কার্নিভাল কড়চা
------------------
------------------
বেশ কয়েককোটি টাকা দিয়ে দুপাশের মঞ্চসজ্জা হয়েছে। আলোয় ধুয়ে যাচ্ছে রাজপথ, মাস শুরুতেই বাজার থেকে ঋণের টাকা এসে গিয়েছে। ৬৮টা দল সেই ঋণের টাকার দানে পুষ্ট, তারা ৬৮ বার যাবে তাদের দল সহ, সামনে পতাকাবাহী একজন। সামনে রবিঠাকুর থেকে বিবেকানন্দ, পিছনে চর্বিওয়ালা ‘পেটি প্রদর্শিত’ বৌদির দল লাল পাড় সাদা শাড়িতে সজ্জিতা; গলায় ফিতে দিয়ে ঝোলানো বিশ্ববাংলা কার্ড। থুক্কুরি ঝিঙ্কু মামনির দলও আছে, ঋতুপর্ণা আছে, পাহাড়ি সান্যাল নেই পাহাড়ি মানুষ আছেন আংরেজদের সাথে। ছৌ আছে, ক্ষমতালোভী মৌ আছে। ত্রীধারা আছে, সাথে চোরা স্রোত। টেনসনের। সাথে হাতে হাতপাখা, তবে বেদ নেই সোহম আছে, আর আছে সাইকেল, ছাতা, আদিবাসী, বড় স্ত্রীন। নেই এর লিষ্টটা অনেক বড় তাই দিলাম না।
ফ্রেঞ্চকাটে গম্ভীর দাদাবাবু জানেন এটা বাজারী টিভিতে লাইভ চলছে তাই মাঝেমাঝেই হাতটা নেরে দিচ্ছেন। সামনে পিছনে আশেপাশে ক্রমগত ঘোষণা, ইংরাজী ও বাংলা ভাষাতে। নীল সাদা পাঞ্জাবিতে কেন্দুয়ার উদ্যোগতারা ভীষণ উৎফুল্লিত নিজেদের থিম সং এ তাল মিলিয়ে। তবে মূল চমকটা দিয়ে গেছে ৬৪ পল্লী, টুনি লাইট দিয়ে ‘তাঁর’ মুখ। সাথে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, এমপ্লয়েন্টমেন্ট ব্যাঙ্ক। নজরে যেটা এলোনা সেটার নাম বিদ্যূত ব্যাঙ্ক, আর সবকিছুকে ঘিরে থাকা সেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভিখারি ব্যাঙ্ক।বাউল আসতেই তার মুখের উপরে ফোকাস, সাথের গানটা বাজছে মুকুলের।
'মিলন হবে কত দিনে!'
ধুপ ধুনোতে মাতৃ আরাধনা, মুর্তি ৬৮ টি ই আছে, কিন্তু তিনি ? তার মুর্তী এখনও আসেনি বাজারে তবে ছবি আছে, সেটা ৬৮ এর বেশ কয়েকটা গুনিতকহারে। দেবতাও ভীষণ অসহায়, মর্তের দেবী হিজাব ছেরে হিন্দু হয়েছেন। যদিও সিজিনাল, তাতে কি। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা উন্মাদের দলের যোগ্য প্রতিদ্বন্ধী। ফুলমালা বেলপাতায় চশমা পরিহিতা তারই কার্নিভাল, একপাশে ফ্রেঞ্চকাট অসুর অন্যপাশে নন্দী-ভৃঙ্গীর মর্ত্য রূপ।
পাঁচু পচাই খেয়ে কার্নিভালের মজা নিতে গেছিল। নববর্ষে টিভেতে ব্রাজিলের কার্নিভ্যাল ভেবে গিয়ে দেখে কোথায় কি!সেই তো তিনোমুল, আর এবারে সত্যিই নিজের ঢাক নিজে পেটাচ্ছে চরাম চরাম করে।
ভুঁড়ো পুলিশ কাকুকে একটা কথা শুধাতেই ঠাস করে ঠ্যাটানো চড় খেয়ে নেশাটাই ছুটে গেল বেচারার।
নিরীহ প্রশ্ন-
“এই কার্নিভাল ও তার সম্প্রচার কি তাপস পাল ও তাদের উত্তরসূরিদের জন্য”?
উৎসব ব্যাঙ্ক।
No comments:
Post a Comment