Sunday, 22 April 2018

।। নৈতিকতা ও বাস্তব ।।

ছবিঃ ফেসবুক


প্রতিদিন আমাদের নৈতিকতা বোধ একটু একটু করে কমতে কমতে কমতে আজ এই জাইগাতে.....


এটা এক দিনে হয়নি। আমরা যে শিক্ষাটা পেয়েছিলাম গুরুজনদের থেকে ততটা সন্তানদের দিতে পারছি কি? নাকি গুরুজনেরা যতটা তাদের গুরুজন থেকে পেয়েছিলেন ততটা আমাদের দিয়েছিলেন?

আজকের দিনের পাঠাশালাতেও পড়ানো হয়, শিক্ষা দেওয়া হয়না। তাই আমার অনেক বন্ধুই স্কুলে চাকরি করেন, শিক্ষকতা করেননা। যিনি করতে চান, তিনি এতোটাই ব্যাতিক্রমী হয়ে উঠেন যে তাকে মঙ্গল গ্রহের এলিয়েন মনে হয়। সামান্য শাষন করলেই শিক্ষকের মা মাসি উদ্ধার করি আমরা গার্জেনেরা। শিক্ষকও তাই দায় এড়িয়ে চলে যায়। আগামী প্রজন্মের খেতে পড়তে অসুবিধা হবেনা, কিন্তু বাঁচবে সেই খাঁচায় বন্দি।মুনিয়া পাখির মত। যে কখনই জানবেনা- খোলা আকাশে বাঁচার স্বাদ।



আজকে আমাদের ঘরে যে বাচ্চা গুলো বড় হচ্ছে, তারা এমনিতেই 'স্পুন ফিডিং বেবি' 

কিভাবে এরা এই নীতিশিক্ষা বিহীন সমাজের সাথে লড়াই করে বাঁচবে?



নীতিশিক্ষার কি কোনো শর্টকাট হয়? বা অন্য কোনো বিকল্প? নাকি এভাবেই আমরা একদিন অভ্যস্ত হতে হতে অভিযোজিত হয়ে যাব?

যা ই ঘটুক সামাজিক বিবর্তনের এ এক ন্যাক্করজনক অধ্যয়, যেটা শুরু হয়েছিল- মহিলাদের ন্যাংটা করে দেবার মধ্যে আধুনিকতা খোঁজা দিয়ে। আজ তাই চরম মূল্য তো দিতেই হবে। 

অল্প জনসংখ্যা পশ্চিমাদের সংস্কৃতি আমাদের এই গিজগিজ সমাজে আনলে তার খেসারত দিতে হবেনা? আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সমাজ কি লৌকিক আচারে কখনও রিক্ত ছিল? আর সেই বিচ্যুতিই এই রোগের মূলে। 

তাই শিঁকড়ের পরিচর্যা না করলে, আগামী আরো পাশবিক কাহিনী নিয়ে অপেক্ষা করছে, কিন্তু ততদিনে আমরা রিয়্যাক্ট করতেও ভুলে যাব নিশ্চিত।



No comments:

Post a Comment