বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্যায়...
না, আমার বা আপনার মোটেই
তেমনটা লাগছে না এই ছালওঠা ও ঘামে স্নান করা গরমে। তবে কারো কারো লাগছে।
"যে
করে খনিতে শ্রম
জেনো তাকে ডরে যম......"
আর সেই খনিজের যিনি মালিক হন, তিনি? তার অবস্থাটা কি?
তাকে যমের বাবা মানে স্বয়ং ৫৬ ইঞ্চিও ডরে।
আসলে বখরা আর কি!! গুজ্জু গুজ্জু ভাই ভাই, লুটে
খাও যা পাই।
ভণিতা শেষ,
কাজের কথায় আসি, ভারতের মুকুটে নতুন পালক
সংযোজন হল। কিংফিসারের মালিকের 'পার্টনার ফর গুড টাইম'
এ সংযজিত হল নতুন নাম যতীন মেহতা।
যতীন, এ যতীন অবশ্য সেই মহেশ মান্নার চামচা যতীন নয়। ইনি হলেন গিয়ে জাতীয় বেয়াই।
ইয়ে মানে মন কি বাতের থুড়ি গৌতম আদানীর বেয়াই। হিরের ব্যাবসাদার গুজরাতি। অবশ্য
অন্যায় অবচার ফুল দমে।
বর্তমানে ইনি সেই ক্রিকেট নষ্টালজিয়ার দেশ ওয়েষ্ট ইন্ডিজের (
ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ) সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামক দ্বীপের বাসিন্দা। যেমনটি
বিজয় মালিয়া লন্ডনের।
তবে যাওয়ার আগে, হ্যাঁ... মিরাক্কেল স্টাইলে...
যাবার আগে...
এদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে কমপক্ষে ৭ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়েছিলেন।
অতঃপর... স্বস্ত্রীক চম্পট ( এটা অনুমান, অন্যের স্ত্রী যে নিয়ে যাননি, সেই প্রমান জোরালো নয়)
এর আগেও অবশ্য পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক, বিজয়া ব্যাঙ্ক ও
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককে বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রতারণা করে হাত পাকিয়েছিল। সেখান
থেকে দেশপ্রেমিদের নেকনজরে সম্ভবত।
আচ্ছেদিনের স্বপ্নদেখানো কারবারিরা প্রকাশ্যে গরু আর সীমান্তের
ছায়া যুদ্ধ নিয়ে ব্যাস্ত। আর গোপনে অস্ত্র কেনাবেচার বখরা। সাথে মনকি বাত, এদিকে হাইজ্যাক
পিসিও নিজের প্রতিভা রাখছেন
নোট বাতিলে সন্ত্রাসবাদ শেষ হয়ে যাবার কথা ছিল, দুদিন আগেও
পাকিস্থানি সেনা দুজন ভারতীয় বীর জওয়ানের মুন্ডু কেটেছে। কথাছিল দেশের অর্থনীতি
পুঁই শাকের মত বাড়বে লকলকিয়ে, আজ সম্ভবত সেই পুঁই চারা বনসাই
এর মত বনপুঁই হয়ে গেছে।মাঝখান থেকে আমি আপনি হয়রান হলাম। দেশপ্রেমিক গোসন্তানেরা
অবশ্য বাঁদরের লেজ লাগাতে ব্যাস্ত, সাথে অস্ত্র নিয়ে নিকৃষ্ট
মুসলমানিত্বের মহরমকে নকল।
ওয়াক থু...
এই সাত হাজার কোটির রিকভারি কিসে হবে বন্ধুরা??
৫৬ ইঞ্চি নতুন কি গল্প ফাঁদে সেই প্রতিক্ষায়, কারন ওই দ্বীপ
রাষ্ট্রের সাথে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। অতএব হোলবোল।
No comments:
Post a Comment