিক, অবস্থানগত পার্থক্যের কারনে, ভার্চুয়ালি অবশ্য তা
অহরহ হয়। আপনার বাড়ির ফাঁকিবাজ চৌকিদার ‘দামু’ আপনাকে আসাম NRC বিষয়ে অনেকটা জ্ঞান বিলিয়ে দেবেন অনুকুল চন্দ্র বিশ্বাস ID হয়ে। মুড়ি মিছড়ি অনেকটা এক দড় এই পাড়াতে। নিজেকে বিজ্ঞাপিত করার ব্যাস্ত
সিডিউলে বন্ধু খোঁজার ফুরসৎ কই? স্তাবক চাই স্থাবক, পোষাকী নাম ফ্যান। যাদের বাণী হল-
অপূর্ব, দারুণ, চমৎকার, দুর্দান্ত, শুভেচ্ছা রইল, অভিনন্দন, অনবদ্য ইত্যাদি।
এখানে দুপুর
পাশ অটোরিক্সার খালাসিও কেমিস্ট্রির অধ্যাপকের ক্লাসনোটসের ভুল ধরে। বাংলাতে ফেল
করে মুদি দোকানের কর্মচারীটিও বাংলাদেশী পেজ থেকে কবিতা ঝেঁপে কোনো নতুন পত্রিকাতে
নিজের নাম তোলে। B-16 ক্যামেরার কল্যাণে মালু বৌদি কচি
প্রেমিকা ধরছে, শরীর বাঁচিয়ে। একটু সুশ্রী মেয়ের ছবি DP তে
দেখলেই তার সাথে বন্ধুত্ব করতে ৮ থেকে ৮০ এর পুরুষেরা হামলে পড়ে। কেন পরছে, ধরছে ও
করছে? কারন এই মাধ্যম তাকে এসব করতে সুযোগ দিয়েছে তাই ধরছে। জ্ঞান আছে না নেই এ
প্রশ্ন এখানে অবান্তর। এর মাঝে কেউ কেউ অবশ্য গুগুল করেও নেয়, বাকিরা নিজ বিষয়ে
সর্বসময় ভীষণ কঠোর, আপন বাপন চৌকি চাপন। পান থেকে চুন খসলেই আপনাকে দলবেঁধে একঘরে
করে ২ মাসের ফাসিতে লটকে দিয়ে যাবে, সে আপনি রাজা উজির যে ই হননা কেন। তাই এখানে
বন্ধু হওয়াটা প্রতিপদে পরীক্ষা দিয়ে রীতিমত যোগ্যতমের উদবর্তন সুত্রের নিত্যতার ফলিতায়নের
মধ্যদিয়ে অতিক্রম করতে হয়।
বস্তু জীবনে
আপনি ১৭ বার মেট্রিকে ঘায়েল হলে পাড়ায় আর মুখ দেখাতে পারবেননা। ভার্চুয়ালি তাতে
আপনার বিন্দুমাত্র অসুবিধা নেই, বরং আমি চূড়ান্ত অভিজ্ঞ ওই বিষয় অবধি। আপনি
ট্রাম্পের বিদেশনীতি থেকে কাশ্মীরের পণ্ডিত সমস্যা হয়ে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট,
সর্বত্র সমানতালে মন্তব্য করে যেতে পারেন। কেউ কিচ্ছুটি বলবেনা। আগেকার সময়ে
উমেদার তোষামোদকারীরা বেতনের বিনিময়ে রাজসভাতে বিরাজ করত আর সর্বজ্ঞেরা চায়ের
দোকান বা বটতলা চণ্ডীমণ্ডপে। আজকাল এনারাই সকলে ফেসবুকে থাকেন, কবি লেখকদের সাথে
সহাবস্থান করেন, খিল্লি করেন। চুম্বকে এই হল ফেবু বন্ধুত্ব, আজ আছে তাই আছে, কাল
একটা ব্লক বা আনফ্রেন্ডের খোঁচাতে ভ্যানিস।
বন্ধুত্বটা
অনেক ভারি শব্দ। দুম করে যাবার নয়। আর যেটা চলে যায়, সেখানে বন্ধুত্বটা বোধহয়
থাকেনা। আজকাল অনেকেই বাবা, মা, বোন, স্ত্রী, সন্তানদেরও বন্ধু হিসাবে গন্য করে।
আমার কাছে বন্ধু হল সে, যার কাছে প্রত্যেকের কথা নির্দ্বধায় শেয়ার করে নিতে পারি। বাবা,
মা, বোন, স্ত্রী, সন্তানদের কাছে ‘সব’ কথা শেয়ার করা যায়না, কারন অধিকারবোধ আর
ভালো থাকা ও রাখার দায়ে অনেক কিছু চেপে যেতে হয় তথা মানিয়ে নিতে হয়।
ভার্চুয়াল
বন্ধুত্ব বলে আসলে কিছু হয়না, চেনাজানার মাধ্যম হিসাবে এটা সুত্রধরের কাজ করে
মাত্র, মঞ্চ; এর বেশি কিছুনা। বাকি যাবতীয় বন্ধুত্বের শর্ত গুলো, মানে যদি কোনো
শর্ত থাকে আর কি, সেগুলোকে বাস্তবের মাটিতে রূপ দিয়ে লালন করতে হয়। তাই ফেসবুকের
ফ্রেন্ড লিষ্টে আছে মানেই সে বন্ধু নয়।
২০১৪
পরবর্তী জীবনে এই ফেসবুকই সুধা’র সাথে আমার পরিচয় ঘটিয়েছিল। পরে পরে আরো অনেকেই
বন্ধু বৃত্তে মনের কাছাকাছি অবস্থান করে রয়েছেন ফেসবুক সুত্রে। এই পথ ধরেই
শেহনাজেরও আগমন, অবশ্য সে পথ বেঁকে অন্যত্র মোড় নিয়েছে, বিষয়টা পারিবারিক সম্পর্কে
পরিণত হয়েছে। যেমন শ্রীকুমারদা, কিংশুকদারা বন্ধুত্বের মোড়কে দৈনন্দিন পারিবারিক
সুখদুঃখের সাথী হয়ে গেছেন। জগদীশদা, জয়ন্ত, সুপর্ণা, গোপালদা, সুব্রত, দেবু,
শবনমদি, মতিদা, প্রশান্ত, সৌরভ, তাপসদা, আসাদ ভাই, পারমিতাদি সহ অনেক অনেক
মানুষগুলো নিশ্চিতভাবে রোজ জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কে, কি, কেন ইত্যাদির উর্ধ্বের
আমাদের রোজকার ভাললাগা মন্দলাগা গুলোকে নিজেদের মধ্যে বিলিবন্টন করে, সুখ কুড়িয়ে
বাঁচি।
তবে বন্ধু
আর অবিভাবক এক হয়না। যার হয় সে অতিরিক্ত ভাগ্যবান। আমার সৌভাগ্য দু-দু’জন এমন
মানুষ রয়েছেন। যারা না থাকলে আমার জীবনটা অন্য খাতে বইতেই পারত। একজন অবশ্যই ওই মোটাসোটা
গুঁফো মোড়ল মশাইটা, সুব্রত মণ্ডল। অন্যজন- প্রসেনজিৎ গুহ, আমাদের জয়দা। আমার
স্বঘোষিত গুরুদেব। প্রথমজনের জ্ঞান আর দ্বিতীয়জনের খিস্তি জীবনে না থাকলে জীবনটা
অসম্পূর্ণ থাকত, বন্ধুত্বের সংজ্ঞাটাও।
এনাদের
জন্যই সারাবছরই আমার কাছে বন্ধুদিবস। কারন বন্ধুরা ছাড়া জীবনের মূল্যমান শূন্য।
ভাল থেকো
সবাই।