Sunday, 17 June 2018
Saturday, 16 June 2018
।। প্রসঙ্গঃ বাঙালির ফুটবল বিশ্বকাপ ।।
১.
কাল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজক দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজের বক্তব্য রাখলেন নিজের ভাষাতেই। এবং স্বাভাবিকভাবেই আমরা কেউই কিছু বুঝলাম না তিনি কী বললেন! এবং আরও স্বাভাবিকভাবেই এই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এর যুগে 'নিজেদের আইডেন্টিটি বাবলগাম ফুলিয়ে যত বড় করা যেতে পারে তত বড় করব' মতের অন্যতম ধারক বাঙালি ফেসবুকে আবেগজর্জর স্ট্যাটাস দিলো 'পুতিন যদি এমনধারা করতে পারে তাহলে বাংলা মায়ের সন্তান কেন ইংলিশ মিডিয়ামে পড়বে?' হ্যাশট্যাগ বাংলা_বাঙালি_বাংলামিডিয়াম।
নিজের স্কুলজীবন পুরোটাই বাংলা মাধ্যম। শুধু তাই নয়, মাতৃভাষা- শুধু এই দাবীর জন্য বাংলাকে গড়পড়তা যতটা ভালোবাসা যায় তার চেয়ে বোধহয় কিছুটা বেশিই ভালোবেসেছি, বাসি এখনও। মনে পড়ে, মেডিকেল কলেজে ইংরেজিতে ডায়াসিং করার দীর্ঘ ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাতেই গর্বের সাথে ডায়াসিং করার কথা এবং নিজের ও নিজ অর্গানাইজেশনের বক্তব্য সেই ভাষাতেই সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং তাকে সামান্য হলেও জনপ্রিয় করার কথা। মনে পড়ে দু'বছর আগে নিট-কে সর্বভারতীয় পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যে যে যুক্তি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম নিজের মতো করে কিছুটা হলেও, তারও একটা বড় জায়গা ছিল মাতৃভাষার মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে দেওয়ার যুক্তিই। এবং একই সাথে মনে পড়ে নিজের হাসি কান্না ভালোবাসা যুক্তিবোধ অভাব অভিযোগের ভাষার নামও বাংলাই। তবু বাবলগামে যে আলপিনটি না ফোটালেই নয়।
২.
দেশ হিসেবে ভারত একটি বহু ধর্ম এবং বহু সংস্কৃতির দেশই শুধু নয়, সে একটি বহু ভাষার দেশও বটে। সংবিধান স্বীকৃত বাইশটি ভাষা আমাদের, বাংলা অবশ্যই যার মধ্যে একটি। এবং অতি অবশ্যই উল্লেখ্য, হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রভাষা নয়। আমাদের কোনও রাষ্ট্রভাষা নেই। হিন্দি হ'ল ভারতের অফিশিয়াল ভাষা, অর্থাৎ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত একটা দেশ চালানোর জন্য দৈনন্দিনে যে লক্ষকোটি অফিশিয়াল কাজ করতে হয় তার ভাষা হিন্দি। এবং হ্যাঁ, ইংরেজিও।
ফলে আপিস কাছারিতে একটা ফর্ম থেকে শুরু করে জজসাহেবর রায়ের কপি থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এই দুই ভাষা ব্যবহৃত হয়। অন্তত, হওয়াটা উচিত। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, এদেশে পরীক্ষার দিক থেকে সবচেয়ে কুলীন ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাটির (চলতি কথায় আইএএস পরীক্ষা) আপনি পুরো মেইনস এবং ইন্টারভিউ (যদ্দুর জানি) নিজের মাতৃভাষাতেই দিতে পারেন। আপনি চাইলে সরকার আপনাকে সে সুযোগ দিতে বাধ্য, এবং সরকার সে সুযোগ আপনাকে দেয়ও।
থিয়োরেটিক্যালি পারেন তো অবশ্যই, কিন্তু সেটা সম্ভব কি? সম্ভব হলে একটু ডেটা দিয়ে বলবেন আজ পর্যন্ত ক'জন বাঙালি/ বা অন্য ভাষার লোক নিজস্ব মাতৃভাষায় পরীক্ষা দিয়ে সিভিল সার্ভিস ক্র্যাক করেছে? শতাংশের হিসেবে সেটা কত? থিয়োরেটিক্যালি সে তো আপনি ইউনাইটেড নেশনসের প্রেসিডেন্টও হতে পারেন, বা প্রথম মঙ্গল অভিযাত্রী। সম্ভাবনার দিক থেকে ডেটা দিয়ে বিচার করলে সেটা প্র্যাক্টিক্যাল কি আদৌ?
প্র্যাক্টিক্যাল নয় তার কারণ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যে সমস্ত বিষয় পড়তে হয় এবং বাজারে তার যা স্ট্যান্ডার্ড বই আছে সেগুলি সবই ইংরেজিতে। আপনি নিজের মাতৃভাষায় ইন্ডিয়ান পলিটি এবং ইকোনমির ওপর একটি (ঠিকঠাক) বইও খুঁজে পাবেন না। পেলেও তাতে ব্যবহৃত একটি নির্দিষ্ট 'টার্ম' এবং তার ব্যাখা আসলে ইংরেজিতেই, কারণ তার বাংলা হয়ই না। পরীক্ষা দিলেন মাতৃভাষায়, ধরা যাক সুযোগও পেলেন, কিন্তু এসডিও হিসেবে পোস্টিং বেলগাঁও বা দিসপুর। মাতৃভাষাকে সম্বল করে কাজ চালাতে পারবেন তো?
তাই থিয়োরেটিক্যালি হলেও প্র্যাক্টিক্যালি অনেকেই আটকে যান ভাষার প্রশ্নে। একটা পুরো পেপার Essay, সেটা ইংরেজিতে লিখতে হবে ভেবে বাঙালি পরীক্ষার্থী দু'বার ঢোঁক গেলে।
আমি হিন্দি নিয়ে একটা এক্সট্রা শব্দও খরচ করতে চাই না। সেটা একটা রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডার অংশ হতে পারে, আমার তা নিয়ে আপত্তিও আছে। এবং বাংলা বনাম হিন্দি কাবাডিতে অন্তত আমি বাংলার দলেই। যদিও কাজের সূত্রে বা নিতান্ত ঘুরতে এ বঙ্গের বাইরে পা বাড়িয়ে দৈনন্দিনে নিজেই হিন্দি ব্যবহার করেছি, করতে বাধ্য হয়েছি। থ্যাঙ্কস টু সেট ম্যাক্স অ্যান্ড আজ তক। তবে সেটুকু পেরিয়ে ঘরে ফিরলে প্রেমে পকোড়ায় পার্কস্ট্রিটে আমি হার্ডকোর বাঙালি এবং আমার ভাষা বাংলা।
কিন্তু বাংলা বনাম ইংরেজিতে? আসুন দেখা যাক।
৩.
হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে গলা ফাটানো ধুতি পাঞ্জাবির অনেক বাঙালিকে চিনি আমি। পড়াশুনো মেডিকেল কলেজ- হার্ভার্ড। যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, এবং দিতে হয় তাদের নাম জিআরই এবং টোয়েফল। যে ভাষায় কাজ, পড়াশুনো এবং নামের পাশের ডিগ্রী আসা তার নাম ইংরেজি। এবং হ্যাঁ, চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আরও আরও আরও অনেকের গল্পটা একই। প্রতিটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে হবে ইংরেজিতে, প্রতিটা পিপিটি স্লাইড বানাতে হবে ইংরেজিতে, প্রতিটা মেইল করতে হবে ইংরেজিতে, প্রতিটা সেমিনারে বক্তব্য রাখতে হবে ইংরেজিতে এবং স্যার এবং ম্যাডাম সেটা করবেনও, কিন্তু ফেসবুকে ঢুকে আবেগী স্ট্যাটাস দেবেন ইংলিশ মিডিয়াম হায় হায়, জয় বাংলার জয় মর্মে। কারণ ফেসবুক সত্য, জগত মিথ্যা। তার লাইকে আর 'বাহ' এর ডিজেলে ইগোর ইঞ্জিন চলে। তাতে আরেকটা বাবল তৈরি করতে হলে করি না আমি, যে বাবলের ভেতর বসে অন্য একটা মফস্বল থেকে উঠে আসা আজীবন বাংলা মিডিয়ামের অন্য এক ছাত্রী ভাববে যে তার ইংরেজি না জানলেও চলে যাবে, কী যায় আসে!
সেই ছাত্রীটিকেই বলছি, না, চলবে না ইংরেজি না জেনে। আজ চলবে না, এদেশে চলবে না, এবং সামনের দিনগুলোয় সামনের কোনও জায়গাতেই চলবে না। দৈনন্দিন কাজ চালানোর জন্য, নিজের কেরিয়ার এবং কাজের স্বার্থেই ইংরেজি ভাষায় সড়গড় হতে হবে। আমরা একটা বিশ্বায়িত পৃথিবীতে বাস করি যার যোগাযোগের মাধ্যম ইংরেজি। হয় তুমি সেই ভাষা শেখো এবং পৃথিবীর উঠোনে এসে দাঁড়াও নয় জন্মসূত্রে প্রাপ্ত নিজের মাতৃভাষা নিয়ে ঘরের এককোণে পড়ে থাকো। যারা তোমায় এই ফেসবুকে বাংলা নিয়ে আবেগী করে দেয় তারা কাজের জগতে প্রত্যেকে ইংরেজিতে পারদর্শী। তাদের সাহিত্য, সিনেমা, পড়াশুনো থেকে শুরু করে নিজস্ব কাজের জগত ইংরেজির। এই মুহূর্তে বা অদূর ভবিষ্যতে তাদের নিজেদের সন্তানেরা পড়বে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলেই কারণ তারা ফেসবুকে আর চায়ের দোকানে যাই বলুক তারা নিজেরা বিলক্ষণ জানেন আজকের পৃথিবীতে ইংরেজি না জানা মানে তুমি শুরুই করছ একধাপ পিছিয়ে থেকেই। তারা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়ত করছে না, কিন্তু রোজরোজ বাংলা নিয়ে এবং শুধুই বাংলা নিয়ে যেটা করছে সেটা আদতে তোমাকে একটা আবেগমাখা মিষ্টিমিষ্টি ছায়াবাবলের ভেতরে ঠেলে দিচ্ছে যার মধ্যে থেকে তুমি ভাবছো নিজের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য কিছু না জানাটাই যেন তোমার 'অধিকার'এর মধ্যে পড়ে। ভুল ভাবছো।
তুমি পুতিন নও (এবং বলে রাখা ভালো পুতিন নিজস্ব ভাষায় গোটা পৃথিবীর মানুষের কাছে নিজের বক্তব্য রেখে বিশাল কিছু ঠিক কাজ করেননি। আমরা কেউ জানিই না উনি কী বলেছেন। প্রশ্নটা জাত্যাভিমানের নয়, প্রশ্নটা প্রয়োজনীয়তার) এবং তোমার জন্ম এমন কোনও দেশে হয়নি যার একটাই রাষ্ট্রভাষা এবং অফিশিয়াল ভাষা। এ নিয়ে অভিমান করা যেতে পারে, রাগ করা যেতে পারে, আন্দোলনও করা যেতে পারে। কিন্তু তার আগে তোমায় একটা সিভি তৈরি করতে হবে ইংরেজিতে, মেইল করতে হবে ইংরেজিতে, ইন্টারভিউ দিতে হবে ইংরেজিতে, গেম অফ থ্রোন্স দেখতে হবে ইংরেজিতে। আমার বোনকে সংস্কৃত নামক একটা সম্পূর্ণ ভাষানির্ভর বিষয়ে শিক্ষকতা করার জন্যও এ শহরের সমস্ত স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে হয় ইংরেজিতে। ক্লাস ফোরের একটা বাচ্চাকে বাড়িতে গিয়ে পড়ানোর প্রশ্নে তার বাবা ফোনের ওপাশ থেকে জিজ্ঞেস করেন 'আপনি ইংলিশ মিডিয়াম তো?'- না শুনে ভদ্রভাবে 'ওকে' বলে ফোন রেখে দেন। বাংলা আমার মাতৃভাষা এই আবেগ পেরিয়ে যে বাস্তবে ভাত আসে সেখানে বলা বাহুল্য, ধুতি পাঞ্জাবির কাউকে দেখা যায় না। আর জন্মসূত্রে যা পেয়েছি তার বাইরে নিজে থেকে কিছু অর্জন করব না, চেষ্টা করব না, শিখব না এটাই বা কোন দেশীয় যুক্তি হতে পারে!
দশকের পর দশক ইংরেজি শিক্ষাকে ব্রাত্য করে রেখে এ রাজ্যের পূর্বতন মহান শাসকগোষ্ঠী অলরেডি যা ক্ষতি করার করে দিয়ে গেছেন। বাকিদের কাছে অনুরোধ বাংলায় লিখুন, বাংলায় কথা বলুন, বাংলায় গান করুন কিন্তু মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ইজ ইক্যুয়ালস টু ইংরেজি না শিখলেও চলবে এই ভুল তথ্যটি ছড়ানো বন্ধ করুন। একসাথে দু'টো ভাষা শেখা যায়, মাতৃভাষাকে ব্রাত্য না করেই ইংরেজি যে একটি অত্যাবশ্যক ভাষা সেই কথা জোর দিয়ে বলা যায়। যে রবীন্দ্রনাথকে ফটো করে দেওয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছি তার কাজ বাংলায়, কিন্তু 'বিশ্বকবি' হয়ে ওঠা ইংরেজিতে এই সত্যিটা স্বীকার করি চলুন। যে বিবেকানন্দকে সামনে রেখে কর্মযোগের দীক্ষা তার বিশ্বমানব হয়ে ওঠা 'মাই সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অব আমেরিকা...' দিয়ে সেটা আরেকবার বলে উঠি চলুন। যে সত্যজিৎ রায়, নীরোদ সি চৌধুরী আর অমর্ত্য সেনকে বাঙালি বলতে পেরে ধন্য হই তাদের ইংরেজী ভাষার ওপর দখল এবং ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ কী অসামান্য উচ্চতার সেটাও একই সাথে মনে পড়াই চলুন।
এবং এই সুযোগে এটাও বলি, বাংলা ভাষার ফর্ম নিয়ে এই আদেখলাপনাটাও বন্ধ করুন। বাংলায় লিখছি আর বলছি মানে তার সব হতে হবে বিশুদ্ধ বাংলা ভাষায়, বাংলা শব্দে- এই হরপ্পা সভ্যতায় যারা এখনও বাস করেন তাদের একটা ছোট্ট স্মৃতি শেয়ার করেই লেখা গোটাচ্ছি। সেটা সাত আট বছর আগে হবে বোধহয়। এবিপি আনন্দ 'সেরা বাঙালি'র মঞ্চে সুনীল গাঙ্গুলিকে পুরষ্কৃত করার পরে সুমন প্রশ্ন করলেন "আজি হতে শতবর্ষ পরে, কে তুমি ইত্যাদি... সুনীল বাবু, আজ থেকে একশ বছর পরেও বাংলা ও বাঙালি যার লেখা পড়বে সে কি আপনিই? আপনার কী মত?" উনি বলেছিলেন "আজ থেকে একশ বছর পরে বাংলা ভাষা থাকবে বলে আমার মনে হয় না, আমাকে পড়া অনেক দূরের কথা..." একথা সুনীল গাঙ্গুলির! বাজারি কিন্তু বিগত কয়েক দশকে সর্বাধিক পঠিত ও শ্রদ্ধেয় বাংলা লেখকের!
ভাষা অনবরত বদলায়। সময়ের সাথে, তাকে ব্যবহারকারী মানুষের সাথে, পৃথিবীর সাথে, তার প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে। বাবলগাম না ফুলিয়ে প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যতের স্বার্থেই মাতৃভাষার বাইরে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে অন্তত ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব স্বীকার করে সেই পাঁচজন ছাত্রীকে বলি চলুন যে ইংরেজিটা শিখতে হবে।
দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ।
এর বাংলা কী কে জানে!
Tuesday, 12 June 2018
।। প্রেমের স্বাধীনতা।।
#ছড়া
প্রেমের স্বাধীনতা
.....................
স্বাধীন আমি স্বাধীন তুমি স্বাধীন মোদের জাতি
তবুও কেন গোপন প্রেমে ফাটে বুকের ছাতি?
তুমি খানদানী আমি ছেঁড়াপাতি? কোন কানুনের রায়?
স্বাধীন দেশে স্বাধীন প্রেমের স্বাধীনতা চাই।
ধনী গরীব, জাতি ধর্ম, হরেক দ্বন্দ্ব ভাই
বেকার সকার, অরূপ কুরূপ বাঁধার অন্ত নাই
তার উপরে ফর্সা কালো- হৃদয় কেমনে পাই?
বিভেদ ভুলে প্রেমে ভীষণ স্বাধীনতা চাই।
দুধেআলতায় রাঙা শরীর, তোমার মায়া ভরা চোখ
পাগলপারা ভ্রমর প্রেমিক, তোমায় পাবার ঝোঁক।
কোনসে জীবের প্রেমে এমন নিঠুর রুদ্ধতা!!
আগল ভাঙো বদ্ধ প্রেমের, বাঁচুক স্বাধীনতা।
আমার ঠোঁটের চামড়া ফাটা, নিকোটিনের স্তর,
তোমার ঠোঁটে গোলাপ খেলে, লিপিস্টিকের সর,
ঐ ঠোঁটেতে ছাইব আমি ভালবাসার ঘর
ভাসবে ভেলা প্রেম নদীতে, অনপেখর পর।
কৈশোরেতে তোমার সাথে খেলবো লুকোচুরি
যৌবনেতে আমি মালী তুমি পুষ্প কুঁড়ি,
এর পরেতে তুমি লাটাই আমি হব ঘুড়ি
নাতিপুতির আহ্লাদেতে বাঁচব বুড়োবুড়ি।
এসব কিছুর জন্যই চাই স্বাধীনতা প্রেমে
দেশজুড়ে তাই আগুন জ্বলুক, সবকিছু যাক থেমে
মোহর লাগুক পছন্দেতে, প্রথম দয়িতা
স্বাধীন ভাবে না পেলে প্রেম, জীবনটাই যে বৃথা।
___________
উন্মাদ হার্মাদ
প্রেমের স্বাধীনতা
.....................
স্বাধীন আমি স্বাধীন তুমি স্বাধীন মোদের জাতি
তবুও কেন গোপন প্রেমে ফাটে বুকের ছাতি?
তুমি খানদানী আমি ছেঁড়াপাতি? কোন কানুনের রায়?
স্বাধীন দেশে স্বাধীন প্রেমের স্বাধীনতা চাই।
ধনী গরীব, জাতি ধর্ম, হরেক দ্বন্দ্ব ভাই
বেকার সকার, অরূপ কুরূপ বাঁধার অন্ত নাই
তার উপরে ফর্সা কালো- হৃদয় কেমনে পাই?
বিভেদ ভুলে প্রেমে ভীষণ স্বাধীনতা চাই।
দুধেআলতায় রাঙা শরীর, তোমার মায়া ভরা চোখ
পাগলপারা ভ্রমর প্রেমিক, তোমায় পাবার ঝোঁক।
কোনসে জীবের প্রেমে এমন নিঠুর রুদ্ধতা!!
আগল ভাঙো বদ্ধ প্রেমের, বাঁচুক স্বাধীনতা।
আমার ঠোঁটের চামড়া ফাটা, নিকোটিনের স্তর,
তোমার ঠোঁটে গোলাপ খেলে, লিপিস্টিকের সর,
ঐ ঠোঁটেতে ছাইব আমি ভালবাসার ঘর
ভাসবে ভেলা প্রেম নদীতে, অনপেখর পর।
কৈশোরেতে তোমার সাথে খেলবো লুকোচুরি
যৌবনেতে আমি মালী তুমি পুষ্প কুঁড়ি,
এর পরেতে তুমি লাটাই আমি হব ঘুড়ি
নাতিপুতির আহ্লাদেতে বাঁচব বুড়োবুড়ি।
এসব কিছুর জন্যই চাই স্বাধীনতা প্রেমে
দেশজুড়ে তাই আগুন জ্বলুক, সবকিছু যাক থেমে
মোহর লাগুক পছন্দেতে, প্রথম দয়িতা
স্বাধীন ভাবে না পেলে প্রেম, জীবনটাই যে বৃথা।
___________
উন্মাদ হার্মাদ
Monday, 11 June 2018
।। ছেঁড়া মন্তাজ ।।
পরকিয়া আসলে নিষিদ্ধ সুখ-
নিষিদ্ধতা বিলাস একটা শিল্পের নাম।
শিল্পকলা অনেকটাই প্রতিভাগত, বাকিটা অনুশীলন। যারা এই শিল্পের দীর্ঘপথযাত্রী তাঁরাই অগ্রদূত ও প্রেরণাদায়ক। এর অভিধানে কোনো সফলতা হয়না, সফল হলেই সেটা আর পরকিয়া থাকেনা।
শৃঙ্খলা বা নৈতিকতা নামের জীবাণু পরকিয়া শিল্পের জন্য মহামারী।
অত্যন্ত শৌখিন ও বিলাসী এই শিল্পে গোপনীয়তাই প্রাথমিক নিধি। প্রতিভাষিত হওয়া আত্মহত্যার সমাংশ।
সুসময় থাকলে পরকিয়া বা সেই দক্ষতা, নান্দনিকতার জন্ম দেয়, যা আবেগময় নিকেষ প্রবৃত্তিমার্গের জন্ম দেয় নতুন রূপে। কালের নিয়মে ঠাট অস্তাচলে গেলে ব্যাক্তি- অবশিষ্ট মানের রূপে দৃশ্যগোচর হবেন ঠিকিই, কিন্তু টিকে যাবেন। ঘটনা হচ্ছে আমাদের টিপিক্যাল ভারতীয় সমাজকে আমরা সবসময় অপরিণত বলে ব্যাখ্যা করে আমাদের মুখোশধারী দ্বিচারিতাকে তোল্লা দিই।
মজা হচ্ছে, কখন ঠাট আছে আর কখন নেই এটা বোঝা দায়, ভীষন আপেক্ষিক।
বুঝে উঠতে পারাটাই জ্ঞান, ও খেলোয়াড়চিত আচরণ।
রোমান্টিসিজম আসলে একটা মুহুর্তের নাম, যেটা বিস্তার লাভ করে আপন গতিতে পরবর্তী মুহুর্তগুলিতে। সঞ্চারিত হয় সময়ের সর্বাঙ্গব্যাপী, শরীরের খাঁজে খাঁজে প্রস্ফুরিত হয় ষড়রস দ্বারা সংক্রামিত হয়ে।
চোখে থাকে নেশা, হৃদয়ে প্রত্যয়। শরীরে জাগে শিহরণ, অভিব্যাক্তিতে পুলকসঞ্চারিত হয়।
অনুভুতি চট করে সিদ্ধান্তে আসেনা, কারন এটা মননের সাথে সম্পৃক্ত। নারীপক্ষে- মা,স্ত্রী, কন্যার জন্য আলাদা অনুভুতি, আলাদা উপিলব্ধি। বোধ ও বোধের ফলিত রূপ- ফারাকটা গড়ে দেয় মানবীয় বিকৃতি হওয়া থেকে
পরস্ত্রীর প্রতি অনুভুত অব্যক্ত প্রেম পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু মিলনেচ্ছা অবশ্যই নিষিদ্ধতা- সমাজের কাছে। তাই সমাজকে উপলব্ধি করলে এই প্রেম নিষিদ্ধ, আর প্রেমকে আস্কারা দিলে সমাজ থেকে নিষিদ্ধ।
অতএব, অনুভুতির সিদ্ধ, অসিদ্ধ, নিষদ্ধতা আছে। উপলব্ধির একক সেই পরিস্থিতির নিরিখে সঠিক বা বেঠিক।
বিদ্যার্জনে চৈতন্যোদয় হলে তবেই পাণ্ডিত্যপূর্ণ বুৎপত্তি তথা প্রজ্ঞার রুপায়ন সম্ভেদপর হয়। জ্ঞান যখন অর্জন করছি তখন ভালো আর মন্দের ফারাকটা পড়ে বুঝি শিক্ষার আপন গুণে। কিন্তু যখন প্রয়োগের সময় আসে, তখন স্বভাবসিদ্ধ মানবীয় স্বার্থপরায়ণ গুণ সকলসময় আপন অনুকুলে পরিস্থিতিকে বাইতে দিতে চায়। পুঁথিগত জ্ঞান তখন অসহায় পরিস্থিতির কাছে।
তাই গভীরে আলোচনা সকলসময় পরিস্থিতিকে কেন্দ্রকরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর পর্যালোচনা দাবি করে। নতুবা একতরফা চাপিয়ে দেওয়া সমাধান আসে, যেটা বিচারের সুষ্ঠুধারাকে খন্ডন করে।
জীবনটা গণিত শাস্ত্রের এক্তিয়ারের বাইরে কিছু নয়। প্রেমের আলাদা ভাষা আলাদা সংখ্যামান। সংখ্যার ভাজকতা অনুযায়ী মৌলিক ও যৌগিকও হয়। তাই প্রেমের পরিমিতি, জ্যামিতি, উপপাদ্য সকল সিদ্ধ প্রেমের সুত্র দ্বারাই ব্যাখ্যা বা কষে ফেলা সম্ভব। তবেই মৌলিকতা আসবে, নতুবা দুয়ে দুয়ে চার হয়ে যৌগিক হয়ে সম্পর্কটি কৌলীন্য হারাবে।
উদ্ভাবনীয় শক্তি ক্ষমতাধর, তাবলে ঐতিহ্যগত বুনিয়াদকে সমূলে উৎপাটন সম্ভব নয়।
অতএব নিষিদ্ধতা যতক্ষণ নিষিদ্ধতারুপে গ্রহণযোগ্য থাকবে, সর্বোৎকৃষ্ট সুখের মাত্রা সেই কালীনই সর্বোচ্চ হবে সেটা বলাই বাহুল্য। এটাই ফলিত সত্য।
অন্যথাতে কেবলই রোজনামচার অভ্যাস।
।। মিকসো ।।
সংক্রমণ আসলে সেই দেহেই সম্ভব যার প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল। বালুঝড়ে আর যাই হোক শরীর মন কিছুই ভেজেনা উলটে শুষ্ক বালি শরীরের আদ্রতা শুষে নেয়। বালির রাজ্যে আলেয়াও অতিস্বাভাবিক, দৃষ্টিভ্রম। দৃষ্টিই মস্তিষ্কজাত, দ্রুত নিজের ঢঙে পরিস্থিতি পড়ে নেয়, এবিং সংক্রমণ টা ঠিক কোন শ্রেনীর সেই বুঝে নিজেকে গুটিয়ে নেয় বা মেলে দেয়। আসল জীবাশ্ম কিন্তু আমাদের স্মৃতি, যেগুলো বারে বারে অতীতকালকেকে স্মরণ করিয়ে দেয়, দলাপাকা বাষ্পেরা তো বুকের ওই খাঁচাতেই পথ ভুলে ঘুরপাক খায়, অনেক অনেক উত্তাপে অদৃশ্য কান্নারা বাষ্প হয়ে হৃদয়ের আকাশ আচ্ছন্ন করে রাখে, ওই বাষ্পই তো আলেয়ার পথ তৈরি করে দেয়।
কখনও অবাক হয়ে অবাক হয়ে দেখবেন, হঠাৎ করে আর অবাক হলে অবাক হবেননা। সৌন্দর্যতত্ত্ব আপেক্ষিক, কখন ও কোন পরিস্থিতিতে দৃষ্টি পুষ্ট হয়ে হৃদয় ও মস্তিষ্কে একযোগে সঙ্কেত পাঠালে তবেই সৌন্দর্যরূপ মূর্ত হয়। আপনি যদি উজানের যাত্রী হন, যেখানে ভাবার অবকাশ কম, পরিশ্রান্তি সৌন্দর্য বোঝেনা, তার তৃপ্তি বিশ্রামে; ভাটির টানে গতি এলোমেলোমি হলেও বিবেচনার বিলাসিনী হতেই পারা যায়। অতএব ইতিউতি উঁকিঝুঁকি নিঃসঙ্গতার মর্মপীড়া, হোক সে মিথ্যে, সুখ আসছে কিনা বিচার্য সেটা।
ব্যাভিচার?
দুরাচারী হবার চেয়ে ব্যাভিচারী হওয়া উত্তম, অন্তত একটা নির্দিষ্ট আচার রয়েছে গোটা প্রবৃত্তি মার্গে। কে বিচার করে, কেউ কি নিশ্চিত জানে যে ব্যাভিচার কোন অজানা দুরারোগ্য ব্যাধির পথ্য নয়?? হতেই পারে, যতটা না হবার শঙ্কা।
জীবন অঙ্ক কষেই চলে, তার যাবতীয় সুত্র পরিস্থিতিনির্ভর। ক্ষতহীন জীবন বলিপুষ্ট হয়ে যাবার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়। বরং লজ্জা অনুশীলন করা উত্তম।
নিজেকে অনাবৃত করা ভূষন হতে, দৃষ্টি স্বচ্ছ রেখে- যৌনতা ব্যাতিরেকে, ওটাই লজ্জা। বাকি সবই শরীরবৃত্তীয়, আর চাহিদার লজ্জা থাকতে নেই, থাকলে দংশিত হতে হয়। মৌনতা থাক ক্ষিপ্র প্রকাশে, যৌনতা অনুভবে।
অনুভবই উপলব্ধি ঘটায়, উপলব্ধি আনে প্রত্যয়। প্রত্যয়িত ব্যাক্তি স্বতন্ত্রভাবে নিজের চাহিদাজনিত তৃপ্তি হাসিল করে নেয় যে কোনো উপায়ে।
সুতরাং, স্বপ্ন দেখুন; স্বপ্ন। ওতেই জীবন সুধা লুকিয়ে।
Sunday, 10 June 2018
।। হককথা ১২ ।।
অনেক মানুষই পর্ন ভিডিও দেখে। অন্যের রতিক্রীড়া দেখে আপন লিঙ্গের নুনছাল তোলে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে। অতঃপর জ্বলে মরে।
এটাকে মানে পর্ণকে জাস্টিফাই করার জন্য বৃহৎ পশ্চিমা মিডিয়া কুল রয়েছে, গোটা পর্ণ ইন্ড্রাষ্ট্রিটা মোটামুটি ওদেরই দখলে। সে যাই হোক, গল্প অন্যত্র।
আমি আপনি কি করলাম, কোথায় গেলাম, কার সাথে গেলাম, কি খেলাম, এবং কি ও কতটা হাগলাম- সবকিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নিলে তবেই তাদের ভাত হজম হয়। বা বলা ভাল- ওই পর্ণ দেখার সম সুখানুভুতি লাভ করে। এই তারা হলেন বিশেষ শ্রেনীর এক মনুষ্যপ্রজাতি। যাদের কাজই হল অকারনে অন্যের জীবনে অপ্রয়োজনীয় উঁকি মারা, এবং শুধুমাত্র পরচর্চা ও পরনিন্দা করার জন্যই 'কুৎসা' করে বেড়ানো।
প্রশ্ন উঠবে আমি কে?
..........
আজ্ঞে মহাশয়, আমি কেউ নয়। পাতি ছাপোষা বিশাল বপু মাথামোটা বাঙালি ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমি করেছি এমন উল্লেখযোগ্য কিছু কর্ম নেই, আমার বানীতে কেউ কখনও উপকৃত হয়নি, বরং রোজ কেউ না কেউ আহত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের মত আমিও সামান্য রোজগার করি, বাচ্চাকাচ্চা জন্ম দিয়েছি, ফেসবুক করি। আর এভাবেই হয়ত মরেও যাব উল্লেখযোগ্য কিচ্ছুটি না করেই। বিশ্বাস করুন, আমি সমাজসেবক নই, শিক্ষক নই, শিল্পপতি নই, লেখক পাঠক, বুদ্ধিমান, আবাল, হনু, আঁতেল, বাতেলা কিচ্ছুটি নই। এই মুহুর্তে মারা গেলে মা, বৌ, বাচ্চাছাড়া কোথাও নামটির উচ্চারণ হবেনা।
সমস্যাটা কোথায় তাহলে?
...........
সমস্যা হচ্ছে আমি কটা বিয়ে করেছি, কেন করেছি? আমার ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ঠিক কোথায়? কত পরিমান ধারদেনা করেছি, কেন করেছি, করার পর কি করেছি- এই নিয়ে রিসার্চের অন্ত নেই। তা ভাল, করুন রিসার্চ। আপনাদের সকলের নিমন্ত্রণ রইল আমার সমুদ্রগড়ের বাড়িতে, রুমির হাতের বিরিয়ানি খেয়ে যেয়েন। সামনে বসে খেতে খেতে উত্তর গুলো পেলে কেমন হয়? বিকালে মায়াপুর ভ্রমনও হতে পারে।
তেতো জবাব, যেমনটা আপনি চান ঠিক সেই মতই স্ক্রিপ্টেড।
..........
তাহলে শুনুন, প্রথমত আমার যৌন ক্ষমতা রয়েছে একাধিক সুন্দরী স্ত্রী ঘরে রাখার মত। আমি সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, ও দেশীয় আইন কানুন মেনে ও মানিয়ে নিয়ে চলছি অত্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে, সেটা দেখে আপনার ফাটছে কেন দাদা? আগেকার দিকে কুলীন ব্রাহ্মনেরা কি করেছেন সেই উদারহরন দিচ্ছিনা, SC ST কোটায় চাকরি পাচ্ছেন, OBC কোটায় যখন সর্বত্র সুবিধে নিচ্ছেন, তখন সংবিধানে বৈষম্য নজরে আসেনি? প্রেম ভালবাসা আছে কি নেই, সেটা তো একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত, চুক্তি থাকলে সেটাও। সবটাই আজকের দিনের ভারতীয় সংবিধান মেনেই। আর ধর্মীয়? আপনি জানেন সেটাও। আমি সেটাই করি, আইনগত ভাবে বিবাহিত স্ত্রীদের সাথে ঠিক যা যা অন্যেরা করে বা করা উচিৎ, হ্যাঁ বিছানাতেও।
প্রসঙ্গত, আপনি বা আপনার বাবা-মায়ের মত আমি মজা মেরে ছেড়ে দিইনি (হতেই পারে, কারন আমি আপনাদের নিয়ে রিসার্চ করিনি। তাই হওয়া বা না হওয়ার চান্স ৫০/৫০)। বরং পাশে থেকেছি দুর্দিনে, বন্ধু হয়েছি সারা জীবনের মত। আপনাদের নাকি জাত আছে শুনলাম, হ্যাঁ শুয়োর আলাদা জাতই হয়।
এরপর কি?
........
আমার সাথে মেশা যায়না এরপরে, তাই না?
ঠিকিই তো, ভুলে যান। আর প্রয়াগে গিয়ে শুদ্ধ গঙ্গায় স্নান করে পূতঃ পবিত্র হোক। কারন কোলকাতার গঙ্গা আমার থেকেও বেশি অপবিত্র। আর চ্যালেঞ্জ নিলে দশাবতারের রুপে সময় সুযোগ মত, আমি আপনাকেও উলোঙ্গ করে দেবার মত যে দুর্বুদ্ধিগ্রস্ত, সেটা আপনি নিশ্চিত জানেন।
বিঃ দ্রঃ- এটা আমার সবচেয়ে আপনজনের জন্য,
...........
বলছি তুই এতোটা উত্তেজিতও হোসনা। আমার তিন কন্যার গর্বিত পিতার পাশাপাশি - ফারাজ ও শরিয়তি সম্পত্তি ওয়ারিশান আইন সম্বন্ধে আমার জ্ঞান টনটনে। যদি বয়সকালে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত সামান্যটুকু সম্পিত্তিও থাকে সেটার মালিক রুমি ও তার কন্যারাই হবে। অন্যজন স্বয়ংসিদ্ধা, নিয়তির জাঁতাকলে পিষে সে আমার গোঁজে বাঁধা করেছে। নুতুবা তার জন্য আমাদের কারোই ভাবার প্রয়োজন নেই। বাকিটা ব্যাক্তিগত। এছাড়াও যেটা তোকে মোটেই খুশি করবেনা, সেই পুত্রসন্তান বাইচান্স হয়ে গেলে, যেন আত্মহত্যা করিসনা, সুখে বা দুখে। সেক্ষেত্রে তোর দুটোকেও আমাকেই মানুষ করতে হবে। অবশ্য সেটা আমার কাছে সুখেরই হবে।
সাত বছর বয়স থেকে ব্যবসার টাটে বসি। রোজগারের জন্য যতনা ব্যবসা করি, খেলার ছলে আরো বেশি বরং। তাই হেরেছি যেমন, জেতার হিসাব করলে সত্যিই অঙ্কের হিসাবে আমাদের মত ছাপোষা বাঙালি ওই সব অঙ্ক কষতেই পারবেননা। তাই আপনি ঠিক যেখানে আমাকে একটা গড় ভেবে নেবেন, ঠিক তার পরের অধ্যয়ে এসে আর চিনতে পারবেননা। তবে মানুষটাকে চিনলে অন্ধকারেও খুঁজে পাবেন। আমি টাকা কামিয়েছিলাম এদ্দিন, বস্তা বস্তা; সম্পর্ক কামায়নি। যবে ঠেকে শিখলাম, বুঝলাম ঠুনকো সম্পর্কের প্রাসাদে ছিলাম। পলকা ঝড়ে যা খড়কুটোর মত উড়ে গেল। আমার সবচেয়ে বড় নির্বুদ্ধিতা হল- টাকা যে শেষ হয়ে যেতে পারে সেটা কখনও বুঝিনি। সাথে সাথে আশেপাশের মানুষগুলোও রাতারাতি অচেনা হয়ে যায়। সেই অচেনাদের ভিড়ে নিজেকে দিকশূন্যপুরের পানে মুক্ত পানার মত ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কয়েকজন এই ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের বন্ধুই সাহায্যটা করেছিল। যাদের প্রথম নাম ওজনের হিসাবে প্রসেনজিৎ গুহ হলেও সারাক্ষণ পাল্লার স্থিতাবস্থা রক্ষার জন্য শেহনাজ ও সুব্রতদার ভুমিকা নতুন জীবন দিয়েছে আমাকে। সেই ক্ষেত্রে দৃঢ় বন্ধন একটা স্বাভাবিক বিষয়।
আজ যারা আমার জন্য প্রায় অন্ধ হয়ে ভরষা করেছেন, আমার আগামীর যাবতীয় যাবতীয় তাদের প্রতি আমার বিনীত উৎসর্গ।
এক আজ বলছি?
.........
আমার আশেপাশের লোকে কি বলবে?
আত্মীয়স্বজন কি বলবে?
ভুবনেশ্বর কি বলবে?
বাবা মা রুমিকে কি জবাব দেব?
মেয়েরা বড় হচ্ছে কি জবাব দেব?
ব্যবসায়িক সার্কেলে কি জবাব দেব?
আজ ভাবলাম-
এখনি মারা গেলে কি হবে?
যেতেও তো পারি?
কেন লুকিয়ে চোরের মত মারা যাব?
জানুক সত্য। বন্ধ হোক ফিসফাস।
ভুল করলে করেছি। অন্তত ভুলকে জাস্টিফাই করছিনা। কিন্তু নিজের জীবনের একটা অংশকে কেন নিষিদ্ধ ভাবে রেখে দিচ্ছি? এটাও তো দ্বিচারিতা, অন্যায়। যেহেতু কারো ক্ষতি করিনি প্রকাশ্য বা গোপনে, তাই কেন এই ভয় পুষে বাঁচা?
কাদের ভয়? যারা আমার বিপদে দরকারে এলোনা তাদের? ওদের মত আত্মীয়-বন্ধু-পড়শি থাকলে আলাদা করে শত্রুর দরকার কি?
সুতরাং, যারা আমার ভাল চায়না। আমিও তাদের সাথে সম্পর্কে তেমন উৎসাহী নই। তাহলে চোখ বুঝে ভার্চুয়ালিই কনফেসনটা করে দিই। সামান্য ব্যাথা যন্ত্রনা আসলে এই সময় টুকুই। তারপর শান্তিই শান্তি।
আবার আপনি
.......
শান্তি পেলেন?
না পেলে অণ্ডকোষ চুলকে আরেকটা তন্ময় হক খুঁজতে শুরু করে দিন। নতুবা আপনাদের দিন কিভাবে কাটবে? কারন আর পিপুফিসু করার মত এলিমেন্টই রইলনা তন্ময় হক নামের মহাভারতে। এই দুঃখে আপনি দুটো কবিতা লিখুন, কথা দিচ্ছি আমিও লিখব।
কি হতে পারত?
......
চেষ্টা কি কম ছিল আপনি ও আপনাদের তরফে? তন্ময় হক- বাংলাদেশীদের মত এই সঙ্কর প্রজাতির নামের দৌলতে সহজেই কটাদিন ভবানীভবন, লোকাল DIB, থানারর চক্কর কাটালেন। অতঃপর? ফুস.......
পরিশেষেঃ আমি কি বুঝি?
.........
কুত্তা.....
ভৌ..... করবেই।
আমি আমার বৌ বাচ্চার কাছে কতটা লয়্যাল সেটাই ম্যাটার। বিপদের দিনের বন্ধুরাই বন্ধু, বাকি সমস্ত কিছু লোম বা চুল। আছেন তাই আছেন, ঝড়ে গেলেই আমার জন্য আপনার স্থান নর্দমাতে।
ভাল থাকুন দাদা দিদি এন্ড মিত্রো।
Saturday, 9 June 2018
।। শাককাহন।।
ছোটবেলায় বাবা বলতেন "শাগ খেলে বাঘের বল"। যদিও তিনি ওটাকে শাকই বলতেন আমরা কচি কানে বাঘের সাথে মিলিয়ে শাগ শুনতাম।
এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিদিননের মধ্যাহ্নভোজনে একটা বড় স্থান জুড়েই ছিল শাক অধ্যায়। আজও রয়েছে, তবে পছন্দের শাক গুলোই, অপছন্দ সব ডিলিট।
তখন সবে পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু "বাঙালেরা" থিতু হয়ে আমাদের একালাতে একটা মিশ্র সংস্কৃতি নিয়ে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মতা যারা এলাকার ২-৩ শ বছরের স্থায়ী বাসিন্দা তাদের হেঁসেলেও সেই পরিবর্তন কিছুটা হলেও ছাপ ফেলেছিল। বাজারে হরেক ধরনের শাকের চোখজোড়ানো ঢলঢলে উপস্থিতি, বাজারু মানুষকে কতদিন আর না টেনে পারবে।
অত:পর শৈশব থেকে সেই শাকের গল্প শুরু। এই শাক দিয়ে দিব্ব্যি মাছ টুকু ঢাকা দিয়ে দিতাম, সুতরাং পরিমান অনুমেয়।
যেটা খাওয়া মোটে পছন্দ করতামনা সেটা দিয়েই শুরু করি।
কুলেখাড়া নামের একধরনের গাঢ় কালচে সবুজ বর্ণের শাকের রস আমাদের দুই ভাইবোনের কাছে রীতিমত বিভীষিকা ছিল। যেমন তেতো, তেমন বিশ্রীভাবে একটা বোঁটকা গন্ধ যুক্ত। আজ নিজে খাওয়া ছেড়েছি, আর বাড়ির ছোটরা আমাদের শিশুকালের ত্রাসের দিনে ফিরে গেছে।
এর পর ছিল কালো কচি নিমপাতা সহযোগে কচি বেগুন ভাজা, ওটি ভাতে মিশিয়ে খেতে হত। সেটাও ছিল একধরনের থার্ডডিগ্রি।
ভাতে ঘি মেখে খাবেন শান্তিকরে? না তার উপায় টুকুও ছিলনা, ঘি এর মধ্যেই থাকত ভেজে পোড়া 'ব্রাহ্মী শাক"। যেটা মোটের উপরে তেতোই বটে। স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতে নাকি এই শাক ভীষন উপকারি।
এছাড়া তেতোর দুনিয়াতে সজনে শাক, হেলেঞ্চা, শিউলিফুল, দ্রোণ ঝোঁপ এমনকি চিরতাও থাকত চক্রাকারে নিয়ম করে। আসলে পিত্ত, কৃমি আরো হরেক ভয়ঙ্কর(!) বিষয়- যেগুলো সম্বন্ধে মা নিজেও জানতেননা, সেই সব অজানা ভয়ে উপর্যুপরি আমাদের তেতো গেলাতেন।
এরই মাঝে কিছু সুখ ছিল, যেমন মিঠা পাট। রসুন দিয়ে পাটশাক ভাজা বৈশাখের দুপুরে, আহা সে যেন অমৃতসম। যিনি এ রসে বঞ্চিত তিনি কল্পনাতেও আনতে পারবেননা কি সুখ লুকিয়ে আছে পাটশাকে। এর পর ধরুন কলমি শাক ভাজা, বা শরু লন্বা লম্বা করে কাটা আলু আর কয়েকদানা ছোলাডাল সহযোগে চচ্চড়ি- এ স্বাদের কাছে আর কি লাগে!
শীতে পালং শাক বেগুন দিয়ে, মুলো শাক ভাজা। এর সাথে ছিল বাঙাল ডাঁটা বা কাটোয়া ডাঁটা নামের ফুট তিনেক লম্বা শাকের আমদানি। বেশ মিষ্টি মিষ্টি লাগত এই শাক। বিয়ে বাড়ির ল্যাবড়া নামক তরকারিতে এই বাঙাল ডাঁটা ছিল অপরিহার্য, আজও আছে।
পুঁইশাক সহজলভ্য, হরেক উপায়ে রান্না হত, আজও হয়। কুমড়ো আলু দিয়ে, কচু আর ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে, ছ্যাঁচড়া, শুটকি বা নোনা ইলিশ দিয়ে রসা, পুঁইডাঁটা চেবানোর মজাই আলাদা। আজকাল বাজারে গেলে মায়ের অর্ডারি- ঢাকঢাক পাতা, মাচার পুঁই আনবি ডগ ডগ দেখে।
এর পর নটে, লাল নটেতে ভাত রাঙিয়ে খাবার শিশুশুলভ খেলা খেলেনি এমন মানুষ কম। সাদা নটে বাড়ির আশেপাশেই পাওয়া যেত, যেটা সিদ্ধ করে কাচা পেয়াজ, কাঁচালঙ্কা, নুন আর পাতিলেবু সহযোগে ভাতে মাখলে এমনিতেই পাত খালি হয়ে যেত। যদিও কাঁটানটে দেখলেই তখন নিজেকে বদল বলদ মনে হত, আসলে গোয়ালের গরুদের দুপুরের খাবারে বা জাবনাতে কাঁটানটে-খুদ সিদ্ধ থাকত, গাই এর দুধ আর হেলের বল বাড়েতে।
লাউ শাকের চচ্চড়ি, ভাজা, ভাপা, কুমড়ো শাকেরও ওই ধরনেরই রেসিপি হত। পলতা বা পটলের শাক, রাঙা আলুর লতি, বাদাম শাক, এগুলোও মুখরোচক পদেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। ছোলাশাক, তেউরা শাক, খেসারী শাক ইত্যাদি তো লোভনীয় পদ।
পাশের বাড়ির ডাক্তার ঠাকুমা আবার খারকোন নামের একটা শাক খেতেন বড় আমোদ করে। যেগুলো বাড়ির স্যাঁতসেঁতে দেওয়ালের কোনে জন্মাতো। পচা খড়ের পালুইতে যে ব্যাঙের ছাতা গজাতো, 'বিলেতিশাক' নামে সেই মাশরুম যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল পরিচিতমহলের রসুইঘরে। আমাদের রান্নাঘরে অবশ্য তা কখনও ঢোকেনি।
বাড়ির শাক বলতে মনে পড়ল, থানকুনি, শুশুনি, কুমড়োশাক, পুঁইশাক, বেতোর শাক, কচুডাঁটা, কচুরলতি, ওলের ডাঁটা, দণ্ডকলস, টক আমরুল, ঢেঁকিশাক, তেলাকুচা লতা, ঝুড়ি শাক ইত্যাদি কিনতে হতনা। হয় বাড়িতেই হত নতুবা বাড়ির আশেপাশে ফেলা জমিতে দেখাযেত, যা চাষ করতে হতনা, আপনা থেকেই জন্মাতো।
শাক হিসাবে না গন্য করলেও; ধনেপাতা, লেবুবাতা, আমড়াপাতা, কারিপাতা, পুদিনাপাতা ইত্যাদি কিছু গরুর মত চিবিয়ে খাওয়াই হয় বা হত।
আজকাল শহর তো ছেড়েই দিলাম, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ির আশেপাশে বনবাদাড় তেমন থাকেনা, অনাবাদী জমিও তেমন নেই, মাঠ আলেও হরেক ঘাসমারা আর কেয়ারিকরা বাগিচার দাপটে এই মাঠঘাটের শাক বৈচিত্র্য আজ বাংলার বুকে হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রাম বাংলা বা মফস্বল শহরে যে ছোট ছোট ডোবা থাকত, তার পাড়েও থাকত বুনো শাকেদের রাজ্য। শাকের ঐতিহ্য বাঙালীর চিরন্তন। গ্রামবাংলার দরিদ্র মানুষ এই লতাপাতা কন্দকান্ড খেয়েই পুষ্টি ও ঔষধি পেতেন। আজ আমরা সেটা দায়িত্ব নিয়ে নষ্ট করেছি ও করে চলেছি।
এর উপরে আছে পার্থেনিয়ামের সর্বগ্রাসী অভিযান, নতুবা রেললাইনের ধার দিয়ে বা পাকা রাস্তার নয়ানজুলী বরাবরও একটা সময় মেঠো শাকের স্বর্গ ছিল। তারই মাঝে একটা আধটা বহল, আকন্দ, ঢোলকলমি, ফলসা, বুনো জাম, ছোট ফলন্ত তালের গাছ, শ্যাওড়া গাছের আঁশফল, বকুল, জামরুল বনে শৈশব ছুটে বেড়াতো। কেটেছড়ে গেলে দূর্বাঘাস চিবিয়ে দেওয়া বা চিড়চিড়ে গাছের কষ লাগিয়ে চিকিৎসা করা। সবই শাকের সাথেই বিদায় নিয়েছে আজকের শৈশব থেজে। আজ সেই রাস্তায় প্রচুর বাইক, মোটরভ্যান ট্রাকের দাপট। ধানচাষীর লোভ নয়ানজুলীকে বীজতলা বানিয়েছে। শৈশবও অগি-সিঞ্চ্যানে বন্দি।
তাই ভূত চতুর্দশী পালনে ১৪ শাক আজ প্রতীকি শাস্ত্রপালা হিসাবেই রয়ে গেছে।
আপনার অভজ্ঞিতা কি এই শাক নিয়ে?
_____________
©উন্মাদ হার্মাদ
Tuesday, 5 June 2018
।। উন্মাদনামা ৩১ ।।
উন্নত জাতি আসলে, অনেক ছোট ছোট সুস্থ সমাজের সমষ্টিরূপ।
সুস্থ সমাজ তৈরি করে মূল্যবোধ যুক্ত মানুষেরা।
গভীর মূল্যবোধ ছাড়া উপলব্ধি অসম্ভব।
উপলব্ধি অধরা প্রকৃত শিক্ষা বিনা।
প্রকৃত শিক্ষা রচিত হয়, কল্যাণের বাস্তবোচিত রূপরেখাকে কেন্দ্র করে।
বাস্তববাদী করে তোলে, শিশুর বেড়ে ওঠার পরিবেশ।
পরিবেশ তৈরি করে অভিভাবক।
অভিভাবককে গঠন করে তার ধীশক্তি যুক্ত অভিজ্ঞতা।
অভিজ্ঞতা আসে অনুশীলন থেকে।
ক্রমাগত ভাল আর মন্দের ফারাক করতে পারাই হল সুষ্ঠু অনুশীলন।
বই, বই'ই পাঠ দেয় - ভাল আর মন্দের। বৃহত্তর পরিসরে বিভিন্ন আঙ্গিকের নিরন্তর পড়াশোনা'ই জ্ঞানার্জনের একমাত্র অগ্রিম ও সুখকর পন্থা, নতুবা সময় শিখিয়ে দিলে লাভের ঘরে কষ্ট মিশ্রিত অভিজ্ঞতা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা।
সুতরাং, পড়াশোনা করুন; এর বিকল্প নেই। ওতেই সকল কিছু ভাল নিহিত আছে।
পড়াশোনা করুন
উন্নত জাতি আসলে, অনেক ছোট ছোট সুস্থ সমাজের সমষ্টিরূপ।
সুস্থ সমাজ তৈরি করে মূল্যবোধ যুক্ত মানুষেরা।
গভীর মূল্যবোধ ছাড়া উপলব্ধি অসম্ভব।
উপলব্ধি অধরা প্রকৃত শিক্ষা বিনা।
প্রকৃত শিক্ষা রচিত হয়, কল্যাণের বাস্তবোচিত রূপরেখাকে কেন্দ্র করে।
বাস্তববাদী করে তোলে, শিশুর বেড়ে ওঠার পরিবেশ।
পরিবেশ তৈরি করে অভিভাবক।
অভিভাবককে গঠন করে তার ধীশক্তি যুক্ত অভিজ্ঞতা।
অভিজ্ঞতা আসে অনুশীলন থেকে।
সুস্থ সমাজ তৈরি করে মূল্যবোধ যুক্ত মানুষেরা।
গভীর মূল্যবোধ ছাড়া উপলব্ধি অসম্ভব।
উপলব্ধি অধরা প্রকৃত শিক্ষা বিনা।
প্রকৃত শিক্ষা রচিত হয়, কল্যাণের বাস্তবোচিত রূপরেখাকে কেন্দ্র করে।
বাস্তববাদী করে তোলে, শিশুর বেড়ে ওঠার পরিবেশ।
পরিবেশ তৈরি করে অভিভাবক।
অভিভাবককে গঠন করে তার ধীশক্তি যুক্ত অভিজ্ঞতা।
অভিজ্ঞতা আসে অনুশীলন থেকে।
ক্রমাগত ভাল আর মন্দের ফারাক করতে পারাই হল সুষ্ঠু অনুশীলন।
বই, বই'ই পাঠ দেয় - ভাল আর মন্দের। বৃহত্তর পরিসরে বিভিন্ন আঙ্গিকের নিরন্তর
পড়াশোনা'ই জ্ঞানার্জনের একমাত্র অগ্রিম ও সুখকর পন্থা,
নতুবা সময় শিখিয়ে দিলে লাভের ঘরে কষ্ট মিশ্রিত অভিজ্ঞতা ছাড়া
কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা।
সুতরাং, পড়াশোনা
করুন; এর বিকল্প নেই। ওতেই সকল কিছু ভাল নিহিত আছে।
Sunday, 3 June 2018
।। সুপুরডি হত্যা ।।
হত্যা যখন সকল ক্ষেত্রেই ঘৃণার, তাহলে
পুরুলিয়ার দুই যুবক খুনে প্রতিবাদ কই ফ্রেন্ডস? নাকি ওরা
বিজেপি, মানুষ নয়? হতেই পারে এই BJPই ধর্মের নামে সারা ভারত জুড়ে মানুষ খুন করেছে। তার রোষে অন্য কেউ আবার
খুন হবেন?
পরপর
দু-দিন দুটো এভাবে ঝুলন্ত দেহ দেখে শিউরে উঠছি। জানতে চাইনা তারা কোন দলের সমার্থক, কোন জাতি কোন
প্রদেশের- শুধু জানতে চাই এই খুনে কোন উন্নয়ন হচ্ছে বা আচ্ছেদিন আসছে? কেন এই খুনের রাজনীতি বন্ধ হবেনা? নপুংসক
প্রশাসন কেন সাজা পাবেনা? প্রকাশ্যে-
কাল বাম
কর্মীরা যখন খুন হত,
মিডিয়া
বুদ্ধিজীবী কেউ মড়াকান্না কাঁদতনা, পাশ কাটিয়ে
যেত। এই সুপুরডি আর ডাহা গ্রামের ৩ জন CPM কর্মী খুন হয়ে
যান ২০১০ সালে, সংবাদপত্রের শিরোনাম পায়নি সেদিন, কারন রাজ্য পরিবর্তনের স্বপ্নদোষে আক্রান্ত ছিল। আজ আবার পরিবর্তনের
পরিবর্তন চেয়ে দালাল মিডিয়া খবরে প্রকাশ করছে।
জেলা পুলিশ বড়কর্তা পিসির ঢঙে
আত্মহত্যা বলে দিতেই,
পিসি রেগে টং। ওটা ওনার অধিকার, অন্যে
কেন কেড়ে নেবে!! অতএব জেলা পুলিশ কর্তা অপসারিত।
আজ পিসির ভাইপো যুবরাজের স্বপ্নের
"বিরোধী শূণ্যের" আহ্বানে সারা দিয়ে দুটো তাজা প্রান রাজনৈতিক বলি হল।
অথচ ভার্চুয়াল সমাজ প্রায় নিশ্চুপ।
রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিভেদ থাক, কিন্তু
প্রতিবাদটুকু করুন সমস্বরে অন্তত!
এখন রাজ্যে হয় আপনি উন্নয়নের
পক্ষে নতুবা বিরোধী। আর বিরোধী মানে CPM, Congress, BJP যা খুশি হতে পারেন।
কাল আবার কার নাম্বার উন্নয়ন ছাড়া কেউ জানেনা, তবুও আপনি
দেখছেন গণ্ড পুরুলিয়ার দুটো 'আদিবাসী ভুত' যারা কিনা BJP, সত্যিই তো প্রতিবাদ চলে?
লজ্জা হয়, সমাজের এই
সিলেক্টিভ প্রতিবাদের "ছেনালি" দেখে।
Friday, 1 June 2018
।। ইন্টালেকচুয়াল সম্পত্তি চোরের কীর্তি ।।
একটা টিচার গ্রুপ, লক্ষাধিক সদস্য, আমারই কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধুদের দ্বারা পরিচালিত। নাম TEACHER- a FRIEND,a PHILOSOPHER and a GUIDE.
আর এই ঘনিষ্টতার কারনেই আপাতত আমি মিউট আছি
:D

বিষয়টা অন্যত্র। জনৈকা লেখিকা মহুয়া সিংহ রায় নাম্নী, তিনি ওই গ্রুপে 'রবীন্দ্রনাথ ও প্রেম' নিয়ে এক লম্বা লেখা লিখছেন। অন্তত ১০- ১৫ খন্ড তো পোষ্ট হয়েই গেছে। যার পোষ্টার নিশ্চিত ভাবেই এডমিনদের কারো বানিয়ে দেওয়া।
দারুণ তথ্য সম্বলিত লেখা নিঃসন্দেহে।
মুসকিলটা হল অন্যত্র।
গোটালেখার ৯০% ই প্যাপিরাস নামের ব্লগের একটা লেখার সাথে লাইন বাই লাইন মিল আছে। লিঙ্ক দিলাম দেখে নিন।
কিন্তু কমেন্টে লেখিকার এমন উজ্জ্বল উপস্থিতি- "আমার লেখা' বলে, ছত্রে ছত্রে-
একটু আশ্চর্য করে বৈকি।
হতেই পারে লেখিকার ছদ্মনামে লেখা ওই ব্লগ। এবং একটিই ব্লগ কি? অন্তত গোটা ১০-১৫ ব্লগ থেকে নিপুন মুন্সিয়ানা করে কপিপেষ্ট করা।
যেহেতু গ্রুপে জানার সুযোগ নেই, তাই জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। এবং এখানেও ক্ল্যারিফিকেশন চাইলাম জনগণের চেয়ে।
প্রশান্তদা কে বলি- তুমিও এসব প্রশ্রয় দিচ্ছ বস?
আমি নাহয় জন্মগত হারামি ও চোর, বিটকেল উল্লুক। কিন্তু এনারা?
আর ইয়ে, প্রতিটা পর্বের মূল লিঙ্ক আমি দিয়ে দেব চাইলে।
Subscribe to:
Posts (Atom)