Monday, 11 June 2018

।। মিকসো ।।

সংক্রমণ আসলে সেই দেহেই সম্ভব যার প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল। বালুঝড়ে আর যাই হোক শরীর মন কিছুই ভেজেনা উলটে শুষ্ক বালি শরীরের আদ্রতা শুষে নেয়। বালির রাজ্যে আলেয়াও অতিস্বাভাবিক, দৃষ্টিভ্রম। দৃষ্টিই মস্তিষ্কজাত, দ্রুত নিজের ঢঙে পরিস্থিতি পড়ে নেয়, এবিং সংক্রমণ টা ঠিক কোন শ্রেনীর সেই বুঝে নিজেকে গুটিয়ে নেয় বা মেলে দেয়। আসল জীবাশ্ম কিন্তু আমাদের স্মৃতি, যেগুলো বারে বারে অতীতকালকেকে স্মরণ করিয়ে দেয়, দলাপাকা বাষ্পেরা তো বুকের ওই খাঁচাতেই পথ ভুলে ঘুরপাক খায়, অনেক অনেক উত্তাপে অদৃশ্য কান্নারা বাষ্প হয়ে হৃদয়ের আকাশ আচ্ছন্ন করে রাখে, ওই বাষ্পই তো আলেয়ার পথ তৈরি করে দেয়।
কখনও অবাক হয়ে অবাক হয়ে দেখবেন, হঠাৎ করে আর অবাক হলে অবাক হবেননা। সৌন্দর্যতত্ত্ব আপেক্ষিক, কখন ও কোন পরিস্থিতিতে দৃষ্টি পুষ্ট হয়ে হৃদয় ও মস্তিষ্কে একযোগে সঙ্কেত পাঠালে তবেই সৌন্দর্যরূপ মূর্ত হয়। আপনি যদি উজানের যাত্রী হন, যেখানে ভাবার অবকাশ কম, পরিশ্রান্তি সৌন্দর্য বোঝেনা, তার তৃপ্তি বিশ্রামে; ভাটির টানে গতি এলোমেলোমি হলেও বিবেচনার বিলাসিনী হতেই পারা যায়। অতএব ইতিউতি উঁকিঝুঁকি নিঃসঙ্গতার মর্মপীড়া, হোক সে মিথ্যে, সুখ আসছে কিনা বিচার্য সেটা।
ব্যাভিচার?
দুরাচারী হবার চেয়ে ব্যাভিচারী হওয়া উত্তম, অন্তত একটা নির্দিষ্ট আচার রয়েছে গোটা প্রবৃত্তি মার্গে। কে বিচার করে, কেউ কি নিশ্চিত জানে যে ব্যাভিচার কোন অজানা দুরারোগ্য ব্যাধির পথ্য নয়?? হতেই পারে, যতটা না হবার শঙ্কা।

জীবন অঙ্ক কষেই চলে, তার যাবতীয় সুত্র পরিস্থিতিনির্ভর। ক্ষতহীন জীবন বলিপুষ্ট হয়ে যাবার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়। বরং লজ্জা অনুশীলন করা উত্তম।
নিজেকে অনাবৃত করা ভূষন হতে, দৃষ্টি স্বচ্ছ রেখে- যৌনতা ব্যাতিরেকে, ওটাই লজ্জা। বাকি সবই শরীরবৃত্তীয়, আর চাহিদার লজ্জা থাকতে নেই, থাকলে দংশিত হতে হয়। মৌনতা থাক ক্ষিপ্র প্রকাশে, যৌনতা অনুভবে।
অনুভবই উপলব্ধি ঘটায়, উপলব্ধি আনে প্রত্যয়। প্রত্যয়িত ব্যাক্তি স্বতন্ত্রভাবে নিজের চাহিদাজনিত তৃপ্তি হাসিল করে নেয় যে কোনো উপায়ে।
সুতরাং, স্বপ্ন দেখুন; স্বপ্ন। ওতেই জীবন সুধা লুকিয়ে।

No comments:

Post a Comment