দৃশ্যঃ- বাংলার যে কোনো গ্রাম
প্রেক্ষাপটঃ-
পঞ্চায়েত প্রহসনের অন্তিম তথা শেষ লগ্ন।
কুশীলবঃ-
বিবেক ছাড়া সকল চরিত্রই উপস্থিত।
দেদার চকলেট বোমা, পটকা, সবুজ আবির, ডিজে, চুল্লু, কান্ট্রি,
সাথে নাগিন ডান্স ও ঢালাও পোল্ট্রি মাংস। এবং কিছু উন্মত্ত
মানুষ!) - উপলক্ষ্য বিজয় মিছিল।
প্রতি আধা কিলোমিটারে মুখগুলো বদলে একই কার্যপন্থার পুণঃরাবৃত্তি।
আমিঃ- কৌতুহলী আকাট ও আবাল। অতএব
শুধালামঃ- কাকে হারালেন কাকু? প্রথম দফাতে তো নমিনেশন ফাইলই করতে
দিলেননা, তার পর বুথে আসতে দিলেননা ভয় দেখিয়ে। এরও পর বেলা
১১ টার পর বুথ দখল করে নিয়ে দেদার ছাপ্পা মারলেন। এর মাঝে খুন খারাপি লুট দাঙ্গা
যা কিছু করা অসম্ভব, সবই করলেন অত্যন্ত সুষ্ঠ ও পরিকল্পিত
ভাবে। সেই ধারাপাত ধরে, গণণা কেন্দ্রেও অবশিষ্ট ধর্ষণ
টুকু করলেন, যেটুকু বাকি ছিল। অধিকাংশ স্থানে ছাপ্পা
মারলেন, বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে দিলেননা, ব্যালট ফেলে দিলেন, আগুন ধরিয়ে দিলেন, সার্টিফিকেট নিজেদের নামে করালেন, তা সে যে ই
জিতুক। বেলা দুটোর মধ্যেই গণণা কেন্দ্র ফাঁকা করে দিলেন, কারন
এর পর জেলা পরিষদ, তাই মোটেই রিস্ক নিলেননা সত্যিকারের
গণণার। পুলিশ দুষ্কৃতীর যোগ্য যুগলবন্দীতে আজ বাংলা সবুজ শ্যাওলাতে ঢাকা পড়ে গেল-
বিরোধী কি অদৌ ছিল কাকা? কয়েকটা টিভিতে খেপ খাটা বিরোধী
মুখ আছে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। কাকে হারালেন ভেবেছেন?
উত্তর এলোঃ- "তোর ক্যালানির বড্ড অভাব পরেছে"। (নাচতে নাচতে
সবটা না শুনেই এই উক্তি,
গোটাটা মন দিয়ে শুনলে নিশ্চিত আমাকেও পেটো মারত)
বুঝলামঃ- ক্যালানিই এদের ওষুধ কারন ক্যালানি ছাড়া বাকি আর কিছু বোঝে
বলে মনে হয়না।
উপসংহারঃ- জীবন জীবিকার জন্য সেই আদিম কাল থেকে মানুষ আর পশুর লড়াই
চলছে। কখনও মানুষ জেতে কখনও পশু।
মানুষ অপেক্ষা করছে বিজয়ের-
___________
উন্মাদ হার্মাদ
___________
উন্মাদ হার্মাদ
No comments:
Post a Comment