কয়েক বছর আগে লোকাল ট্রেনে আমার এক প্রাক্তনের সাথে আলাপ
হয়েছিল। ঘটনাক্রমে আমি জাইগা পাইনি বসতে। দরজার রডটা ধরে হাওয়া খেতে খেতে যাচ্ছি।
গ্যালপিং ট্রেন। ভাল ভীর। হঠাত পায়ে হাত...
দেখে
প্রথমটা চিনতে পারিনি। ক্লাস এইট নাইনের কিশোর বেলার প্রেম। হাত থেকে রুমালটা ফেলে
সেটা কুড়ানোর ওছিলাতে টুক করে পা টা ছুঁয়ে নেওয়া।
সেই
কালে গ্রক পরা একটা রোগা পাতলা কিশোরী। এখন শাড়ি পরিহিতা, সুন্দরী। কপালে টকটকে সিঁদুরের
আলপথ। হাসিটা দেখে চিনলাম। অবিকল একই আছে, শরীরটা
নারীসুলভ। আমার চেহারাতেও ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন হয়েছে।
চোখের ইশারাতে ভিতর দিকে ডাকল। কেন জানিনা মন্ত্র মুগ্ধের
মত গেলাম। সিটে বসে, শ্বাশুরিমা, এক পুত্র, ৫ বছরের। স্বামী ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাঙ্গালোরের পার্মানেন্ট
বাসিন্দা।
আমার মাসির দেশের লোক, মা।
অতনু এই সে... সে যার কথা তোমাকে বলেছিলাম।
~ঠিকানাটা
লিখে নাও...
স্বামীকে দেখিয়ে বলল- ও খুব ভাল মানুষ। আমার সব কিছু।
আমি মনে মনে বললাম সে তো প্রায় ১৫ বছর বা তারও বেশি সময় আগের ঘটনা। তখনও ভালবাসা কাকে বলে জানতামই না। শুধু চোখাচোখি। ব্যাস...
প্রেমের দই জমার আগেই আমি কোলকাতায় , আর সে আসানসোলে।
স্বামীকে দেখিয়ে বলল- ও খুব ভাল মানুষ। আমার সব কিছু।
আমি মনে মনে বললাম সে তো প্রায় ১৫ বছর বা তারও বেশি সময় আগের ঘটনা। তখনও ভালবাসা কাকে বলে জানতামই না। শুধু চোখাচোখি। ব্যাস...
প্রেমের দই জমার আগেই আমি কোলকাতায় , আর সে আসানসোলে।
বাচ্চাটার নাম শুধালাম,
- কি নাম তোমার বাবা?
আমার পিতৃদত্ত মানটা শুনে বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল। কি আর করি, কপালে একটা চুমু দিলাম।
- কি নাম তোমার বাবা?
আমার পিতৃদত্ত মানটা শুনে বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল। কি আর করি, কপালে একটা চুমু দিলাম।
বাচ্চার মা বাচ্চাকে দিয়ে আমায় প্রণাম করিয়ে তবে ছারলেন।
হাওড়াতে নেমে বাচ্চার বাবা বাচ্চাকে বলল, বাবু মামাকে টাটা করে দাও। ওমনি বাচ্চার মা চোখ লাল করে বলে উঠল- আঙকেলকে একটা হামি দিয়ে দাও।
হাওড়াতে নেমে বাচ্চার বাবা বাচ্চাকে বলল, বাবু মামাকে টাটা করে দাও। ওমনি বাচ্চার মা চোখ লাল করে বলে উঠল- আঙকেলকে একটা হামি দিয়ে দাও।
ক্রমে ভীরটা পুরো ঘটনাকে গ্রাস করে নিল।
এটাই জীবন। ভাগ্যিস ঠিকানা বা ফোননাম্বার দেওয়া নেওয়া
হয়নি।কোন গল্পই আসলে গল্প নয়, কারন গল্পেরও একটা গল্প থাকে। এটা তার পরেই বাড়িতে
মাকে, বোনকে জানিয়েছিলা অবশ্য।
No comments:
Post a Comment