"How is Josh" এর স্যাড সংস্করণ বাজারজাত হয়ে পাবলিক টয়লেটের ঝাঁঝালো গন্ধের মত অক্ষম বিছানা বিলাসী বিপ্লবীদের বীরগাথা বমন চলবে পথে ঘাটে বাটে সর্বত্র।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ভিকি কৌশল বা তার মত অনেকেই পরিচালকের সাথে যোগাযোগ শুরু করবে।
মোদী বিরোধীরা, নোট বাতিল, জুমলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ইত্যাদির ফাটা ক্যাসেট বাজাবে। রাহুল গান্ধী... কিছু তো একটা বলবেনই।
যুদ্ধ বিমানগুলো কেনা হবে দুর্নীতির জন্য আর ২৬শে জানুয়ারি এয়ার শো এর জন্য। এর পরেও ওরা হ্যাঙ্গারেই থাকবে। জি নিউজ দেখবেন পায়লটেরা। রাফালের মত চুক্তি গুলো হবে দেউলিয়া আম্বানির কোষাগার ভরতে।
অমিত শাহ, গত সন্ধ্যার মত এখনও বলবেন "মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে"। কারন তাহলেই শোধ নেওয়া হবে পাকিস্থানে বিরুদ্ধে, এবং আগামীর এই নাশকতা রোখার একমাত্র রাস্তা ওটাই।
টিভি চ্যানেলগুলোতে বসে বুদ্ধিসৈনিকেরা এমন চেঁচামেচি করবেন বিশেষত সন্ধ্যায়, সন্ত্রাসীরা ওখানেই নিকেস হয়ে যাবার উপক্রম হবে।
সোস্যাল মিডিয়াতে তীব্র জঙ্গি বিরোধিতা, ক্ষোভ, যন্ত্রনা ইত্যাদি, মুসলমান ও বামেদের উপরে উদগীরণ করে "জোশ" জাহির করবে।
নেতারা বিশেষ করে বিজেপি ও সঙ্ঘ সহযোগী দলগুলি- একটা দাঙ্গা লাগাবার ছক কষবে।
সন্ধ্যায় AC স্টুডিও থেকে বাক মিশাইল ছুড়ে দেশজ দেশপ্রেমিকদের মনের উষ্মাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। নিন্দার কড়াপাকে দেশপ্রেমের সাইরেন বাজিয়ে আশেপাশের সংখ্যালঘু ও বাম মনস্ক মানুষগুলির মা বোন সোনাগাছীজাত করবে।
চৌকিদারের মত দালালেরা যুদ্ধ যুদ্ধ একটা পরিস্থিতিতে (যুদ্ধ করার মত বিচি এদের নেই, থাকলে করত) বেশ কিছু অস্ত্রের দালালি করে টাকা কামাবে। মোদী ঘোষনা করে দেবে কৌশলে- যুদ্ধ হবেনা।
সমবেদনার ফেনাতে ভেসে থাকতে থাকতেই ভোটের ঘোষনা হয়ে যাবে।
দাঙ্গা দাঙ্গা বিষয়টার উপরে, শর্ট ফিল্ম টাইপ সংস্করণ সমাজের সর্বত্র ঘটে চলবে।
নেতারা ভোটলীলা শুরু করে দেবে। আপনাকে বোঝাবে RSS পরিচালিত সরকারের পাশে থাকা মানেই শহীদদের পাশে থাকা। BJP সরকারকে সহানুভূতি দেখালেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। সন্ত্রাসীরা জব্দ হবে। মিডিয়াও বলবে সরকার মাসুম, বরং আপনিই পারেন খিস্তির মিশাইল দিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করতে।
আমি আপনি ভুলে যাব। কারন বসন্ত এসে যাবে। ২০ তারিখ থেকে আবার রাজিব কুমার কেস শুরু... আর কি চাই গুরু!!
পাকিস্থানে বসে জঙ্গিরা আবার নতুন ছক কষবে, আমাদের অসহায় রাজনীতির শিকারে বন্দি ভারতীয় জওয়ানদের রক্তে হোলি খেলতে।
আন্তর্জাতিক ভাবে আমেরিকা পাকিস্থানকে আর্থিক সাহায্য দেবার ফাঁকে, তীব্র নিন্দা করবে জঙ্গিবাদের।
ভার্চুয়ালি গোটা পাকিস্থানকে ৭২ হুরের কাছে পাঠাবার সংকল্প নিয়ে এমন উষ্ণ হয়ে যাব, একটু নটি আমেরিকা ঘুড়ে এসে সেই রাগমোচন করব।
আমরা আবার ফেসবুকে রগের শিরা ফুলিয়ে পোষ্ট করার আগে, প্রধানমন্ত্রীর লাহোরি বিরিয়ানির কেচ্ছা মন দিয়ে পড়ে বলব- ৫৬" ছাতি দিয়ে মুসলমান মুক্ত ভারত চাই।
যাবতীয় বিপ্লব বাম আর মুসলমানের উপরে ন্যাস্ত করে আবার নতুন টপিক খুঁজব।
"গোরক্ষার জন্য মন্ত্রক হয়েছে তো। অর্থ বরাদ্দ কি করেননি গোয়েল সাহেব? তাহলে ৪৪ টা মৃত্যু নিয়ে এতো শোরগোলের কি আছে? RSS কে একবার শুধু অর্ডার দিলে, জঙ্গিবাদের ঠাকুরদাকে নিকেশ করে দেবে এরা। শুধু কংগ্রেসের জন্য এটা হচ্ছেনা।" এমন মেসেজ ১০ টা ফরোয়ার্ড করলেই আপনি পদ্ম পুরষ্কার পেতে পারেন।
আপনি প্রশ্ন করবেননা যে এত বড় দেশের এত ক্ষমতাবান প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘন্টা পরেও একটা টুইট ছাড়া কি করেছেন এ প্রশ্ন কেউ করবেনা। সকলে আমার মত মন কি বাতের অপেক্ষা করবে।
পাকিস্থানের মাটিতে অজিত ডোভালের ছেলের ব্যাবসা, আদানি আম্বানির ব্যাবসা এর পরেও গোটাবেনা এটা আপনি জানবেননা।
জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ভারতীয় মারা, তারা আর্মি মারছে কেন? সমস্যাটা কোথায় তাহলে? আর্মি তো আর্মড।
সুকমা, দান্তেওয়ারা সহ দেশজ জঙ্গিদের হিংসাতে নিহত ব্যাক্তিদের জন্য সমবেদনা ছাড়া জঙ্গিদমনে কি পদক্ষেপ নিয়েছিল?
ইয়ে, আমাদের একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেননা? ওহ সরি। উনি তো এখন রাফাল চুক্তির এমেন্ডমেন্টের জন্য প্যারিস দিল্লি ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করে চৌকিদার বাঁচাতে ব্যাস্ত। এসব তুচ্ছ ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে ভাবার জন্য সুধীর চৌধুরী, অর্ণব গোস্বামী আর সম্বিৎ পাত্র আছেন।
পিসি নেই, তাই কেমন খালি খালি লাগছে।
বোমা কেষ্টাকে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী করা হলে রাস্তাতে উন্নয়ন দাঁড় করিয়ে দিতে পারত এটা ভুলে যাবেন। কিম্বা আমাদের অধিকারী ব্রাদ্রার্স.... হাইজ্যাকে উস্তাদ তো ইনি। পিসির ধর্ণাও হবেনা একটা। তবে টুইটারে বিবৃতি দেবেন- পিসি। অনুব্রত অতশত বোঝেনা, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব বলে কথা, শুধু উন্নয়ন বোঝেন।
কেমন হয়, উন্নয়ন বাহিনী আর RSS এর ক্যাডারেরা বর্ডারে দাঁড়িয়ে..... জঙ্গিরা কি রেল গুমটিতে চপ বেচবেনা?? ভাবুন ভাবুন
°°°°°°°°°°°°°°°°°
তবে-
এই পোষ্টে এসে আমারও মা-মাসি না করলে জওয়ানদের রক্তের বদলা নেওয়া অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। কারন আপনি আর যাই করুন মোদীজির দোষ বা গুনের বিচার বিশ্লেষন করতেই পারেননা। ভক্তদের চোখে ওটাই সন্ত্রাসবাদ। এখানে যথাক্রমে আমি ওটাও করেছি। সেনার বীরত্বের গল্প যিনি রাজনৈতিক মঞ্চে ব্যবহার করেন, আজকে ৪৪ জন ভারতমাতার সন্তানের লাশ... এর দায় নেবেননা? এখন বলবেন রাজনীতি খুঁজছেন? দাদা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, সরাষ্ট্র বিভাগ, গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে তো রাজনেতারাই বসে আছেন, এবং সকলেই দেশপ্রেমিকের শংসাপত্র দেওয়া দলের।
রামচন্দ্র বানরসেনা নিয়ে যুদ্ধ জয় করেননি, তার সাথে ছিল বিভীষণ। সরকার সাধারন কাশ্মীরিদের বিভীষণ বানিয়ে সন্ত্রাসীদের কাজ সহজ করে দিচ্ছে নীতির পরিবর্তন না করে। দেশে গো সন্তান আর বানরসেনা দিয়ে রাজ্যপাট চালাচ্ছেন। রামচন্দ্রেরও কিছু শিক্ষিত মানুষজন ছিলেন বানর সেনার পাশাপাশি।
আসুন, এর বাইরে আমরা কি করতে পারি দেখান। যেখানে আমরা সত্যিকারের প্রতিশোধ নিতে আগামীর এমন হামলা রুখব।
ওহ, আপনি তো আবার নাগপুরের পরবর্তী মেসেজে কি আসে তার প্রতিক্ষা করছেন।
___________
No comments:
Post a Comment