লাগাতার রামনবমীর অস্ত্র মিছিলের ছবি দেখিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছে? যারা খবর রাখতনা তারাও ভাবছে বোধহয় গোটা রাজ্যের প্রতিটি রাস্তা জুড়ে শুধুই স্বশস্ত্র চাড্ডি বাহীনি। সারা রাজ্যে গুনে গুনে এক আধটা স্থানে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের নৌটঙ্কি চলছে, হিন্দুত্বের নামে। এটাই প্রচারের মুখ্য বিষয় এদের।
RSS আর বিজেপি ছাড়া যেন কেউ হিন্দু নয়। উত্তর ভারতীয় রামই ভরষা। আমাদের শিবের গাজন, নীলের পুজো...
কিন্তু এতে যে টাকা কামানো হবেনা সংবাদ চ্যানেল গুলোর। তৈরি করে দেওয়া স্ক্রিপ্টেড সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে।
রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল দলটি RSS পোষিত, ও ঘোষিত। তাই তারা কোথাও বাঁধা দেবেনা। বরং সংবাদ মাধ্যম গুলো চেষ্টা করছে, যেখানে যেখানে এখনও মিছিল শুরু হয়নি সেটা শুরু করার জন্য লাগাতার উৎসাহিত করে চলেছেন। তৃণমূল চাইছে একটা ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হোক মুসলমানেদের মধ্যে। যে ভোটটা ওরা নিজেদের পক্ষে নেবে। সুপরিকল্পিত প্লট রচনা।
আসলে মোদীর ডায়লোগের কিছুই খাচ্ছেনা, দাঙ্গা করা এই মুহুর্তে ভীষণ কঠিন। তাই হিন্দুত্বের জিগির তুলে যতটা পোলারাইজেশন করা সম্ভব। মানেকা গান্ধী থেকে উন্নাওয়ের ষাঁড়ের অভিশাপের লিপ্সা - সবই ওই অক্ষমের বিলাপের অংশ। যেমন মিমি, প্রচারে আসার জন্য "আল বাল ছাল" কোনো কিছু করতে কসুর করছেনা।
হিজরেদেরও পুরুষালী দাড়ি গোঁফ গজায়, চাড্ডিরাও অস্ত্র মিছিল করে। সব গরুর বাচ্চা গুলোকে আপাতত কাশ্মীরে অথবা বীরভুমে ভোটের ডিউটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। তাই এই সব নিয়ে ভীত হবার কিছু নেই।
ছেই করলেই নেই হয়ে যাবে।
বাংলার মাটি বামেদের চারণভূমি। এ ভুমিতে নপুংসক চাড্ডিবাহীনির জং ধরা অস্ত্রে পাড়ার নেড়ি গুলো পর্যন্ত ভয় পায়না। টিভি সংবাদ মাধ্যম এদের বাঘ প্রমান করতে মরিয়া। ওদের হারিয়ে দিন পালটা প্রচারে। আপনার এলাকাতে একটাও ধর্মীয় উন্মাদদের দেখেছেন কি? যারা মিছিলে যাচ্ছে তারা অদৌ সুস্থ? এরা ধার্মিক?
উত্তরপাড়ার তৃণমূল কাউন্সিলর, শুভেন্দু অধিকারীর আমসত্ব মার্কা মুখ যুক্ত ভাই দিব্যেন্দু, বলিপ্রদত্ত পাঁঠার মত মালা পরে বসে আছে। কোলকাতায় স্মিতা বক্সী, প্রমুখেরা রামনবমীর পালটা মিছিল শুরু করেছে। দেশীয় হিন্দুরা গাজন বোঝেন, অন্নপূর্ণা পূজা বোঝেন, হালখাতা বোঝেন, এরা খেউর আর তর্জা দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে বাঙালীর সংস্কৃতির উপরে গুটগা খোরেদের খোট্টা সংস্কৃতি আমদানি করেছে।
দুই ফুল, ওরা মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে, চাকরি নেই তাই ধর্মের বেদনানাশক দিচ্ছে যাতে আমরা ভুলে থাকি। সংবাদ মাধ্যমই ওদের মুখপাত্র। তারা প্রচার করছে, আমাদের মূল সমস্যা খাদ্য, বস্ত্র, রোজগারের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পরিসেবা, শিক্ষার অধিকার নয়। রাম কার বিজেপির না তৃণমূলের! এর প্রশ্নের জবাব পেলেই যেন আমাদের পেট ভরে যাবে।
এদের ফিক্সিং ঝগড়া দেখে শুধু হাসুন, কারন ওটাও দরকার। ওদের মিথ্যা ঝগড়াঝাঁটি দেখিয়ে আপনার মৌলিক দাবিদাওয়ার আওয়াজকে চাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা। তবে, এবারে মানুষ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, শুধু আমরা "বামেরা" আছি সেই ভরষাটুকু দিন, ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। লড়াই চাই বলে নেট অফ করে দিলে হবেনা কমরেড, লড়াই দিয়ে সেটার ছবি নেট অন করে দিন, যাতে অন্য কমরেড উৎসাহিত হয়।
কল্পিত রাম নয়, পরিক্ষিত বামে ভরষা রাখুন। সংসদে রাম নিশ্চুপ, বামেরা আপনার কথা বলবে। রাম (পড়ুন মহরমের উন্মাদ মুসলমান) অসহায় তাকে অস্ত্র হাতে নিতে হয়, বামেদের সহস্র নির্ভীক কণ্ঠই ওদের অস্ত্রের চেয়েও ধারালো।
No comments:
Post a Comment