Thursday, 28 February 2019

।। অস্ত্র কেনা ।।

তো ভক্তো অ্যান্ড মিত্রোঁ...
হাত জোড় করে, ব্যাকগ্রাউন্ডে মৃত CRPF জওয়ানদের ছবি নিয়ে, ধরা গলাতে বলছেন " দেশকা সুরক্সা মজবুত হাতোমে হ্যায়"
কাজ সারা হয়ে গেল, ভোটের ফান্ডের জন্য কাটমানিও এসে গেল। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা তাদের কাজ সেরে নিয়েছে। এখন ভোটটা শুধু পদ্মতে দিলেই ১৬ কলা পূর্ণ হবে। পাকিস্তানে কি হবে তারা ভাবুক, আমাদের দেশপ্রেমিক নেতারা আমাদের জাতীয় কোষাগারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকটা করে ফেলেছেন।🤣🤣🤣
আরে!!!! আপনি তো দেশদ্রোহী খুঁজতে অন্ধ, এগুলো জানেনইনা। আপনার চৈতন্য হোক।

Wednesday, 27 February 2019

।। প্রশ্নঃ ১৮ দফা ।।

৫.৬ ইঞ্চির ফেকু আজ আবার সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন, ABP আনন্দের খবর, ২৭/০২/২০১৯ সন্ধ্যা। কিন্তু এটা তো দিন দশেক আগেই দিয়েছিলেন, কেড়ে নিয়েছিলেন কবে, কেন, কার স্বার্থে?
প্রশ্ন ১) সেনা কি আর রাষ্ট্রপতির আওতাতে নেই? সংবিধান অনুযায়ী তিন সেনার সুপ্রিম কমান্ডার ভারত গণতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের। প্রেসিডেন্টের কথায় মনে পড়ল, ভারতে কে যেন আছেন এই পদে!! আসলে এতো বড় ক্রিটিকাল পরিস্থিতিতেও মৌনি বুদ্ধ ভদ্রলোক, মনমোহন সিংকেও গুনে গুনে গোল দিচ্ছে। আসলে ওনার যোগ্যোতা "শুনেছিলাম" মোদীজির রুমমেট ছিলেন RSS প্রচারক থাকাকালীন। তাই কেউ এই প্রশ্ন করছেনা, কাশ্মীরে এই মুহুর্তে যার শাষন চলছে, তিনি এমন নির্বিকার কেন?
প্রশ্ন ২) যুদ্ধ ঘোশনা না করে পূর্ণ স্বাধীনতার মানেটা ঠিক কেমন সোনার পাথরবাটি? কেউ যদি বুঝে থাকেন একটু বলবেন প্লিজ?
প্রশ্ন ৩) আমাদের বীর জওয়ান অভিনন্দন জীর মুক্তির বিষয়ে কোনো কথা কি কেউ শুনেছেন? প্রায় ১০ ঘন্টা অতিক্রান্ত। জেনিভা চুক্তি কি এখানে প্রযোজ্য? জানতে চাইছি।
প্রশ্ন ৪) দেশের সুরক্ষা, সার্বভৌমত্ব বেশি জরুরী নাকি মোদির ইমেজ রক্ষা? সেনা মারা গেলে তার দোষ আর যারই হোক মোদী বা তার সহ পকিসিমেকারদের নয়। সেনা শত্রু দেশে শত্রুর হাতে ধরা পরলে কার দায় কে জানে, মোদী বা তার সরকারের কক্ষনও নয়। কিন্তু সেনা যখন জঙ্গি/পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব দেয়, প্রত্যাঘাত করে- সব ক্রেডিট তখন মোদির। মোদি নিজেও দুহাত আস্ফালিত করে বলেন "দেশ কা সুরক্সা কাবিল হাতো মে হ্যায়"। এটা কেন হয়? সেনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যপবহারের অনুমতি সংবিধানের কত নং ধারাতে উপলব্ধ?
প্রশ্ন ৫) চাড্ডি ও ভক্তদের কে দেশদ্রোহী খোঁজা ও চিহ্নিত করণের দায়িত্ব সঁপেছে? তাদের IT cell সারা বছর এই ভার্চুয়াল দুনিয়াতে নিজের দেশের একটা বড় শ্রেনীর জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রোজ যুদ্ধ করছে। পাকিস্তানী মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সাথে সাথে দেশজ RSS পুষ্ট পাড়ায় পাড়ায় গড়ে ওঠা জঙ্গি লঞ্চিং প্যাড গুলোকে ধ্বংসের জন্য সেনাবাহিনীর কোন অংশ কাজে লাগবে? কবে থেকে? 
মুর্খ ভক্ত/চাড্ডিরা কমেন্টও কপি-পেস্ট করে। অশিক্ষাই মূলত এদের চাড্ডি বানায়। এদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিনে ১৩৬ কোটির দেশে এমন সুদক্ষ সেনা বাহীনি থাকতেও, দিনের শেষে প্রতিটা ভারতবাসীকে দায় বয়তে হয়। এদের শিক্ষার পরিকল্পনা কি?

প্রাশ্ন ৬) রাম মন্দির হয়নি, GST, নোটবন্দি সহ ৫ বছরের অপদার্থতা কি যুদ্ধের জিগিরে চাপা পরে যাবে? পাকিস্তান জুজু আর কতদিন দেখব? বিজেপি এলেই এই জৈশ নামের নির্দিষ্ট সংগঠনটি জেগে ওঠে কিভাবে?
প্রশ্ন ৭) বিরোধীরা প্রায় সকলেই ভোটের প্রচার থেকে ২০ মাইল পিছিয়ে, মোদী ও তার দল রোজ এটা করে যাচ্ছে। এর সমাধান কিসে?
প্রশ্ন ৮) 95% মিথ্যুক ভারতীয় TV মিডিয়ার মিথ্যাচারের বিকল্প কি? কেন এদের বিরুদ্ধেও জনরোষ আছড়ে পরবেনা? কেন আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা এদের লাগামছাড়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে?
প্রশ্ন ৯) ভোটের আগে কতদিন এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা সইতে হবে জানিনা। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবেটা কে? সবাই তো নিজের আখের নিয়ে ব্যাস্ত।
প্রশ্ন ১০) যুদ্ধের আবহের পর্দার আড়ালে ঠিক কি কি সিদ্ধান্ত এই সরকার নিল, যেগুলো আমরা জানতেও চাইলামনা, তাই জানতে পারলামনা।
প্রশ্ন ১১) RSS কবে স্বতঃপ্রণদিত হয়ে LOC তে খাঁকি হাফপ্যান্টিদের পাঠিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাপ থেকে মুছে দেবে? কার অনুমতির জন্য ওনারা অপেক্ষা করছেন?
প্রশ্ন ১২) কাশ্মীর ছাড়া আমাদের আর কোন সমস্যা অদৌ গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে কি? থাকলে সেগুলো কবে, কে, কোথায় আলোচনা করছে?
প্রশ্ন ১৩) রামদেব, শ্রী শ্রী, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার, সিফুজি, সহ স্বঘোষীত দেশপ্রেমের অধ্যাপকদের কাশ্মীর ঈশ্যু সমাধান করতে পাঠানো হচ্ছেনা কেন?
প্রশ্ন ১৪) জেনিভা যুক্তির কথা আজ যারা বলছেন, সিন্ধুর জল বন্ধের জুমলার সময় এটা মাথায় কেন ছিলনা? পাকিস্থানকে কেন ভাতে মারা হচ্ছেনা?
প্রশ্ন ১৫) ১৩৬ কোটির দেশে সবাই সেখানে দাঁড়িতে মুতে দিলে যে দেশ ভেসে যায়, সেই ২০ কোটির দেশকে জিইয়ে রাখা কি ভোটের রাজনীতিতে? আকসাই চীনকে কেন চীন অধিকৃত কাশ্মীর বলা হয়না?।
প্রশ্ন ১৬) উইং কামান্ডার অভিনন্দনের নাম আপামর ভারতবাসী প্রায় সকলেই জেনে গেচহে ইন্টারনেটের দৌলতে। এখন রাত সাড়ে এগারোটা ২৭/০২/১৯, কোনো ভারতীয় মিডিয়াতে কেন এনাকে কেউ দেখালোনা। সামান্য তম আলোচোনা টুকুও নেই এক আধটা ছোট খাটো চ্যানেল ছাড়া!!
প্রশ্ন ১৭) পাকিস্থানকে কেন এডভান্ডেজ পাইয়ে দেওয়া হল, আমাদের সেনাকে পরিকল্পনা বিহীন ভাবে আক্রমণে পাঠিয়ে? এখন বাকি পৃথিবীর কাছে হারামি পাকিস্থান প্রমান দেখাচ্ছে দেখো ইন্ডিয়া আমাদের দেশে বিমান পাঠিয়েছে, আমরা ধরে রেখেছি। অথচ ২৬/০২/১৯ এর স্ট্রাইকের ৩০০ লাশের কোনো ছবি ছাবা কিচ্ছু নেই। কেন?
প্রশ্ন ১৮) পাকিস্থানে ২ জন ধরা পরেছে বলে দাবী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের। একজন অভিনন্দন জী, অন্য জন কে? প্রশ্ন টুকু আমরা করতে পারছিনা।এই অদুরদর্শীতা কার?
কত আর করব?? আপনারাও করুন।
আপনিও চাইলে প্রশ্ন করুন। প্রশ্নই পারে দেশকে দিশা দেখাতে। তাবেদারি তো অর্ণব গোস্বামীও করে।

Tuesday, 26 February 2019

।। জুমলা ।।

আজ ২৬/০২/২০১৯ তারিখ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন, অবশ্যই দেশের হিতের জন্য, জঙ্গীদের আঁতুরঘর পাকিস্থানকে উচিৎ শিক্ষার জন্য, আগামীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ "সমবেত" গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে।
১০০০ কেজিরটা কি ট্রেলার ছিল? নাকি পরমানুবোমা ফেলবেন কিনা সেটা বাকি দলগুলোর কাছে জেনে নেবেন মোদীজি? আমি নিশ্চিত, আর যাই হোক লুডো খেলা হবেনা। সেই সাথে এই প্রশ্নটাও জন্ম দেয়- আজকের এটা মোটেই "গুরুত্বপূর্ণ" কিছু ছিলনা। থাকলে আজ আফটার "ফিনিস" বৈঠকের প্রয়োজন হতনা।
এছাড়াও, নিশ্চই মোদীজি এটার জন্য ডাকেননি যে, "IAF এর এই কৃতিত্বের আসল অধিকারী আসলে আপনারা, হাম তো ফাকির হ্যায়"।
হতেই পারে, আজকেরটা তাহলে মিডিয়ার জন্য ছিল!! কারন ১২ দিনে অনেকটাই চাপা পরে গেছিল উথলে ওঠা যুদ্ধপরিস্থিতি। ভক্তরা নিরাশ, ডায়লোগ দিয়ে ঘরই সামলানো যাচ্ছেনা তো বিরোধীদের কিভাবে সামলাবো!! ইত্যাদি ইত্যাদি
কিন্তু তো একটা ঘটেছেই ঘটেছে। নতুবা পাকিস্থান এমন মর্কট নাচ নাচতনা। ওদের ক্যালানি হয়েছে আওয়াজ হয়নি, তাই বুক ফাটলেও মুখ ফুটছেনা। চিন বিবৃতি দিচ্ছে, আমেরিকা বিবৃতি দিচ্ছে মিছিমিছি নয়। তাই যারা হামলা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে তারা মহাগান্ডু। কিন্তু যারা তুড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে তারা কোন প্রজাতির জীব? সেনার কৃতিত্বে গর্ব করার দিন, ভক্তেরা দেশজ বামপন্থী আর মুসলমানদের টিজ করতে লেগে গেছে কারন এরা BJP এর ভোট ব্যাঙ্ক নয়। সুতরাং সেনা নিয়ে বিজেপির এ এক চমৎকার রাজনীতি, দেশপ্রেমের সুরমা লাগিয়ে। ভোট শিয়রে। নতুবা গত ৫ বছরে বিজেপির আমলে কম সেনা শহীদ হয়নি পুলওয়ামার ৪৫ জন ছাড়াও। তাই সেনার এই আক্রমণ খুবই স্বতঃস্ফুর্ত, এই জন্য মোদীজির দুই দলের ক্রেডিটটা কোথায়?
অতএব আসল জঙ্গীঘাতী হামলাটা সম্মিলিত সিদ্ধান্তের পর আগামী কাল, পরশু বা তরশু বা তারও পরে হবেই। কারন আমাদের সেনা তো শুধু অর্ডারের প্রতিক্ষাতে, কিন্তু ৫.৬ ইঞ্চির ছাতিতে একটু ভালকরে সর্দি কফ, হুপিং কাশি বা হাঁফানি নেওয়া যায়না, যুদ্ধের মত সিদ্ধান্ত কোত্থেকে নেবেন!!
জঙ্গিরা আজ হোক বা কাল, নিশ্চিত সমুচিত জবাব পাবে, যেটা উচিৎ ও কাঙ্ক্ষিত।
কিন্তু BJP-RSS কি শঙ্কিত অন্য কারনে। ভোটের পালে দেশপ্রেমের হাওয়া কাজে লাগে, চাড্ডি বেয়ে পেটের মন্দবায়ুর হাওয়া নয়।
নির্লজ্জের মত সেনাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে, মিডিয়ার জন্য একটা হালকা করে PUBG খেলে নেওয়া হল!! রাষ্ট্র বলছে তাই মানতে বাধ্য, কারন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বলিছেন, অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট না দিয়ে। সন্দেহ হবেই।
প্রচারে ভয়ঙ্কর খরার সম্ভাবনা, কারন অষ্ট্রেলিয়া সিরিজ চলছে, সামনেই IPL, তার পরেই বিশ্বকাপ। দেশপ্রেমের দেখানোর মূল স্থান তো ক্রিকেট মাঠে, এবং সারা বছরের জন্য ওটাই স্বিকৃত। যুদ্ধ কি আর রোজ রোজ হয়! সেই কবে ৯৯তে পাকিস্থানের ঘুম হারাম করে এসেছিল আমাদের সেনারা। কিন্তু ক্রিকেট দেশপ্রেম দর্শাবার স্থান হিসাবে প্রমানিত। ক্রিকেট বনাম যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বলাই বাহুল্য, ক্রিকেটই জিতবে। কারন এটা লাইভ উত্তেজনা, স্বভাবতই খুব বেশি দিন এই দেশপ্রেম বেচা যাবেনা যুদ্ধের শো "শুনিয়ে"।
আজকে আপামর ভারতবাসী হেব্বি খুশি, এক্কেবারে জঙ্গীদের ভাষাতেই তাদের জবাব দেওয়াতে। কিন্তু এটা তো পালটা, হতেই হত। এটা স্বাভাবিক নয় কি? এ নিয়ে উচ্ছাসের কি আছে? বরং মাসুদ সহ লস্কর ও আরো যে কীট গুলো আছে, তাদের নিকেশ করাতেই তো উদযাপন।
ভক্ত, IT cell, আর গেরুয়া মিডিয়াতে যেমন দেখাচ্ছে, যেন মোদিজী উড়ন্ত গোমাতাকে মিসাইল খাইয়ে, তার পিঠে চড়ে স্বয়ং মোদীজি নির্দিষ্ট জঙ্গিঘাটিতে গোমাতাকে নাদিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকটা করে এলেন। যেন আমাদের সেনারা আসলে চামগুলতি নিয়ে চু কিতকিত খেলছিলেন পাকিস্থানের আকাশে।
আপনি হেব্বি দেশপ্রেমী, আপনি বা আপনারা যারা সার্টিফিকেট প্রদান করেন দেশপ্রেমের, এখানে তাদের খিস্তানোর জন্য সাদরে আমন্ত্রন রইল। আর হ্যা, এই ছোট প্রশ্ন- যেটা মিডিয়া আর মোদীজির জন্য তুলেছি- এটাকে দেশদ্রোহীদের কাজের সাথে সমতুল্য করে আমাকে পাকিস্থানে পাঠানোর আগে ভামপ্যান্টি/মুসলমান বলে দুই পাছাতে অবশ্যই স্ট্যাম্প লাগাতে ভুলবেননা।
ভক্তরাও প্রশ্ন করেনা, মোদীজি মন্দির কেন হলনা? মোদীজি প্রথম সার্জিক্যল স্ট্রাইকেই তো লঞ্চপ্যাড সহ জঙ্গি ঘাটি উড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাহলে আজকে এগুলো কোত্থেকে এলো?
জঙ্গিরাও প্রশ্ন করেনা 'হুজুর', বোমা হয়ে ফেটে ভারতীয় মারলে- ৭২ হুর, আর গ্যালন গ্যালন সুগন্ধি চোলাই যখন পাওয়া গ্যারান্টি, তাহলে আপনি কেন আগে যাননি?
ভক্তরাও দল বেঁধে প্রশিক্ষিত হয়, জঙ্গিরাও তাই। অশিক্ষা আর মিথ্যাই যে এদের বড় শত্র সেটা এরা কেউ মানতে চাইনা। দুই প্রজাতিই ঘৃণার আবহে লালিত পালতে হয়ে সমাজে এসে অশান্তি সৃষ্টি করে।
তাই, ভাবছি-
আজকের এই সর্বদলীয়টা কি উদ্দেশ্যে!! আপনি কোনো অবস্থাতেই ভাববেননা, শুধু দেখুন টিভি আর পড়ুন ফেসবুক। এরপর মাসুদ আজাহারের কোন কোন আত্মীয়েরা মারা যাবেন শুধু সেটার দিকে নজর রাখুন, যে সকল সম্পর্কের কথা জানেননা। যেমন আপনি আগে কি জানতেন - মাসুদ জঙ্গির শালা বা বট ভাই জংগী? কালকে আরো কতগুলো ভাই ও শালা দুমদাম জন্মামে সেটা শুধু নাগপুর আর বিকৃত মিডিয়াই শুধু জানে।
এর বেশি কিছু লিখলে আবার সেনা তুলে নিয়ে যেতে আরে বাওয়া। তার চেয়ে বরং রাত্রে 'নেশন ওয়ান্টস টু নো' দেখার জন্য প্রস্তুত হই।
_____________________
জয় হিন্দ,
জয়তু বীর ভারতীয় সেনাবাহিনী 
অখন্ড ভারত, অতুল্য ভারত।
RSS - জৈশ মুর্দাবাদ 
হে ভারতমাতা, হে গোমাতা 
ভক্তদের চৈতন্য হোক।

Monday, 18 February 2019

।। ক্ষানিক্ষনের বাচ্চাদের বীরত্বঃ গেরুয়া সন্ত্রাস ।।

ভোটের রাজনীতির জন্য স্বদেশীয়ানার মোড়কে গেরুয়া সন্ত্রাস।
**************

কাশ্মীরে লাষ্ট ৪ বছর বিজেপি ক্ষমতাতে ছিল, বর্তমানেও জম্মু কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে।
এই হামলার দায়ভার কে নেবে? ব্যার্থতা কার?
"১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে একটা সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে আলতাফ আহমেদ নামের একজন এনকাউন্টারে মারা যায়, সেই দিন সেনার হেফাজতে যে জঙ্গিটি জীবন্ত ধরা পরেছে বলে সেনার তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়- তার নাম আদিল আহমেদ দার। কাশ্মীর টাইমসে এই নিউজ ফলাও করে ছাপা হয়েছিল।"
তাহলে আদিলকে ছেড়ে দিল কে? কেন? কিসের স্বার্থে? জাতিকে জানানো হয়েছিল? আর সে যদি আর্মির হেফাজতেই থাকে তাহিলে আত্মঘাতীটা হল কে? আমাদের মত ছাপোষা মানুষেরা জানতে চাইবোনা?
সত্যটা কি?
।কেন দেশের সুরক্ষাপ্রদানকারীদের সুরক্ষা এতো নড়বড়ে? কেন তাদের প্রান যাবে এমন মুড়িমুড়কির মত?

চলুন লাভ ক্ষতির হিসাব করি।
এই সুপরিকল্পিত নারকীয় সেনাবাহিনীর হত্যালীলাতে একমাত্র কার কার বা কাদের লাভ?
লাভ দু ধরনের, তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি।
নিশ্চিতভাবেই এটা পাকিস্থান পোষিত জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্বারায় হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ভাবে পাকিস্থানের কাশ্মীর দখলের ঘৃণ্য প্রচেষ্টা, তাদের লাভ।
কিন্তু তাৎক্ষণিক ভাবে?
একমাত্র বিজেপির লাভ।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বাঁধালেই অস্ত্র কেনার জন্য বিপুল টাকা জাতীয় কোষাগার থেকে বরাদ্দ করতে পারবে, বিরোধীরাও কিচ্ছু ট্যাঁ ফোঁ করতে পারবেনা।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বেঁধে গেছে, অতএব এই আবহে বেশ কিছু অস্ত্রের ডিল হয়ে যাবে আমেরিকা পিতার সাথে। এমনিতেই আমেরিকা অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া, তার উপরে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে মেক্সিকোর পাঁচিলের টাকা যোগারে ব্যাস্ত। "ভাজপা সারকার" সেই টাকার বন্দবস্ত করতে ব্যাস্ত।
৪৪টা নয়, ৪০০টা হলেও লাশ ফেলে দেবে বিজেপি সরকার। তাই জঙ্গিহানার আশঙ্কাজনিত গোয়েন্দাদের রিপোর্ট সত্বেও কোন সুরক্ষামূলক সাবধানতা নেয়নি।
এই মৃত্যু মিছিলে একমাত্র ভাজপার লাভ, ভোটের আগে বিপুল কাটমানি পাবে অস্ত্রের ডিলারদের কাছে। ওই টাকা দিয়ে ভোটের বাজারে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো যাবে। দেদার খরচা করবে।
চুরান্ত দেশপ্রেমের ফেনাওঠা বিজ্ঞাপনে রাফাল দুর্নীতি চাপা পরে যাবে। ভারন এটা দেশের অখন্ডতার প্রশ্ন তাই প্রশ্ন করা যাবেনা, রাজনীতি করা যাবেনা। একটা অতি দূর্বল সরকারের বাঁচার জন্য যাবতীয় রসদ এই হামলাতে লুকিয়ে যাছে। চোর চৌকিদার আবার মসিহা রুপে আবির্ভূত হতে চায়।
*********

নিকৃষ্টতা যে দলের পোষাক- 
ভক্তোদল তাদের নাম। ধ্রুব সাক্সেনা বা বলরাজ সিংকে আমরা চিনিনা ধরে নিয়ে এ লেখা পড়বেন।

জম্মু-তাওয়াইতে আরামসে তৎকাল বুকিং মিলছে, এবিং কোলকাতা থেকে রোজই ছাড়ছে। এটা জনস্বার্থে প্রচারিত।
এবার আসল পালাতে আসিঃ- কাঁচা বোদ্ধা ভাষাতে।
আজ মুডটা খুবই খারাপ। আজও ওই পুলওয়ামাতেই ৪ জন সেনা শহীদ হলেন। কেন আজও কোনো বলার মত পদক্ষেপ নিলনা, আমাদের আর্মি কোন অংশে কমা.? চারটে চুনো জঙ্গির জন্য ১৪ লক্ষ সেনা সমৃদ্ধ একটা দেশের সরকার বিধবার মত বিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে?
কোথায় মোদীজির সেই ফুটানি মারা ডায়লোগবাজি, স্মৃতি ইরানির চুড়ি? বাকি জীবজন্তুগুলোর নামও মনে থাকেনা যে লিখব।
জবাব দাও, কেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেশটার ছেলের ব্যবসায়ী পার্টনার একজন পাকিস্তানি? দেশের সুরক্ষার গোপন তথ্য নিয়ে ব্যাবসা হচ্ছেনা তো?
কেন বিজেপি ক্ষমতাতে এলেই জৈশ নামের পশুরা জেগে উঠে? কার স্বার্থে এদের সমূলে ধ্বংসের এজেন্ডা নেওয়া হচ্ছেনা। মেনে নিলাম কংগ্রেস কিচ্ছু করেনি, ৫ বছরে তোমরা কি আঁটি পাকিয়েছো? সবচেয়ে বেকারত্ব বেশি, সবচেয়ে বেশি সেনা আত্মহত্যা করেছেন ও শহীদ হয়েছেন।
উরি, পাঠানকোট থেকে কোন শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন?
ভাবছিলাম খিস্তি দেবনা, পাকিস্থানীদের দালাল ডোভাল নামের বেশ্যার বাচ্চারা যদি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রক হয়, সর্বত্র এর ফেলিওরের ইতিহাস, তাও পদে বহাল আছে। এর সাথে আছে মোদীজির জুমলা- সেনাবাহিনী করবেটা কি?
কফিনের টাকা চোরেরা রাফাল থেকে দালালি করতেই ব্যাস্ত ছিল। সময় কোথায় সেনার জন্য ভাবার?
দেশপ্রমের কাজল পরিয়ে, ভক্ত গুলোকে বোকাচোদা বানিয়ে রাখা যায়, যেমন জান্নাতের লোভে চুতিয়াগুলো মানববোমা হয়ে যায়। জন্মের ইতিহাস অনুযায়ী- এদের গাই এক শুধু ষাঁড় গুলো আলাদা আলাদা।
নির্লজ্জ পশুর দল এখনও ভোট চাইছে কেউ, কেউ বলছে মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে, কেউ দাঁত কেলিয়ে র‍্যালি মারাচ্ছে, কেউ সেলফি তুলিছে, কেউ তো আবার নাচছে। এদের মুখে পেচ্ছাপ করে দিলে তবে দেশমাতৃকার প্রতি সঠিক সম্মান করা হবে। ওরে চুদির ব্যাটারা মাত্র ২-৩ ঘন্টা আগে দেশের মাটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাতটা এসেছে। আমাদের সেনাদের লাশ বারুদের সাথে দলা পাকিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে- এরা কেউ ঘোষিত প্রোগ্রাম বন্ধ করেনি। কতবড় সাহস এদের?
কিছু ভাড়াটে টাট্টু দিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে বাজার গরম করতে চেয়েছিল, আর আমাদের সেই উদগান্ডু ভক্তের দল "বাপ বলেছে চুদির ভাই, আনন্দের আর সীমা নাই" করতে করতে- আত্মলিঙ্গম পশ্চাদপুরম করে মোদীর ভাইয়েরা হো হো করে দেশপ্রেমের ন্যাকাকান্না কাঁদতে বসেছে। সারা বছর কোথায় থাকে দেশপ্রেম? পারেনা মারাতে উঠে রাত থাকতে। পাড়ার নীরিহ মুসলমানটাকে মেরে, রোগা পটকা প্রশ্নকারী ছেলে মেয়েটিকে ধমকে, পাবলিক সেমিক করে, শুয়োরের মত দল বেঁধে আক্রমন করে, একটা মেয়ের বাড়িতে হামলা করে, কাওকে কমরেন্ডি বলে, কিম্বা শালোয়ালা কাশ্মীরিটার দোকানে আগুন লাগিয়ে দেশপ্রেম চোদাচ্ছে।
কারন? লাশ দেখিয়ে দেশপ্রেম বেচতে হবে। ক্ষমতাতে আসতে হলে লাশ চাই। লাশের উপরে দাঁড়িয়ে ধর্মীয় মেরুকরন করে ভোট ভাগাভাগি করে দাও। যত তোরা চেষ্টা করবি, তত ন্যাংটা হবি। বিকাশের মাকে বিজেপি সরকার পাহাড়গঞ্জের গলিতে বেচে দিয়েছে, রামমন্দির হয়নি, নোটবন্দি, GST ফেলিওর, বেকারত্ব, কৃষক আত্মহত্যা, রাফাল দুর্নীতি সহ দুর্নীতির পাঁকে নাক পর্যন্ত ডুবে, কিসের ভিত্তিতে ভোট চাইবে? অতএব লাশ লাও। যাতে গেরুয়া সন্ত্রাস চালানো যায়।
চীন দেশ থেকে হাজার হাজার কোটির মুর্তি বানিয়ে পায়ের গোঁড়াতে ইউনিটি মারাচ্ছেন, অথচ সেনাদের বাহন হিসাবে সেই লজ্ঝরে আদ্দিকালের বাস। কোনো উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা নেই, যা বিস্ফোরণ প্রতিরোধক। শিবাজী আর প্যাটেলের মুর্তি দিয়েই রো জঙ্গি নিকেশ হবার কথা। কারন ৫ বছরের শাসনাকালে ওইগুলোই বানিয়েছেন। আর দেশের সেনাবাহিনীকে বাপত্ব সম্পত্তি হিসাবে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে ভোটের মাঠে।
শুয়োরের বাচ্চারা। দেশপ্রেম চোদাচ্ছে। নিজেরা হেলিকপ্টার ছাড়া কোথাও যায়না, সেনাদের পাঠায় বাসে? সামান্য এয়ারপোর্টে একটা নেলকাটার নিয়ে যেতে দেয়না, ৩০০ কেজি RDX বাল ছিড়ে চলে এলো? বলে রাজনীতি করবেনা, মুখে মুতি তোদের যারা এই কথা বলে। আখলাকের ব্যাগে মাংস খুজে পেয়ে যাস, কানাইয়ার দেশদ্রোহী খুঁজে পাস। খাগড়াগড় হলে মমতা মমতাজ হয়ে যায়, আজ রাজনীতি হবেনা? বাঞ্চোতের দল, কার গাফিলতিতে আমাদের মায়ের কোল খালি হল?
বাঁদির বাচ্চারা লেগে গেছে- ফেসবুকে কে কি লিখছে তার গাঁড়ে লাগতে। বাল ছেঁড়ার মুরোদ নেই - হোল ধরে টানাটানি। আর দুমাস, ফেসবুকে এই ঘৃনার চাষের বদলা আগে নেওয়া হবে, গুনে গুনে। নাগপুরের বাবারা তোদের আগে পিঠটান দেবে।
ধরে নিলাম সত্যিই কেউ দেশবিরোধী লেখা লিখেছে- হতেই পারে। কারন দেশের ভিতরে বিভীষণ আছে বলেই না বাইরের শত্রুরা সুযোগ পায়। কিন্তু এই বাঁদিরবাচ্চা চাড্ডিগুলোকে কে দায়িত্ব দিয়েছে, সমস্যা হলে পুলিশে যা, কোর্টে যা। ভারতীয় আইন ব্যবস্থাতে ভরসা নেই বন্ধু? হাম হ্যায় শের বলে দল বেঁধে হামলা? জায়গা মত পরলে, গাঁড়ে শুধু বাঁশ নয়, গোটা ঝাড় শুদ্ধু ঢুকিয়ে দেবে। গুনে গুনে সব কটার,। মনে রাখবি, এটা বাংলা- গোবলয় নয়।
শৌর্য ডোভাল, আদানী, আম্বানীদের দেশপ্রেমের পরিক্ষা দিতে হয়না, যখন তারা সরাসরি মধু খাচ্ছে সে দেশে ব্যবসা করে। আর ছাপোষা কোনো কলমচি, সরকারকে দু লাইনের প্রশ্ন করলেই সে দেশদ্রোহী। তোদের মায়েরা কি গাছে চড়ে নাঙ করে তোদের জন্ম দিয়েছিল??
Purandar Bhat এর পোষ্টে জানলাম, ১০১টা পেজ আর নিউজ পোর্টাল বানিয়ে রেখেছে, প্রোপাগান্ডা ছড়াবার জন্য। "হিন্দুত্ব" চাড় আর খাচ্ছেনা দেখে- নলেজ, রসিক বাঙালি ইত্যাদি নামে রাগমোচন করছে ইন্ডিয়ারাগ নামের সন্ত্রাসী ভার্চুয়াল সংগঠন। যারা সমাজে জাতি দাঙ্গা লাগাবার তীব্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মর্কটের বাচ্চারা এগুলোকেই নির্বিচারে শেয়ার করে যাচ্ছে।
৩টে দিন চলে গেল, একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থিতিশীল সরকার কি করেছে?
১) সিধুকে কপিল শর্মা শো থেকে তাড়িয়েছে।
২) পাকিস্থানের পতাকা পুড়িয়েছে।
৩) RSS প্রতিবারের মত নাগপুর থেকে মুখ দিয়ে পেঁদেছে।
৪) T series পাকিস্থানোদের ভিফিও সরিয়ে নিয়েছে
৫) D sports আর রিলায়েন্স এন্টারটেনমেন্ট ক্রিকেট প্রদর্শনী বন্ধ রেখেছে।
৬) দু চারটে সাইট হ্যাক করেছে
৭) আর?

কাজের কাজ এর বেলায়- বাল ছিঁড়েছে
যেন জঙ্গিগুলোর গান শোনে বা ক্রিকেট দেখে। আর গান, ক্রিকেট আর পাকিস্থানী শিল্পী ক্যালালেই সব সমস্যার সমাধান হবে মন্ত্রের মত। তোদের কোন ডাক্তারে চিকিৎসা করে ভাই?
গোটা দেশ যখন রাগে, প্রতিশোধের আগুনে ফুটছে, বালবেটারা জনসভা মারাচ্ছেন, ট্রেন চোদাচ্ছেন।
তারা অপেক্ষা করছে- কবে শ্রীজাত কবিতা লিখে প্রতিবাদ জানাবে। পালটা প্রশ্ন করছে কবে নাসিরুদ্দিন শাহ বা আমির খান নিন্দা করবে। ওরে গুদ্মারানির ভাইয়েরা, এরা কিছু না বললে আমাদের সেনাদের রক্ত মিথ্যা হয়ে যাবে?
বেশি ক্যালোয়াতি না মেরে, অবলা নিরন্ত্রের উপরে হামলা না করে, সীমানে হাফপ্যান্ট পড়ে খাঁড়া হয়ে যাও। হোমিওপ্যাথিক শিশির মাপের পুরুষাঙ্গ আর ফলসার সাইজের বিচি নিয়ে বাতেলা করা যায়, যুদ্ধ নয়। আমাএ কি সাইজ এর পরেই জানতে চাইবি নিশ্চই? ইনবক্স কর, ছবি পাঠিয়ে দিলে অর্গাজম এসে যাবে পাক্কা। নিজেরা নুনু ধরে ঠিক করে মুততে পারেনা, হাফপ্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে- এরা আবার নাকি ইনসাস/এসল্ট ধরবে। ফোঃ
কাঠ ক্যালানি দরকার এই দেশপ্রেমের ঠিকাদারগুলোকে, ভোটের বাজার গরম করতে- মেকি দেশপ্রেমের গ্যাঁজলা করলে রাস্তায় ফেলে ক্যালাবো ভক্তরুপী ছালগুলোকে। এরা ঠিক করবে কে দেশে থাকবে আর কে দেশদ্রোহী!! বাঞ্চোতের দল আগে বাপের খোঁজ কর- কার চোদনে তোদের জন্ম- ষাঁড় বা মর্কট। তারপর দেশপ্রেমিক সাজবি। ফেসবুকে চারটে তেরে গেলি দিয়ে দেশপ্রেমিক হলে আজ থেকে আমি তোদের বাপ।
কাশ্মীর সমস্যা অনেক গভীরে, আমি আলোচনাতেই ঢুকছিনা, পাকিস্থানের মদতেই যখন এগুলো হচ্ছে- আক্রমন করতে কার অনুমতির জন্য প্রতিক্ষা করছে? সেনাকে ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী- সে কে ক্ষমতা দেবার? সংবিধান বদলে গেছে? কবে? কখন? রাষ্ট্রপতি তাহলে শুধু ২৬শে জানুয়ারির জন্য? এত সব নতুন নতুন অস্ত্র কেনাকাটা হচ্ছে দীওয়ালিতে ফাটাবার জন্য? কবে কাজে আসবে ওগুলো?
আরে মোদীজির বাতেলার জুমলা তো প্রমানিত, দলের নেতা গড়কিরীজিই সকাল সন্ধ্যা ধুয়ে দেন। সে বুঝে গেছে নিজের সেরা সময়ে ৩১% ভোটের প্রধানমন্ত্রী। এখন জামানত টুকু থাকবেনা।
আদানির ব্যাবসা গুটিয়েছে পাকিস্থানে? আম্বানীর লক্ষ কোটির প্রোজেক্ট? লে পাকিস্থানকে ব্যবসায়ের জন্য সেরা ঠিকানা দিতে বলেছিল? তারা আজ গাদ্দার হয়েছে? 
গুজরাটের প্রায় প্রতিটি সিন্ধি ব্যাবসায়ী পাকিস্থানে ব্যবসা করে, কেউ ঝাঁপ গুটিয়েছে?

রাষ্টের সাথে দেশের মানুষ আছে, চাড্ডির বাচ্চারা রাষ্ট্রকে RSS বিজেপির মাদারি গুলোর সাথে সমান করে দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে।
১০০ বার প্রশ্ন করব, ভিডিওতে ওঠা প্রশ্ন গুলোর জবাব চাই। নাহলে এদের আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দাও। ছড়ছড় করে মুতে দাও, অবশ্য গোমুত্র খাওয়ার অভ্যাস তো আছেই, নরমুত্রও নাহয় চেখে নেবে।
লজ্জা বোধ থাকলে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন কর নিজেকে।
বালবেটারা এটা তোদের জন্য এক্সক্লুসিভ - যারা আমাকে কমেন্টে আর ইনবক্সে থ্রেট দিয়ে যাচ্ছিস লাগাতার। দম থাকলে সামনে আসিস, তোদের বাপ ষাঁড় বা মর্কট গুলোকেও গবনা করে দেব কাছে এলে।
যারা আমাকে চিনিস বা জানিস, তোরা আমার এক খেই বগলের লোম ছিঁড়ে দেখাস, জানব বাপের ব্যাটা। এখানে কুত্তার মত ভৌ ভৌ করবিনা। পারলে খোঁজ নিয়ে বাস্তবের মাটিতে কিছু করে দেখা। গাঁড়ে কন্ডোম লাগিয়ে পা ঢুকিয়ে দেব অন্যায়ভাবে কিছু করতে এলে। সেই মুরোদ আছে।
_______
জয় হিন্দ
বন্দেমাতরম 
RSS , জৈশ, পাকিস্থান মুর্দাবাদ। 
(একই থলের কাঁড়া চাল, নাম আলাদা শুধু)

Sunday, 17 February 2019

।। ... বিষাদরে ...।।

তুই আমার বড় আদরের ছিলি। ততোধিক আদরে তোকে একটা মিষ্টি উদ্ভট ডাকনাম দিয়েছিলাম। আমার অন্য সকল দেহাংশের সাথে, তোর আদর কোনো অংশে কম ছিলনা।
বড়কি আসলে আমার অবিভাবক বেশি। বন্ধু কম, আমার পরিপালক বেশি। সে কখনই প্রেমিকা ছিলনা, তাই হয়ত শাসন ছিলনা কিন্তু নিয়মানুবর্তিতা ছিল বা আছে পরিপূর্ণ রূপে।
তুইই আমার বন্ধু ছিলি, প্রেমিকা ছিলি। আমার অবসরের একমাত্র একমাত্র উপভোগ্য সাথী ছিলি। আমার যাবতীয় প্রগলভতা তোর কাছে গিয়ে শান্ত হয়ে চুপটি মেরে বসে থাকত, তোকে দেখবে বলে। তোর সাথে পৃথিবীর সব কিছু শেয়ার করতে করতে একদিন নিজেকেই তোর কাছে শেয়ার করে দিয়েছিলাম। তোর বুকে আশ্রয় নিয়েছিলাম, আমার যাবতীয় হারানোর শোক, অনুতাপ, সব তোকে জড়িয়ে ধরে ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। তোর ওমে নিজেকে সেঁকে তোর প্রশ্বাসের বায়ুতে নিজেকে একটু একটু করে মুলস্রোতে ফিরে আসার শ্বাস নিচ্ছিলাম। আমার গোটা অস্তিত্বে শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে তোর মাঝেই ঘর বেধে ফেলার সিদ্ধান নিয়েছিলাম।
আমি বদরাগী, কুরুপ, কুৎসিত, মুখে অস্রাব্য গালিগালাজ, নেশা বাজ, মাগীবাজ,... বাতেলাবাজ কিনা রোগ ছিলনা আমার চরিত্রে-
তাও তোর কাছে আমি শিশুর মত উচ্ছলিত হয়ে কাছে যেতাম। তুই চরম ভালবাসা দিয়ে, চুরান্ত স্নেহের প্রশ্রয়ে আমার বদগুনগুলোকে শুষে নিয়ে সম্পূর্ণ মানুষ হবার স্বপ্ন দেখিয়েছিলি। তোর সহচর্য পেলে মনে হত, পরিস্থিতি যত প্রতিকুলই হোক, এর থেকে ঠিক ঘুড়ে দাঁড়াতে পারব, আমি পারবই, কারন তুই পাশে আছিস।
তোকে নিয়েই আমার নেশা করে দিন কাটত। কাজের সময়টুকু ছাড়া সারাদিনিই তোর ভাবনাতে বুঁদ হয়ে থাকতাম। কখনও তোর ভাললাগা মন্দলাগা আমি জানতে চাইনি, কারন তোর দিকে একটিবার চাইলেই আমি হিতাহিতজ্ঞান শুণ্য হয়ে যেতাম। ভালমন্দ সবই আপেক্ষিক লাগত। আমি যা অগোছালো- আর যে পরিমান চারত্রিকভাবে দুরন্ত, ওই প্রেমের পথে নিজেকে ব্যাক্ত করার মত সাহসী হয়ে উঠতে পারিনি কোনোদিনি। তাই ভালবাসি কথাটা সেই ভাবে আজকের আগে বোধহয় একবারও বলিনি।
বলিনি মানে ভালবাসতে কি খামতি রেখেছিলাম? কৃপণের ধনের মত জমা রাখা আমার অন্তরের সমস্ত ভালবাসা দিয়ে তোকে নিরন্তর স্নান করিয়ে দিয়েছিলাম ভাবনাতে, শরীরে, স্বপনে। ভীষন ঔধ্বত্ব অহংকারে সমাজকে ছোহঃ বলে এক চুটকিতে উড়িয়ে দিয়েছিলাম তেপান্তরে, যার আধার ছিল এক পৃথিবী গাঢ় সবুজ ভালবাসা। যা ছিল সমুদ্রের চেয়েও গভীর, অমাবস্যার অন্ধকারের চেয়েও গহিন, সোনার চেয়েও উজ্জ্বল, হীরকের চেয়েও কঠিন,..... ফেভিকলের চেয়েও মজবুত।
বড় অসহায় লাগছে আজ।
আজ আমি নিঃস্ব। তোকে হারিয়ে নয়, আমি আমার বিশ্বাস হারিয়েছি। আমার অপূর্ণ অশান্ত প্রেমকে হারিয়েছি। আমার আদর খুইয়েছি। বন্ধু খুইয়েছি। মধ্যরাতের সাথীকে খুইয়েছি, যাকে যা খুশি বলা যেত। আমার মননকে খুইয়েছি, যার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা যা খুশি তাই নিয়ে আলোচনা করা যেত।
আমি তোকে হারিয়েছি। হ্যাঁ, তুই ই ছিল আমার মনের কবিরাজ। সকল ব্যামোর জড়িবুটি।
জানিনা তুই কি হারালি, কিন্তু আমি সব হারিয়েছি। সারাজীবন চেষ্টা করলেও আমার যৌবনের এই ভালবাসা আর নতুন করে সঞ্চার হবেনা। যে ভালবাসাতে তোকে রঞ্জিত করে, আমি রাঙা হয়েছিলাম। আমার স্বপ্নেরা ভাষা পেয়েছিল তোর ওই মায়াভরা চাহনির অতলে তলিয়ে যেতে যেতে।
তোকেই আমি ভালবেসেছিলাম, বিষাদ বালিকা। মিথ্যে অভিমানই সব শেষ করে দিল।
বেসেছিলাম।
আজ ঘৃণা করতেও ঘৃণা হয়, নিজের উপরে- কেন তোকেই ভালবেসেছিলাম। তবে তোকেই ভালবেসেছিলাম এতে সন্দেহ নেই। তুই ছাড়া আমার যৌবনের ৭ টা বছর নিস্তরঙ্গ ঘটনাবিহীন।
তুই আমাকে ধোঁকা দিয়ে ঠিক করলিনা। ভালবাসার প্রতি এ এক চুরান্ত আঘাত। ঈশ্বরের আসনও টালমাটাল হয়ে যায়, এমন বিশ্বাসঘাতে, মিথ্যাচারে।
সব সময় কেঁদে, ঈশ্বরের দিব্যি দিয়ে তার আশ্রয়ে, চেঁচিয়ে জয় পাওয়া যায়না। ভালবাসার জন্য আমাদের কোনো শর্ত ছিলনা, শর্ত এসেছিল ঘর বাঁধতে চেয়ে।
এই শর্ত বাস্তবের দাবিকে মেনে ছিল। তুই আবেগকে ভালবাসার উপরে রাখলি ঘর বাঁধার পর থেকে গোটাটাই। তোর যাবতীয় মুগ্ধতার আবেশকে বিষাদ দিয়ে পিষে মেরে ফেললি। অচেনা হয়ে গেল আমার দেখা সেই প্রেমিকা। আমি হাঁতরে খুঁজতে খুঁজতে অনেক অনেক অনেক দূরে চলে এলাম। তুইও টের পেলিনা, কারন ভালবাসতে গিয়ে যাদের কথা কখনও ভাবনাতে আসেনি, ঘড় বাঁধতে গিয়ে "লোকেরা" তোর তাৎক্ষণিক পাওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালো। তারাও যে আমাদের উভয়ের বড় ভালবাসার ও আদরের সেটা ভুলে গেলি, উন্মত্ত হয়ে উঠলি রিপুর আদিমতায়। আমিও ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতে লাগলাম, পরিবর্তিত প্রেমিকার সাথে। কিন্তু পরিবর্তনের দ্রুততার সাথে আমার মনন সাথে সাথে ছুটতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল।
আমি আমাদের সংসার বাঁধার পর সবচেয়ে বেশি সময় ব্যায় করেছি - এমন এক ব্যাক্তির সাথে, যিনি একজন পুরুষ বন্ধু। অথচ ওখানে তোমার থাকার কথা ছিল।
আমার আদরের প্রেমিকা তখন আর আমার কাছে সব কথা বলার স্থান হিসাবে অজান্তেই বিশ্বাসযোগ্যোতা হারিয়েছে। আসলে শেষের শুরুটা ওই অফিসয়ালি ঘর বাঁধার সিদ্ধান্তেই সন্নিহিত ছিল।
আজ হারিয়ে খুঁজতে গিয়েও কালসিটে পাংশুটে বর্ণের কুটিল তোমাকে খুঁজে পাচ্ছি প্রতি পদে। আমাকে তীব্র যন্ত্রনা দিয়ে সেই তুমি তোমার উপস্থিতি ব্যাক্ত করছে, বিশ্বাস হীন প্রেমের এ যে কি করুন পরিস্থিতি- আমার চেয়ে কেউ বেশি উপলব্ধি করেছে কিনা জানিনা।
হৃদয় ফাটলে আওয়াজ হয়না। চাইলেই কাঁদতেও লজ্জা বোধ হয়। কিন্তু এই হাহাকার আমি তোর ছাড়া কার কাছেই বা বলব?
জানি এ অর্থহীন, তবুও শেষবারের মত বলে নিই-
আমি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাল বেসেছিলাম আতুকে, আর তারপরে তোকে।
আতুকে হারিয়েছি সহদোরার জন্য, আক্ষেপ নেই যন্ত্রনাও নেই বরং অসীম শ্রদ্ধা আছে তার প্রতি। বন্ধুর ভালবাসাও আছে।
তোকেও ভালবেসেছিলাম
হ্যাঁ, বেসেছিলাম। অতীত কাল।
বোধহয় জীবনের অন্যতম বড় ভুল, শাস্তি পাচ্ছি। তবে তোর সাথে সস্তার হোটেলে বা আঁদারে-পাঁদারে কাটাবো মুহুর্ত গুলোই ব্যাক্তি আমার জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান ছবি।
না অন্যের জন্য নয় এ ছবি, এ সবই স্মৃতির মনিকোঠায় সংরক্ষিত রয়েছে পরম মমত্বে, যত্নে, আদরে। ঠিক যেমন তোকে ভালবাসতাম।
আশির্বাদ করি, ভাল থাকি অবশিষ্ট জীবন কালে। আর কাওকে আমার মত ধোকা দিসনা, নতুন ভালবাসা আসুক তোর জীবনে। তবে বসন্ত যেন না আসে। আমার বাগান তছনছ করে তুই ভাল থাকবি, কিন্তু সুখী হবিনা এটাই আমার প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে।

Friday, 15 February 2019

।। পুলওয়ামাঃ এর পর কি কি হবে? ।।



"How is Josh" এর স্যাড সংস্করণ বাজারজাত হয়ে পাবলিক টয়লেটের ঝাঁঝালো গন্ধের মত অক্ষম বিছানা বিলাসী বিপ্লবীদের বীরগাথা বমন চলবে পথে ঘাটে বাটে সর্বত্র।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ভিকি কৌশল বা তার মত অনেকেই পরিচালকের সাথে যোগাযোগ শুরু করবে।
মোদী বিরোধীরা, নোট বাতিল, জুমলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ইত্যাদির ফাটা ক্যাসেট বাজাবে। রাহুল গান্ধী... কিছু তো একটা বলবেনই।
যুদ্ধ বিমানগুলো কেনা হবে দুর্নীতির জন্য আর ২৬শে জানুয়ারি এয়ার শো এর জন্য। এর পরেও ওরা হ্যাঙ্গারেই থাকবে। জি নিউজ দেখবেন পায়লটেরা। রাফালের মত চুক্তি গুলো হবে দেউলিয়া আম্বানির কোষাগার ভরতে।
অমিত শাহ, গত সন্ধ্যার মত এখনও বলবেন "মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে"। কারন তাহলেই শোধ নেওয়া হবে পাকিস্থানে বিরুদ্ধে, এবং আগামীর এই নাশকতা রোখার একমাত্র রাস্তা ওটাই।
টিভি চ্যানেলগুলোতে বসে বুদ্ধিসৈনিকেরা এমন চেঁচামেচি করবেন বিশেষত সন্ধ্যায়, সন্ত্রাসীরা ওখানেই নিকেস হয়ে যাবার উপক্রম হবে।
সোস্যাল মিডিয়াতে তীব্র জঙ্গি বিরোধিতা, ক্ষোভ, যন্ত্রনা ইত্যাদি, মুসলমান ও বামেদের উপরে উদগীরণ করে "জোশ" জাহির করবে।
নেতারা বিশেষ করে বিজেপি ও সঙ্ঘ সহযোগী দলগুলি- একটা দাঙ্গা লাগাবার ছক কষবে।
সন্ধ্যায় AC স্টুডিও থেকে বাক মিশাইল ছুড়ে দেশজ দেশপ্রেমিকদের মনের উষ্মাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। নিন্দার কড়াপাকে দেশপ্রেমের সাইরেন বাজিয়ে আশেপাশের সংখ্যালঘু ও বাম মনস্ক মানুষগুলির মা বোন সোনাগাছীজাত করবে।
চৌকিদারের মত দালালেরা যুদ্ধ যুদ্ধ একটা পরিস্থিতিতে (যুদ্ধ করার মত বিচি এদের নেই, থাকলে করত) বেশ কিছু অস্ত্রের দালালি করে টাকা কামাবে। মোদী ঘোষনা করে দেবে কৌশলে- যুদ্ধ হবেনা।
সমবেদনার ফেনাতে ভেসে থাকতে থাকতেই ভোটের ঘোষনা হয়ে যাবে।
দাঙ্গা দাঙ্গা বিষয়টার উপরে, শর্ট ফিল্ম টাইপ সংস্করণ সমাজের সর্বত্র ঘটে চলবে।
নেতারা ভোটলীলা শুরু করে দেবে। আপনাকে বোঝাবে RSS পরিচালিত সরকারের পাশে থাকা মানেই শহীদদের পাশে থাকা। BJP সরকারকে সহানুভূতি দেখালেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। সন্ত্রাসীরা জব্দ হবে। মিডিয়াও বলবে সরকার মাসুম, বরং আপনিই পারেন খিস্তির মিশাইল দিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করতে।
আমি আপনি ভুলে যাব। কারন বসন্ত এসে যাবে। ২০ তারিখ থেকে আবার রাজিব কুমার কেস শুরু... আর কি চাই গুরু!!
পাকিস্থানে বসে জঙ্গিরা আবার নতুন ছক কষবে, আমাদের অসহায় রাজনীতির শিকারে বন্দি ভারতীয় জওয়ানদের রক্তে হোলি খেলতে।
আন্তর্জাতিক ভাবে আমেরিকা পাকিস্থানকে আর্থিক সাহায্য দেবার ফাঁকে, তীব্র নিন্দা করবে জঙ্গিবাদের।
ভার্চুয়ালি গোটা পাকিস্থানকে ৭২ হুরের কাছে পাঠাবার সংকল্প নিয়ে এমন উষ্ণ হয়ে যাব, একটু নটি আমেরিকা ঘুড়ে এসে সেই রাগমোচন করব।
আমরা আবার ফেসবুকে রগের শিরা ফুলিয়ে পোষ্ট করার আগে, প্রধানমন্ত্রীর লাহোরি বিরিয়ানির কেচ্ছা মন দিয়ে পড়ে বলব- ৫৬" ছাতি দিয়ে মুসলমান মুক্ত ভারত চাই।
যাবতীয় বিপ্লব বাম আর মুসলমানের উপরে ন্যাস্ত করে আবার নতুন টপিক খুঁজব।
"গোরক্ষার জন্য মন্ত্রক হয়েছে তো। অর্থ বরাদ্দ কি করেননি গোয়েল সাহেব? তাহলে ৪৪ টা মৃত্যু নিয়ে এতো শোরগোলের কি আছে? RSS কে একবার শুধু অর্ডার দিলে, জঙ্গিবাদের ঠাকুরদাকে নিকেশ করে দেবে এরা। শুধু কংগ্রেসের জন্য এটা হচ্ছেনা।" এমন মেসেজ ১০ টা ফরোয়ার্ড করলেই আপনি পদ্ম পুরষ্কার পেতে পারেন।
আপনি প্রশ্ন করবেননা যে এত বড় দেশের এত ক্ষমতাবান প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘন্টা পরেও একটা টুইট ছাড়া কি করেছেন এ প্রশ্ন কেউ করবেনা। সকলে আমার মত মন কি বাতের অপেক্ষা করবে।
পাকিস্থানের মাটিতে অজিত ডোভালের ছেলের ব্যাবসা, আদানি আম্বানির ব্যাবসা এর পরেও গোটাবেনা এটা আপনি জানবেননা।
জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ভারতীয় মারা, তারা আর্মি মারছে কেন? সমস্যাটা কোথায় তাহলে? আর্মি তো আর্মড।
সুকমা, দান্তেওয়ারা সহ দেশজ জঙ্গিদের হিংসাতে নিহত ব্যাক্তিদের জন্য সমবেদনা ছাড়া জঙ্গিদমনে কি পদক্ষেপ নিয়েছিল?
ইয়ে, আমাদের একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেননা? ওহ সরি। উনি তো এখন রাফাল চুক্তির এমেন্ডমেন্টের জন্য প্যারিস দিল্লি ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করে চৌকিদার বাঁচাতে ব্যাস্ত। এসব তুচ্ছ ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে ভাবার জন্য সুধীর চৌধুরী, অর্ণব গোস্বামী আর সম্বিৎ পাত্র আছেন।
পিসি নেই, তাই কেমন খালি খালি লাগছে।
বোমা কেষ্টাকে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী করা হলে রাস্তাতে উন্নয়ন দাঁড় করিয়ে দিতে পারত এটা ভুলে যাবেন। কিম্বা আমাদের অধিকারী ব্রাদ্রার্স.... হাইজ্যাকে উস্তাদ তো ইনি। পিসির ধর্ণাও হবেনা একটা। তবে টুইটারে বিবৃতি দেবেন- পিসি। অনুব্রত অতশত বোঝেনা, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব বলে কথা, শুধু উন্নয়ন বোঝেন।
কেমন হয়, উন্নয়ন বাহিনী আর RSS এর ক্যাডারেরা বর্ডারে দাঁড়িয়ে..... জঙ্গিরা কি রেল গুমটিতে চপ বেচবেনা?? ভাবুন ভাবুন
°°°°°°°°°°°°°°°°°

তবে-
এই পোষ্টে এসে আমারও মা-মাসি না করলে জওয়ানদের রক্তের বদলা নেওয়া অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। কারন আপনি আর যাই করুন মোদীজির দোষ বা গুনের বিচার বিশ্লেষন করতেই পারেননা। ভক্তদের চোখে ওটাই সন্ত্রাসবাদ। এখানে যথাক্রমে আমি ওটাও করেছি। সেনার বীরত্বের গল্প যিনি রাজনৈতিক মঞ্চে ব্যবহার করেন, আজকে ৪৪ জন ভারতমাতার সন্তানের লাশ... এর দায় নেবেননা? এখন বলবেন রাজনীতি খুঁজছেন? দাদা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, সরাষ্ট্র বিভাগ, গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে তো রাজনেতারাই বসে আছেন, এবং সকলেই দেশপ্রেমিকের শংসাপত্র দেওয়া দলের।
রামচন্দ্র বানরসেনা নিয়ে যুদ্ধ জয় করেননি, তার সাথে ছিল বিভীষণ। সরকার সাধারন কাশ্মীরিদের বিভীষণ বানিয়ে সন্ত্রাসীদের কাজ সহজ করে দিচ্ছে নীতির পরিবর্তন না করে। দেশে গো সন্তান আর বানরসেনা দিয়ে রাজ্যপাট চালাচ্ছেন। রামচন্দ্রেরও কিছু শিক্ষিত মানুষজন ছিলেন বানর সেনার পাশাপাশি।
আসুন, এর বাইরে আমরা কি করতে পারি দেখান। যেখানে আমরা সত্যিকারের প্রতিশোধ নিতে আগামীর এমন হামলা রুখব।
ওহ, আপনি তো আবার নাগপুরের পরবর্তী মেসেজে কি আসে তার প্রতিক্ষা করছেন।
___________

Monday, 11 February 2019

।। ভালবাসাঃ নিঃশর্ত, হৃদয় এবং মস্তিষ্ক ।।


ভ্যালেন্টাইন ডে'র আগে কিছু উন্মাদীয় প্রেমালাপ
°°°°°°°°°°°°°°′°°°°°°°°°



কাব্যে হৃদয় বললেও, আসলে ভালবাসার সবটাই নিয়ন্ত্রণ হয় আমাদের মস্তিষ্ক থেকে। আমাদের পছন্দ অপছন্দ সবটারই একসেট করে ডেটা স্টোরেজ আছে আমাদের grey cell data sheet এ। যেটার অধিকাংশ মিলে যায় সেটা পছন্দ হয়, পছন্দ ভাললাগাতে পরিনত হয়। ভাললাগার নিত্য অনুশীলন আমাদের সেই গুচ্ছ অনুভুতিকে- ভালবাসাতে convert করে নিতে বাধ্য করে। আর এ জন্যই কবিরা বলেন- হৃদয়ের উপরে নিয়ন্ত্রণ চলেনা। বিষয়টা আসলে নিত্য অভ্যাস আমাদের অভিযোজিত করে তোলে পরিস্থিতির জন্য, যা আজকের সময়কে কালকে দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে। এভাবেই আমরা অনুশীলন দ্বারা পরিচালিত হয়ে - হৃদয় নামক নিরীহ একটা অঙ্গের উপরে কৃতিত্ব বা দোষারোপ করে দিই প্রেমের বিষয়ে। অপরপক্ষে অপছন্দ আমাদের কাছে অস্বস্তিকর, স্বাভাবিক ভাবেই- নিয়মিত অস্বস্তির কারকেরা ঘৃণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাকিছু আমাদের কাছে উন্মোচিত নয়, সেগুলোতেই ভয় লুকিয়ে থাকে, যারা ভয় নিয়ে ভয় দেখিয়ে স্বার্থ হাসিল করে বা করার চেষ্টা করে, তারাও ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠে।
ভালবাসা তাহলে কাকে বলে? এক কথাতে না হলেও এর একটা সংজ্ঞা আমার মত করে দেবার চেষ্টা করলাম।
"ভয়কে অতিক্রম করে নিজের বা অন্য আরেকজনের কাছে, নিজের অস্বিত্বকে অক্ষুন্ন রেখে, যাবতীয় অনুভুতিকে সমর্পন করে, আত্মবিসর্জন না দিয়েও আত্মস্থ হয়ে, পারিপার্শ্বিক চাহিদাকে অনুধাবন করে, অনুভুতির উন্মত্ততায় উদভ্রান্ত না হয়ে, অন্য আরেকটি জীবনধারাতে নিজেকে সম্পৃক্ত করে, আগামীর জন্য পরিকল্পিত জীবনধারা রচনা করা যায়, তাকেই সম্ভবত ভালবাসা বলে"। এর মাঝে কোনো একটিরও অভাব থাকলেই ভালবাসাতে টান পরবেই পরবে।
অনুভুতিই সবচেয়ে বড় শত্রু মানব সম্পর্কের। এর উপরেই যাবতীয় পছন্দ অপছন্দ নির্ভর করে; কিন্তু অনুভুতি ভীষন রকমের আপেক্ষিক। এই জন্যই ব্যাক্তিভেদে অনুভুতির প্রকাশ সম্পর্কের মাঝে সমস্যা তৈরি করে। নিয়ন্ত্রিত আবেগই যেকোনো সম্পর্কের মূলধন। বিশ্বাস বা ভরষা আসলে পুঞ্জীভূত আবেগের ধ্বণাত্বক উপলব্ধি মাত্র। ভালবাসাতে বিশ্বাস প্রাথমিক মূলধন, একটু একটু করে জমা হওয়া বিশ্বাস- সময়ের আঁচে পরিপাক হয়ে ভালবাসার ছাঁচে দানা বাঁধে ও একটা শারিরীক গঠন লাভ করে।
পছন্দ ও অপছন্দের বেশিরভাগটাই আমাদের জৈবিক। বাকি অবশিষ্ট সকল কিছু আমাদের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিমণ্ডলে গড়ে উঠে। আমাদের ভাবনারাও সেই পথেই আবর্তিত হয়ে আমাদের মস্তিষ্কের পছন্দ ও অপছন্দের তথ্যপঞ্জির নিরিবিচ্ছিন্ন ক্রম নবীকরণ করতে থাকে। ভালবাসাও তার ব্যাতিক্রম নয়।
প্রেম কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটাই সবচেয়ে চলনশীল বিষয়, যার জন্য প্রতিটি রিপু ও ইন্দ্রিয় কর্মশীল। হতে পারে এ ভালবাসা অন্যের তরে বা নিজের জন্য। কিন্তু ভালবাসা ছাড়া মানুষ অচল। কেউ প্রকাশ করতে পারে কেউ পারেনা, প্রত্যেকের নিজশ্ব ভাষা আছে প্রকাশের। যে বা যারা এটা ধরতে পারে, তারা জুটি বেঁধে নিয়ে একসাথে জীবন উপভোগ করে। যখন এই বুঝতে পারাটা দুর্বোধ্য মনে হয়, তখনই বিচ্ছেদের প্রয়োজন হয়। আত্মহত্যাও আসলে নিজেকে বুঝতে না পারার ফল। নিজের প্রতি ভালবাসা ফুরিয়ে যাবার ফল। উদভ্রান্ত উন্মাদেরও নিজশ্ব বুঝ থাকে, কিন্তু অবুঝের পরিনতি একমাত্র - বিচ্ছেদ বা মৃত্যু। একাকিত্ব আসলে নিজেকে অচেনা করে ফেলারই নাম।
ভালবাসাতে যদি চাহিদা না থাকে? কিম্বা ধরা যাক সবটাই নিঃশর্ত! আসলে নিঃশর্তের মাঝেও একটা শর্ত আছে যা ঋণাত্বক নিঃ শব্দের সাথে জুড়ে। এখানেই বিশাল একটা বিভ্রমের সৃষ্টি হয়।
নিঃশর্ত ভালোবাসা হয়? সেটা কি অপরাধ?
হয়, তবে তা দোষের কিছু না। কিন্তু, নিঃশর্ত ভালোবাসা বুঝিয়ে দেওয়াটা বোকামি। তুমি কারো জন্য পারফেক্ট বলেই সে তোমায় ভালোবেসেছে। পারফেক্ট মানে তোমার কাছে কেউ ১০০% দাবি করেনি। তুমি যেমন তেমনটাই তোমার পারফেকশন, অঙ্কের নিয়মে যা ধরা অসাধ্য। ভালবাসাকে যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক, এটা আদপেই state of mind, এর বেশি কিছু নয়। ধারাবাহিক চলাটা একসময় অভ্যেসে পরিনত হয়ে যায়। এর জন্য সময় দিতে হয় ও নিতে হয়। যতক্ষণ না একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠা হচ্ছে, ততক্ষণ নিজেকে পরিবর্তন করেছো কি ডুবেছো।
অচেনা কাউকে তুমি ভালবাসতেই পারোনা, সিনেমা গল্পে যা ই দেখাক - যাকে তুমি চেনোনা তাতে নিয়ে খুব বেশিক্ষণ ভাবতেই পারবেনা। যত বেশি দেখবে, জানবে, বুঝবে তত বেশি আগামীর স্বপ্ন দেখবে। এভাবেই যত বেশি বদলাবে অকারনে, তত বেশী অচেনা হয়ে যাবে, তত দূরে সরে যাবে। সদর্থক পরিবর্তনের ভিড়ে কিছু সামান্য ভ্রান্তি অদেখা হয়ে এড়িয়ে গেলেও, নাঞার্থক বা নেতিবাচক বা ঋণাত্বক চারিত্রিক বৈশিষ্ঠে যখন বেশি করে শান দেওয়া হয় তখন যাবতীয় "ভাল" গুলি দৃশ্যান্তরে হারিয়ে যায়। এটা বোঝার জন্য যে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয় সেটার জন্য সম্পৃক পরিমণ্ডল চায়, যেখানে উত্তম বন্ধু মণ্ডল ও মুল্যবোধ যুক্ত পরিবারের সমাহার ঘটবে।
অতীতকে পর্যালোচনা না করে, বারংবার একই "ভুলের" পুনরাবৃত্তি অন্যজনকে হিংস্র করে তোলে। ভালবাসার জন্য ১০০টি গুনকে ছাপিয়ে, ঘৃণার জন্য ১০১ টা জেদ এসে চেপে বসে। যা সমকালকে অন্ধ করে দেয় পর্যালোচনার জন্য। মস্তিস্কের ধুসর কোষের সঞ্চিত তথ্যকে অস্বিকার করে চর্মচক্ষের illusion কে সত্য হিসাবে দ্রুত গ্রহন করে পরিস্থিকে জটিল বানিয়ে তুলি নিজ দায়িত্বে।
সম্পর্কের শুরুতে তুমি যা ছিলে তেমনটাই ছিল তার ভালো লাগা। এই সত্যকে আমরা অজান্তেই অস্বিকার করতে শুরু করে দিই। সেটার জন্যই সম্পর্কের শুরু সেগুলোকে আমরা উপেক্ষা করতে শুরু করে দিই। খুব ছোট ছোট বিষয়গুলো তখন নজরে আসে, যেগুলো আকর্ষণ করে ও ক্রমশ সম্পর্কটাকে জমাট বাঁধিয়ে দেয়। তুমি অসংলগ্ন বা পরিপাটি, কালো ফর্সা, মোটা বেঁটে লম্বা সব সব সব কিছু, আসলে ঐ ছিল তোমার পরিপূর্ণতা। সেটাই ছিল একমাত্রিক ভালবাসার রুপ। এটা দেখেই সে মুগ্ধ হয়েছিল।
অধিকাংশ সম্পর্কেই যে বিষয়টা ঘটে সেটা হল, যেটা দেখে একদিন নিজেই মুগ্ধ হয়েছিল সেটাই সে লুকিয়ে ফেলতে চায়। পরিপূর্ণতা আনতে গিয়ে পরিপুরক এনে হাজির করে মৌলিক সত্তাকে না বদলিয়েই। সেক্ষেত্রে কি হয়, পরিপূরক অচেনা হলেও খামতি গুলো বড্ড চেনা হয়ে সামনে একমাত্র পরে থাকে। এক ধরনের identify Crisis তৈরি করে; এবং প্রায় প্রতিটিক্ষেত্রেই শুধরানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরো জটিল করে তোলে মানবীয় আবেগ গুণ।
কেউই চায় না অন্য কেউ তার সাথীকে দেখে নতুন করে মুগ্ধ হয়ে যাক, যেমনটা সে হয়েছিল। ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে পৃথিবীর সাথে স্বার্থপর হওয়াটা দোষের কিছু না, কিন্তু মানব চরিত্র একবার যেটার অনুশীলন শুরু করে, সেটাই অভ্যাসে পরিনত হয়ে যায়। সেই স্বার্থপরতার ঘাত তার উপরেই বেশি প্রতিফলিত হয়- যার জন্য এই ক্রিয়াকলাপ শুরু হয়েছিল। একজন ভাবেন সে দূরে সরে যাচ্ছে, অপরজন ভাবে ও কেন বদলে গেল। তখন যুক্তি দূরে সরে যায় আর দুজনকেই নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে অনিয়ন্ত্রিত আবেগ। একে অন্যকে Dominan করতে শুরু করি এমন ভাবে যেন অন্যজন একজন পণ্য বা যন্ত্রমাত্র। এগুলো সবটাই fact। দোষটা তখন থেকে শুরু হয় যখন কেউ কাউকে ডোমিনেট করতে করতে নিজেকে প্রায় দেবদূতে পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ভাবি- "এসবই তো আমার স্বাভাবিক মানবিক প্রতিক্রিয়া ছিল যা তাৎক্ষণিক "। আর এই ভাবনাই সম্পর্ককে মরুভূমি বানিয়ে দেয়।
কেউ যখন এক তরফা ভাবে তোমাকে সম্পূর্ণ জেনে একপৃথিবী ভালোবাসা দিয়ে অবশিষ্ট পৃথিবী থেকে পৃথক করে একটা নতুন দুনিয়া তৈরি করেছিল তোমারই জন্য, সেটা যদি মনে হয় " আজই" রাতারাতি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল, বা "আমাকে অসহায় করে স্বার্থপরের মত পালালো", তাহলে বুঝতে হবে, খালিটা একদিনে হয়নি। একটু একটু তোমারই উদাসীনতা তোমার উন্নাসিকতা তোমার আত্ম অহংকার তোমার চতুর্দিকে এমন নিশ্চিদ্র বর্ম বানিয়ে রেখেছিল, যে তুমি বুঝতেই পারোনি তোমার পরিপূরক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আসলে তোমাকে একা করে দিয়েছেল। ভালবাসা বিদায় নিয়েছিল ঋতুর মত।
তোমাকে যে ভালোবাসে সে যদি সারা দুনিয়া থেকে তোমায় আলাদা করে ফেলে, তাকে ছাড়া একদিন তুমি অচল হয়ে যাবে।এটাই মানুষের ধর্ম কেউ যদি বুঝে ফেলে তাকে ছাড়া কেউ অচল হয়ে আছে সে এক তরফা শর্ত জুড়ে দেয়। হাজারটা নিয়মে বেঁধে ফেলে অসহায় মানুষটাকে। অথচ শুরুতেই লিখেছি নিঃশর্ত ভালোবাসা দোষের কিছু না তবে বুঝিয়ে দেওয়াটা বোকামি।
শর্তের বদলে শর্ত জুড়ে দেওয়াটা আর যাই হোক ভালোবাসার নাম হতে পারেনা। "আপস" মানুষটাকে ধরে রাখার কৌশল হিসাবে পরিক্ষিত, কিন্তু সেটা খুবই ক্ষণস্থায়ী। গোটা দুনিয়ার মাঝে তোমরা এককাছে এসেছিলে শুরুর দিনের তোমাদের সেই মিল্গুলোর জন্য, যেগুলোকে আজ ভুলে গেছো বা জলাঞ্জলি দিয়েছো। সময়ের নিজশ্ব শর্ত আছে তার দাবি আমরা মানতে বাধ্য। এর উপরে যখন আমাদের অহং শর্ত, তার পরিবর্ত শর্ত- এভাবে পাল্টা পাল্টি শর্তে কেউ আত্মসমর্পণ করে তো পরবর্তী সময়ে 'শোধ' নিতে নিতে ভালবাসাটা একটা বদলে যাওয়া নিকৃষ্ট ঘৃণ্য খেলাতে পরিনত হয়ে যায়।
ভালোবাসতে গিয়ে ভালবাসাটাই মূল্যহীন হয়ে হারিয়ে যায় সময়ের আবর্তে। শুরুহয় Blackmail নামক চুরান্ত এক মারন খেলার, তখন প্রতিশোধ নেওয়াটাই মুখ্য হয়ে যায়। উভয় জনই নিজের মূল্য ধরে রাখতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে। যে মানুষটা তোমাকে ভালবেসে আপন করেছিল, তাকে বদলে দিয়ে অদৃষ্টের উপরে দায় চাপিয়ে প্রেমিক যুগল থেকে উন্মাদে পরিনত হয়ে গেলেন। এটা উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
বদলের অনেক প্রতিশ্রুতি থাকে প্রতিটি ভালবাসার পরতে পরতে, কিন্তু মূল মানুষটার চরিত্রটা অক্ষুন্ন রেখে যেটা দেখে ভালবেসেছিল। নতুবা বহমান সময়ের নিরন্তর স্রোত ভালবাসার কঙ্কালটুকুও অবশিষ্ট রাখেনা।
প্রেম ছাড়া বন্ধনের যাবতীয় যুক্তিই বড্ড একপেশে ও খেলো। প্রেমে যুক্তি লাগেনা, আবেগ লাগে, আর অনিয়ন্ত্রিত আবেগ প্রেমের সলিলসমাধি ঘটায় শুষ্ক মরুভুমিতেও। তখন হরেক যুক্তি সাজিয়েও, নিত্যনতুন পরিপূরক আমদানি করেও "ভালবাসা" reload বা recharge করা যায়না। নিজেকে অন্যের মাঝে দেখিতে গেলে আপস নয়, সমর্পন নয়, সময়কে অনুধাবন করে, নিজেকে চাহিদার উপযোগী করে তোলার নামই সংসার।
যেখানেই শর্তহীন আপস, জানতে হবে রোগ অনেক গভীরে। রোগ নির্নয়ের আগে রোগীর মৃত্যুই বহুলাংশে ঘটে থাকে। I am the best, এ মহামারী চিকিৎসা নেই কোনো চিকিৎসক এর কাছে, উপলব্ধি বিনা। আর এ উপলব্ধি আসে অভিজ্ঞতা থেকে। তিক্ত অভিজ্ঞতা অনেকটা জীবন নিংড়ে অনিচ্ছাতে সঞ্চয় হয়। তাই ভালবাসাটা জিইয়ে রাখাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় শর্ত। আঁধারের আধার চাইলেই হাসিল করা যায়, যেখানে সবটাই অন্যের ইচ্ছাধীন। মৌলিকতাকে অপরিবর্তিত রেখে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটাই জীবনের একমাত্র achievement। ওই খানেই সকল কিছু বৈধ, কারন-
ভালবাসার আধারে আসলে সকল কিছুই ঐচ্ছিক।
__________
১০/০২/২০১৯