একটি উন্মাদীয় আবেদন।
গরু কে গোয়ালে রেখে, শুয়োরকে খোয়ারেই চড়তে দিন। ওগুলোই ওদের প্রকৃত স্থান। গল্পের গরু ফ্রিজে এলেও, রক্তটা সেই মানুষেরই ঝরে।
মা কি কোন জাতের হয়?
পাঁচটা ভিন্নধর্মের বাঙালী জাতির বাচ্চা যখন স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে মা মা করে প্রথম স্কুলের দিনে কাদে,পারবেন তখন , কোনটা কো ধর্ম-জাতির বাচ্চা , সেই ফারাকটা করে দিতে। পারবেন না, কারন পারা যায় না। ওই বাচ্চারাও যানে না , বড় হলেই জাত নামের একটা জাঁতা কলে বাকি জীবনটা পিষতে হবে।। বড় হলে বুদ্ধি হবার সাথে সাথে আমরা বোধহয় নির্বোধ হয়ে যায়।
পূজা মানে আরাধনা করা, নামাজ মানেও তাইই হবে। কজন করছি? মসজিদে যায় ফতোয়া দিতে বা শুনতে। আর পুজো করি ছূটি পাওয়া যায়, আর আমোদ করার জন্য। এটাই নিশ্চই কোন তর্ক থাকবে না।
বিয়ের পরে আজকের সমাজ যেখানে নিজনিজ জন্মদাদা বাবা-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন সেখানে ... বাকিটুকু বুঝে নিন।
আমাদের দেশের সংখ্যলঘু মানুষের দল, তারাতো আর বিদেশ থেকে আসেননি, শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি যে, নির্লজ্জ ব্রাম্ভন্যবাদের অত্যচারের শিকার হয়ে তৎকালীন সমাজের নিম্ন(!)বর্গীয় মানুষের দল ধর্মান্তরিত হয়েছিল। সুতরাং তাদের মাঝে যে অশিক্ষা কুশিক্ষার হার বেশী থাকবে এটার মধ্যে আশ্চর্যের কিছু নেই।
মানুষ যেখানে সহজে একটা আধুলি ত্যাগ করতে চায় না, সেখানে এই নিম্নশ্রেনির সমাজে ধর্ম ত্যাগের কারন বিশ্লেষণ করলে, থুথু টা আমাদের মত তথাকথিত উচ্চ বর্গীয়দের মুখের উপরেই এসে পড়বে।
সহিষ্ণু বা অসহিষ্ণুতা এগুলোর বিচার তাঁরাই করুক , যারা এর একক জানে। আমরা বাবা জানি না। তাই এগুলো মাথার উপর ডাক করে দেওয়াই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমরা যেগুলো করে চলেছি সেগুলো আসলে বন্ধ্যা আলোচোনা। এগুল থেকে কিছুই জন্মাবেনা।
আসুন না সকলে এই বিগত কিছু দিনকে একটা দুঃস্বপ্ন ভেবে আবার সবকিছু স্বাভাবিক করে নিই।
কুত্তার দল চেল্লাবে, তাদের কোন জাত নেই, হানাহানি লাগলে তো আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হই, স্বজন বিয়োগ আমাদেরই হয়, সম্পত্তির হরন ও আমাদেরই হয়, আমরা কেউ ই তো নেতা মন্ত্রী হবার তেমন স্বপ্ন দেখিনা, পন্মভূষণ বা বিভুষনে কি পেট ভরে, নিশ্চই না। তাহলে আমরা মর্কট সেজে নেচে লাভ কি?
উস্কিবাজের দল ফিকির খুজবেই।
তাদের মুখে জাষ্ট মুতে দিন।
হালকা হাসি, বাকা হাসি, এক চিলতে হাঁসি, পেট ফাঁপা হাঁসি, খিলখিলিয়ে হাঁসি, মিট্মিটিয়ে হাঁসি, অট্টহাসি, বোকা হাঁসি, সেয়ানের হাঁসি, মুচকি হাঁসি...... আরো কত রকমের যে হাঁসি আছে তাঁর কি আর লিখে শেষ করার য আছে।
আসুন না আমরা হাসতেই থাকি। বড়দার ভূমিকায় স্পাইক থাকুক। আরে সেই মোটা হোদকা কুকুরটা।
মোল্লা বললে মোল্লা ওমর কে না বুঝে মোল্লা নাসিরুদ্দিন কে বুঝি, বীর বললে হিন্দু বীর না ভেবে বীরবল কে ভাবি।
মারামারি করবো টম জেরির মত। প্রতিযগিতা থেকে খেয়ো খেয়ি সবই হবে, শুধু কেও মারা যাবো না, আর তৃতীয় শত্রু এলেই সমবেত ভাবে ঝাপিয়ে পরব।
আমরা উলুখাগড়া, রাম রহিমের বিতন্ডায় আমরা আখেরে কি পায় বলুন তো? হাতে রইলো পেনসিল... সেটুকুও থাকে না দিনের শেষে। হাভাতে না হলেও, আমাদের গতর না খাটালে পেটের ভাত হয়না। সেখানে ভাতার মেরে নাঙের গীত গেয়ে লাভটা কি? আমরা আকচা আকচি করে কাদা ছোরাছুরি করে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পরছি, অন্তত মানসিক ভাবে। আর দীর্ঘ মানসিক অসুস্থতা শরীরের উপর ছাপ ফেলতে বাধ্য।
অন্যকে সম্মান করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিদানে সেই সম্মান্টুকু পাওয়া যায়। যারা সেই মর্যাদা দেবেন না? সোজাকথা... সংস্রব ত্যাগ করেদিন। আমরা হলফ করে বলতে পারবো না যে, কাল থেকে একটা বিশিষ্ট জনগষ্ঠী কে বা জাতি গোষ্ঠীকে আমার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নাই। তাহলে ভাবের ঘরে কাঁঠাল ভাঙ্গা কেন।
আপনি না বলুন, দেখুন ধান্দাবাজের দল অন্য ব্যাবসা শুরু করবে।
দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। উফ এখানেও গরু। তবে থাক এ বড় ভালো গরু। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আগামী শীতে কমলালেবু খেতে খেতে, পূরাতন খারাপস্মৃতি গুলো, ওই লেবুর খোসা ছারাবার মত ছাল ছারিয়ে ডাষ্টবিনে ছুরে ফেলে দিন। দেখবেন সুস্বাদু নির্যাসটুকুই অবশিষ্ট আছে।
No comments:
Post a Comment