পুরানো সেই দিনের কথা....
তখন সময়টা বড় গোলেমেলে। সেক্সোকবি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে
সুমিষ্ট আঙুরের রস এনেছেন ডারউইনের সেই জাহাজে, উপলক্ষ্য বিশ্বকবির অনশন ভঙ্গ। চারিদিকে
লোকে লোকারন্য, মাঝখান কে যেন যুদ্ধবিমানের হস্তমৈথুনের
কথাটা প্রকাশ্যে হাতমাইকে ঘোষনা করে দিতেই সন্ত্রস্ত লোকজন ছিঃ উৎসবের আয়োজন করতে
শুরু করেদিল।
পিসি তখন নিতান্তই কাঁচা বয়েস, তাতেও তিনি
অন্যপক্ষের হয়েও টুক করে ধরে নিলেন যে এটা কুৎসা... তবে তিনি সম্যকভাবে বুঝলেন যে,
ওই আঙুরের রস গেঁজে গেছিল, আর ভাবী চেয়ারম্যান
হিসাবে যুদ্ধবিমান সেটা চাখতেই নাকি এই প্রকোপ। তিনি পরদিনিই গুরুদেবের সাথে
আলোচোনা করতে বসলেন কিভাবে এই আঙুরের রস না গেঁজিয়ে টাটকা রাখা যায়। গুরুদেবের
সাথে বুনিপ বেদ আর অরূপকে সাথী করে জাপানে পাঠালেন।
এদিকে এই ঘটনাতে তরুন বিপ্লবী " গুঁফো মন্ডা"র
বৈপ্লবিক চেতনাতে আঘাত হানলো। গেরিলা নাম ছিল "গুঁফো মন্ডা" (মন্ডলের
অপভ্রংশ)। তিনি মলমোদ্দিন থেকে সোজা তৎকালীন রাজ্যের মুখ্য কার্যালয়
"ভাদু" তে গিয়ে যুদ্ধবিমানের কুৎসার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন।
পিসি তখন তাকে গুরুদেবের সাথে একই জাহাজে গুঁফো মন্ডাকেও জাপান পাঠালেন।
জাহাজ মাঝ সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ল, এক অজানা দ্বীপের
তীরে ঠেকতেই জলদস্যুদের কবলে পরল। বিপ্লবী গুঁফো মন্ডা ইতিমধ্যেই সেই গেঁজে যাওয়া
আঙুরের রস খেয়ে চুড় ছিল, পকেট থেকে দুম করে বোম চার্জ করে
বসল।
পরে অবশ্য বিচারে জজসাহেব পুরো অমরেশ পুরি মুডে, ভিলেন মদনপুরি র মত
ভেবে গুঁফোকে এক্কেবারে তরীপার।
জেল হওয়ার কারন ছিল, পকেটে কালিপটকা নিয়ে মহান মেদিনীপুরী
বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন সেই অনাম্নী দ্বীপ রাষ্ট্রে।
সেই দ্বীপের মহান বিজ্ঞানীরা সেই আঙুরের রস নষ্ট হওয়া
থেকে বাঁচাতে তাতে মেশালেন নবরত্ন তেল আর ডার্মিকুল পাওডার। ব্যাস তৈরি হল এক
যুগান্তকারী প্রোডাক্ট।
কবিগুরু দেশে ফিরে এলেন। এদিকে রানী ভিক্টোরিয়া, মাউন্টব্যাটেন,
নাত্থুরাম আর বরকতির সাথে গ্রুপ চ্যাট করে পিসি সিদ্ধান্ত নিলেন যে,
জাহাজ জাপানে না পৌছানোর বিষয়টা চেপে যাওয়া হবে, আর অবশিষ্ট হার্মাদ গুলোকে মেরে বালি চাপা দেওয়া
হবে। এই ডাইলোগটাই রণিদা পাগলুতে ব্যবহার করেছিল।
জাপান ফিরত সেই তেলের নামকরণ করলেন পিসি নিজে, একটি ঘন্টাখানেক
অনুষ্ঠানে। অতিপরিমান নবরত্ন তেল সেই আঙুরের রসের সাথে মিশে যে নতুন শালসাটা তৈরি
হয়েছিল তার নাম দিলেন " জাপানী তেল" আর পাওডারের থিতিয়ে যাওয়া মণ্ড দিয়ে
তৈরি হল রকেট ক্যাপসুল। এর ফলে দেশে সকলের সাইজ বেড়ে যেতে লাগল, সর্বপ্রথম সেই তেল যিনি বুকে মালিশ করেছিলেন, আর
তাঁর ছাতির সাইজ ৫৬ ইঞ্চি। বাকিটা ইতিহাস...
দস্যুদের সেই দেশের নাম পিসি দিলেন "উন্নয়ন"।
আর সেই ফিরতি জাহাজের অবশিষ্ট হার্মাদের বংশধর হিসাবে ইতিহাসের অবহেলিত সত্যকে আজ
আমি হাজির করলাম। সাথে দিলাম মহান বিপ্লবী "গুঁফো মন্ডা"র সেলুলার জেলে
থাকাকালীন একটা দুষ্প্রাপ্য ছবি। এখন অবশ্য সেলুলার জেলের সেলুলোজ খেয়ে খেয়ে চর্বি
জমিয়েছেন। তবে....
গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, গোঁফ দিয়ে যায় চেনা।
No comments:
Post a Comment