এটা একটা ওয়ারা মার্কা টপিক, কঠোরভাবে প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। ছবি দেখে কেউ দেওয়ালে বীর্যপাত করিবেননা, ইহা সংরক্ষিত অঞ্চল। দুর্বলচিত্তের মানুষেরা অন্য আরো বন্ধুদের ৩৩৩ টা পোষ্টে চলে যান।
মর্ডান তো ছেড়েই দিন, হেরিটেজ আর্ট বলুন বা এপিক কিছু-
আর্টের 'আ' তে আমি পাক্কা আবাল, এবং এ রোগ জন্মগত।
তবে হ্যাঁ, পিসির ছবিতে ব্যাঙের পৌষ্টিকতন্ত্রটা বুঝেছিলাম কারো সাহায্য ছাড়াই।
বাকি সবই ছবি বা আর্ট আমার কাছে একই লাগে, যেমন মোনালিসা পেইন্টে আজও আমি খুঁজি- ওতে আছেটা কি?
তবুও ঠিকিই ছিল এ পর্যন্ত, শুভাপ্রশন্নের কাক দেখে কয়েকবার আমি মাথা আর অণ্ডকোষ একই সাথে সমান তেজে চুলকে নুনছাল তুলে বিপ্লবও করেছি এক কালে। আজ ন্যাতানো যৌবনে বিপ্লব পুরো অনুপম খেরের মাথা, এক খেই ও বাল নেই।
এক ঢোক জল খেয়ে নিই দাঁড়ান। যদিও এই মধ্যরাত্রে পিসির জামানাতে মাল না খেলে নিজেকে তৃনমুলিই মনে হয়না, যাকগে সে অন্য কথা।
কিন্তু এর পরে ভুদ্ধিজীভীরা কহিবেন- ফ্রান্স- ডট ডট ডট এন্ড এটসেট্রা এটসেটরা.....
জানি বাবা জানি, অজান্তা-ইলোরার গুহাচিত্র বা প্রাচীন ভারতে কতশত স্থানেই নাকি মৈথুনরত যুগলের খোদিত মুর্তি আছে- তা বলে তো আর কেউ সেখানে ন্যাংটা হয়েও ঘোরেনা, আবার প্রকাশ্যে লাগায় ও না। ও সকল কিছু একটু লজ্জা লজ্জা হয়ে, ঘেরা অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানের করা ভাল। মুড বলেও তো একটা ব্যাপার আছে- না কি!
আমি বাপু মানুষের পরিশ্রমই দেখি ওতে মানে ওই স্থাপত্যে, যেহেতু শিল্প বুঝিনা তাই হাতে রইল শুধু একটা ধর্ষকামী চোখ ও খেঁচুরে মানসিকতা। পানু সিনেমাতেই শরীর গরম হয়না তো ওতে হবে এমন বালখিল্য বাল ওঠার আগেও করিনি কোনোদিন। তাই স্বমেহনে ছিটকিনি।
পুরুষের জীবন কি কেবল মেয়েদের দুই পায়ের ফাঁকে আবর্তীত হয়? কার হয় জানিনা, আমার অন্তত নয়। ওটা পার্ট ওফ লাইফ এন্ড আর্ট অফ লাইফ। একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বাজারে ঘণ্টা মুল্যে পায়ের ফাঁক বিক্রি হয় ৫ মিনিটের জন্য।
বাকি রইল বুক। এ ভাই, দুধ বা ভদ্রভাষাতে স্তন- এটাকে যৌনাঙ্গ হিসাবে না দেখে আমি বাচ্চাদের খাবারের আধার হিসাবেই দেশি দেখি, তা বলে আমি ঋতুপর্ণ নই। ফোরপ্লে ওটা ছাড়া হয়না। আমি স্ট্রেট সেক্সের কথা বললাম, যারা হোমো বা লেসবো, তারা এডিট করে নিয়েন নিজ গুণে।
এবার বিষয়ে আসি, এলোমেলো ভনিতা অনেকটা করে ফেলেছি, অবশ্য এভাবে ছড়ানোটা আমার বদ অভ্যাসের গুণ। তার উপরে নারী শরীর-
বং ক্রাশের পেজে ছবিটা পেলাম। কেন এঁকেছে এ ছবি জানিনা, কে এঁকেছে লেখা আছে। আগেই বলেছি আর্টের বিন্দুবিসর্গ বুঝিনা। কার উপকার হবে সেটাও জানিনা, কার ক্ষতি হবে সেটাও অজানা। শিল্পীর কতটা অর্গাজম ঝড়েছিল সেটাও অজানা। তাই X=প্রেম ধরে এগোলাম।
আমি গরীব বাঙালী, বোধ জ্ঞানগম্ম্যি সামান্যের চেয়েও কিছুটা কম, খেটে খাই, মুনিষ গিরি করে। স্বাভাবিক নারী শরীরে আকর্ষন আর পাঁচটা সুস্থ সমর্থ পুরুষের মতই- তবুও মন অস্থির হচ্ছে-
জানিনা কেউ প্রশ্ন তুলবে কিনা- এই প্রদর্শিত শরীরটার জাত কি? মেয়েটা বাপের খেয়ে গোল্লাই গিয়ে ন্যাংটা হয়ে পোজ দিয়েছে? না কি পেটের দায়ে সমাজের গভীর অসুখ ঢাকতে সেবিকার ভুমিকাতে অবতীর্ণ।
কেউ কি মেয়েটির চোখের মায়া, গায়ের রঙ দেখবে? মাথার সুদৃশ্য টোপরটি? সুতনু কটিদেশ?
কিন্তু লম্বা চুল অন্যত্র ভাল্লাগলে এখানে বেশ বিরক্তই লাগবে আশঙ্কা রাখি।
নাহ, চোখ আঁটকে বুকে আর পদের বিভাজিকাতে।
এ ছবি তোলার জন্য, কেউ কেউ তো শিল্পীর মা বোন করছে, আবার কেউ শীল্পিকে মানে ফোটোগ্রাফারকে প্রশংসাতে চান করিয়ে দিচ্ছে।
১) এই ছবিটাতে ভাল কি আছে?
২) এই ছবিটাতে খারাপই বা কি আছে?
কোনো কিছুই তো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছেনা, এর চেয়েও অনেক বেশি আজকালের হিন্দি সিনেমাতে দেখা যায়। অবশ্য আমাদের সব বিষয়টা তো এমন লুকোচুরির খেলা।
পরেশ অধিকারী কেন তৃণমূলে এসেছে, তার মেয়ের উন্নতিতে জানা গেল, সিরিয়াল ধর্মঘটও শেষ হল, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পড়ে রুপা গাঙ্গুলি অস্থিভষ্ম নিয়ে নৃত্যাঙ্গাদাও হয়ে দেখালেন, কিন্তু এটা বুঝলামনা মোটে-
যদিও সব জানতেই হবে এমন দিব্যি মোদীজির জামানাতে কেউ দেয়নি-
তবুও প্রশ্ন একটা রয়েই যায়-
আর সেটা হল-
______________________________
শেষ কথাঃ এদের দাবিটা কি ওয়ারা?
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
No comments:
Post a Comment