সারমেয় যখন উলঙ্গ থাকে, তখন
আরেকটি সারমেয় কখনো মনে করে না যে এটা অশ্লীলতা। কারন সে নিজেও উলঙ্গ। সে আবার যখন
প্রকাশ্যে যৌন কাজ করে, তখনো আরেকটি সারমেয়র
মনে আসে না, যে এটা অশ্লীলতা। তাতে
মানুষই লজ্জা পায়, আবার কিছু নিকৃষ্ট
রুচির মানুষ তারিয়ে তারিয়ে সেই রতিদৃশ্য উপভোগ করে, কারন
হিসাবে বলে "বাওয়া, এতো রাস্তার মোড়ে হচ্চে, দেকবো না?"। কেও আবার তাদের সেই
জটিল শারীরবৃত্তীয় অন্তিম কৌশলের দরুন, আঘাত
হানতেও লজ্জিত হয়না।
এটাই
পৃথিবী।
কারন সারমেয়র বিবেক নাই, মনুষ্যত্ববোধ
নাই। সন্দেহ, ওই আঘাতকারী
ব্যাক্তি বর্গ বা বিকৃতকাম মানুষগুলোর মনুষত্ব বা বিবেকবোধ নিয়েও বড় জিজ্ঞাসা
অবশিষ্ট পৃথিবীর। যদিও এটা তারা শুনলেই আবার মস্তিষ্কে বদবায়ুর সঞ্চার ঘটিয়ে
সুললিত বাণীর প্রবাহ ঘটাবেন নির্দ্বিধায়।
মানুষের বিবেক যখন লোপ পায়, তখন সেও হয়তো সারমেয় সদৃশ্য আচরণ করে। সেও তখন অশ্লীলতাকে আর অশ্লীলতা মনে করে না। প্রধানত অহং থেকেই এই যাবতীয় রোগের সুত্রপাত। কিন্তু এইসব মানুষ এইটুকুতেই থেমে থাকে না, তারা চায় এই অশ্লীলতা সমাজেও ছড়িয়ে যাক। তার দলে লোকবল বৃদ্ধি পাক।
.
বড় আক্ষেপ আমাদের এই সমাজ নিয়ে নিয়ে। সকলেই একটা অদৃশ্য লেজ নিয়ে চলছেন। কখনও সেটা সর্প সদৃশ্য, ফোঁস করে ওঠার জন্য, কখনও বাঁদরের মত, ঝুলে থাকতে, কখনও শেয়ালের মত, শিকার ধরতে, প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার চলে। উপকার গ্রহন করার সময় লেজটি সারমেয় সদৃশ্য থাকে, সেই তাৎক্ষণিক বৈতরণী পার হয়ে গেলেই, গরুর লেজের মত চাবুক সদৃশ্য হয়ে প্রহার করতে থাকে।
নপুংসক এর দল তালি বাজিয়ে অসাড়গর্ভে রসসঞ্চারের ব্যার্থ
চেষ্টা চালালেও, আদতে সেই তৃতীয় লিঙ্গের
মর্যাদা নিয়ে দন্তবিকশিত করে লজ্জা নিবারণ করেন, ঘোমটার
নিচে।
নাহ, এর থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো
নির্দিষ্ট সলিউসন নেই। চুপ থাকা, আর অনুমান ক্ষমতা বাড়ানো
ছাড়া।
জ্ঞান আর জ্ঞানীর ফারাকটা হল, ফলিত প্রজ্ঞার সঠিক প্রয়োগ।
No comments:
Post a Comment