উন্মাদীয় রবিবাসর
ভয়
যাকে কখনই চামড়ার চোখে দেখা যায় , সেই দুর্বোধ্য বস্তুর নামই “ভয়”
“বিজয় বাবু অফিস থেকে এই কিছুক্ষন আগেই ফিরেছেন, স্ত্রী, পুত্রকে সাথে
নিয়ে, স্কুলের গরমের ছুটিতে বাপের বাড়িতে গেছে। ঘরে ঢুকেই ফ্যান টা চালিয়ে
দিলেন, আর তার সাথে টিভিটাও। এবার ঘরের জানালা গুলো সব খুলে দিলেন আর পর্দা
টেনে দিলেন। অফিসের ব্যাগে সংরক্ষিত সাদা হুইস্কির বোতল বিজয় বাবুকে
“আয়-আয়-আয়’ করে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
বাথরুমের যাবতীয় কার্য সাধন
করে, চেয়ারে বসে গা টা এলিয়ে দিয়ে টিভিটার দিকে তাকালেন, IPL এর ম্যাচ
চলছিলো, তাই মিউট মোডেই ছিলো। জানালার কাঁচ আর পর্দা ভেদ করে চাদের আলো
বিজয় বাবুর মুখে এসে পড়ছে। ব্যাপারটা আরো উপভোগ করার জন্য তিনি জানালাটা
পুরো খুলে দিলেন। চাদের আলো আর সাথে হালকা শীতল বাতাস। এবার চানাচুর আর
সোডার বোতল টা নিয়ে মৌতাত রেডি। ঘরে ডিম লাইট, টিভির আলো আর চাঁদের আলোর
সংমিশ্রণে এক মায়াবী পরিস্থিতি। বসে বসে গুন গুন করে এক কলি গান ও গাইতে
লাগলেন।
হটাৎ করে রান্না ঘরের দিকটায় খুট করে একটা শব্দ, চমকে
তাকালেন। ভাবলেন ইদুর বোধ হয়। আবার নীরবতা খানিক পর সদরে লোহার দরজাতে একটা
যান্ত্রব আর্তনাদ। বিজয় বাবু ধরফরিয়ে সদরের দিকে গেলেন দেখলেন কেউ কোত্থাও
নেই। আবার ছিটকিনি লাগিয়ে যথাস্থানে এসে বসলেন। আবার নীরবতা। এবার হঠাৎ
একটা রুদ্ধ বায়ু যেন প্রান পনে খোলা জানালা দিয়ে প্রানপনে পালিয়ে গেলো, সব
পর্দা তছনছ।
বিজয় বাবুর শ্বাস নিতে যেন কষ্ট হচ্ছিল।তাঁর হৃদয়ে ঘোড়দৌড় শুরু হয়ে গেছে. পেশী গুলো সব শিথিল হয়ে আসছে।
সারা শরীর অবশ”.......................................
বিজয় বাবু ভয় পেয়েছিলেন।
ভয়।
জীব মস্তিষ্ক একটি জটিল কোষীয় অঙ্গ। আমাদের ইন্দ্রিয় দ্বারা সংগ্রীহিত
নানান অনুভুতি গুলো কে আমরা স্নায়ুর মাধমে মস্তিষ্কে চালান করি। এক্ষেত্রে
শুধু মাত্র পঞ্চইন্দ্রিয় নয়, একটা অদৃশ্য ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ও উপস্থিত থাকে।
যা আমাদের এই জটিল স্নায়বিক নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে তাহার কার্য প্রনালী
চালনা করে।
এখন এই ভয় হল একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, মোটেই
তাৎক্ষনিক কিছু নয়। আসলে আমাদের স্মৃতির হার্ড ডিস্কে অসংখ্য TB, নানা
ধরনের মেমোরি সেভ আছে। এবার মজা হলো যে কোন ঘটনা আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে
অনুভব করে মস্তিষ্কে চালান দিতেই, মস্তিষ্ক সেটার মানানের পূর্বঅভিজ্ঞতা
সেটা নিজের বা অন্যের যা ই হোক না কেন, সেটা ফ্রাকসান ওফ সেকেন্ডে সেটা
খুঁজে নেয়। আর সেটার মতন করে শরীর কে নির্দেশ প্রদান করে। আর সেটা যদি ভয়ের
হয়, সাথে সাথে গলা শুকিয়ে যাওয়া, চোখা লাল, পেশি শৈথিল্য, ইত্যাদি
ইত্যাদি। যেটা একটা উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে হৃদয় কে সরাসরি আক্রমন করে। কিন্তু
এ তো গেলো থিওরিটিক্যালি কূটকাচালি।
“ভয় পেওনা ভয় পেওনা তোমায় আমি মারবো না, সত্যি বলছি তোমার সাথে কুস্তি করে পারবো না”।
ভয়, নামটা শুনলেই যেন কেমন ভয় অনুভুত হয়।অন্তত আমার বা আমাদের মত, লোকের।
অনেকেই ভয় কে ভালোবেসে সেটার পিছু পিছু ধাওয়া করে। কিন্তু ভয় কি ইচ্ছা করে
পাওয়া যায়!! না চাইলেই তাঁকে তাড়ানো ও যায়??
ভয় কি ভালোবাসার
সমার্থক শব্দ নয়!! আমরা যাকে বা যে জিনিস টা কে খুব ভালো বাসি , সেটা নিয়েই
তো ভয় পাওয়া শুরু হয়। সেটা বস্তু-ব্যাক্তি-যশ , যা কিছু হতেই পারে।ভয়
পাওয়ার মধ্যেও যে একটা অপত্য সুখ লুকিয়ে থাকে। আমরা কি সন্তানের জন্য অযথা
ভয় পেয়ে সুখী হই না!!
ভয় হয়তো সরাসরি পরিবর্তন ঘটাতে পারে না,
কিন্তু ভয়ের ফলাফল সুদুর প্রসারী। মানব যদি ভয় না পেত, চুরি, খুন ধর্ষন,
অসম্মান এই শব্দ গুলো শব্দকোষে থাকতো না। আর মানুষ কিছু না কিছু নিয়ে
ব্যাস্ত থাকেই, সেটা খেয়ালি পোলাও ও হতেই পারে। তাই ভয়ার্ত পরিবেশ
অস্বাস্থকর হলে, পরিমিত ভয় কিন্তু পুষ্টিকর।
মনের মধ্যে যদি
স্বর্গ হারাবার বা নরকে যাবার ভয় না থাকতো, আমরা কি অদৌ ধর্ম নিয়ে মাথা
ঘামাতাম?? না কি জাতের নামে হানাহানি করা বজ্জাত গুলো বিশাক্ত ফনার আস্ফালন
করতে পারতো? আসলে ধর্মের বীজ ও তো সেই ভয়ের গর্ভে ই প্রথিতো।
যারা
নাকি অকুতো ভয়, তারাও কি আসলে ভীতু নয়!! নিজের সাহসিকতা হারানোর ভয়। পুরাতণ
কোন অর্জিত কৃতিত্ব থাকলে সেটা ধরে রাখার ভয়। সামাজিক ভাবে প্রসঙ্গিক
থাকার ভয়।
সব থেকে বড় সামাজিক ভয় বোধহয়, ক্ষমতা হাবাবার ভয়। যেটা এই
পৃথিবীর সবথেকে সব থেকে বড় জীবন্ত সমস্যা। যেটা আমাদের রাজনৈতিক নেতা বা
নেত্রীরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ক্ষমতার দম্ভে ক্ষমতার অপব্যাবহার
করতে করতে শেষে যখন ক্ষমতা হারানোর ভয় চেপে বসে, তখন যেকোন মুল্যে সেই
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য, জনগন কে একটা ভয়ের পরিবেশের দিকে ঠেলে দেয়।
রাষ্ট্র বলে যে শব্দবন্ধ টা তে আমরা অবলোকন করি, সেটাও তো আসলে কোটি কোটি
ভয়ার্ত কোষের সমষ্টি। পুলিস, মিলিটারি, কামান , আলোচোনা, যুক্তি, চুক্তি...
সমস্ত কিছুই তো সেই ভয়ের সমাহার। সত্যিই কি বন্দুকের নল ক্ষমতার উৎস??
নাকি ভয় ই হলো ক্ষমতার উৎস, যেটা যেভাবেই সৃষ্ট ভয় হোক না কেন!!
অনেক ক্ষেত্রেই ভয় দূর করার নামে মানুষকে আরো ভীত করে দেওয়া হয়। অগুন্তি
উদাহরন চোখের সামনে। যেটা আমাদের ভূতপূর্ব রাজ্য নির্বাচন কমিসনার সুনীল
কুমার গুপ্তা জীর “ভ্যায়” ও হতে পারে আবার নিরীহ ম্যাগি নিয়ে জনসমাজে
ভয়ার্ত প্রচার। সকল কিছুই এর অন্তর্গত।
এখন দুর্বল হৃদয়ের মানুষজন
অনেক সময় ভূতের ভয়ে ভীত হয়ে যান, সেটা কোন অলীক কল্পনা ও হতে পারে। যেটাকে
বিদ্যা বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করা যাই না , তাকেই আমরা ভুতেও আখ্যা দিয়ে
দিই, আর ভয় পেতে ভালো বাসি। কেউ কেউ মামদো-বেম্মোদোত্তি- বা শাঁকচুন্নি দের
দেখেও ফেলি। আর মনে মনে একটা ব্যাপক ভয়ের সুখ লালন পালন করি।
কারো
জীবনে ভূত আবার তার ভূতকাল, ফেলে আসা জীবনের সুখ, আনন্দ পাওয়া না পাওয়া সব
গুলো তাকে তারা করে বেড়ায়। সেটা ধরে রাখার ভয় ও হতে পারে, হারানোর ভয় ও হতে
পারে, আক্ষেপের ভয়, পুরাতন পাপ স্খলনের জন্য যে অনুশচোনা, আর সেটা থেকেই
ভয়।
এই বহমান সময়, প্রতি মুহুর্তে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে যখন
এগিয়ে চলেছি, সেই সময় ভাবনার ভয়, কি কি করতে পারলাম, কি কি করতে পারতাম, কি
কি না করলেও পারতাম। কোনটা এখোনো বাকি রয়ে গেলো, সেটা কি শেষ করতে পারবো
?? সেই ভয় ই শুধু আমাদের তারা করে নিয়ে বেড়াচ্ছে না সর্বক্ষন!
ভালোবাসা তে আবার ভয় না থাকলে যেটা আবার যেন কোথায় অপূর্ন থেকে যায়।
প্রণয়ের ভয় ভালোবাসার প্রাচীর কে মজবুত করে। এই ভয় একটা অপরিনত মনকে বড্ড
শক্ত ও জটিল করে চলে। এই ভয় সটান জীবন কে কল্পনার আকাশ থেকে বাস্তবের
মাটিতে আছরে ফেলে। এই ভয় সর্বক্ষন সেই সঙ্গী সঙ্গিনী টিকে মনে করাতে বাধ্য
করে, তার প্রেমে আরো তলিয়ে যেতে কি সাহায্য করে না!!
এই ভয়ের কারনে
কেউ কেউ মনের মাঝে একটা গোটা ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি পুষে রেখেছে, যার লাভা
গুলো কান্নার ফোঁটার আকারে চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু বয়ে চলে। কিন্তু গোপনে।
কারন প্রকাশ্যে এলেই সেই আবার বদনামের ভয়।
শয্যা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর
সাথে রতিক্রীড়া কালীন বেশিরভাগ জীব ই অন্ধকার পছন্দ করেন, ওই, চক্ষুলজ্জার
ভয়। অনেক সময় শুধু মাত্র বাক্যালাপেই অনেক ক্ষেত্রে উষ্ণ শরীর কামনাতুর নয়ে
উঠে, বহু কিছু পেতে ইচ্ছা করে, চীৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, কিন্তু ওই আবার
চক্ষুলজ্জার ভয়, তাতে তুমি যতই ভিজে যাও না কেন, বলতে পারবে না, নাহ, ওই
আপন সঙ্গী বা সঙ্গীনিটিকে ও না। মন্দ ভাবাবে কিনা তার ভয়। বিবেকের কাছে
জবাবদিহির ভয়। সমাজের কাছে প্রকাশ পেয়ে যাবার ভয়।
উন্মাদের অবশ্য,
এত শত ভয় পাওয়ার কথাই নয়। তবুও মাঝে মাঝেই ভয় পেয়ে যাচ্ছি। তবে সেটা অল্প
ক্ষনের জন্যই। কারন যতটা বিবেক ও বুদ্ধি দিয়ে ভয়কে জিইয়ে রাখতে হয়, ততটা
আমার মাঝে নেই।আর স্মৃতি শক্তি ও প্রচন্ড দূর্বল। আসলে সব পাগল রা ই বোধহয়
এরকমই।
আচ্ছা যারা আত্মঘাতী হয়, তারা কি ভীতু নই?? ভয়ের তারনায় পালাতে পালাতে এক সময় চিরকালীন
ছুটি পেতে, যাবতীয় ভয়ের থেকে মুক্তি পাবার জন্য আত্ম হনন। আবার স্বর্গের
রাস্তার শর্ট কাট খুজতে বা নরকের রাস্তা টপকে ডিঙিয়ে পাড় হতে, অনেক কে মেরে
অবশেষে নিজেকে হত্যা। এ ও এক ভয়ের পরিনাম।
ভয়ের তো নানা কারন। তবে
মানুষ অকারনে ভয় পেয়ে মজা পেতে ভালোবাসে। আবার অকারনে ভয় পাইয়েও। সেটা গুজব
ছরিয়ে আম মানুষ কে ভয় পাওয়ানো। কেউ উজ্বলতা কে ভয় পাচ্ছে তো কেউ অন্ধকারে
একা থাকতে। কারো ভয় নির্জনতা আবার কারো কোলাহলে।কেউ খেতে ভয় পায় কেউ
খাওয়াতে, কেউ আবার কালকে দুমুঠো জুটবে কি তা তার ভয়ে অস্থির।
সাপ
কে আমরা যত না ভয় পায়, সাপ আমাদের ততোধিক ভয় পায়, আর সেটা নাহলে সে হয়ত
ছোবল ই মারতো না। নিরীহ মানুষ গুলোকি তাই নয়? ভয় পেতে পেতে, এক সময় নতুন
করে আর ভয় পাওয়া টা থাকে আর না। কালু দা বলে একজন আমার অতি পরিচিতো
ব্যাবসায়িক সহচর কে বলতে শুনেছি, একটু মজার ছলেইঃ “ওরে পাগলা ভয় আমি আর পায়
না, তুই ভয় পেয়ে কাঁদছিস! আমায় দেখ আমি আর কাঁদি না, তুই কাঁদছিস আর আমি
পাথর হয়ে গেছি। আর পাথরে রস কষ কিচ্ছু নেই যে বেড়োবে”।
সত্যিই তো পাথর যখন হয়ে যায়, তখন তো আর ভয় তাঁকে ভীত করতে পারে না, সে যা খুশী করতেই পারে।
কেও কাজে ভয় পায়, কারো কাজ না থাকলে অলস মস্তিষ্ক কিছু “অকাজ” করে ফেলার
ভয়। কারো পড়তে ভয় লাগে, কারো পড়াতে। ফেল করার ভয় অনেক সময় ই, বহু উঠতি
প্রতিভাকে সমাজের মুলস্রোত থেকে দূরে ছুরে ফেলে দেয়, অনেক সময় এমনও হয় যে
আর ফিরে আসার সময় টুকুও পায় না, যখন নাকি তার ভয় কেটে যায়।
কেউ
উষ্ণতা কে ভয় পায়, কেও শীতলতা টা কে। সেটা সম্পর্ক থেকে খাদ্যবস্তু যা
কিছুই হতে পারে। কেউ শিশু দের ভয় পায় সংখ্যাধিক্যের কারনে, কেও যে সেই
শিশুর জন্যই কেঁদে ফেরে আর সারাজীবন একা একা ভয়ে ভয়ে। কারো উচ্চতাতে ভয়
কারন তার মন-লক্ষ-চোখ সমস্ত ধ্যান টা ই তো খাদের পানে থাকে। কেউ কেউ যখন
সুস্থ থাকে সেটা অজান্তেই ভয়ের কারন হয়ে যায়, কারো আবার অসুস্থ হবার ভয়।
নিজেকে আয়নাতে দেখা বড় ভয়ের, সবসময় না হলেও সেটা কিন্তু কম ভীতী দায়ক নয়,
কারন নিজের ন্যাংটো কদাকার রুপ কে ত আমরা মানতে চাই না সকল সময়, তাই ওই রুপ
চোখের সামনে এলেই ভয়ে শিউরে উঠি।
বাকি অনেক অনেক কিছুই রয়ে গেলো,
আসলে এই ভয় নিয়ে কিছু লিখতে বসাটাও বেশ ভয়ের, সেটা এখন টের পাচ্ছি। তবে
যৌনতা নিয়ে কিছু না বললেই নয়। মানবের এটা এতোটাই গোপনীয়তাতে ভরা যে, সকল
সময় ই প্রকাশ্যে আসার ভয়ে আমরা প্রত্যেকে ভীত, তাতে তিনি যদি গনিকা হন
তাতেও। আর এই ভয়ে ভয়ে থাকাটা এ এক আশ্চর্য সুখ, কিছুটা ভয়াবহ ও বলা যায়।
আর সব শেষে যেটা পরে থাকে সেটা হল অবিশ্বাসের ভয়। যেটা মৃত্যু ভয়ের থেকেও
যন্ত্রনা ময়, মৃত্যু তো কয়েকটা মুহুর্তের যন্ত্রনা, আর অবিশ্বাসের জ্বালার
জন্য সৃষ্ট ভয়, প্রতিটা শ্বাস-প্রশ্বাসে মৃত্যুর শীতলতা অনুভব করিয়ে দেয়।
সেটা স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক প্রেমিকা, পিতা পুত্র, মালিক কর্মচারী,
বন্ধুতে বন্ধুতে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে, ভাইয়ে ভাইয়ে, নানা রকমের ভয়। আর
এক এক সময় নিজেকেই যখন অবিশ্বাস্য লাগে, নিজের প্রতি টি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কে
ভয় লাগে, তখন ভয় টা যন্ত্রনা তে পরিতন হয়, নিয়ন্ত্রন হারানোর যন্ত্রনা।
ভয় তাই জয় করা যায় না। এভারেষ্টের চুড়াতে পৌছানো গেলেও বেঁচে ফেরার ভয় টা
কিন্তু চরম ভাবে থেকেই যায়। কারন আমাদের সহ্য শক্তি সীমিত কিন্তু ভয় পাওয়ার
কোন সীমা নেই।আমি আরো কিছু হয়তো লিখতাম, কিন্তু পাঠক কুলের ধৈর্য থাকবে কি
না সেই ভয় টা ও থেকেই যায়। উন্মাদ কে আবার সুস্থ ভেবে নেবার ভয়।
বেশ ভয়ার্ত পরিবেশের মধ্যে ভয়ে ভয়েই এই লেখা।
চলুন সবাই ভয় কে ম্যানেজ করে নিয়ে ভয়াবহ এই পরিস্থিতি গুলোকে ভূত কালে পরিনত করে দিয়ে, নতুন কালের ধরে ঝাপ দিই।
(উন্মাদীয় বানানবিধি তে দুষ্ট)
উন্মাদ হার্মাদ।