উন্মাদ নামা ~ ১৬
কর্ম বা কার্য হইল জীবনিশক্তির বাহ্যিক প্রয়োগ। স্থবির ব্যাতিরেকে প্রতি প্রানশক্তি বিশিষ্ট বস্তু মাত্রই কিছু না কিছু কর্ম সম্পাদন করিয়া থাকে। তাহা সৎ কর্ম বা অসৎকর্ম উভয়ের সুযোগই সমান। জ্ঞান, মেধা, বিদ্যা, বুদ্ধি, অনুকুল পরিস্থিতি ও যোগ্য পারিপার্শ্বিক সহযোগিতার সঠিক সম্মেলন ঘটিলে কার্য সফলকাল বলিয়া ধার্য হইয়া থাকে।
সফল ব্যাক্তি বলিয়া আসলে দীর্ঘমেয়াদী কোন বন্দ্যবস্ত হইতে পারেনা, কারন 'সাফল্য' বস্তুটি প্রতিস্থাপন যোগ্য ও চুরান্ত আপেক্ষিক।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ধারাবাহিকভাবে সফলতার রেখাচিত্র অঙ্কনকৃত ব্যাক্তিকেই সফল ব্যাক্তি হিসাবে মান্য করা হইয়া থাকে।
আত্মপ্রিয় মনুষ্যপ্রজাতি অত্যন্ত তোষামোদপ্রিয়। সেই হেতু সেই ধারা বজায়রাখার নিমিত্ত কিম্বা গতানুগতিক একটা প্রবাহমান ধারার মাঝে রহিবার হেতু পশ্চাদগামী হইবার কোন কারন থাকে না। সুতরাং আত্মতুষ্টি ও অনুভব ক্ষমতার স্বল্পতার কারনেই বহুক্ষেত্রে অনেক কার্যই কাঙ্খিত লক্ষ্যভেদ করিতেতে সক্ষম হয় না, তাহা বলিয়া সেই সকল ব্যাক্তিবর্গের গরিমাও কোন অংশে কম হইতে পারেনা।
No comments:
Post a Comment