মাঝরাত্রে
লেবুদার ঘুমটা সবে চোখে জুড়ে বসছে। ওমনি হঠাৎ
করে বাঘাবৌদি সোহাগের ঝাঁপি উপুর করে দিলেন।
লেবুদা
হাঁ হাঁ হাঁ... করে মানা করতে যাচ্ছিলেন ঠিকিই। কিন্তু বহুদিনের অভুক্ত অতৃপ্ত জৈবিক আত্মা এই সুযোগের সম্পূর্ন সদ্ব্যবহার করে নিল।
ক্ষুদ্র
অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটলে, লেবুদা বেশ তাচ্ছিল্যের সুরেই
বল্লেন-
- আজ হঠাৎ, এমন চ্যাটচ্যাটে পিরিতি জেগে উঠল যে!! বলি মতলবটা কি??
- শোনো না..... ততোধিক আদুরে গলায়
সুধা বৈদি বলে উঠলেন...
পরশু
ব্যাঙ্ক খুললে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে কিন্তু!! এতোগুলো টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে
একা যেতে সাহষ হচ্ছেনা। ওদিন আমার সাথে একটি বার যেওনা লক্ষীটি.....
- তোমার আবার ব্যাঙ্কে কাজ কি!!
বিস্ময়ে লেবুদা প্রশ্ন ছুরে দিলেন...
- ইয়ে, মানে কিছু ৫০০-১০০০ টাকার নোট ভাঙিয়ে নিতাম।
- ততোধিক আশ্চর্য হয়ে লেবুদা বল্লো, একা যাবার সাহষ নেই মানে?? মানে? কতটা ভারি সে অঙ্ক!! বিস্ফোরিত নয়ন সহ মুখদিয়ে অস্ফুটে উচ্চারিত হল “কালা ধন”.........
- ইয়ে, মানে কিছু ৫০০-১০০০ টাকার নোট ভাঙিয়ে নিতাম।
- ততোধিক আশ্চর্য হয়ে লেবুদা বল্লো, একা যাবার সাহষ নেই মানে?? মানে? কতটা ভারি সে অঙ্ক!! বিস্ফোরিত নয়ন সহ মুখদিয়ে অস্ফুটে উচ্চারিত হল “কালা ধন”.........
বৌদি
একটু ফুট কেটে বললেন
-
শুধু আমিই একা নয় আমার সোহাগ কালাচাঁদ, সারা বিশ্বের মহিলারাই
ভীষন লোলুপ কালাধনের বিষয়ে...
আর কোন
কথা না বাড়িয়ে, আরো ঘনিষ্ট হয়ে লেবুদাকে জড়িয়ে শুয়ে
পড়লেন।
মুচকি হেঁসে লেবুদা মনে মনেই বললেন,
একেই
বলে বিচার। যাবতীয় পকেটমারি করে গচ্ছিত কালা ধন, সত্যিই
প্রকাশ পাচ্ছে। মোদীজি নিজে সংসার না করুক,
সংসাররের
মূলটা বোঝেন। সমগ্র ভারতীয় পুরুষদের তরফ থেকে যে একটা আশির্বাদ তিনি পাবেনই, সেটা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু
মনে একটা খচখচে প্রশ্ন রয়েই গেল, সুধা কালাধন বলতে ঠিক কি বোঝাতে চাইল!!
যাই
হোক, কে জানে এমন দিন আবার কবে আসবে,
আচ্ছেদিনের
আনন্দে লেবুদাও আরো শক্ত ভাবে স্ত্রী সোহাগে নিজেকে গলিয়ে দিলেন।
No comments:
Post a Comment