Monday, 27 February 2017

।। উন্মাদনামা ~ ২৯ ।।

ভালবাসার মানুষটিকে প্রেম দেখানোর অধিকারটা স্বিকৃত, সম্পর্ক নাকি ওটিতেই টেকে। অতএব ভাল থাকতে গেলে শুধুই প্রেমটা থাকলেই হয়। বাকিগুলো ভুলতে হয়, ভুলেও ভুলতে ভুললে হবেনা।
অন্যান্য যাবতীয় মানবিক অনুভুতি গুলো শুধুই ব্যাক্তির নিজশ্ব, তাতে অন্য কারো ভাগ নেই। মনের মানুষটিও সেই দায় নেয়না। তা সে রাগ হোক বা ঘৃনা বা বা লোভ মোহ বা কামনা ও একটু বেশি চাহিদা। তবেই না প্রাক্তন হয়.....
সাথে সাথে যদি মুহুর্তটা মিলে যায় তাহলে সেই মুহুর্তের জন্য অবশ্য ওগুলো সিদ্ধ। "তুমিই আমার সব" কথাটি বলার পরে, সেটাকে সিংহাসনস্থ করে তাকে ঘিরে যাবতীয় ঘটনাক্রম গুলো ঘটে চলে অবশিষ্ট জীবনভর। প্রতি পদক্ষেপে না মানাটা যেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অন্যতম দাবি হয়ে ওঠে।
যন্ত্রনা সওয়ার নাম ভালবাসা হলে, যন্ত্রনার উৎপত্তিস্থল খোঁজার দায় কি এড়ানো যায়? উহ্য করে থাকলে থাকাই যায়, কিন্তু যখন অস্তিত্বের সঙ্কট তৈরি হবে তখন সেই পাকদণ্ডী কে অগ্রাহ্য করে পিছিয়ে আসার পথ থাকে না। তাই সইলে সওয়া যায়, তা বলে তাতে অভ্যস্ত হলে হবেনা, প্রতিকার খোজা দরকার।
কষ্টতে অন্যের প্রবেশে মানা থাকে, কষ্ট প্রকাশ করতে নেই, অনুভুতিকে প্রকাশ্যে এনেছো কি তুমি অশ্লীলতার দায়ে দায়ী। অতএব প্রেম করার আগে একটা ভাল ম্যানেজমেন্ট কোর্স করতে হয় - আবেগকে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবে। অবশ্য সম্পর্ক ভাঙতে ভাঙতে মানুষ এগুলো শিখে যায় থুরি জেনে যায়, কিন্তু শেখে না। কারন শর্ত দিয়ে আর যাই হোক মনের ব্যাবসাতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায়না, আর গেলেও সেই নিয়ন্ত্রিত- নিয়ন্ত্রন থাকলে সেটা বেশ্যাবৃত্তির থেকে কম কিছু হয়না~ নারী পুরুষ নির্বিশেষে।
প্রেম মানে কি দায়িত্ব পালন?
দায়িত্ব তো চাকুরি করতে হলেও পালন করা আবশ্যিক, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে একটা ছকে বাঁধা জীবন। প্রেমে মানুষ কি বন্দি হতে চাই? না কি জীবনের সুপ্ত ইচ্ছা ও লুপ্ত আবেগগুলোকে খোলা আকাশে উড়িয়ে দিতে চাই সকলে? ছন্নছাড়া বলেই না প্রেমটা শুরু হয়, তবে আবেগের জয় হয়না।
দায় দায়িত্ব, সমাজ , অক্ষমতা, অভাব, লজ্জা সহ নানা প্রতিবন্ধকতার ভীরে একটু খোলামেলা পরিসর যেটুকু থাকে সেটা তো ভালবাসার মানুষটির কাছেই। তাকে প্রেম করি বলে যদি সকলসময় অধিকার বোধের দাঁড়িপাল্লা হাতে ইঞ্চি মেপে মেপে এগোতে হয় সেই সম্পর্ক আর যাই হোক অনবিল ভালবাসা নয়।
প্রেমে অনিশ্চয়তা থাকবে, পাশাপাশি একটা হিংসাও থাকা দরকার, যে ও আবার আমার থেকে বেশি আমাকে ভালবাসেনা তো? একটা সন্দেহ... যে আমি বোধহয় কম ভালবাসছি ইত্যাদি। কেও আমার মনের মানুষের দিকে আমার দৃষ্টিতে চাইলে ক্ষোভ হওয়াটা সম্ভবত সুস্বাস্থ্যের লক্ষন। শুধুমাত্র কিছু ভাল ভাল পিরিতের কথা বলার জন্য পতিতা পল্লিতে অনেক মহিলা বা পুরুষ থাকেন, যারা বিনিময়ে প্রেম বিলায়। ঝগড়া না হলে ভালবাসাটা সিদ্ধ হয় কি? ভালবাসার মানুষটির জন্য যদি নিজেকে বা তাকে অসুরক্ষিত মনে না হয় কোন একটি মুহুর্তের জন্যও তাহলে সেটা বিনিময় ভালবাসা অথবা সময় নিস্কাষনের মাধ্যম বলেই বিবেচিত হয়।

ভালবাসা......
ভালটাও বাসা, মন্দটাও বাসা, সবটা নিতে পারলে তবেই পরিপূর্ণতা আর সাফল্য।

Friday, 24 February 2017

।। সময়ের ভালবাসা ।।


সময়ের ভালোবাসা
***************
প্রতি রাতেই অত্যাচারের মাত্রাটা বাড়ছিল, একটু একটু করে। রাতে নেশা করে এসে শিপ্রা কে ধরে অত্যাচার করাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে হীরক। মাঝরাত না হলে ঘরে ফেরার নাম নেই, ঘুম চোখে দরজা খুলতে সামান্য দেরি হলেই আর রক্ষে নেই। ফেরার পরেও সেই ল্যাপটপ বা মোবাইলের পিছনে। বাড়িতে শিপ্রার উপস্থিতিটাকে সে যেন মানতেই চাইনা। কোন রকম ছুতোনাতাতে একটা সামান্যতম খুঁত পেলেই, চালু বাক্যবাণ এবং পরিশেষে শারীরিক অত্যাচার। তবুও শিপ্রা চুপ করে শুধু সহ্য করে যায়। আজপর্যন্ত কাওকে স্বামীর বিরুদ্ধে নুন্যতম কোনো অভিযোগ টুকু করেনি, বরং প্রতিবেশিরা হীরকের নামে কিছু বললে শিপ্রা তাদের এড়িয়ে চলে, ঝগড়া করেনা, কারন ওটা ওর চরিত্রে নেই।

অন্য যে কেউ হলে এই পরিস্থিতিতে স্বামীর ভাত খাওয়াতো দূরঅস্ত, উপরন্তু স্বামীকেই জেলের ভাত খাওয়াতো। কিন্তু ওর নাম যে শিপ্রা, হীরকের সামান্যটুকু কষ্ট হবে ওর জন্য, এমন কাজ সে করতেই পারবেনা , কারণ সে হীরককে ভালবাসে নিজের থেকেও বেশি। চার বছরের প্রেমের পর এই বিয়ে, তাদের দুজনের ভালবাসার পরিণতি। আর সেই ভালবাসার নিশানা স্বরূপ ওরা পৃথীবিতে এনেছে জয়ন্তকে, ওদের একমাত্র সন্তান, ক্লাস ফাইভে উঠেছে এবছর। রোজকার এই অশান্তি ছোট্ট জয়ন্তের মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করলেও, সন্তানের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে হীরকের শোধরানোর কোন লক্ষনই নেই।

গার্লস স্কুলের কৃতী ছাত্রী শিপ্রা আদক, চারদেওয়ালের কড়া শাষন আর অভিভাবকদের ঘেরাটোপে থাকা হৃদয়ের আসনে কাওকেই প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি এযাবৎ। গুটি পোকা পাখা মেললো কলেজে ভর্তি হয়ে, ক্লাসেরই সবচেয়ে বিচ্ছু ছেলেটির প্রেমে পরে গেল সে। হীরক মিত্র, সে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, শিপ্রা ইতিহাস অনার্স, কিন্তু কম্পালসারি বাংলা আর ইংরাজি ক্লাস দুটো একসাথে হতো। প্রেম জমার জন্য অবশ্য সেটুকুই যথেষ্ট ছিল, কিম্বা হয়তো নিয়তির বিধান। হীরক কলেজের অন্যতম হ্যান্ডসাম ছেলে, মেয়েরা ওর সাথে ঢলাঢলি করত, মুখে না বললেও শিপ্রা অন্তরে এগুলো দেখে খুব কষ্ট পেত। সে জানতনা হীরক যাই করুকনা, সেও এই শান্তশিষ্ট সুন্দরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। এভাবেই একটি বছরের মধ্যে একে অন্যকে চোখে হারাতো। শিপ্রা আজ ভাবে, সেই দিনের হীরক আর আজকের হীরকের মধ্যে যেত কত লক্ষ আলোকবর্ষের ফারাক, মেলাতেই পারেনা মানুষটাকে। তবুও শিপ্রা জানে আর মানে সে এই মানুষটাকেই ভালবেসেছি, আজও বাসে, আগামিতেও তাকেই ভালবেসে যাবে।

মারাকাটারি সুন্দরী বলে যে ব্যাপারটা আছে সেটা শিপ্রার মাঝে কখনই ছিলনা। গমরঙা মেদহীন শরীরে একটা সপ্রতিভ মুখ, উজ্জ্বল দুটো চোখ, টিকালো না হলেও নাকটা খুব কিউট, পাতলা গোলাপি ঠোঁট, হাসলে দাঁতের মাড়ি দেখা যায়, অপূর্ব সেই হাসি। চোখের ভ্রু দুটো একে অন্যের সাথে মিশেছে কপালের মধ্যস্থলে, আর মন্ডপের প্রতিমার মত একমাথা কালো কোঁচকানো চুল। যেকোন পোষাকেই শিপ্রাকে এতো মানায় যে ছেলেরা ওর ওই ক্যারি করার ক্ষমতাতেই প্রেমে পরে যায়। খুব কম কথা বলাটা ওর চারিত্রিক গুন। হীরকও সম্ভবত এই আকর্ষনেই শিপ্রার কাছাকাছি এসেছিল। সেই সময়ে হীরকই ছিল একমাত্র বক্তা আর শিপ্রা শ্রোতা।

এই প্রেমের কথা বাড়িতে বলার হিম্মত শিপ্রার কখনই ছিলনা। অথচ গ্রাজুয়েসনের ফাইনাল ইয়ার শেষ হওয়া ইস্তক যেই না ওর বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে সম্বন্ধ খুজতে শুরু করল, এই মুখচোরা মেয়েটাই ভিতরে ভিতরে না বলতে পারার যন্ত্রনাতে পুড়তে লাগলো। আর সেই আগুন থেকেই শক্তি অর্জন করে ফেললো। কিন্তু সবার আগে জানা দরকার হীরক কতটা প্রস্তুত!

- হীরক , আমার বাড়ি থেকে বিয়ের জন্যে সম্বন্ধ দেখছে। এক জায়গায় প্রায় ঠিক হব হব, পাত্র কোনো একটা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। কি করি বলোতো? তোমাকে ছাড়া আমি অন্য কারোর হবনা, এটা আমার পন, এখন আমি কি করব হীরক!! আমাকে উপাই বলো, তোমাকে বাদ দিয়ে আমি থাকতে পারব না...
- অনেক বড় সিদ্ধান্ত নেবার সময় এটা শিপ্রা। তুমি আমাকে কতটুকু ভালবাসো? কতটা কি করতে পারবে তোমার হীরকের জন্য!!
- কেন! কোন অবিশ্বাস আছে কি? তাকাও আমার চোখের দিকে, মুখে কি না বললেই নয়? তুমি কি জানো না যে, তোমার শিপ্রা তোমাকে তার নিজের জীবনের থেকে বেশ চায়। তুমি একবার বলো, আমি সব ... সব কিছু করতে পারি তোমার জন্য, শুধু বলো কি করতে হবে। তোমাকে আপন করে রাখার জন্য আমি সব কিছু করতে রাজি, সব কিছু।
- তাহলে আমার সাথে এই মুহুর্তেই চলে চলো, পালিয়ে যায়। নাহলে বেকার একটা কলেজ ছাত্রের সাথে তোমার পরিবার বিয়ে দেবে কেন বলো!
- পালিয়ে বিয়ে?
- সেটা ছাড়া কোনো উপায় আছে কি? থাকলে সেটা বলো, আমিও তোমার জন্য সেটা করতে প্রস্তুত...
তারপর আর ভাবাভাবির অবকাশ ছিলনা, সেই রাত্রেই সংসারের সকল সম্পর্ককে অগ্রাহ্য করে, শিপ্রা হীরকের হাতে ভরষার হাত রেখে নতুন জীবনে খোঁজে পাড়ি লাগায়।
কয়েক বছর চরম আর্থিক টানাটানির পর হীরক একটা সরকারি চাকরিও জুটিয়েছে, শিপ্রাও একটি নামি ইংরাজি স্কুলের দিদিমনি, আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট মজবুতই। নির্ঝঞ্ঝাট জীবন চলছিল, দুশ্চিন্তার কোন বলিরেখাটুকুও ছিলনা। ঠিক তিন বছরের মাথায় মা হবার খবরটি, শিপ্রা হীরককে দিতেই সে আন্দন্দে পাগল হয়ে গেল। কত স্বপ্ন দেখা ওই ভবিষ্যতের অতিথিকে ঘিরে। এরপর একদিন শিপ্রার এই খবর তার মায়ের কাছে পৌছালে মান অভিমান রাগ প্রদর্শনের পর্ব মিটিয়ে, সেই ক্রিটিক্যাল মুহুর্তে তাঁরা শিপ্রাকে বাড়ি নিয়ে গেল। যদিও হিরকের পরিবার বিয়েটা মেনে নেয়নি। তারপর থেকে হীরক যেন কেমন একটু একটু করে বদলে যেতে লাগলো, শিপ্রার অজান্তেই।

সন্তান জন্মের সেই সুখমুহুর্তেও হীরক যেন কেমন উদাসীন। সারাক্ষণ যেন কিছু একটা ভেবেই চলেছে, সদাহাস্য হীরক যেন রাগের সমার্থক হয়ে যাচ্ছে, এটা শিপ্রার চোখে এড়ায় না। জগতের নিয়মেই শিপ্রা ছোট বাচ্চার যত্ন নেওয়াতে ব্যাস্ত থাকতো, হীরক কখনও সেই সুখানুভূতির অংশীদারি হতে পারেনি। শিপ্রা বুঝে উঠেনা, তার ভুলটা ঠিক কোথায়! সে সংসার স্বামী পুত্রকে আরো বেশি সময় দেওয়ার জন্য ওই সুন্দর চাকুরিটাও স্বেচ্ছায় জলাঞ্জলি দিয়ে দিল।

শিপ্রা স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেক বার বিফল আত্নহত্যার চেষ্টাও করেছে। কিন্তু নিঃপাপ শিশুটির মুখের দিকে তাকিয়ে আর এগোতে পারেনি সে। ছেলে নিয়ে যে নিজের বাবার বাড়িতে যাবে সেই উপায়ও নেই, কারন সে সকলের মতকে অগ্রাহ্য করেই হীরককে বেছেছিল। আজ সেই সুখের কুঠিতে শনির দৃষ্টি পরেছে। তাছারা হীরককে সে কার কাছে রেখে যাবে!


শিপ্রা ভাবে, প্রেমেরও কি কোন এক্সপেয়ারি ডেট হয়? শিপ্রার বাবা-মা এর সাথে নতুন করে আসাযাওয়াই কি হিরকের এই রাগের কারন! সে কি শিপ্রার সাথে এই পারিবারিক মিলনকে মেনে নিতে পারছেনা! হীরক কি কোন অন্য মেয়ের প্রেমে পরেছে! শিপ্রা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যদি হীরকের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটে থাকে সেটা মেনে নেওয়ার জন্য সে সম্পূর্ন তৈরি। সেভাবেই নিজেকে বুঝিয়ে নিয়েছে। কারন সে হীরকের স্বত্তার সাথে প্রেম করে, হীরকের ভালটাকে সে এতোদিন মেনে নিতে পারলে আজ যখন কিছুট খারাপ হচ্ছে সেটা কেন সে মেনে নেবেনা? সে তো হীরকের সুখ চায়, হীরকের শান্তি চায়। এই উন্মাদ হীরককে কি সে চেয়েছিল? কোন পিতা কি সন্তান কে নিজের প্রতিদ্বন্দী ভাবতে পারে? যে তার জন্যই আজ শিপ্রা হীরকের জীবন থেকে দূরে সরে গেছে। না না শিপ্রা এ কথা আর বেশি দূর ভাবতে পারেনা, এক তীব্র পাপবোধ তাকে পিষে দেয়, সন্তানটা ওদের দুজনের। সে মা হলে হীরক পিতা, নিশ্চই সেও ততটাই মমত্ব দিয়ে অপত্যকে স্নেহ করে ভালবাসে যতটা শিপ্রা।

সে এই হীরকের জন্যই পৃথিবীর সকলকে অস্বিকার করেছিল, হীরকও তাই। কিন্তু আজ শিপ্রা অসহায়, সব মেনে নিতে রাজি, পুনরায় মা বাবার সাথে সম্পর্ক চ্ছেদ করতে রাজি, এমনকি হীরকের জীবনে চলে আসা দ্বিতীয়- তৃতীয় চতুর্থ সব নারীকেও নির্ধ্বিধায় মেনে নিতে রাজি, শুধু সে নিরুপায় জয়ন্তের ক্ষেত্রে। তাকে সে ছারতে পারবে না। কোন শর্তেই সে জয়ন্তকে কাছছারা করতে পারবেনা। এর পরেই মনে আসে ওর নিজের বাবা মায়ের কথা, সেও তো তাদের সন্তান, তাহলে তাদের অগ্রাহ্য করে এতদিন থাকাটা তাদেরকেও ঠিক ততটাই কষ্ট দিয়েছে, যতটা সে জয়ন্তকে ছারতে হবে ভাবতেই যন্ত্রনা পায়। কিন্তু সে হীরককেও ছারতে পারবেন।

এ এক অদ্ভুত টানাপোরেন, শিপ্রা কোনো মুক্তির সন্ধান খুঁজে পায়না সামনে। তার প্রেম মোটেই কমেনি, বরং বেড়েছে। আগে সে শুধুই হীরককে চাইত, আজ হীরকের সন্তানকে ভালবাসে, হীরকের যদি অন্যকোন প্রেম থাকে , মনেমনে তাকেও নিজের মনে করতে শুরু করেছে, এমনকি হীরকের এই অত্যাচারকেও বড় ভালবেসে ভেলেছে।

এটা আমাদের সমাজের অনেক মেয়ের জীবনের ঘটনা, যাদের নাম শিপ্রা না হয়ে হয়ত মালা, লীলা, রেখা বা শ্রেয়সী। হীরকের দল বোঝেনা, হিরকদের শিপ্রারা বড্ড ভালবাসে, যেটা তাদের ধারনারও বাইরে নিজের থেকেও বেশি।

শিপ্রাদের জন্য থাকে অনন্ত অপেক্ষা, আর চোখের জল, একরাশ হারিয়ে ফেলার ভয়ের আতঙ্কে ভালথাকার অভিনয়, সম্বল বলতে একটা দুমরে মুচরে যাওয়া প্রেমে পরিপূর্ন একটা হৃদয়। অমুল্য হৃদয়।

উন্মাদ হার্মাদ

Tuesday, 7 February 2017

।। দুঃখ বিলাস ।।


সকলেই সুখে থাকতে চান, যে কোন মুল্যে। কিন্তু সকলে সুখের সাগরে ভেষে, তার উদযাপন নাও করতে পারেন, কল্পিত দুঃখের মানে নিজেকে সযত্নে লালন করে তার মাঝে জীবনের সারবত্তা খুঁজে ফেরেন বহুজনেই।

জগতে কিছু মানুষ আছেন, যারা অত্যন্ত পেশাদারি ঘরাণাতে দু:খ বিলাস যাপন করেন, সুখের নিমিত্তে।

আমার মতে তাদের যোগ্যোতা, ও ভাগ্যগুন বা ইশ্বর/আল্লার আশির্বাদেই বলুন, সুস্থভাবে বেঁচেথাকার জন্য একটা নির্দিষ্ট রোজগারের সাম্মানিক পেশা যাদের রয়েছে, তারাই মূলত এই বিলাসযাপনটা করেন। আপনারাও খেয়াল করে দেখবেন, বুঝবেন এরাই তারা।

পেটে টান পরলে বিলাসিতা জানালা দিয়ে পালায়।

এনারা ভুলে যায়, যে পৃথিবীতে কতশত মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষুধার জন্য কতটা বিকিয়ে দিচ্ছে নিজেকে, প্রতিমুহুর্তে কত শত আপোষ শুধু বাঁচবে বলে।

একজন বেশ্যা.......
সে কারো মেয়ে, কারো বোন, কারো স্ত্রী, কারো মা....
কতটা নির্মম পরিস্থিতি হলে, তিনি তার শরীর বেচেন!! ব্যাতিক্রমি দুশ্চারিণী দু একজন অবশ্যই থাকে, কিন্তু অধিকাংশই পেটের টানে বা দ্বিতীয় উপায়ান্তর না থাকার দরুন এই আদিম পেশার শিকার। প্রতিটি মানুষ তার নিজের শরীরটা সংরক্ষিত রাখে তার একান্ত মনের মানুষকে উপহার দেবার জন্য, কেও কতটা অসহায় হলে সেই একান্ত নিজের শরীরটি কিছু যৌনক্ষুধিত মানুষের সামনে নিজেকে নগ্ন করেন, সামান্য অর্থের বিনিময়ে। এটা একটা উদাহরণ দিলাম বেশ্যবৃত্তি দিয়ে, এমন অনেক পেশা আছে পৃথিবীতে। অনেক মানুষ ডাষ্টবিন থেকে খাবার খুঁটে খান....
বেঁচে থাকার জন্য...

এনাদের জীবনটা দু:খ দুর্দশার পাঁকে ডুবে থাকলেও দু:খ নিয়ে কোন বিলাস নেই। এরা বেঁচে থাকেন বাঁচার আনন্দে। রাশি রাশি দু:খ যন্ত্রনার বিনিময়ে কেনা সামান্যটুকু সুখ নিয়েই আগামীর জন্য স্বপ্ন দেখেন।ওই মানুষগুলোর আর্থিক অনটন নেই, তাই দুঃখটাকে বিলাসের পর্যায়ে নামাতে পেরেছেন।

ইচ্ছাশক্তি দ্বারা বহুকিছুই সম্ভব। এটা ধর্ম থেকে বিজ্ঞান সবক্ষেত্রেই প্রমানিত। তাই যারা এমন ধরনের বিলাস করেন তারা আসলে একটা নেশার ঘোরে ডুবে থাকেন। তাই সময়েন নিয়মে সুখ যদি জীবনে আসার চেষ্টাও করে, এনারা তাদের ওই ইচ্ছাশক্তির গুনে ওই সুখকেও দুঃখের নদীতে পরিণত করেই ছারবে, যে কোন মুল্যে। এই ধরনের মানুষদের মনে একটা প্রচ্ছন্ন অহংকার থাকে, যে তিনি যেটা করছেন সেটাই একমাত্র ঠিক, বাকি সবাই ভুল। সকল সময় একটা তীব্র ঋণাত্মক জীবনীশক্তি দিয়ে নিজের বলয় তৈরি করে রাখে, সেই বলয় কে টপকে অন্য কেও সুখ নিয়ে তার জীবনে প্রবেশই করতেই পারেনা। এমনও হয় যে, ওই বলয় ভেদকরা একসময় তার নিজের পক্ষেই দুঢ়হ হয়ে যায়।

ঘিরে ধরে নির্মম একাকিত্ব। সামাজিক ও মানসিক দুই জগতেই। তার নিজশ্ব মেকি বিচারবুদ্ধি দিয়ে গড়া পৃথিবী, শ্বাস নেওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়। তখন মৃত্যুর শীতল যন্ত্রণা থেকেও বেঁচে থাকাটা আরো বেশি বিভীষিকা মনে হয়।

সমাজের নিন্মবৃত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ের মাঝে এই ধরনের রোগের ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব থাকেনা মোটেই, আবার যাদের জীবন পেশাগত ক্ষেত্রে অকৃতকার্যে ভরা, তারাও এই বিলাস করতে অক্ষম, কারন ভবিষ্যতের ভয়াল কল্পনা তাদের বিলাস করার সময়টুকু দেয়না। এটা করে মুলত মধ্যবিত্ত সমাজের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল স্বাবলম্বী কিছু মানুষ, আর উচ্চবিত্ত ও হাতে কাজ না থাকা মানুষের দল, যাদের জীবনে বস্তুসুখের কোন অভাব নেই। মোটকথা, খেয়েপরে একটা সময়ের পর যখন জীবন লক্ষ্যহীন হয়ে যায় তখনই এমন বিচিত্র বিলাসের সূচনা।

হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি। যদি মনেহয় আপনি সেই মানুষটা যাদের কথা উপরে লিখলাম, তাহলে বলি আপনি ভীষন ভীষন আর ভীষন ভাবে অসুস্থ, শারীরিক মানসিক দুভাবেই। আপনি কাউন্সিলিং করান, জীবনের মজা নিন। প্রেম করুন, আনন্দ করুন, দিনে একঘন্টা প্রান খুলে হাসুন। কোন মৌলিক, সামাজিক কর্ম বা নিজেকে কোন শিল্পকর্মের মাঝে নিয়োজিত করুন। দেখবেন জীবনকে অনেক স্বচ্ছ মনে হবে।

জীবনটা আপনার, তাই আপনিই জানেন কি পরিমাণ চড়াই উতরাই পেরিয়ে আপনি আজকের দিনে পৌঁছেছেন। আপনার জীবনটা কারো দয়ার দান নয় যে লুটের ভাগের মত, সময়ের সিড়িতে নিজেকে নিচের দিকে গড়িয়ে দেবেন, দিলে নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত হবেন, অন্যেরা মজা দেখবেন। আপনি দু;খ উপভোগ করছেন, অন্যে আপনাকে দেখে বিনোদন প্রাপ্ত হবে। জীবন যদি শোনপাপড়ি হয় তাহলে কেবল তার গঠনগত ফোলানো ফাঁপানো আয়তন আর জটিলটার দিকে দৃষ্টিপাত করে, যন্ত্রনাক্লিষ্ট হয়ে কি লাভ! কার লাভ? বরং সেই সোনপাপড়ির মিষ্টতা নিন চুটিয়ে।

দেখুন প্রত্যেকের জীবনেই তার নিজের নিজের মতন করে দারুন দারুন জটিল সমস্যা আছে। যার জীবনের যতটা ব্যাপ্তি, তার যন্ত্রনা ততটাই বেশি থাকে। সফল ব্যাক্তিদের সফলতার আলোকে ব্যার্থতা চাপা পরে যায়, আর ব্যার্থ মানুষের ব্যার্থতাতে, মানুষটাই চাপা পরে যায়, তাই জীবনকে উপভোগ করুন। নাস্তিক হলে গল্প উপন্যাস বই পরুন না হলে ইশ্বর বিলাস করুন, দেখবেন আপনার কৃত যাবতীয় ভালমন্দের যায়, ঈশ্বরের ঘাড়ে চাপিয়ে নিশ্চিন্তে আগামির লক্ষে এগিয়ে যান। অবশ্যই অন্যের অযথা ক্ষতিসাধন না করে। ভাবনা চিন্তাতে ধনাত্বক ভাব আনুন। গ্লাস অর্ধেক খালি না দেখে দেখুন গ্লাস অর্ধেক ভর্তি। খুনটা খুনই, অন্যকে হত্যা করলেও সেটা অপরাধ, নিজেকে করলেও তাই।

জীবন সকলকে সুযোগ দেয়, নিজেকে বদলে নেবার, শুধরে নেবার। জীবনকে নিজের থেকে দূরে ঠেলে দিলে আপনিই আসলে একা হয়ে যাবেন।

নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচার রসদ দিন।

মনে রাখবেন, অনেক দু:খ আছে বলেই না সুখের কদর এতো বেশি।


Monday, 6 February 2017

।। ফেরিওয়ালা মন ।।

ইচ্ছে ছিল কবি হবো
গালিব তোর জন্য
সুখ বেচে তাই শান্তি কিনি
জীবনটা আজ পন্য
অন্ধ আবেগ গ্রাস করেছে
হিতাহিত জ্ঞান শূন্য
ষড়রিপু ঘেরা জীবন খাতায়
অশ্লীল পাপপুণ্য
এক শরীরে কত শত মন
শত মনে শুধু শরীর
মন খুঁজে চলা শরীরে শরীরে
শরীরি শবের ভীর
আমি প্রেম ফেরি করি ফিরি
লাশেদের ভীরে
সুখ লুন্ঠন সুলভ মুল্যে
মন লেনদেন ঘিরে

Sunday, 5 February 2017

উন্মাদের চোখে~ রইস


ধান্দাসে বড়া কোই ধরম নেহি হোতা...

এটাই চুম্বকে রইস সিনেমার সারবত্তা।

কি রকম দাঁড়ালো তাহলে ব্যাপারটা? আসলে এখানে সেটা দেখানো হয়েছে সেটাকেই কাঁঠালের আমসত্ব বলা হয়।

বহু অভাবী তৃতীয় বিশ্বের আর পাঁচটা মফঃস্বলের মত গরীব মানুষের বস্তি, পেটের টানে সেই অন্ধকারের অন্ধগলিতে মাথা খুঁটে মরা। গুজরাটের কোন একটা মুসলিম অধ্যুষিত মহল্লা, যেখানে অবৈধ দেশী মদের কারবার। মোটামুটি এটাই কাহিনীর শুরু ও একে কেন্দ্র করে আবর্তিত ঘটনাপঞ্জী। আর পাঁচটা বলিউডি মশালা সিনেমার সাথে যার কোন ফারাক নেই। সেই একটা গান বা পলকেই দুম করে নায়কের বড় হয়ে যাওয়া, তারপর শুরু হিরোগিরি। কিছু অতিমানবিক স্ট্যান্ট, হিরোর হিরোইজম থুরি শাহরুখইজম, এবং একদা দুষ্কৃতী তথা রাজনীতিতে নেমে পাপস্খলন ও একটা শুটআউট। শেষে সেই মৃত্যুটাকে একটা আত্মত্যাগের মতন করে পরিবেশনা।

ব্যাস, সিনেমা এইটুকুই। তবে যেটা পাওনা সেটা হল গান। অরিজিতের গলায় “ ...ও জালিমা...গানটা সেই থেকেই কানে সমানে বেজে চলেছে। বাকি সবটার কিছু কাহিনীর দাবি মেনে, কিছু মশালার দাবী মেনে, একআধটা এক্কেবারেই অপ্রয়োজনীয়, সানি মামনির মতই।

কাঁঠালের আমসত্বটা তাহলে কোথায়? মিডিয়ার দৌলতে সকলেই জানে এই রইস নামের চরিত্রটা আসলে গুজরাটের মাফিয়া দুষ্কৃতী তথা তৎকালীন অবৈধ চোলাই ব্যারন আব্দুল লতিফের আদলে গড়া। আমরা পাবলিক তেমন কিছুই জানি কি এই ব্যাক্তিটির বিষয়ে, কিন্তু রইসের সুত্রেই আবার লোকমুখে। যেমনটা দেখালো, একটা মানুষ যে যাবতীয় অপকর্ম করেন, তবুও মহান। মুসলমান অধ্যুষিত মহল্লা, কিন্তু সকলেই প্রায় মদ ব্যাবসার সাথে যুক্ত, যদিও ওই ধর্মবাদের হিসাবে মদ তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও গর্হিত পাপকার্য, তারা খান ড্রেস পরে, নাচাগানা করে, সেখানে মহরম ছাড়া আর কোন উৎসবও হয়না। সবটাই মুসলমান কালচার, অবশ্য ৯৩ এ বিস্ফোরণের পর্যায়টি পর্দায় আসার পর রইসকে দিয়ে একটা সম্প্রীতির বানীও বলিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের চরিত্রটির মদে এলার্জি রয়েছে বোঝা গেল, কিন্তু তার রইসের সাথে শত্রুতাটা ঠিক ওই পর্যায়ে কেন গেল, সেটা ব্যোমকেশ বক্সীরও উন্মোচনের অসাধ্য।

শাহরুখের অভিনয় নিয়ে কারো কিছু বলার থাকতে পারেনা, আমি তো কোন ফুটো মস্তান। তবে নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি অভিনয়ে শাহরুখের চেয়েও কিছুটা এগিয়ে এ সিনেমাতে। বাকি চরিত্রগুলো বেশ জীবন্ত ও যথাযত কেবলমাত্র অভিনেত্রী নামক প্রানিটি ছাড়া।

মাহিরা খান। বাজারে প্রচুর হাওয়া গরম হয়েছিল এই পাকিস্থানি অভিনেত্রিটির কারনে। সিনেমাটা দেখার পরও বুঝলাম না একে ঠিক কি কারনে সিনেমাতে নেওয়া হয়েছিল। না আছে সৌন্দর্য, না কমনীয় শরীরি হিল্লোল, না ডায়লোগ থ্রোয়িং এ সাবলীলতা। তাহলে আছেটা কি, যার জন্য শাহরুখ খান প্রোডাকশন একে সিনেমাতে নিল? সৌন্দর্য বা অভিনয় গুন বিচার্য হলে আমাদের যেকোন টিভি চ্যানেলের, যেকোন ডেলিসোপের লিড হিরোইন এর থেকে সর্ব দিক থেকে উত্তম ছিল।

বিষয়টা সেই সিনেমার মূল প্রতপাদ্য, ধান্দা। আর মাহিরা খানের আছে পাকিস্থানি ট্যাগ, তথা পাকিস্থানের জনগনের নিজের সম্পদ। পাকিস্থানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কখনওই বলিউডের পড়শিটুকু হবার যোগ্যোতা রাখেনা, কিন্তু দর্শক তো দর্শক। বৈভব, চাকচিক্য, মুচমুচে স্বাদ সকলেই বোঝে। তাহলে ধান্দার হিসাবে পাকিস্থানের জনগন একটা বিশাল বাজার বলিউডের জন্য। সেটাকে ধরতেই হবে, খবরে দেখুন গেল সপ্তাহেই ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শনির উপর থেকে পাকিস্থান ব্যান তুলে নিয়েছে। না কাকতালীয় নয় মোটেই। সবটাই পরিকল্পিত মার্কেটিং এর অঙ্গ। হিন্দি সিনেমা হলেও, দেশপ্রেম দেখানোর জন্য কোন তামিল বা মাল্লু মফস্বলে কেও শাহরুখ খান দেখেনা, কাবিলও নয়। সেখানে শাহরুখ আর কুনাল খেমু দুজনেই সমান, মানে একজন হিন্দি ফিল্মের অভিনেতা মাত্র, বাকি কিছু তারা জানেননা জানার চেষ্টাও করেননা, কারন তারা হিন্দি জানেওনা, তাই হিন্দি দেখার দায়ও নেই। অগত্যা খোঁজো মার্কেট। দেশপ্রেম আর দেশবিরোধী যায়ে ভারমে। ধান্দা সে বড়া কৈ ধর্ম নেহি, কোথায় লাগে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রীষ্টান..., ধান্দাওয়ালাদের কাছে! সিনেমা নান্দনিকতা হলেও, বিক্রি করতে পারলে ব্যাবসা হিসাবে যে মুনাফার আখারা, সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

আসল ইতিহাসটা কি ছিল সেটা ইতিহাসই জানে, তবে রাজনেতারা যে বৃত্তিতে বেশ্যাদেরও অধম সেটা আবারও প্রমানিত এ সিনেমায়। পুরোপুরি মসালা বিনোদন সিনেমা, সারাটা সময় ধরে আপনাকে টানটান করে বসিয়ে রাখবে, নিশ্চিত। দেখলে মনটা বেশ ফুরফুরেই লাগবে। কিন্তু সাবধান , পরে অন্য কিছু দেখলেই ভুলে যাবেন কি দেখেছিলেন তার আগে। যেটা ভুলতে পারবেননা, সেটা হল...

ও জালিমা... ও জালিমা...